CLASS VII HISTORY 5TH CHAPTER

সপ্তম শ্রেণী ; ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় :-

MCQ + SAQ বাদ দিয়ে অন্যান্য প্রশ্নগুলি নীচে লেখা আছে এবং পাঠ্যবইয়ের পৃষ্ঠা নম্বর দেওয়া আছে। কিছু প্রশ্ন এমন থাকতে পারে যেগুলির উত্তর পাঠ্যবইতে ভালোভাবে দেওয়া নেই। সেই প্রশ্নগুলি নোট বই থেকে পড়তে হবে। 

১. মুঘল রাজত্বকাল লেখ।
উত্তর :-খ্রিস্টীয় ষোড়শ শতক থেকে ঊনবিংশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত। 

২. মুঘলরা কার / কাদের বংশধর ছিল ?
উত্তর :-মোঙ্গল নেতা চেঙ্গিস খান এবং তুর্কি নেতা তৈমুর লঙ এর বংশধর। 

৩. ভারতে প্রথম মুঘল বাদশাহ কে ছিলেন ?
উত্তর :-জহিরউদ্দিন মহম্মদ বাবর। 

৪. ভারতে মোগল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা কে ?
উত্তর :- জহিরউদ্দিন মহম্মদ বাবর। 

৫. কবে তৈমুর লঙ ভারত আক্রমণ করেন ?
উত্তর :- ১৩৯৮ খ্রিস্টাব্দে। 

৬. বাবর কত বছর বয়সে প্রথম কোন প্রদেশের শাসনভার লাভ করেছিলেন ?
উত্তর :-১৪৯৪ খ্রিস্টাব্দে মাত্র ১২ বছর বয়সে ফারগানা প্রদেশের শাসনভার লাভ করেছিলেন বাবর। 

৭. মুঘল সার্বভৌম শাসকেরা কোন পদবি / উপাধি ধারণ করতেন ?
উত্তর :-পাদশাহ বা পাদিশাহ বা বাদশাহ। 

৮. মুঘলদের '' বাদশাহ '' উপাধির তাৎপর্য কী ছিল ?
উত্তর :-বাদশাহ উপাধি ব্যবহার করে মুঘলরা বোঝাতে চাইলো যে , তাদের শাসন করার ক্ষমতা অন্য কারো অনুমোদনের উপর নির্ভরশীল নয়। 

৯. পাদশাহ বা পাদিশাহ বা বাদশাহ শব্দগুলি কোন দেশীয় ?
উত্তর :-ফারসি। 

১০. পাদশাহ শব্দটির অর্থ কী ?
উত্তর :-পাদ শব্দের অর্থ প্রভু ; শাহ শব্দের অর্থ শাসক বা রাজা। একই সঙ্গে একই অর্থযুক্ত দুটি শব্দ ব্যবহার করা হত খুব শক্তিশালী শাসক বোঝাতে। 

১১. পানিপথের প্রথম যুদ্ধ কবে , কাদের মধ্যে সংগঠিত হয় ? এই যুদ্ধের ফলাফল কী হয়েছিল ?
উত্তর :-১৫২৬ খ্রিস্টাব্দে পানিপথের প্রথম যুদ্ধ সংগঠিত হয় বাবর ও ইব্রাহিম লোদীর মধ্যে। এই যুদ্ধে বাবরের ক্ষুদ্র গোলন্দাজ বাহিনীর কাছে ইব্রাহিমের বিশাল সেনাবাহিনী পরাজিত হয়। 

১২. খানুয়ার যুদ্ধ কবে , কাদের মধ্যে সংগঠিত হয় ? এই যুদ্ধের ফলাফল কী হয়েছিল ?
উত্তর :-১৫২৭ খ্রিস্টাব্দে বাবর ও মেওয়ারের রানা সংগ্রাম সিংহের মধ্যে। এই যুদ্ধে সংগ্রাম সিংহ পরাজিত হন।       

১৩. ঘর্ঘরার যুদ্ধ কবে কাদের মধ্যে হয় ? এই যুদ্ধের ফলাফল কী হয়েছিল ?
উত্তর :-১৫২৯ খ্রিস্টাব্দে , বাবরের সাথে আফগান ও বাংলার শাসক নসরৎ শাহের মিলিত বাহিনীর মধ্যে। এই যুদ্ধে বাবর জয়লাভ করলেও বিহারে পাকাপাকিভাবে অধিকার কায়েম করতে পারেনি। 

১৪. বাবরের পুত্রের নাম কী ?
উত্তর :-হুমাযুন। 

১৫. প্রচলিত গল্পকথা অনুসারে কোন মুঘল সম্রাট নিজের প্রাণের বিনিময়ে নিজের পুত্রের প্রাণভিক্ষা করেছিলেন ঈশ্বরের কাছে ?
উত্তর :-বাবর। 

১৬. মুঘলদের প্রধান দুই বিরোধী শক্তি কারা ছিল ?
উত্তর :-রাজপুত ও আফগান। 

১৭. হুমায়ুনের অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কে ছিলেন ?
উত্তর :-বিহারের আফগান শাসক শের খান। 

১৮. হুমায়ুন কোন কোন যুদ্ধে শের খানের নিকট পরাজিত হয়েছিলেন ?
উত্তর :-১৫৩৯ খ্রিস্টাব্দে বিহারের চৌসার যুদ্ধে ও ১৫৪০ খ্রিস্টাব্দে কনৌজের নিকট বিলগ্রামের যুদ্ধে। 

১৯. কোন যুদ্ধে পরাজিত হয়ে হুমায়ুনকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয় ?
উত্তর :-১৫৪০ খ্রিস্টাব্দে কনৌজের নিকট বিলগ্রামের যুদ্ধে পরাজিত হয়ে। 

২০. পলায়নরত অবস্থায় কে হুমায়ুনকে আশ্রয় প্রদান করেছিলেন ?
উত্তর :-পারস্যের শাসক শাহ তাহমস্প। 

২১. কবে আকবরের জন্ম হয় ?
উত্তর :-১৫৪২ খ্রিস্টাব্দে , হুমায়ুন যখন পলায়নরত অবস্থায় ছিলেন।

২২. হুমায়ুনের অনুপস্থিতিতে কোন আফগান শাসক দিল্লি ও আগ্রাতে আফগান শাসন প্রতিষ্ঠা করেন ?
উত্তর :-শের শাহ। 

২৩. পাট্টা ও কবুলিয়ত প্রথা কে চালু করেন ?
উত্তর :-শের শাহ। 

২৪. শের শাহ নির্মিত প্রধান সড়কপথটির নাম কী ?
উত্তর :-'' সড়ক - ই - আজম '' । বর্তমানে এটি গ্র্যান্ড ট্রাংক রোড নামে পরিচিত। 

২৫. সেনাবাহিনীর উপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে শের শাহ কোন ব্যবস্থা বহাল রেখেছিলেন ?
উত্তর :-দাগ ও হুলিয়া। 

২৬. শের শাহের সমাধি কোথায় অবস্থিত ?
উত্তর :-বিহারের সাসারামে। 

২৭. কবে , কত বছর বয়সে আকবর ভারতের শাসনভার লাভ করেন ?
উত্তর :-১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দে , মাত্র ১৩ বছর বয়সে। 

২৮. আকবর যখন ভারতের শাসনভার গ্রহণ করেন তখন তাঁর অভিভাবক কে ছিলেন ?
উত্তর :-বৈরাম খান। 

২৯. কবে , কাদের মধ্যে পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ সংগঠিত হয় ?
উত্তর :-১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দে আকবর ও আফগান নেতা আদিল শাহের হিন্দু সেনাপতি হিমুর মধ্যে। 

৩০ পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধের ফলাফল কী হয়েছিল ?
উত্তর :-আকবরের কাছে আদিল শাহের হিন্দু সেনাপতি হিমু পরাজিত হন।   

৩১. কোন দুর্গটি রাজপুতদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল ?
উত্তর :-চিতোর দুর্গ।

৩২. আকবর কবে চিতোর দুর্গ জয় করেন ?
উত্তর :-১৫৬৮ খ্রিস্টাব্দে। 

৩৩. কবে , কাদের মধ্যে হলদিঘাটের যুদ্ধ সংগঠিত হয় ?
উত্তর :-১৫৭৬ খ্রিস্টাব্দে রানা প্রতাপ ও মুঘলদের মধ্যে। 

৩৪. রানা প্রতাপের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আকবর কোন মুঘল সম্রাটকে প্রেরণ করেছিলেন ?
উত্তর :-রাজা মান সিংহকে। 

৩৫. হলদিঘাটের যুদ্ধের ফল কী হয়েছিল ?
উত্তর :-মোগল বাহিনীর কাছে রানা প্রতাপ পরাজিত হয়েছিলেন। 

৩৬. আকবরের রাজসভায় নবরত্ন কাদের বলা হত ?
উত্তর :-আকবরের দরবারে বহু বিশিষ্ট মানুষদের মধ্যে ন - জনকে একত্রে বলা হত নবরত্ন। এঁদের মধ্যে একজন ছিলেন রাজা বীরবল। 

৩৭. আকবরের নবরত্ন সভার অন্যতম প্রধান কে ছিলেন ?
উত্তর :-বীরবল। 

৩৮. বীরবলের প্রকৃত নাম কী ছিল ?
উত্তর :-মহেশ দাস।

৩৯. আকবরের আমলের দুজন বিখ্যাত ঐতিহাসিক কারা ছিলেন ?
উত্তর :-আবুল ফজল আল্লামি ও আবদুল কাদির বদাউনি।  

৪০. আবুল ফজলের লেখা ঐতিহাসিক গ্রন্থটির নাম কী ?
উত্তর :-আকবরনামা। 

৪১. বদাউনির লেখা ঐতিহাসিক গ্রন্থটির নাম কী ?
উত্তর :-মুন্তাখাব - উৎ - তওয়ারিখ। 

৪২. কবে আকবরের মৃত্যু হয় ?
উত্তর :-১৬০৫ খ্রিস্টাব্দে। 

৪৩. আকবরের উত্তরসূরি কে ছিলেন ?
উত্তর :-জাহাঙ্গীর। 

৪৪. মনসবদারী ব্যবস্থার প্রবর্তক কে ছিলেন ?
উত্তর :-মোগল সম্রাট আকবর।

৪৫. শাহজাদা খুররম পরবর্তীকালে কী নামে পরিচিত হন ?
উত্তর :-শাহজাহান। 

৪৬. মধ্য এশিয়ায় মুঘলদের প্রাচীন বাসভূমি কোনটি ছিল ?
উত্তর :-সমরকন্দ। 

৪৭. শাহজাহানের রাজত্বের শুরুতেই দাক্ষিণাত্যের কে মোগলদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন ?
উত্তর :-খান জাহান লোদী। 

৪৮. ঔরঙ্গজেব কীভাবে মোগল সম্রাট হয়েছিলেন ?
উত্তর :-শাহজাহানের রাজত্বের শেষদিকে তাঁর ছেলেদের মধ্যে সিংহাসন নিয়ে লড়াই বেঁধে গিয়েছিলো। তাঁদের মধ্যে দারাশিকোহ ও অন্য ভাইদের হঠিয়ে ঔরঙ্গজেব বাদশাহ হয়েছিলেন। 

৪৯. ঔরঙ্গজেবের রাজত্বকালে যেসকল কৃষক বিদ্রোহ দেখা দিয়েছিল তাদের নাম করো।
উত্তর :-মথুরায় জাঠ বিদ্রোহ ও হরিয়ানায় সৎনামি কৃষক বিদ্রোহ।

৫০. '' দাক্ষিণাত্য ক্ষত '' কথাটি কোন মোগল বাদশাহের সাথে সম্পর্কিত ?
উত্তর :-ঔরঙ্গজেব।

৫১. এশিয়ার মুঘলদের আদি বাসভূমি কোথায় ছিল ?
উত্তর :-সমরখন্দ বা সমরকন্দ অঞ্চলে। 

৫২. ঔরঙ্গজেবের শাসনকালে দাক্ষিণাত্যের কোন দুটি অঞ্চল মোগলদের দখলে আসে ?
উত্তর :-বিজাপুর ও গোলকোন্ডা। 

৫৩. '' ওয়াতন '' কথাটির অর্থ কী ?
উত্তর :-নিজের ভিটে বা এলাকা বা স্বদেশ। 

৫৪. মুঘলরা বাংলার কোন বন্দর দখল করে বাংলাকে পোর্তুগিজ জলদস্যুদের আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে ?
উত্তর :-চট্টগ্রাম বন্দর। 

৫৫. কোন মুঘল সম্রাট হিন্দুদের ওপর থেকে '' জিজিয়া '' কর তুলে নিয়েছিলেন ?
উত্তর :-মহামতি আকবর। 

৫৬. হিন্দুদের প্রতি '' মৈত্রী ও যুদ্ধ নীতি '' প্রথম কোন মুঘল সম্রাট প্রয়োগ করেছিলেন ?
উত্তর :-আকবর। 

৫৭. মেওয়ারের কোন রানা আকবরের বশ্যতা স্বীকার করেন নি ?
উত্তর :-রানা প্রতাপ সিংহ। 

৫৮. রানা প্রতাপ সিংহের পুত্রের নাম কী ছিল ?
উত্তর :-অমর সিংহ। 

৫৯. জাহাঙ্গীরের আমলে কোন রাজপুত উঁচু মনসব লাভ করেছিলেন ?
উত্তর :-অমর সিংহ। 

৬০. মারওয়াড় কথাটির অর্থ কী ?
উত্তর :-রাজস্থানের ভাষায় '' ওয়ার '' শব্দের অর্থ একটি বিশেষ অঞ্চল। মারওয়াড় শব্দটি এসেছে '' মরুওয়াড়'' ( বা মরু অঞ্চল ) কথাটি থেকে।        

৬১. কোন মোগল সম্রাটের আমলে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক রাজপুতরা মুঘল মনসবদারি ব্যবস্থার আওতায় এসেছিল ?
উত্তর :- ঔরঙ্গজেব। 

৬২. ঔরঙ্গজেবের আমলে কোন রাজপুত ঔরঙ্গজেবের একজন বিশ্বস্ত অভিজাতদের মধ্যে একজন ছিলেন ?
উত্তর :-অম্বরের রাজা জয়সিংহ। 

৬৩. মোগল সম্রাট আকবর হিন্দুদের ওপর থেকে জিজিয়া কর তুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর কে আবার হিন্দুদের ওপর জিজিয়া কর চাপিয়ে দেন ?
উত্তর :-মোগল সম্রাট ঔরঙ্গজেব। 

৬৪. খ্রিস্টীয় ষোড়শ শতকের দ্বিতীয় ভাগে দাক্ষিণাত্যের প্রধান রাজ্যগুলির নাম কর।
উত্তর :-বিজাপুর , গোলকোন্ডা , আহমেদনগর , বেরার , বিদর ও খান্দেশ। 

৬৫. কবে , কোন সময়কালে মুঘলরা দাক্ষিণাত্যের রাজ্যগুলি জয় করে ?
উত্তর :-১৫৯৬ থেকে ১৬০১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে। 

৬৬. রাজনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আসিরগড়  দুর্গটি কোথায় অবস্থিত ছিল ?
উত্তর :-খান্দেশ। 

৬৭. দাক্ষিণাত্যের রাজ্যগুলি কার নেতৃত্বে মোগলদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে ?
উত্তর :-আহমেদনগরের প্রধানমন্ত্রী মালিক অম্বরের নেতৃত্বে। 

৬৮. কবে আহমেদনগর রাজ্যটি মোগলদের দখলে আসে ?
উত্তর :- ১৬৩৬ খ্রিস্টাব্দে। 

৬৯. কোন মুঘল সম্রাট বিজাপুর ও গোলকোন্ডার সাথে চুক্তি করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন ?
উত্তর :- মোগল সম্রাট শাহ্জাহান। 

৭০. কোন মোগল সম্রাটের আমলে মারাঠাদের শক্তি অনেকটা বেড়ে গিয়েছিল ?
উত্তর :- মোগল সম্রাট ঔরঙ্গজেব। 

৭১. মোগলদের বিরুদ্ধে মারাঠাদের নেতা কে ছিলেন ?
উত্তর :- শিবাজী। 

৭২. মারাঠাদের সাথে মোগলদের দ্বন্দ্ব / যুদ্ধ কত বছর চলেছিল ?
উত্তর :- প্রায় ২৫ বছর। 

৭৩. কবে , কোথায় ঔরঙ্গজেব মারা যান ?
উত্তর :-১৭০৭ খ্রিস্টাব্দে , দাক্ষিণাত্যে। 

৭৪. আকবরের ধর্মনীতির মূলকথা কী ছিল ?
উত্তর :- সকলের প্রতি সহনশীলতা বা '' সুলহ - ই - কুল। ''

৭৫. '' সুলহ - ই - কুল '' শব্দের অর্থ কী ?
উত্তর :- পরধর্ম সহিষ্ণুতা বা সকলের প্রতি সহনশীলতা। 

৭৬. '' সুলহ - ই - কুল '' নীতির প্রবর্তক কে ?
উত্তর :-সম্রাট আকবর।

৭৭. আকবর প্রবর্তিত ধর্মনীতি কী নামে পরিচিত ছিল ?
উত্তর :-দীন - ই - ইলাহি। 

৭৮. আকবরের আমলে '' সুবা '' বলতে কী বোঝো ?
উত্তর :- আকবর তাঁর সাম্রাজ্যকে কয়েকটি প্রদেশে ভাগ করেছিলেন। এই প্রদেশগুলিকে বলা হত '' সুবা। ''

৭৯. মনসবদারি ব্যবস্থার প্রবর্তক কে ?
উত্তর :-সম্রাট আকবর। 

৮০. মনসবদার কাদের বলা হত ?
উত্তর :-আকবরের শাসনব্যবস্থায় প্রশাসনিক পদগুলিকে বলা হত মনসব ; আর পদাধিকারীদের বলা হত মনসবদার। 

৮১. মনসবদারী ব্যবস্থায় সবচেয়ে উপরের পদগুলো কাদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হত ?
উত্তর :- রাজপরিবারের সদস্যদের জন্য। 

৮২. উচ্চপদস্থ মনসবদারদের কী বলা হত ?
উত্তর :- আমির। 

৮৩. জায়গির কী ?
উত্তর :- মনসবদারদের দুভাবে বেতন দেওয়া হতো - নগদে বা রাজস্ব বরাত দিয়ে। রাজস্বের এই বরাতকে বলা হতো জায়গির। 

৮৪. জায়গিরদার কাদের বলা হত ?
 উত্তর :- মনসবদারদের দুভাবে বেতন দেওয়া হতো - নগদে বা রাজস্ব বরাত দিয়ে। রাজস্বের এই বরাতকে বলা হতো জায়গির। জায়গির যিনি পেতেন তাঁকে বলা হত জায়গিরদার। 

৮৫. মোগল যুগে ভারত ছিল - কৃষি নির্ভর / শিল্প নির্ভর / বাণিজ্য নির্ভর -- দেশ।
উত্তর :- কৃষি নির্ভর। 

৮৬. কার আমল থেকে রাজস্বের পরিমাণ নির্ধারণ করার জন্য জমি জরিপ করার ব্যবস্থা প্রচলিত হয় ?
উত্তর :- সুলতান আলাউদ্দিন খলজি। 

৮৭. জাবত - শব্দের অর্থ কী ?
উত্তর :- নির্ধারণ। 

৮৮. জাবতি প্রথা বলতে কী বোঝো ?
উত্তর :-শেরশাহের পর আকবর নতুন করে জমি জরিপের ব্যবস্থা করেন। জমি জরিপের ভিত্তিতে রাজস্ব নির্ধারণের এই পদ্ধতিকে বলা হত জাবতি। 

৮৯. '' দহ '' শব্দের অর্থ কী ?
উত্তর :- দশ। 

৯০. দহসালা ব্যবস্থা কে প্রবর্তন করেন ?

উত্তর :- সম্রাট আকবর।    

 

অন্যান্য প্রশ্ন :-
১. সফাবি কারা ছিল ? ( পৃষ্ঠা ৬৯ )

২. উজবেক কাদের বলা হত ? ( পৃষ্ঠা ৬৯ ) 
         
৩. সার্বভৌম শাসক বলতে কী বোঝায় ? ( পৃষ্ঠা ৭০ ) 

৪. মুঘল রণকৌশল সম্পর্কে আলোচনা করো। ( পৃষ্ঠা ৭১ )

৫. সামরিক অভিজাত কাদের বলা হত ? ( পৃষ্ঠা ৭২ ) 

৬. মুঘল - আফগান দ্বন্দ্ব সম্পর্কে আলোচনা করো।  ( পৃষ্ঠা ৭৩ )

৭. শের শাহের অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক সংস্কারগুলি সম্পর্কে আলোচনা করো। ( পৃষ্ঠা ৭৩ ) 

৮. মোগল আমলে বা মধ্য যুগে '' বারো ভুঁইয়া '' কাদের বলা হত ? কয়েকজন '' বারো ভুঁইয়া '' - র নাম করো। ( পৃষ্ঠা ৭৭ )

৯. মুঘল ও রাজপুত সম্পর্ক আলোচনা করো। ( পৃষ্ঠা ৮০ ; তবে নোট বই থেকে করলে ভালো হয় )। 

১০. দাক্ষিণাত্য ক্ষত সম্পর্কে লেখ। ( পৃষ্ঠা ৮৪ )। 

১১. আকবরের ধর্মনীতি আলোচনা কর। ( পৃষ্ঠা ৮৫ )।

১২. আকবরের শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনা কর। ( পৃষ্ঠা ৮৫ )। 

১৩. মনসবদারী প্রথা সম্পর্কে লেখ। ( পৃষ্ঠা ৮৫ ; তবে নোট বই থেকে পড়লে ভালো হয় )।

      

Share
Tweet
Pin
Share