Powered by Blogger.
facebook
CLASS 10 HISTORY 4/8 MARK CLASS IX BENGALI CLASS IX GEOGRAPHY CLASS IX HISTORY Class V CLASS V BENGALI CLASS VI HISTORY CLASS VI SCIENCE CLASS VI. CLASS VII BENGALI CLASS VII GEOGRAPHY CLASS VII HISTORY CLASS VIII Bengali CLASS VIII GEOGRAPHY CLASS VIII HISTORY GEOGRAPHY CLASS X HISTORY Online Exam WBBSE TEST PAPERS

Question Bank প্রশ্নবিচিত্রা

গ্রামবার্তা প্রকাশিকা পত্রিকা থেকে উনিশ শতকের বাংলার সমাজচিত্রের পরিচয় দাও। 

অথবা , গ্রামবার্তা প্রকাশিকা পত্রিকা থেকে উনিশ শতকের বাংলার সমাজের কী পরিচয় পাওয়া যায় ? 

অথবা , ইতিহাসের উপাদান হিসাবে গ্রামবার্তা প্রকাশিকা পত্রিকার গুরুত্ব আলোচনা করো। 


গ্রামবার্তা প্রকাশিকা পত্রিকায় তৎকালীন বাংলার সমাজচিত্র :- 

গ্রামবার্তা প্রকাশিকা পত্রিকাটি ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা থেকে প্রথম প্রকাশিত হয়। এর সম্পাদক ছিলেন হরিনাথ মজুমদার - তিনি কাঙাল হরিনাথ নামেও পরিচিত। উনিশ শতকের গ্রাম বাংলার ইতিহাস ও সমাজ জীবন সম্পর্কে জানার জন্য পত্রিকাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

সকল অধ্যায়ের সমস্ত প্রশ্নের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।


১. গ্রামবার্তা প্রকাশিকা পত্রিকাটি উনিশ শতকের বাংলার গ্রামীণ জীবনধারা , সামাজিক চিত্র , রাজনীতি - ইত্যাদি তুলে ধরে। তাই ইতিহাসের উপাদান হিসাবে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

২. ব্রিটিশ সরকারের বিভিন্ন নীতির ফলে গ্রামীণ জীবন ও রুজি রোজগার সংকটের মুখোমুখি হয়েছিল। এইসকল নীতিগুলির বিরুদ্ধে পত্রিকাটি প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছিল। 

৩. গ্রামাঞ্চলে জমিদার ও মহাজনদের শোষণে গ্রামীণ মানুষের জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছিল। জমিদার ও মহাজনদের অত্যাচারের কাহিনী ও গ্রামীণ মানুষের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে গ্রামীণ শাসন কাঠামোর দুর্বলতা পত্রিকাটি সকলের সামনে প্রকাশ করে। 

৪. বাংলায় নীলচাষের সূচনা ঘটলে তা কৃষকদের দুর্দশাকে আরো বাড়িয়ে দেয়। নীলকর সাহেবদের অত্যাচারের কাহিনী পত্রিকাটিতে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হতে থাকে। ফলে বাংলা জুড়ে নীলকর সাহেবদের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদী ধারা লক্ষ্য করা যায়। 

৫. গ্রামীণ মানুষ একদিকে জমিদার ও মহাজনদের দ্বারা নির্যাতিত ছিল এবং অন্যদিকে নীলকরদের দ্বারা অত্যাচারিত ছিল। কিন্তু এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিকার ছিল না। ইংরেজ সরকার পক্ষান্তরে জমিদার , মহাজন ও নীলকরদের সমর্থক ছিলেন। গ্রামবার্তা প্রকাশিকা ইংরেজদের এই মুখোশ জনসমক্ষে তুলে ধরে। 

৬. গ্রামীণ মানুষের দুর্দশা ও ইংরেজ - জমিদার - মহাজনদের অত্যাচারের সংবাদ প্রকাশের পাশাপাশি গ্রামবার্তা প্রকাশিকা বিভিন্ন সাহিত্যিক রচনাও প্রকাশ করত। লালন ফকিরের বহু গান এই পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এই সকল সাহিত্যকীর্তিগুলিও বর্তমানে ইতিহাসের উপাদান হিসাবে বিবেচিত। এছাড়াও পত্রিকাটিতে দর্শন , বিজ্ঞান বিষয়েও বহু প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। 

সকল অধ্যায়ের সমস্ত প্রশ্নের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।

    
Share
Tweet
Pin
Share
No comments

বামাবোধিনী পত্রিকায় তৎকালীন সমাজের কিরূপ প্রতিফলন ঘটেছে ? 

অথবা , বামাবোধিনী পত্রিকা থেকে তৎকালীন সমাজ সম্পর্কে কী জানা যায় ? 

অথবা , ইতিহাসের উপাদান হিসাবে বামাবোধিনী পত্রিকার গুরুত্ব আলোচনা করো। 


বামাবোধিনী পত্রিকায় প্রতিফলিত সমকালীন সমাজের প্রতিচ্ছবি :- 


বামাবোধিনী পত্রিকার প্রকাশিত হয় ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাসে। এর প্রথম সম্পাদক ছিলেন উমেশচন্দ্র দত্ত। তৎকালীন সময়ের রাজনৈতিক ও সামাজিক ইতিহাস জানার জন্য পত্রিকাটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। পত্রিকাটিতে সমকালীন সমাজ স্পষ্টরূপে প্রতিফলিত হয়েছে। তাই ইতিহাস লিখনের উপাদান হিসাবেও এর গুরুত্ব অপরিসীম। 

সকল অধ্যায়ের সমস্ত প্রশ্নের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।


১. উনিশ শতকে বাংলায় বিভিন্ন ধরণের কুপ্রথা ও কুসংস্কার প্রচলিত ছিল। বামাবোধিনী পত্রিকা এই সকল কুসংস্কারগুলি জনগণের সামনে তুলে ধরে জনমত গঠনের চেষ্টা করে। 

২. নারীশিক্ষা সেই সময়কালে কতটা অবহেলিত ছিল সে বিষয়ে পত্রিকাটি থেকে জানা যায়। পত্রিকাটি নারীশিক্ষা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে ব্যাপক প্রচার চালিয়েছিল ও জনমত গঠন করেছিল। 

৩. তৎকালীন সময়ে নারীদের কোনোরূপ সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার ছিলনা। নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বামাবোধিনী পত্রিকা যে প্রচার চালিয়েছিল - তা প্রশংসার যোগ্য। 

৪. নারীশিক্ষার বিস্তার ও নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বামাবোধিনী পত্রিকা নারীদেরকেও লেখার সুযোগ করে দিয়েছিল। 

৫. তৎকালীন সমাজে নারীদের সমস্যা , তাঁদের অবস্থা সম্পর্কে জানার ক্ষেত্রে বামাবোধিনী পত্রিকা সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ঐতিহাসিক উপাদান। 

৬. যেসকল পত্র - পত্রিকাগুলি নারীদের অন্দরমহল থেকে মুক্তি দিয়ে সমাজের মূলস্রোতে নিয়ে আসার জন্য সবচেয়ে বেশি উদ্যোগী ছিল - বামাবোধিনী পত্রিকা ছিল তাদের মধ্যে অন্যতম। 

এই সকল কারণগুলির জন্য পত্রিকাটি ইতিহাস রচনার উপাদান হিসাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সকল অধ্যায়ের সমস্ত প্রশ্নের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।

     
Share
Tweet
Pin
Share
No comments

হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকায় তৎকালীন সমাজের কীরূপ চিত্র পাওয়া যায় ? 

অথবা , হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকায় তৎকালীন সমাজের কীরূপ প্রতিফলন ঘটেছে ? 

অথবা , ইতিহাসের উপাদান হিসাবে হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার গুরুত্ব।    


হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকায় তৎকালীন সমাজের প্রতিফলন :- 

১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার পথ চলা শুরু হয়। প্রথমদিকে পত্রিকাটি ছিল সাপ্তাহিক। এর প্রথম সম্পাদক ছিলেন হরিশ্চন্দ্র মুখোপাধ্যায়। ইতিহাসের উপাদান হিসাবে পত্রিকাটির ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। 

সকল অধ্যায়ের সমস্ত প্রশ্নের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।


১. ঊনবিংশ শতকে ভারতে কৃষকদের অবস্থা ছিল সবচেয়ে শোচনীয়। তারা ছিল শোষিত ও নির্যাতিত। হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকায় কৃষকদের দুর্দশার প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা হয়। 

২. কৃষকেরা শোষিত হত মূলতঃ জমিদার , মহাজনদের দ্বারা। তাদের সেই অমানবিক অত্যাচারের কথা তুলে ধরা হয় ধারাবাহিকভাবে। 

৩. সেই সময়ের ইতিহাসে দাদন প্রথা ছিল কৃষকের জীবনে এক প্রকার অভিশাপ। দাদন দিয়ে নীলকর সাহেবরা কৃষকদের নীলচাষ করতে বাধ্য করত। নীলচাষ করতে গিয়ে কৃষকদের যে করুন দুর্দশা হয়েছিল তার বিস্তারিত ও ধারাবাহিক বিবরণ পাওয়া যায় হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকায়। 

৪. পত্রিকাটির মাধ্যমে সাঁওতাল বিদ্রোহ সম্পর্কেও বিস্তর ইতিহাস জানা যায়। সাঁওতালদের উপর শোষণ ও অত্যাচার , সাঁওতাল বিদ্রোহের শুরু ও পরিণতি , সেনা ও পুলিশের নৃশংস অত্যাচারের কথা হিন্দু প্যাট্রিয়ট থেকে জানা যায়। 

৫. পত্রিকাটি সেই সময়ে প্রচলিত বিভিন্ন কুপ্রথার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিল। যেমন - বাল্য বিবাহ , বহুবিবাহ - ইত্যাদি। 

৬. তৎকালীন অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে জানতেও পত্রিকাটি কার্যকর। 

৭. চালের বদলে মদ আমদানির সরকারি নীতির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল হিন্দু প্যাট্রিয়ট। 

৮. নারীশিক্ষার প্রসার , বিধবা বিবাহের প্রচার ইত্যাদি ক্ষেত্রে পত্রিকাটির সদর্থক ভূমিকা ছিল। 

৯. হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় নীলবিদ্রোহকে প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছিলেন। 

১০. শাসকের প্রকৃত শাসনের ছবি জনসমক্ষে তুলে ধরে হিন্দু প্যাট্রিয়ট জাতীয়তাবোধের বিস্তার ঘটিয়েছিল।    

সকল অধ্যায়ের সমস্ত প্রশ্নের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।


Share
Tweet
Pin
Share
No comments

ইতিহাসের উপাদান হিসাবে সরকারি নথিপত্রের গুরুত্ব আলোচনা কর। 


অথবা , আধুনিক ইতিহাস রচনায় সরকারি নথিপত্রের গুরুত্ব আলোচনা কর। 


ইতিহাসের উপাদান হিসাবে সরকারি নথিপত্রের গুরুত্ব :- 


সরকারি বিভিন্ন প্রতিবেদন , চিঠিপত্র , দলিল - দস্তাবেজ , নির্দেশনামা , চুক্তিপত্র - ইত্যাদি ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসাবে বিবেচিত। এইগুলিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বলে মনে করা হয়। কেননা , এগুলির সত্যতা সাধারণতঃ সন্দেহের উর্দ্ধে। সরকারি নথিপত্রের ঐতিহাসিক গুরুত্বগুলি হল - 

সকল অধ্যায়ের সমস্ত প্রশ্নের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।


১. ভারতে স্বাধীনতা আন্দোলন একটি বিশেষ অধ্যায়। সেই সমকালের সরকারি বিভিন্ন নথিপত্র থেকে আন্দোলন সম্পর্কে প্রকৃত তথ্য জানা যায় এবং নির্দিষ্ট ঘটনার পরিপ্রক্ষিতে সরকারের মনোভাব ও ভূমিকা সম্পর্কে জানতে সরকারি নথিপত্রগুলি অত্যন্ত কার্যকরী। 

২. বিভিন্ন পর্যায়ের বিভিন্ন ধরণের বৈপ্লবিক আন্দোলনগুলিকে দমন করতে ব্রিটিশ সরকার বদ্ধপরিকর ছিল। সরকারি চিঠিপত্র ও নির্দেশনামাগুলির মধ্যে দিয়ে কোন বিদ্রোহ কিভাবে দমন করা হয়েছিল তার বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যায়। 

৩. ব্রিটিশ আমলের সরকারি নথিপত্রগুলি সাম্রাজ্যবাদি শাসকের প্রকৃত স্বরূপ তুলে ধরে। যেমন চার্চিল এর চিঠি থেকে জানা যায় যে তিনি বাংলার দুর্ভিক্ষের সময় বিদেশ থেকে খাদ্য আমদানির পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিলেন। এ থেকে ব্রিটিশ সরকারের প্রকৃত স্বরূপ জনসমক্ষে তুলে ধরা যায়। 

৪. ভারতের বিভিন্ন সংস্কার আন্দোলনগুলি ব্রিটিশদের কতটা প্রভাবিত করেছিল - সে সম্পর্কেও নথিপত্রগুলি থেকে জানা সম্ভব। যেমন রাজা রামমোহন রায়ের আন্দোলনকে কোম্পানি মান্যতা দিয়ে সতীদাহ প্রথা রদ করেছিলেন। 

৫. ইংরেজ আমলে ভারতে প্রচলিত বিভিন্ন ধরণের প্রথা , সংস্কার , কুসংস্কার - ইত্যাদি সম্পর্কে জানতেও নথিপত্রগুলি বিশেষভাবে সহায়ক। নথিপত্রগুলি থেকেই তৎকালীন সময়ে প্রচলিত বহুবিবাহ , গঙ্গা সাগরে সন্তান বিসর্জন , সতীদাহ - এসকল প্রথা সম্পর্কে জানা যায়। 

৬, ভারতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কৃষক , শ্রমিক , বামপন্থী ও ছাত্র আন্দোলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সকল আন্দোলনগুলি এবং সেগুলিকে দমন করতে ব্রিটিশ সরকারের পদক্ষেপ ও আন্দোলনগুলির ব্যাপকতা ইত্যাদি সপর্কেও নথিপত্রগুলি থেকে জানা যায়। 

৭. ইংরেজ আমলে ইংরেজ বিরোধী বহু যুদ্ধ ও বিপ্লব অনুষ্ঠিত হয়। যেমন - সিপাহী বিদ্রোহ , নৌ বিদ্রোহ , অসহযোগ আন্দোলন , আইন অমান্য আন্দোলন - ইত্যাদি। সরকারি দলিল - দস্তাবেজ থেকে ঐসকল বিদ্রোহগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা সম্ভব। 

৮. ভারত ভাগ হল ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। ভারত ভাগ সংক্রান্ত সম্পূর্ণ তথ্য সরকারি নথিপত্র থেকে জানা যায়। 

৯. সর্বপরি সরকারি নথিপত্রগুলিকেই সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ঐতিহাসিক উপাদান হিসাবে মনে করা হয়।   

সকল অধ্যায়ের সমস্ত প্রশ্নের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।

    
Share
Tweet
Pin
Share
No comments

কণ্যা ইন্দিরাকে লেখা জওহরলাল নেহেরুর চিঠিগুলির ঐতিহাসিক গুরুত্ব আলোচনা করো। 

অথবা , ইতিহাসের উপাদান হিসাবে কণ্যা ইন্দিরাকে লেখা জওহরলাল নেহেরুর চিঠিগুলির ঐতিহাসিক গুরুত্ব আলোচনা করো। 


কণ্যা ইন্দিরাকে লেখা জওহরলাল নেহেরুর চিঠিগুলির ঐতিহাসিক গুরুত্ব :- 


কন্যা ইন্দিরা যখন মুসৌরিতে পড়াশোনা করছিলেন সেই সময়কালে তাঁর পিতা জওহরলাল নেহেরু তাঁকে মোট ৩০ টি চিঠি লেখেন। এই চিঠিগুলির সংকলন '' Letters from a father to his daughter '' নামে পরিচিত। পরবর্তীকালে মুন্সি প্রেমচাঁদ চিঠিগুলির হিন্দি অনুবাদ করেন যা  '' পিতা কে পত্র পুত্রী কে নাম '' নামে প্রকাশিত হয়। এর বাংলা অনুবাদের নাম হল '' কল্যাণীয়েষু ইন্দু। '' উক্ত চিঠিগুলির ঐতিহাসিক গুরুত্ব হল - 

সকল অধ্যায়ের সমস্ত প্রশ্নের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।


১. চিঠিগুলিতে পৃথিবীর এমন সময়ের উল্লেখ করা হয়েছে যখন পৃথিবীতে মানবের কোনো অস্তিত্ব ছিলনা। সেই সময়ের ইতিহাস জানতে বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান কিভাবে সাহায্য করে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এটি প্রতিটি শিক্ষার্থী তথা ইতিহাসে কৌতুহলী ব্যক্তিদের ঐতিহাসিক অনুসন্ধানে অনুপ্রাণিত করে। 

২. নেহেরু তাঁর কন্যাকে বলেছেন , শুধু ভারত বা ইংল্যান্ডের ইতিহাস ও সংস্কৃতি জানলেই চলবে না। বিশ্বের প্রতিটি দেশের প্রতিটি জনজাতি এবং তাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে হবে। এই আহ্বান এতটাই জোরালো যা তা পাঠককে বিশ্ব নাগরিকে পরিণত করে। 

৩. চিঠিগুলিতে সভ্যতার উদ্ভব , ভাষা ও ধর্মের উদ্ভব , ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতির উদ্ভব - ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে - যা ইতিহাসের উপাদান হিসাবে অত্যন্ত মূল্যবান হিসাবে গৃহীত। 

৪. ভারতীয় সভ্যতার উন্মেষ ও বিবর্তন সম্পর্কেও চিঠিগুলিতে বহু তথ্য রয়েছে। এই তথ্যগুলি ভারতীয় সভ্যতা ও তার প্রাচীনত্ব সম্পর্কে জানতে সাহায্য করে। 

৫. জাতীয়তাবোধের উন্মেষের ক্ষেত্রেও চিঠিগুলির অবদান গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের পরাধীনতার কারণ ও ইংল্যান্ডের সাফল্যের কারণগুলি উল্লেখ করে তিনি কার্যত পরাধীনতার শৃঙ্খল কীভাবে মোচন করা যাবে - সে বিষয়ে পথনির্দেশ দিয়েছেন। 

৬. প্রতিটি চিঠিতে ভারতের সাধারণ জীবন , মানুষের দারিদ্রতা , অসহায়তা , নিরক্ষরতা - ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারে আলোচনা করা হয়েছে - যা একদিক দিয়ে তৎকালীন ভারতকে জানতে সহায়তা করে এবং অন্যদিকে দিয়ে সেই সকল নেতিবাচক অবস্থাগুলি দূর করতে মানুষকে অনুপ্রাণিত করে। 

সকল অধ্যায়ের সমস্ত প্রশ্নের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।
     

Share
Tweet
Pin
Share
No comments

সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্রের মধ্যে পার্থক্যগুলি আলোচনা কর। 


সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্রের মধ্যে পার্থক্য :- 


সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্রের  মধ্যে পার্থক্যগুলি নিম্নরূপ - 


১. জন্মলগ্নের নিরীখে : - আধুনিককালে অষ্টাদশ শতকে সাময়িকপত্রগুলি প্রকাশিত হতে শুরু করেছে। কিন্তু সংবাদপত্রের জন্মকাল যীশুখ্রিস্টের জন্মের পূর্বে। 

২. প্রকৃতিগত ক্ষেত্রে :- সাময়িকপত্রগুলি প্রধানতঃ বিশ্লেষণমূলক লেখা , সমালোচনা , সাহিত্য  - ইত্যাদি বিষয়কে উৎসাহ দিয়ে থাকে। কিন্তু সংবাদপত্রগুলিতে দৈনন্দিন ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক , সামাজিক - বিভিন্ন কর্মকান্ড প্রকাশিত হয়। 

সকল অধ্যায়ের সমস্ত প্রশ্নের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।

৩. বিষয়ভিত্তিক পার্থক্য :- সাময়িকপত্রগুলিতে বিভিন্ন গবেষণামূলক প্রবন্ধ প্রকাশ হতে দেখা যায়। কোনো কোনো সাময়িক পত্র বিশেষ বিষয় কেন্দ্রিকও হতে পারে - যেমন সাহিত্যমূলক , ঐতিহাসিক বা বৈজ্ঞানিক গবেষণা। কিন্তু সংবাদপত্রগুলো শুধুমাত্র সার্বিক ও সাধারণ সংবাদ প্রকাশের দিকে নজর রাখে। 

৪. মৌলিক বিষয় প্রকাশের ক্ষেত্রে পার্থক্য :- সংবাদপত্রগুলোতে মৌলিক বিষয় নিয়ে লেখালিখির সংখ্যা খুব কম বা থাকে না বললেই চলে। কিন্তু সাময়িক পত্রগুলিতে মৌলিক বিষয় , গবেষণাকেন্দ্রিক বিষয় - এসব কিছুরই প্রাধান্য দেখা যায়। 

৫. আকৃতিগত ক্ষেত্রে পার্থক্য :- সংবাদপত্র কখনোই বিরাট মাপের বা প্রচুর পৃষ্ঠা সংযোজিত হয়না। কিন্তু সাময়িকপত্রগুলি অনেক ক্ষেত্রেই বহু পৃষ্ঠা সংযোজিত বিরাট আকৃতির হয়ে থাকে। 

৬. প্রকাশকালের অন্তরভেদ :- সংবাদপত্রগুলি সাধারণত প্রতিনিয়ত দিনে একবার বা দুবার প্রকাশিত হয়ে থাকে। কিন্তু সাময়িক পত্রগুলি একটি নির্দিষ্ট সময়ের অন্তর অন্তর প্রকাশিত হয়। সামযিকত্রগুলি সাধারণত সাপ্তাহিক , পাক্ষিক , মাসিক - এইরূপ সময়ের অন্তরে প্রকাশিত হয়। 

৭. জ্ঞান সঞ্চারের উপাদান হিসাবে পার্থক্য : - সংবাদপত্রগুলো থেকে প্রতিদিনের গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ লাভ করা যায় - যা আমাদের তথ্য সমৃদ্ধ করে বর্তমান সমাজ ও জগৎ সম্পর্কে ধারণা প্রদান করে। কিন্তু সাময়িকপত্রগুলিতে সেইরূপ তাৎক্ষণিক সংবাদের পরিবর্তে নির্দিষ্ট বিষয়কে কেন্দ্র করে তথ্যসমৃদ্ধ জ্ঞান প্রদান করে। 

সকল অধ্যায়ের সমস্ত প্রশ্নের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।

      
Share
Tweet
Pin
Share
No comments

আধুনিক ভারতের ইতিহাস রচনার উপাদান হিসেবে সোমপ্রকাশ পত্রিকার গুরুত্ব আলোচনা কর। 


ইতিহাস রচনার উপাদান হিসাবে সোমপ্রকাশ পত্রিকার ভুমিকা :-  


সোমপ্রকাশ পত্রিকা প্রকাশিত হয় ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দের ১৫ ই নভেম্বর। এর সম্পাদক ছিলেন দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ। প্রকাশকাল থেকেই পত্রিকাটিতে রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিভিন্ন ধরনের লেখা প্রকাশিত হতে থাকে। বিশেষ করে বিধবা বিবাহ আন্দোলন , নারীশিক্ষার প্রসার , শিল্পায়ন ,  মহারানীর ঘোষণাপত্র , নীল চাষীদের আন্দোলন , জমিদারি ব্যবস্থার কুফল ইত্যাদি ছিল সোমপ্রকাশ পত্রিকার আলোচ্য বিষয়বস্তু। এই পত্রিকা শিক্ষিত বাঙালি মধ্যবিত্তের মুখপাত্রে পরিণত হয়েছিল। সাহিত্য , দর্শন , বিজ্ঞান , সমাজতত্ত্ব , রাজনীতি - প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয়ে লেখাতে সরকারি নীতির যেমন নির্ভীক সমালোচনা করা হয়েছিল তেমনি সমাজ গঠনে পত্রিকাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিল।  আধুনিক ভারতের ইতিহাস রচনায় সোমপ্রকাশ পত্রিকা তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

সকল অধ্যায়ের সমস্ত প্রশ্নের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।


১. রাজনৈতিক সচেতনতার প্রসার :-  ভারতে তথা বাংলায় সোমপ্রকাশ পত্রিকাতে সর্বপ্রথম নিয়মিত রাজনৈতিক সংবাদ পরিবেশিত হতে শুরু করে। ব্রিটিশ সরকার , নীলকর সাহেব ও জমিদারদের অত্যাচার , সংবাদপত্র আইন , ইলবার্ট বিল , ব্রিটিশ শাসনের স্বরূপ ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে লেখার মধ্যে দিয়ে ভারতীয় জনসাধারণের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা বিস্তার ঘটে। তারা ইংরেজ শাসনের প্রকৃত স্বরূপ উপলব্ধি করতে পারে। 

২. দেশীয় ভাষায় সংবাদপত্র আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ :- ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে বড়লাট লর্ড লিটন দেশীয় ভাষায় সংবাদপত্র আইন পাস করে ভারতীয় সংবাদপত্র গুলির উপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেন।  সোমপ্রকাশ পত্রিকা এই সরকারি হস্তক্ষেপ এবং আইনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানায়। এর ফলে সোমপ্রকাশ পত্রিকাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে পত্রিকাটি আবার চালু হয়। 

৩. সমাজ সচেতনতা ;- সোমপ্রকাশ পত্রিকা বিভিন্ন সামাজিক ব্যাধি , কুসংস্কার - ইত্যাদির বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়েছিল। যেমন বাল্যবিবাহ , বহুবিবাহ , কৌলিন্য প্রথা , মদ্যপান ইত্যাদির বিরুদ্ধে সোমপ্রকাশ পত্রিকা প্রচার চালিয়ে ছিল আবার অন্যদিকে বিধবা বিবাহ প্রবর্তন , নারী শিক্ষা বিষয়ক লেখনীর মাধ্যমে সোমপ্রকাশ পত্রিকা জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। 

৪. নীলচাষীদের সমর্থনে সোমপ্রকাশ পত্রিকা : - দরিদ্র নীলচাষীদের সমর্থনে গুরুত্বপূর্ণ দলিল পেশ করেছিল এই পত্রিকা। পত্রিকাতে নীলকর সাহেবদের অত্যাচারের কাহিনী , নীলচাষীদের দুরবস্থা -  সম্পর্কে নিরপেক্ষ মতামত দেওয়া হয়। এর ফলে নীলকর ও ইংরেজদের প্রকৃত স্বরূপ ভারতীয়রা অনুধাবন করতে পারে। যা পরবর্তীকালে এক সামাজিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনের জন্ম দিয়েছিল। 

৫. মহাবিদ্রোহ সম্পর্কে সোমপ্রকাশ পত্রিকা ;- সোমপ্রকাশ পত্রিকায় ১৮৫৭ এর মহাবিদ্রোহের সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে ভারতীয়দের মধ্যে জাতীয়তাবাদী ভাবধারার প্রসারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। 

৬. দার্শনিক ভূমিকা : - ফরাসি বিপ্লবে যেমন দার্শনিকেরা ফরাসীবাসীর মনোজগতে বিপ্লবের জন্ম দিয়েছিলেন - সেই একই ভূমিকা বাংলাতে পালন করেছিল সোমপ্রকাশ সহ অন্যান্য কয়েকটি পত্র - পত্রিকা। প্রকৃত সমাজ ও শাসনের চিত্র উপস্থাপিত করে যে সকল পত্র পত্রিকা মানুষের ভাবজগতে বিপ্লব ঘটিয়েছিল - সোমপ্রকাশ তাদের মধ্যে অন্যতম। 

সকল অধ্যায়ের সমস্ত প্রশ্নের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।


Share
Tweet
Pin
Share
No comments

আধুনিক ভারতের ইতিহাসের উপাদান হিসেবে ‘বঙ্গদর্শন ' পত্রিকার গুরুত্ব :- 


আধুনিক ভারতের ইতিহাসের উপাদান হিসেবে বঙ্গদর্শন' পত্রিকা :- 


ভূমিকা :- আধুনিক ভারতের ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে সমসাময়িক যেসব সংবাদপত্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে সেগুলির মধ্যে সর্বাধিক উল্লেখযােগ্য হল অত্যন্ত জনপ্রিয় ‘বঙ্গদর্শন' পত্রিকা। আধুনিক ভারতের বিশেষ করে ঊনবিংশ শতাব্দীর ইতিহাস রচনার জন্য যেসব সাময়িকপত্র গুরুত্বপূর্ণ সেগুলির মধ্যে ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে বঙ্কিমচন্দ্রের সম্পাদনায় প্রকাশিত মাসিক পত্রিকা ‘বঙ্গদর্শন অন্যতম। এই পত্রিকায় সাহিত্য, ইতিহাস, পুরাতত্ত্ব, দর্শন, সংগীত, বিজ্ঞান, ধর্মতত্ত্ব, সমাজতত্ত্ব, বাঙালির জীবনচর্চা প্রভৃতি বিষয়ে বঙ্কিমচন্দ্র, রমেশচন্দ্র দত্ত, হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, দীনবন্ধু মিত্র, চন্দ্রনাথ বসু প্রমুখ লেখক কবিতা, গান, প্রবন্ধ, গল্প লিখতেন, যা থেকে সমকালীন ইতিহাস রচনার বহু মূল্যবান তথ্য পাওয়া যায়। পত্রিকাটি প্রকাশের প্রথম থেকেই বঙ্কিমচন্দ্র ছিলেন এর সম্পাদক, লেখক ও প্রধান পরিচালক।

সকল অধ্যায়ের সমস্ত প্রশ্নের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।


শিক্ষিত সমাজের মুখপত্র: ‘বঙ্গদর্শন' পত্রিকা আত্মপ্রকাশের পর থেকেই তৎকালীন শিক্ষিত বাঙালি সমাজের প্রধান মুখপত্র হয়ে ওঠে। এই পত্রিকাতেই বাঙালি জাতির আধুনিক চিন্তার প্রতিফলন ঘটত। বঙ্কিমচন্দ্র ছাড়াও গঙ্গাচরণ, রামদাস সেন, অক্ষয় সরকার, চন্দ্রনাথ বসু প্রমুখ প্রতিভাবান লেখক এই পত্রিকায় নিয়মিত লিখতেন। 

কৃষক প্রজাদের দুরবস্থার পরিচয়  : ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকার বিভিন্ন প্রবন্ধে কৃষক প্রজাদের ওপর জমিদার, মহাজন ও ব্রিটিশ কর্মচারীদের অত্যাচার ও শােষণের ছবি তুলে ধরা হয়েছে। কৃষক, প্রজারা জমিদারদের ভূমিরাজস্ব ছাড়াও কত রকমের উপরি কর দিতে বাধ্য হত, মহাজনরা কৃষকদের অশিক্ষা ও দারিদ্র্যের সুযােগ নিয়ে কীভাবে ঋণের জালে বেঁধে রেখেছিল তার পরিচয় পাওয়া যায় এই পত্রিকায়। 

সাহিত্যের উন্নতি : এই পত্রিকায় বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ‘বিষবৃক্ষ, ‘আনন্দমঠ’, ‘কমলাকান্তের দপ্তর’ প্রভৃতি উপন্যাস ধারাবাহিকভাবে এবং ‘সাম্য প্রবন্ধ, 'বন্দেমাতরম্ সংগীত প্রকাশ করেন। বঙ্কিমচন্দ্র ছাড়া তাঁর অগ্রজ সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, অক্ষয়কুমার দত্ত, হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, রমেশচন্দ্র দত্ত, আরও পরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রমুখ লেখকগােষ্ঠীর লেখা প্রকাশের অন্যতম ক্ষেত্র হল ‘বঙ্গদর্শন’। তাই এই পত্রিকার মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যগােষ্ঠী ও উন্নতির দিকটিও ধরা পড়ে।

সমকালীন তথ্য: ‘বঙ্গদর্শন' পত্রিকায় সমাজ, সাহিত্য, বিজ্ঞান, রাজনীতি, দর্শন, ধর্মতত্ত্ব প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয়ে প্রবন্ধ ও বিভিন্ন উপন্যাস প্রকাশিত হত। এসব রচনা থেকে সেসময় বাংলায় ইংরেজ সরকার ও জমিদারের শােষণ ও অত্যাচার, সামাজিক পরিস্থিতি, সাধারণ মানুষের অবস্থা, সাহিত্য, রাজনীতি, দর্শন, ধর্মতত্ত্ব প্রভৃতি সম্পর্কে বহু তথ্য পাওয়া যায়।

জাতীয়তাবাদী ইতিহাসের উপাদান :-  ‘বঙ্গদর্শন' পত্রিকার দ্বারা সমকালীন ভারতীয়
জাতীয়তাবাদ যথেষ্ট প্রভাবিত হয়। বঙ্কিমচন্দ্রের লেখা ‘বন্দেমাতরম’ সংগীতটি প্রথম ‘বঙ্গদর্শন' পত্রিকাতেই প্রকাশিত হয়। ‘বন্দেমাতরম’ পরবর্তীকালে ভারতীয় বিপ্লবী ও জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মূল মন্ত্রে পরিণত হয়। ‘বঙ্গদর্শন’-এ প্রকাশিত ‘সাম্য’-সহ বিভিন্ন প্রবন্ধ বাঙালি সমাজে সমাজতান্ত্রিক ভাবধারার প্রসারে যথেষ্ট সহায়তা করে।

সকল অধ্যায়ের সমস্ত প্রশ্নের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।

 
আধুনিক ভারতের ইতিহাস রচনার উপাদান হিসেবে বঙ্গদর্শন পত্রিকার গুরুত্ব।    

Share
Tweet
Pin
Share
No comments

মাধ্যমিক ইতিহাস : প্রথম অধ্যায়। 


ইতিহাসের উপাদান হিসাবে ইন্টারনেটের সুবিধা ও অসুবিধা। 


ইতিহাসের তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের সুবিধা ও অসুবিধা। 


আধুনিক কালে শিক্ষার্থী ও গবেষকেরা অনেকেই প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। সময়ের সাথে সাথে এর জনপ্রিয়তা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। বর্তমানে তথ্য ও প্রযুক্তির যুগে ইন্টারনেটের গুরুত্বকে কোনোমতেই অস্বীকার করা যায় না। এর সুবিধা ও অসুবিধাগুলি হল - 

সকল অধ্যায়ের সমস্ত প্রশ্নের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।

ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা :- 


১. তথ্যের সহজলভ্যতা: ইনটারনেটের সহায়তায় অতি সহজে এবং ঘরে বসে ইতিহাস-সহ দুনিয়ার যাবতীয় তথ্য জেনে নেওয়া যায়। তথ্য সংগ্রহের অন্যান্য মাধ্যম মাধ্যম থেকে এরূপ সহজে তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব নয়। 

২. সুলভ মূল্যে ইন্টারনেট সংযোগ  : খুব সামান্য অর্থব্যয় করে ইনটারনেটের মাধ্যমে সেসব তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব। বইপত্র , পত্র - পত্রিকা ইত্যাদি মাধ্যম থেকে তথ্য সংগ্রহ করা অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং তা সময় সাপেক্ষ। 
  
৩. খুব কম সময়ে তথ্য সংগ্রহ :-  বইপত্র বা অন্য কোনাে সূত্র থেকে কোনাে তথ্য সংগ্রহ
করতে গেলে প্রচুর সময় ব্যয় হয়। কিন্তু ইনটারনেট থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে খুব বেশি সময় ব্যয় করতে হয় না। এমনকি, ইনটারনেট থেকে প্রাপ্ত কোনাে সুবিশাল বইয়ের কোথায় প্রয়ােজনীয় তথ্য বা শব্দগুলি আছে তাও সার্চ করে নিমেষেই বের করা যায়। 

৪. দুর্লভ তথ্যের সহজ প্রাপ্তি : ইনটারনেটের মাধ্যমে নানা ধরনের অনলাইন লাইব্রেরি থেকে ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ কোনাে বইয়ের কপি, অনলাইন আর্কাইভ থেকে আসল রিপাের্টের কবি প্রভৃতি পাওয়া সম্ভব। এই দুর্লভ তথ্য গুলি ইতিহাস জানার ক্ষেত্রে খুব কার্যকরী। 

৫. ফিডব্যাক  : তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে কোনো প্রশ্নের উত্তর অজানা থাকলে অনেকসময় ইনটারনেটে সেই প্রশ্ন লিখেও সরাসরি উত্তর পাওয়া যায়। বিভিন্ন ওয়েবসাইট এই ধরণের সুবিধা প্রদান করে থাকে। 

সকল অধ্যায়ের সমস্ত প্রশ্নের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।


তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের অসুবিধা :-  


১.  নির্ভরযোগ্যতার অভাব : ইনটারনেট থেকে প্রাপ্ত তথ্যগুলি কতটা যথার্থ বা নির্ভরযােগ্য তা যাচাই করা খুব কঠিন। একই বিষয়ে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পৃথক পৃথক তথ্য থাকায় পাঠক বা গবেষকরা বিভ্রান্ত হন।

২. মনগড়া তথ্য: মুদ্রিত পুস্তকে যথার্থ তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে যতটা নিশ্চিত থাকা যায় , ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে ততটা নিশ্চিত থাকা যায় না। এমন বহু ওয়েবসাইট আছে যেগুলি ভুল , ভুয়ো ও অপর্যাপ্ত তথ্যে পরিপূর্ণ। 

৩. গবেষণা ক্ষেত্রে সমস্যা : ইনটারনেট থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন অসত্য বা অর্ধসত্য তথ্য ব্যবহার করতে গিয়ে পাঠক ও গবেষকগণ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। 

৪. অসম্পূর্ণ তথ্য  : বহু ক্ষেত্রে ইনটারনেটে বই বা গবেষণার অংশবিশেষ পাওয়া যায়। পূর্ণাঙ্গ লেখা বা বই সংগ্রহ করতে গেলে পেইড মেম্বারশিপ গ্রহণ করতে হয় - যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। 

৫. রাজনৈতিক উদ্দেশ্য : অনেক সময় রাজনৌতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতেও ইচ্ছা করে ভুল ও বিকৃত তথ্য প্রদান করা হয়।  

সকল অধ্যায়ের সমস্ত প্রশ্নের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।
Share
Tweet
Pin
Share
No comments

আধুনিক ইতিহাসচর্চায় নারী ইতিহাসের গুরুত্ব কী ?


অথবা, সাম্প্রতিককালে নারী ইতিহাস প্রাসঙ্গিক কেন?


ভূমিকা : প্রচলিত ইতিহাসচর্চা পুরুষকেন্দ্রিক হওয়ায় ইতিহাসে নারীর ভূমিকা ও গুরুত্বকে উপেক্ষা ও অবহেলা করা হয়েছে। সভ্যতা-সংস্কৃতির উন্নতিতে নারীর কর্মকাণ্ড তুলে ধরার উদ্দেশ্যে ইতিহাসচর্চার সমান্তরাল ধারা হিসেবে নারী ইতিহাসচর্চা শুরু হয়। ১৯৭০-এর দশকে প্রথমে আমেরিকা ও ব্রিটেনের ঐতিহাসিক ও গবেষকদের হাত ধরে এই ধারার ইতিহাসচর্চার আবির্ভাব ও বিকাশ ঘটে। জোয়ান কেলি, জোয়ান স্কট, জেরাল্ডিন ফোর্বস, মীরা দেশাই, বি. আর. নন্দ প্রমুখের লেখার মধ্য দিয়ে নারীবাদী ইতিহাসচর্চা। জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

সকল অধ্যায়ের সমস্ত প্রশ্নের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।

আধুনিক ইতিহাসচর্চায় নারী ইতিহাসের গুরুত্ব : 


(১) ইতিহাস ধারণার পরিবর্তন :- সমাজ-সভ্যতার ধারাবাহিক বিকাশে পুরুষের ন্যায় নারীর ভূমিকা ও কর্মকাণ্ডের কথা নারী ইতিহাসের মধ্য দিয়ে উঠে আসে। এই অনালােকিত ও অনালােচিত বিষয়ে তথ্য  আবিষ্কারের ফলে পুরুষকেন্দ্রিক প্রচলিত ইতিহাস ও ইতিহাস রচনার পদ্ধতির পরিবর্তন ঘটে।

 (২) সামাজিক মানসিকতার পরিচয় :- 
নারী ইতিহাসচর্চার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন সময়ে সমাজে নারীর অবস্থান, নারীর অধিকার ও স্বাধীনতা, আর্থসামাজিক, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে লিঙ্গবৈষম্য আছে কিনা তার ভিত্তিতে সামাজিক রক্ষণশীলতা ও প্রগতিশীলতার পরিচয় পাওয়া যায়। 

৩) নারীর স্থান ও ভূমিকার প্রতিফলন :- সমাজে নারীকেন্দ্রিক রীতিনীতি বা প্রথা যেমন—বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ, সতীদাহপ্রথা, বিধবাবিবাহ, নারী শিক্ষা, নারী নির্যাতন প্রভৃতি লক্ষ করে সমাজে নারীর অবস্থান সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এ ছাড়া রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয়, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক পরিবর্তন ও উন্নতিতে নারীর ভূমিকা কতটা তা নারী ইতিহাসচর্চার মধ্য দিয়ে সামনে আসে। 

(৪) সচেতনতা বৃদ্ধি :- 
নারী ইতিহাসচর্চার প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক সাম্য এবং গণতান্ত্রিক অধিকার ও স্বাধীনতা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি পায়। নারীরা পিছিয়ে থাকলে সমগ্র সমাজই পিছিয়ে পড়বে—এই বিষয়ে সচেতন হয়ে নারী ক্ষমতায়নের পথ সুগম করা হয় এবং নারীরা সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। 

উপসংহার : নারী ইতিহাসচর্চার বিকাশের ফলে ইতিহাসচর্চার নবদিগন্ত উন্মােচিত হয়। প্রচলিত ইতিহাসের পরিবর্তন যেমন ঘটে তেমনি অনালােকিত ও উপেক্ষিত তথ্য সামাজিক ইতিহাসের উপাদান হিসেবে কাজ করে। তবে কোনাে কোনাে ক্ষেত্রে নারীর ভূমিকাকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে নারীবাদীরা তথ্য অতিরঞ্জিত করে উপস্থাপন করেন এবং অপেশাদারী নারীবাদী লেখিকাদের লেখনীর কারণে ইতিহাস রচনার পদ্ধতিগত কিছু ত্রুটিবিচ্যুতি লক্ষ করা যায়।

সকল অধ্যায়ের সমস্ত প্রশ্নের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।

Share
Tweet
Pin
Share
No comments

বিপিনচন্দ্র পালের আত্মজীবনী সত্তর বৎসর’ কেন ইতিহাসের উপাদানরূপে গুরুত্বপূর্ণ ?


ইতিহাসের উপাদান হিসেবে সত্তর বৎসর - এর গুরুত্ব :- 

 
ভূমিকা : বিখ্যাত চরমপন্থী নেতা বিপিনচন্দ্র পাল ‘প্রবাসী ' পত্রিকার সম্পাদক রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের অনুরােধে আত্মজীবনী লিখতে শর করেন এবং ধারাবাহিকভাবে ওই পত্রিকায় তা প্রকাশিত হয়। কিন্তু অসম্পূর্ণ অবস্থাতেই লেখাটি বন্ধ হয়ে যায় এবং তার মৃত্যুর পর ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে ' সত্তর বৎসর’ নামে প্রকাশ করা হয়। এই গ্রন্থে তার জীবনের প্রথম ২২ বছরের (১৮৫৮-৮০ খ্রিস্টাব্দ) কথা আছে, যা থেকে সমকালীন বিভিন্ন বিষয়ের তথ্য পাওয়া যায়।

সকল অধ্যায়ের সমস্ত প্রশ্নের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।


ইতিহাসের উপাদানরূপে ‘সত্তর বৎসর’-এর গুরুত্ব : - 


১) জন্মভূমির পরিচয় :-  ‘সত্তর বৎসরে’ বিপিনচন্দ্র পাল তার জন্মস্থান বর্তমান বাংলাদেশের শ্রীহট্ট জেলার পৈল গ্রামের পরিচয়, জন্ম ও বংশের কথা, গ্রামাঞ্চলে হিন্দু-মুসলিম সম্পর্ক, খ্রিস্টান মিশনারিদের কার্যকলাপ প্রভৃতি বিভিন্ন ঘটনার কথা লিখেছেন, যা স্থানীয় ইতিহাস ও গ্রামীণ পরিচয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। 

২) শিক্ষা সংক্রান্ত তথ্য :-  ‘সত্তর বৎসর’ থেকে গ্রামীণ ও শহুরে শিক্ষাব্যবস্থা সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যায়। টোল, মাদ্রাসা, মক্তব প্রভৃতি প্রাচ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেমন ছিল তেমনি উনবিংশ শতাব্দীর প্রধানত কলকাতায় উচ্চশিক্ষাকেন্দ্রও ছিল। বিপিনচন্দ্র পাল স্বয়ং ফারসি শেখার জন্য নিজ গ্রামে মৌলবির কাছে ভর্তি হয়েছিলেন এবং পরবর্তীতে শ্রীহট্টের একটি ইংরেজি বিদ্যালয়ে ও আরও পরে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে ভরতি হয়েছিলেন। 

৩) সমাজসংস্কার ;-  উনবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে প্রচলিত সামাজিক ও ধর্মীয় কুসংস্কারের বিরুদ্ধে এবং শিক্ষাবিস্তারে ব্রাহ্ম সমাজের অবদানের কথা সত্তর বৎসর’-এ উল্লিখিত আছে। বিপিনচন্দ্র পাল নিজে যােগদান করেছিলেন সে কথাও জানা যায়।

৪) সমকালীন রাজনীতি : - ব্রিটিশ বিরােধী আন্দোলন, সভাসমিতির কার্যকলাপ, জাতীয়তাবাদ ও স্বদেশভাবনা, বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের কথা ‘সত্তর বৎসর’-এ বিভিন্ন সময় উল্লেখ করেছেন বিপিনচন্দ্র পাল। নবগােপাল মিত্র, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, আনন্দমােহন বসু, শিবনাথ শাস্ত্রী, রাজনারায়ণ বসু প্রমুখের কথা ও আদর্শ তার আত্মজীবনীতে ঠাই পেয়েছে। 

উপসংহার : বস্তুত উনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীর রাজনৈতিক ও সমাজজীবনের পটপরিবর্তনের সাক্ষী ‘সত্তর বৎসর। গ্রাম ও শহরেরা চিত্র, প্রাদেশিক ও জাতীয় স্তরের বিভিন্ন ঘটনাবলি, উপনিবেশিক শাসনের ধ্বংসাত্মক দিক ও প্রতিবাদী আন্দোলন, পরিবার ও সমাজব্যবস্থা প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয়ে মূল্যবান তথ্য পাওয়া যায় এই গ্রন্থ থেকে।।

সকল অধ্যায়ের সমস্ত প্রশ্নের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।


Share
Tweet
Pin
Share
No comments

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মজীবনী ‘জীবনস্মৃতি’ থেকে কীভাবে ইতিহাসের উপাদান পাওয়া যায় ?


ইতিহাসের উপাদান হিসেবে জীবনস্মৃতির গুরুত্ব :- 


ভূমিকা : উনবিংশ শতাব্দীর শেষ ও বিংশ শতাব্দীর প্রথম পর্বের ভারতের ইতিহাস রচনার অন্যতম উপাদান হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মজীবনী ‘জীবনস্মৃতি’। প্রবাসী’ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে এবং পরে ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে গ্রন্থাকারে ‘জীবনস্মৃতি' প্রকাশিত হয়। শিক্ষালয়, ঘর ও বাহির, বাংলাশিক্ষার অবসান, গীতচর্চা, বিলাত, ভগ্নহৃদয়, বাল্মীকি প্রতিভা, স্বাদেশিকতা প্রভৃতি ছােটো ছােটো অংশে নিজস্ব আঙ্গিকে এই গ্রন্থে তিনি স্মৃতিচারণ করেছেন, যা ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সকল অধ্যায়ের সমস্ত প্রশ্নের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।


ইতিহাসের উপাদান হিসেবে জীবনস্মৃতির গুরুত্ব : - 


১) ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহলের পরিচয় :-  ‘জীবনস্মৃতি' গ্রন্থে ঠাকুরবাড়ির শিশুদের ছেলেবেলা, ভৃত্যদের কাজকর্ম, শিশু ও বালকদের শিক্ষাগ্রহণ, সংগীতচর্চা, নারী স্বাধীনতা, উৎসব-অনুষ্ঠান প্রভৃতির বিবরণ আছে, যা থেকে ঊনবিংশ শতাব্দীর কলকাতার অভিজাত পরিবার সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়। 

২) রাজনৈতিক তথ্য ও স্বাদেশিকতা :-  জীবনস্মৃতির 'স্বাদেশিকতা’ অংশে স্বদেশের প্রতি বাঙালির অনুরাগের পরিচয় পাওয়া যায়। তৎকালীন অভিজাত বাঙালি পরিবারের সন্তানদের শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষা ও পাশ্চাত্য শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিলেও বাংলা ভাষা ও শিক্ষার প্রতি তাদের টান লক্ষ করা যায়। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্যোগে ধুতি ও পাঞ্জাবির ব্যবহার, স্বদেশীয় দেশলাই কারখানা বা কাপড়ের কল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ এই গ্রন্থে দেখা যায়। এ ছাড়া। নবগােপাল মিত্র, রাজনারায়ণ বসু এবং হিন্দুমেলা ও স্বাদেশিকতা সভা সম্পর্কে এই গ্রন্থ থেকে তথ্য পাওয়া যায়। 

৩) সমকালীন শিক্ষাব্যবস্থা : ‘জীবনস্মৃতি'-র শিক্ষারম্ভ, নর্মাল স্কুল, নানা বিদ্যার আয়ােজন, বাংলা শিক্ষার অবসান প্রভৃতি অংশ থেকে তৎকালীন শিক্ষাব্যবস্থার পরিচয় পাওয়া যায়। স্কুলের পাঠ্যক্রমের বাইরে অতিরিক্ত বিভিন্ন বিষয় ঠাকুরবাড়ির ছেলেদের পড়তে হত। শিক্ষকদের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের কথাও জানা যায় এই গ্রন্থ থেকে। 

৪) সাহিত্য ও সংগীতচর্চা : ‘জীবনস্মৃতি’-র কবিতা-রচনারম্ভ, কাব্যরচনা চর্চা, গীতচর্চা, বিলিতি সংগীত, প্রভাত সংগীত প্রভৃতি অংশ থেকে ঠাকুরবাড়ির সাহিত্য, সংগীতচর্চার পরিচয় যেমন পাওয়া যায় তেমনি কলকাতার অভিজাত বা বনেদি সংস্কৃতি সম্পর্কেও ধারণা করা যায়। 

উপসংহার : ‘জীবনস্মৃতি' সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বয়ং লিখেছেন- ‘জীবনস্মৃতি’ জীবন কথা নয়, স্মৃতি কথা’, ইতিহাসের উপাদান হিসেবে ঐতিহাসিকদের কতটা কাজে লাগবে তা নিয়ে তিনি সংশয় প্রকাশ করেছেন। এটা স্পষ্ট যে, এই গ্রন্থ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্য ও সংগীতচর্চা বিশেষ করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর’ হয়ে ওঠার জীবন্ত দলিল। একই সঙ্গে এতে সমকালীন সমাজ, রাজনীতির ছবিও ধরা পড়েছে।

সকল অধ্যায়ের সমস্ত প্রশ্নের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।


Share
Tweet
Pin
Share
No comments

ইতিহাসের উপাদান হিসেবে জীবনের ঝরাপাতার গুরুত্ব কী ?

অথবা, সরলা দেবী চৌধুরানির জীবনের ঝরাপাতা থেকে আমরা কোন্ ঐতিহাসিক তথ্য পেতে পারি?


ভূমিকা : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাগ্নি সরলা দেবী চৌধুরানির আত্মজীবনী জীবনের ঝরাপাতা’ ১৯৪৪-৪৫ খ্রিস্টাব্দে ধারাবাহিকভাবে ‘দেশ’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় এবং সাহিত্য সংসদ’ পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থরূপে প্রকাশ করে। সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে এই গ্রন্থ থেকে মূল্যবান তথ্য পাওয়া যায়। 

সকল অধ্যায়ের সমস্ত প্রশ্নের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।


ইতিহাসের উপাদান হিসেবে ‘জীবনের ঝরাপাতার” গুরুত্ব :- 


১) ঠাকুরবাড়ির পরিচয় :- এক বালিকার বড়াে হয়ে ওঠার আখ্যানের সঙ্গে সঙ্গে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির গৌরবময় ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক চর্চা, ঈশ্বরভাবনা, বিভিন্ন সামাজিক বিধি, নারী স্বাধীনতা প্রভৃতি ‘জীবনের ঝরাপাতায় লেখা আছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাগ্নি হওয়ায় সরলা দেবী চৌধুরানির এই বিবরণ অনেক বেশি গ্রহণযােগ্য। 

২) রাজনৈতিক তথ্য :-  ‘জীবনের ঝরাপাতা থেকে বিপ্লববাদী রাজনীতি ও স্বদেশি আন্দোলনের কথা জানা যায়। সরলা দেবী কীভাবে বীরাষ্টমী ব্ৰত, প্রতাপাদিত্য উৎসব, উদয়াদিত্য উৎসব চালু করে বাঙালি  তরুণদের বিপ্লববাদী জাতীয়তাবাদে দীক্ষিত করেন তার পরিচয় এই গ্রন্থ থেকে পাওয়া যায়।

৩) মনীষীদের পরিচয় :-  সরলা দেবী চৌধুরানি জীবনের ঝরাপাতা’-য় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, স্বামী বিবেকানন্দ, বঙ্কিমচন্দ্র, অরবিন্দ ঘােষ, মহাত্মা গান্ধি, বালগঙ্গাধর তিলক প্রমুখ মনীষীদের উল্লেখ করেছেন এবং তাদের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। 

৪) সামাজিক পরিচয় :-  ‘জীবনের ঝরাপাতা’ থেকে ঊনবিংশ শতাব্দীর সমাজে নারীর অবস্থান, বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় বিধিনিষেধ, নারী  শিক্ষা, নারী কল্যাণে ব্রাম্মসমাজের উদ্যোগ, নারী স্বাধীনতা প্রভৃতি বিষয়ে জানা যায়। সামাজিক ক্ষেত্রে নারীদের ওপর বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণ থাকলেও সরলা দেবী চৌধুরানি স্বয়ং ভারতী’ পত্রিকার সম্পাদন করেন এবং স্বদেশি ও জাতীয়তাবাদের উদ্ভব ও বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেন, যা নারী ক্ষমতায়নের দিকটিকে স্পষ্ট করে। 

উপসংহার : সুতরাং জীবনের ঝরাপাতা’ গ্রন্থটি নারী প্রগতি জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, ঠাকুরবাড়ির ও কলকাতার সমাজজীবনের এক জীবন্ত দলিল। আধুনিক ভারতের ইতিহাস রচনায় তাই এই গ্রন্থের গুরুত্ব অপরিসীম। 

সকল অধ্যায়ের সমস্ত প্রশ্নের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।




Share
Tweet
Pin
Share
No comments
Older Posts

Contact Form

Name

Email *

Message *

Pages

  • Home
  • About Me
  • Contact Me .
  • PRIVACY POLICY
  • Disclaimer

About Me

Myself Nandan Dutta from Malda and I made this website for the students of class X ( Class 10 ) . Nowadays lots of websites provide MCQ & SAQ for the preparation of the final examination . But those websites are not working in recent strategies , recent model questions etc . But in this website , all the MCQs & SAQs are provided for the students based on current researches . We heavily focused on History and Geography for the school final examination . এই Website টির বিশেষত্ব :- ১. মাধ্যমিক ইতিহাস ও ভূগোলের প্রতিটি অধ্যায় ভিত্তিক MCQ ও SAQ আলোচনা। ২. প্রতিটি অধ্যায় থেকে যত রকমের প্রশ্ন হওয়া সম্ভব , সেই সকল প্রশ্ন সংযোজিত হয়েছে। ৩. বিভিন্ন টেস্ট পেপারস থেকে মডেল প্রশ্নগুলি প্রতিটি অধ্যায়ে সংযোজিত হয়েছে। ৪. দায়সারা ভাবে মাত্র ৫০ বা ১০০ টি প্রশ্ন দিয়ে অধ্যায়ের আলোচনা শেষ করা হয়নি। যত প্রশ্ন হওয়া সম্ভব , সবগুলি আলোচনা করা হয়েছে। ৫. ছাত্র - ছাত্রীদের ফিডব্যাকের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হয়। এমনকি কারো নির্দিষ্ট কোনো ক্ষেত্রে সমস্যা থাকলে , সেসব যথাসাধ্য সমাধানের চেষ্টা করা হয়। Thank You Nandan Dutta .

recent posts

Pageviews

  • Home
  • CLASS X HISTORY MCQ SET 1 ; NAME :

Created with by ThemeXpose | Distributed by Blogger Templates