Powered by Blogger.
facebook
CLASS 10 HISTORY 4/8 MARK CLASS IX BENGALI CLASS IX GEOGRAPHY CLASS IX HISTORY Class V CLASS V BENGALI CLASS VI HISTORY CLASS VI SCIENCE CLASS VI. CLASS VII BENGALI CLASS VII GEOGRAPHY CLASS VII HISTORY CLASS VIII Bengali CLASS VIII GEOGRAPHY CLASS VIII HISTORY GEOGRAPHY CLASS X HISTORY Online Exam WBBSE TEST PAPERS

Question Bank প্রশ্নবিচিত্রা

WBBSE TEST PAPERS 2022 HISTORY 5TH CHAPTER 2 MARK SOLVED. 

 
PAGE : 137 ( Sishutirtha Sukanta Vidyaniketan ) 

৩.১৩. বাংলায় ছাপাখানা বিকাশে শ্রীরামপুর মিশনের ভূমিকা কী ছিল ? 
উইলিয়াম কেরি ও অন্যান্য ব্যাপটিস্ট মিশনারিরা ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে শ্রীরামপুরে ব্যাপটিস্ট মিশন প্রেস স্থাপন করেন। এই ছাপাখানা থেকে 
(ক ) ভারতীয় বিভিন্ন ভাষায় বাইবেল অনুবাদ করে তা প্রকাশিত হয়। 
(খ) বিদ্যালয়ের বিভিন্ন পাঠ্যপুস্তক প্রকাশিত হয়। 
(গ) সমাচার দর্পন , দিগদর্শন , বেঙ্গল গেজেট - ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ সংবাদপত্রগুলো প্রকাশিত হয়। 
(ঘ) এছাড়াও বিভিন্ন অনুবাদ গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। 

৩.১৪. গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য কেন স্মরণীয় ? 
ভারতের ছাপাখানা বিস্তারের ইতিহাসে গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের অবদান উল্লেখযোগ্য। তিনি হলেন ভারতের প্রথম প্রকাশক ও পুস্তক বিক্রেতা। তিনি ভরতচন্দ্র্রের অন্নদামঙ্গল গ্রন্থের সচিত্র প্রকাশ করেন। 

৩.১৫. উনিশ শতকে কারিগরি শিক্ষার বিকাশে বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউশনের ভূমিকা লেখো। 
তারকনাথ পালিত ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন। স্বদেশী উদ্যোগে বাংলায় কারিগরি শিক্ষার বিকাশে এই প্রতিষ্ঠানের অবদান উল্লেখযোগ্য। যন্ত্রবিদ্যা , বৈদ্যুতিক যন্ত্রবিদ্যা , ফলিত গণিত , রসায়ন , ভূবিদ্যা - ইত্যাদি বিষয়ে কর্মকেন্দ্রিক পাঠক্রম চালু করে বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট এক নতুন যুগের সূচনা করে। 
 
৩.১৬. জাতীয় শিক্ষা পরিষদ প্রতিষ্ঠার প্রধান উদ্দেশ্যগুলি লেখো।   
সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় শিক্ষা পরিষদ গঠিত হয়। এর উদ্দেশ্যগুলি ছিল - (ক ) ইংরেজ শিক্ষানীতি থেকে শিক্ষার্থীদের মুক্ত করে সম্পূর্ণ জাতীয় আদর্শের ভিত্তিতে শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা। 
(খ ) ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থাকে ইংরেজদের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করা। 
(গ ) শিক্ষার সমস্ত স্তরে বহুমুখী পাঠক্রম প্রবর্তন করা। 
(ঘ ) তাত্ত্বিক শিক্ষার পাশাপাশি ব্যবহারিক , প্রয়োগমূলক ও উৎপাদনভিত্তিক শিক্ষাক্রম চালু করা। 

PAGE : 139 ( Nirobala Smriti Girl's High School ) 

৩.১৩. জাইলোগ্রাফি পদ্ধতি কী ? 
জাইলোগ্রাফি কথাটির অর্থ হল কাঠ খোদাই করা। এই পদ্ধতিতে একটি নির্দিষ্ট কাঠের ব্লকের ওপর নির্দিষ্ট ধরণের কাঠের অক্ষর বা প্রতিকৃতি খোদাই করা হত ; তারপর সেই খোদাই করা কাঠের ব্লকের ওপর কালি ব্যবহার করে ছাপানোর কাজ হত। ছাপার ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তিগত কৌশলকে জাইলোগ্রাফি বলা হয়। 
 
৩.১৪. বাংলার ছাপাখানার বিকাশে পঞ্চানন কর্মকারের ভূমিকা কী ছিল ? 
পঞ্চানন কর্মকার ছিলেন হুগলির ত্রিবেণীর একজন সুদক্ষ স্বর্ণশিল্পী এবং ধাতুবিদ চার্লস উইলকিনসের সহযোগী। তিনি ছোট হাতুড়ি ও ছেনির সাহায্যে উন্নত মানের বাংলা হরফ তৈরী করেন। 
     
৩.১৫. জাতীয় শিক্ষার গুরুত্ব কী ছিল ? 
সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় শিক্ষা পরিষদ গঠিত হয়। এর উদ্দেশ্যগুলি ছিল - (ক ) ইংরেজ শিক্ষানীতি থেকে শিক্ষার্থীদের মুক্ত করে সম্পূর্ণ জাতীয় আদর্শের ভিত্তিতে শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা। 
(খ ) ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থাকে ইংরেজদের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করা। 
(গ ) শিক্ষার সমস্ত স্তরে বহুমুখী পাঠক্রম প্রবর্তন করা। 
(ঘ ) তাত্ত্বিক শিক্ষার পাশাপাশি ব্যবহারিক , প্রয়োগমূলক ও উৎপাদনভিত্তিক শিক্ষাক্রম চালু করা। 

৩.১৬. ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স - কেন প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ?   
ডক্টর মহেন্দ্রলাল সরকার ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে IACS প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর উদ্দেশ্যগুলি ছিল - 
(ক ) বিজ্ঞানচর্চার সম্প্রসারণ ও গবেষণার বিকাশ। 
(খ ) বিজ্ঞানের মৌলিক গবেষণার সুফল ভারতীয়দের প্রদান করা। 
(গ ) আধুনিক বিজ্ঞানের প্রগতির সাথে তাল মিলিয়ে চলা। 

PAGE : 142 ( Raina Jagatmata Anchalik Balika Vidayalaya ) 

৩.১৩. বাংলাদেশের ছাপাখানা বিস্তারে জেমস অগাস্টাস হিকির অবদান কী ছিল ? 
জেমস অগাস্টাস হিকি প্রথম ভারতীয় সংবাদপত্র বেঙ্গল গেজেট প্রকাশ করেন। এছাড়া তিনি ১৭৭৭ খ্রিস্টাব্দে দুটি ইংরেজি ক্যালেন্ডার প্রকাশ করেন। এই ক্যালেন্ডার দুটি আংশিকভাবে বইয়ের আকৃতির হওয়ায় অনেকে একে প্রথম মুদ্রিত গ্রন্থ বলেন। 
  
৩.১৪. বাংলার গুটেনবার্গ কাকে বলা হয় ? 
চার্লস উইলকিনস কে বাংলার গুটেনবার্গ বলা হয়। তিনি প্রথম ছাপার যোগ্য বাংলা অক্ষর তৈরী করেন এবং তার যথার্থ প্রয়োগ ঘটিয়ে ছাপাখানার বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। 
 
৩.১৫. IACS প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল ? 
ডক্টর মহেন্দ্রলাল সরকার ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে IACS প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর উদ্দেশ্যগুলি ছিল - 
(ক ) বিজ্ঞানচর্চার সম্প্রসারণ ও গবেষণার বিকাশ। 
(খ ) বিজ্ঞানের মৌলিক গবেষণার সুফল ভারতীয়দের প্রদান করা। 
(গ ) আধুনিক বিজ্ঞানের প্রগতির সাথে তাল মিলিয়ে চলা। 

৩.১৬. শিশু শিক্ষা সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ কী বলেছিলেন ?   
রবীন্দ্রনাথের শিশুশিক্ষার মূলকথা হল - 
(ক ) শিক্ষাক্ষেত্রে শিশুদের স্বাধীনতা প্রদান। 
(খ ) বিভিন্ন বিষয়গুলিতে শিশুরা আত্মসক্রিয়তার সাহায্যে অংশগ্রহন করবে। 
(গ ) প্রকৃতি ও শিক্ষার সমন্বয়সাধন। 

PAGE : 144 ( Malatipur R.K. Girls' High School ) 

৩.১৩. রাধানাথ শিকদার কোন বিষয়ে খ্যাতিলাভ করেন ? 
এক অসাধারণ গণিতজ্ঞ ও জরিপ বিশেষজ্ঞ রাধানাথ শিকদার 
(ক ) Auxiliary Table ও The Manual of Surveying নামক দুটি গ্রন্থ প্রকাশ করেন যা জরিপের ক্ষেত্রে অপরিহার্য বলে পরিগণিত হয়। 
(খ ) তিনি মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা পরিমাপ করেন। 
    
৩.১৪. উনিশ শতকের প্রথম দিকে কলকাতায় গড়ে ওঠা দুটি ছাপাখানার নাম লেখো। 
১৮০০ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত ব্যাপটিস্ট মিশন প্রেস ; ১৮০২ খ্রিস্টাব্দে গিলক্রিস্ট কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হিন্দুস্থানী প্রেস। 
 
৩.১৫. শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন কেন ও কখন নির্মিত হয় ? 
১৭৮৭ সালে কর্নেল রবার্ট কিডের উদ্যোগে বিভিন্ন ঔষধি গাছের রোপন - সংরক্ষণ ও উন্নতমানের কাঠের যোগানের উদ্দেশ্যে শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন প্রতিষ্ঠিত হয়। 

৩.১৬. উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর একটি পত্রিকা একটি গ্রন্থের নাম লেখো।    
পত্রিকার নাম সন্দেশ। গ্রন্থের নাম - ছেলেদের রামায়ণ , ছেলেদের মহাভারত , গুপী গাইন বাঘা বাইন , টুনটুনির বই - ইত্যাদি।   

PAGE : 146 ( সপ্তগ্রাম কিশোর ভারতী গার্লস হাই স্কুল ) 

৩.১২. শ্রীরামপুর ত্রয়ী কারা ? 
উইলিয়াম কেরি , উইলিয়াম ওয়ার্ড ও জোসুয়া মার্শম্যান। 

PAGE : 149 ( Simlapal M.M. High School ) 

৩.১৩. জাতীয় শিক্ষা পরিষদ গঠনের উদ্দেশ্য কী ছিল ? 
সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় শিক্ষা পরিষদ গঠিত হয়। এর উদ্দেশ্যগুলি ছিল - (ক ) ইংরেজ শিক্ষানীতি থেকে শিক্ষার্থীদের মুক্ত করে সম্পূর্ণ জাতীয় আদর্শের ভিত্তিতে শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা। 
(খ ) ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থাকে ইংরেজদের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করা। 
(গ ) শিক্ষার সমস্ত স্তরে বহুমুখী পাঠক্রম প্রবর্তন করা। 
(ঘ ) তাত্ত্বিক শিক্ষার পাশাপাশি ব্যবহারিক , প্রয়োগমূলক ও উৎপাদনভিত্তিক শিক্ষাক্রম চালু করা। 

৩.১৪. ছাপাখানার বিকাশে উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর মৌলিক কৃতিত্ব কী ছিল ? 
উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম ব্যক্তি যিনি হাফটোন ব্লক ও কালার ব্লক উদ্ভাবন করেন। মুদ্রণ শিল্পে তাঁর গবেষণা , প্রযুক্তির ব্যবহার - ইত্যাদি ভারতীয় মুদ্রণ শিল্পের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী বিপ্লব নিয়ে আসে। তিনি ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে ইউ রায় অ্যান্ড সন্স - প্রতিষ্ঠা করেন। 
  
৩.১৫. বাংলা মুদ্রণ ও প্রকাশনায় বিদ্যাসাগরের ভূমিকা কী ছিল ? 
১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দে বিদ্যাসাগর মহাশয় মদনমোহন তর্কালঙ্কারের সাথে যৌথ উদ্যোগে সংস্কৃত ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেন। এই ছাপাখানা থেকে মুদ্রিত পুস্তক বিক্রয়ের জন্য তিনি সংস্কৃত প্রেস ডিপোজিটরি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ছিলেন বাঙালিদের মধ্যে বই ব্যবসার প্রথম পথপ্রদর্শক। বাংলা মুদ্রণ ও প্রকাশনার ক্ষেত্রে এইভাবে ব্যবসায়িক উদ্যোগ গ্রহণের জন্য বিদ্যাসাগরকে বিদ্যাবণিক বলা হয়। 
 
৩.১৬. বিশ্বভারতী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে স্বতন্ত্র ছিল কেন ?  
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রথাগত শিক্ষাকে অধিক গুরুত্ব দেওয়ার পরিবর্তে - শিক্ষার্থীর সাথে প্রকৃতির যোগাযোগ , শিক্ষার্থীর শিল্পীসত্তার বিকাশ , দেশীয় ঐতিহ্য ও পাশ্চাত্য যুক্তিবাদের সমন্বয় , বৈচিত্রময় পাঠক্রমের সুযোগ - ইত্যাদির ওপর অধিক গুরুত্ব প্রদান করা হয়। তাই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে স্বতন্ত্র। 

PAGE : 151 ( Dum Dum Deshbandhu High School ) 

৩.১৩. পঞ্চানন কর্মকার কেন বিখ্যাত ? 
পঞ্চানন কর্মকার ছিলেন হুগলির ত্রিবেণীর একজন সুদক্ষ স্বর্ণশিল্পী এবং ধাতুবিদ চার্লস উইলকিনসের সহযোগী। তিনি ছোট হাতুড়ি ও ছেনির সাহায্যে উন্নত মানের বাংলা হরফ তৈরী করেন। 

৩.১৪. শ্রীরামপুর ত্রয়ী কারা ? 
উইলিয়াম কেরি , উইলিয়াম ওয়ার্ড ও জোসুয়া মার্শম্যান।

৩.১৫. ছাপাখানা প্রবর্তনের গুরুত্ব কী ? 
ভারতে ছাপাখানার বিস্তারের ফলে -
(ক ) বিপুল পরিমান পাঠ্যপুস্তক খুব অল্প সময়ে মুদ্রিত হয় এবং তা শিক্ষার প্রসারে সহায়ক হয়। 
(খ ) ছাপাখানা বিস্তারের পূর্বে হাতে লেখা বইয়ের প্রচলন ছিল। এই বইয়ের মূল্য অত্যন্ত বেশি ছিল। ছাপাখানার বিস্তারের ফলে এই সমস্যা দূর হয়। 
(গ ) ছাপাখানা বিস্তারের ফলে অনূদিত গ্রন্থের প্রকাশ বৃদ্ধি পায়। 

৩.১৬. উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর একটি পত্রিকা ও একটি গ্রন্থের নাম লেখ। 
পত্রিকার নাম সন্দেশ। গ্রন্থের নাম - ছেলেদের রামায়ণ , ছেলেদের মহাভারত , গুপী গাইন বাঘা বাইন , টুনটুনির বই - ইত্যাদি।   

PAGE : 154 ( Sarisha Ramakrishna Mission ) 

৩.১৩. শিক্ষা বিস্তারে ছাপাখানার দুটি গুরুত্ব লেখ। 
(ক ) বিপুল পরিমান পাঠ্যপুস্তক খুব অল্প সময়ে মুদ্রিত হয় এবং তা শিক্ষার প্রসারে সহায়ক হয়। 
(খ ) ছাপাখানা বিস্তারের পূর্বে হাতে লেখা বইয়ের প্রচলন ছিল। এই বইয়ের মূল্য অত্যন্ত বেশি ছিল। ছাপাখানার বিস্তারের ফলে এই সমস্যা দূর হয়। 
(গ ) ছাপাখানা বিস্তারের ফলে অনূদিত গ্রন্থের প্রকাশ বৃদ্ধি পায়। 

৩.১৪. ক্রেসকোগ্রাফ যন্ত্রটি কী ? 
ক্রেসকোগ্রাফ যন্ত্রটি আবিষ্কার করেন জগদীশ চন্দ্র বসু। এই যন্ত্রের সাহায্যে তিনি প্রমান করেন যে গাছের প্রাণ আছে। 
 
৩.১৫. শ্রীনিকেতন কী ? 
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শ্রীনিকেতন প্রতিষ্ঠা করেন শান্তিনিকেতনের কাছে সুরুল গ্রামে ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে ।মূলতঃ পল্লীসমাজের উন্নয়ন , গ্রামবাসীদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা , শিক্ষার বিস্তার , কুটির শিল্পের বিকাশ , সমবায় প্রথার বিকাশ , শিক্ষার্থীর আত্মনির্ভরশীলতা বৃদ্ধি - ইত্যাদি উদ্দেশ্যে তিনি শ্রীনিকেতন প্রতিষ্ঠা করেন। 

৩.১৬. টেগোর অ্যান্ড কোং কেন গড়ে ওঠে ?   
চাষীরা যাতে ফসলের ন্যায্য দাম পায় - সেই উদ্দেশ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে টেগোর অ্যান্ড কোং প্রতিষ্ঠা করে ন্যায্য মূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে ফসল কিনে তা বাজারে বিক্রয়ের ব্যবস্থা করেন। 

PAGE : 156 ( Hindu School ) 

৩.১৩. মুদ্রণ শিল্পের বিকাশে চার্লস উইলকিনস স্মরণীয় কেন ? 
চার্লস উইলকিনসকে বাংলার গুটেনবার্গ বলা হয়। তিনি প্রথম ছাপার যোগ্য বাংলা অক্ষর তৈরী করেন এবং তার যথার্থ প্রয়োগ ঘটিয়ে ছাপাখানার বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। 

৩.১৪. জাতীয় শিক্ষা পরিষদের উদ্দেশ্য কী ছিল ? 
সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় শিক্ষা পরিষদ গঠিত হয়। এর উদ্দেশ্যগুলি ছিল - (ক ) ইংরেজ শিক্ষানীতি থেকে শিক্ষার্থীদের মুক্ত করে সম্পূর্ণ জাতীয় আদর্শের ভিত্তিতে শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা। 
(খ ) ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থাকে ইংরেজদের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করা। 
(গ ) শিক্ষার সমস্ত স্তরে বহুমুখী পাঠক্রম প্রবর্তন করা। 
(ঘ ) তাত্ত্বিক শিক্ষার পাশাপাশি ব্যবহারিক , প্রয়োগমূলক ও উৎপাদনভিত্তিক শিক্ষাক্রম চালু করা। 

৩.১৫. কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ প্রতিষ্ঠায় রাসবিহারী ঘোষ ও তারকনাথ পালিতের অবদান কী ? 
স্যার তারকনাথ পালিত ও স্যার রাসবিহারী ঘোষের উদ্যোগে কলকতার রাজাবাজারে সর্বপ্রথম একটি বিজ্ঞান কলেজ প্রতিষ্টিত হয়। এখানে মূলতঃ বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার চর্চা হত। পরবর্তীকালে স্নাতকোত্তর স্তরে স্তরে বিজ্ঞান চর্চার জন্য এই প্রতিষ্ঠানটি আত্মনিয়োগ করে। 
     
৩.১৬. শ্রীনিকেতন কী ?    
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শ্রীনিকেতন প্রতিষ্ঠা করেন শান্তিনিকেতনের কাছে সুরুল গ্রামে ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে ।মূলতঃ পল্লীসমাজের উন্নয়ন , গ্রামবাসীদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা , শিক্ষার বিস্তার , কুটির শিল্পের বিকাশ , সমবায় প্রথার বিকাশ , শিক্ষার্থীর আত্মনির্ভরশীলতা বৃদ্ধি - ইত্যাদি উদ্দেশ্যে তিনি শ্রীনিকেতন প্রতিষ্ঠা করেন। 

PAGE : 159 ( Burnpur Subhaspalli Vidyaniketan ) 

৩.১৩. হিকির বেঙ্গল গেজেট সংবাদপত্রটির গুরুত্ব কী ছিল ? 
জেমস অগাস্টাস হিকি প্রথম ভারতীয় সংবাদপত্র বেঙ্গল গেজেট প্রকাশ করেন। এই পত্রিকার মাধ্যমে তৎকালীন সমাজ - সংস্কৃতি , রাজনীতি , অর্থনীতি - ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানা যায় এবং তা ইতিহাসের উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। 
  
৩.১৪. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষা দর্শন কী ? 
রবীন্দ্রনাথের শিক্ষা দর্শনের মূলকথা হল - 
(ক ) শিক্ষাক্ষেত্রে শিশুদের স্বাধীনতা প্রদান। 
(খ ) বিভিন্ন বিষয়গুলিতে শিশুরা আত্মসক্রিয়তার সাহায্যে অংশগ্রহন করবে। 
(গ ) প্রকৃতি ও শিক্ষার সমন্বয়সাধন। 
(ঘ ) মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষা। 

৩.১৫. উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী কে ছিলেন ? 
উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম ব্যক্তি যিনি হাফটোন ব্লক ও কালার ব্লক উদ্ভাবন করেন। মুদ্রণ শিল্পে তাঁর গবেষণা , প্রযুক্তির ব্যবহার - ইত্যাদি ভারতীয় মুদ্রণ শিল্পের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী বিপ্লব নিয়ে আসে। তিনি ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে ইউ রায় অ্যান্ড সন্স - প্রতিষ্ঠা করেন। 

৩.১৬. IACS প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল ? 
ডক্টর মহেন্দ্রলাল সরকার ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে IACS প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর উদ্দেশ্যগুলি ছিল - 
(ক ) বিজ্ঞানচর্চার সম্প্রসারণ ও গবেষণার বিকাশ। 
(খ ) বিজ্ঞানের মৌলিক গবেষণার সুফল ভারতীয়দের প্রদান করা। 
(গ ) আধুনিক বিজ্ঞানের প্রগতির সাথে তাল মিলিয়ে চলা। 

PAGE : 161 ( Soluadanga High School ) 

৩.৯. বর্ণ পরিচয় - এর গুরুত্ব কী ? 
বিদ্যাসাগর রচিত গ্রন্থগুলির মধ্যে সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হল বর্ণপরিচয়। ভাষার সরলীকরণের মধ্যে দিয়ে স্বরবর্ণ ও ব্যাঞ্জনবর্ণের ব্যবহার সরল করেন। সংযুক্ত বর্ণ , 'র ' ফলা , মিশ্র সংযোগ - ইত্যাদির মাধ্যমে বর্ণপরিচয় গ্রন্থটি প্রাথমিক ও প্রাক প্রাথমিক স্তরের শিশুদের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থে পরিণত হয়েছে। 
   
৩.১০. বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল ? 
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। শিক্ষার্থীর সাথে প্রকৃতির যোগাযোগ , শিক্ষার্থীর শিল্পীসত্তার বিকাশ , দেশীয় ঐতিহ্য ও পাশ্চাত্য যুক্তিবাদের সমন্বয় , বৈচিত্রময় পাঠক্রমের সুযোগ - ইত্যাদির ওপর অধিক গুরুত্ব প্রদান করা হয়। বিশ্বের যেকোনো স্থানের ছাত্র - ছাত্রীরা পারস্পরিক ভাব বিনিময়ের মাধ্যমে মানবতার বিকাশ ঘটাবে - এই ছিল প্রকৃত উদ্দেশ্য। 
 
৩.১৫. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষা ভাবনা কী ছিল ? 
রবীন্দ্রনাথের শিক্ষা দর্শনের মূলকথা হল - 
(ক ) শিক্ষাক্ষেত্রে শিশুদের স্বাধীনতা প্রদান। 
(খ ) বিভিন্ন বিষয়গুলিতে শিশুরা আত্মসক্রিয়তার সাহায্যে অংশগ্রহন করবে। 
(গ ) প্রকৃতি ও শিক্ষার সমন্বয়সাধন। 
(ঘ ) মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষা। 

৩.১৬. শ্রীনিকেতন কী উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ?  
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শ্রীনিকেতন প্রতিষ্ঠা করেন শান্তিনিকেতনের কাছে সুরুল গ্রামে ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে ।মূলতঃ পল্লীসমাজের উন্নয়ন , গ্রামবাসীদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা , শিক্ষার বিস্তার , কুটির শিল্পের বিকাশ , সমবায় প্রথার বিকাশ , শিক্ষার্থীর আত্মনির্ভরশীলতা বৃদ্ধি - ইত্যাদি উদ্দেশ্যে তিনি শ্রীনিকেতন প্রতিষ্ঠা করেন। 

PAGE : 164 ( Maharaja Nripendra Narayan High School ) 

13. কাকে , কেন গোলদীঘির গোলামখানা বলা হয় ? 
ঔপনিবেশিক শাসনকালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে গোলদীঘির গোলামখানা বলা হত। কেননা ঔপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুধুমাত্র ইংরেজদের অনুগত এক শ্রেণীর কেরানি প্রতিবছর পাস করত। এই শিক্ষার দ্বারা বোধের বিকাশ বা জাতির বিকাশ সম্ভব ছিলনা। 

14. রবীন্দ্রনাথ কেন ভারতে প্রচলিত শিক্ষাকে প্রাণহীন বলেছেন ? 
ঔপনিবেশিক শিক্ষায় জ্ঞান - বিজ্ঞানের বিকাশ ঘটলেও তাতে প্রাণের ছোঁয়া ছিলনা। এই ধরণের শিক্ষায় ভারতীয় দর্শন , আধ্যাত্মিকতা , নৈতিকতা - ইত্যাদির কোনো সম্পর্ক ছিলনা। শিশুর কল্পনাপ্রবণতা , প্রকৃতির রহস্যের প্রতি আগ্রহ - ইত্যাদি অনুপস্থিত। 
  
16. ছাপাখানার বিকাশে উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী কী কী মৌলিক কৃতিত্ব দেখিয়েছেন ?   
উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম ব্যক্তি যিনি হাফটোন ব্লক ও কালার ব্লক উদ্ভাবন করেন। মুদ্রণ শিল্পে তাঁর গবেষণা , প্রযুক্তির ব্যবহার - ইত্যাদি ভারতীয় মুদ্রণ শিল্পের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী বিপ্লব নিয়ে আসে। তিনি ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে ইউ রায় অ্যান্ড সন্স - প্রতিষ্ঠা করেন। 

PAGE : 166 ( Garhbeta Umadevi Girls' High School ) 

৩.১৩. চার্লস উইলকিনস বিখ্যাত কেন ? 
চার্লস উইলকিনসকে বাংলার গুটেনবার্গ বলা হয়। তিনি প্রথম ছাপার যোগ্য বাংলা অক্ষর তৈরী করেন এবং তার যথার্থ প্রয়োগ ঘটিয়ে ছাপাখানার বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। 

৩.১৪. IACS এর পুরো নাম কী ? কে এটি প্রতিষ্ঠা করেন ? 
Indian Association for the Cultivation of Science .  প্রতিষ্ঠা করেন ডক্টর মহেন্দ্রলাল সরকার। 

৩.১৫. শ্রীরামপুর ত্রয়ী কারা ? 
উইলিয়াম কেরি , উইলিয়াম ওয়ার্ড ও জোসুয়া মার্শম্যান।

৩.১৬. বিজ্ঞান চর্চায় জগদীশ চন্দ্র বসুর অবদান কী ছিল ?  
(ক ) জগদীশ চন্দ্র বসু ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞান চর্চার বিস্তারের উদ্দেশে বসু বিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। 
(খ ) তিনি ক্রেসকোগ্রাফ যন্ত্র আবিষ্কার করে প্রমান করেন যে উদ্ভিদের প্রাণ আছে। 
(গ ) ইলেক্ট্রো - ম্যাগনেটিক ওয়েভ - ইত্যাদি সংক্রান্ত তাঁর গবেষণা আধুনিক বিজ্ঞানকে সমৃদ্ধ করেছে। 

PAGE : 169 : ( Hasimnagar High School ) 

৩.১৩. শ্রীরামপুরে ছাপাখানা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল ? 
উইলিয়াম কেরি , উইলিয়াম ওয়ার্ড ও জোসুয়া মার্শম্যান ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে শ্রীরামপুর ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেন। এর উদ্দেশ্য ছিল - 
(ক ) বাংলা ভাষায় পত্র - পত্রিকার প্রকাশ। 
(খ ) বাংলায় খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের জন্য বাংলা ভাষার প্রয়োজন ছিল। এই প্রয়োজন মেটাতে ছাপাখানা স্থাপন করা হয়। 
(গ ) ছাপাখানার সাহায্যে বাংলা ভাষার বিস্তারের মাধ্যমে গণশিক্ষার প্রসার ঘটানো। 

৩.১৪. কারা শ্রীরামপুর ত্রয়ী নামে পরিচিত ? 
উইলিয়াম কেরি , উইলিয়াম ওয়ার্ড ও জোসুয়া মার্শম্যান

৩.১৫. মহেন্দ্রলাল সরকার স্মরণীয় কেন ? 
ডক্টর মহেন্দ্রলাল সরকারের সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য কৃতিত্ব হল ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স বা IACS প্রতিষ্ঠা। ভারতে বিজ্ঞান চর্চার ইতিহাসে এই প্রতিষ্ঠানটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আধুনিক বিজ্ঞান চর্চায় তাঁর অবদানের জন্য তাঁকে '' ভারতীয় বিজ্ঞান চর্চার জনক '' বলা হয়। 
   
৩.১৬. জাতীয় শিক্ষা পরিষদ গঠনের দুটি উদ্দেশ্য লেখো।   
সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় শিক্ষা পরিষদ গঠিত হয়। এর উদ্দেশ্যগুলি ছিল - (ক ) ইংরেজ শিক্ষানীতি থেকে শিক্ষার্থীদের মুক্ত করে সম্পূর্ণ জাতীয় আদর্শের ভিত্তিতে শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা। 
(খ ) ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থাকে ইংরেজদের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করা। 
(গ ) শিক্ষার সমস্ত স্তরে বহুমুখী পাঠক্রম প্রবর্তন করা। 
(ঘ ) তাত্ত্বিক শিক্ষার পাশাপাশি ব্যবহারিক , প্রয়োগমূলক ও উৎপাদনভিত্তিক শিক্ষাক্রম চালু করা। 

PAGE : 171 ( The Path Bhavan ) 

৩.১৩. ছাপাখানার প্রসারে স্কুল বুক সোসাইটি বিখ্যাত কেন ? 
১৮১৭ সালে স্কুল বুক সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং পাঠ্যপুস্তক প্রকাশের জন্য একটি ছাপাখানা স্থাপন করা হয়। এই ছাপাখানা থেকে বাংলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের জন্য গ্রন্থ মুদ্রিত হতে থাকে। 
 
৩.১৪. জাতীয় শিক্ষা পরিষদ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল ? 
সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় শিক্ষা পরিষদ গঠিত হয়। এর উদ্দেশ্যগুলি ছিল - (ক ) ইংরেজ শিক্ষানীতি থেকে শিক্ষার্থীদের মুক্ত করে সম্পূর্ণ জাতীয় আদর্শের ভিত্তিতে শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা। 
(খ ) ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থাকে ইংরেজদের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করা। 
(গ ) শিক্ষার সমস্ত স্তরে বহুমুখী পাঠক্রম প্রবর্তন করা। 
(ঘ ) তাত্ত্বিক শিক্ষার পাশাপাশি ব্যবহারিক , প্রয়োগমূলক ও উৎপাদনভিত্তিক শিক্ষাক্রম চালু করা। 

৩.১৫. শ্রীনিকেতন কী উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ? 
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শ্রীনিকেতন প্রতিষ্ঠা করেন শান্তিনিকেতনের কাছে সুরুল গ্রামে ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে ।মূলতঃ পল্লীসমাজের উন্নয়ন , গ্রামবাসীদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা , শিক্ষার বিস্তার , কুটির শিল্পের বিকাশ , সমবায় প্রথার বিকাশ , শিক্ষার্থীর আত্মনির্ভরশীলতা বৃদ্ধি - ইত্যাদি উদ্দেশ্যে তিনি শ্রীনিকেতন প্রতিষ্ঠা করেন। 

৩.১৬. মহেন্দ্রলাল সরকার বিখ্যাত কেন ? 
ডক্টর মহেন্দ্রলাল সরকারের সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য কৃতিত্ব হল ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স বা IACS প্রতিষ্ঠা। ভারতে বিজ্ঞান চর্চার ইতিহাসে এই প্রতিষ্ঠানটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আধুনিক বিজ্ঞান চর্চায় তাঁর অবদানের জন্য তাঁকে '' ভারতীয় বিজ্ঞান চর্চার জনক '' বলা হয়। 

PAGE : 174 ( Madpur Balika Vidyalaya ) 

৩.১৪. বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল ? 
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। শিক্ষার্থীর সাথে প্রকৃতির যোগাযোগ , শিক্ষার্থীর শিল্পীসত্তার বিকাশ , দেশীয় ঐতিহ্য ও পাশ্চাত্য যুক্তিবাদের সমন্বয় , বৈচিত্রময় পাঠক্রমের সুযোগ - ইত্যাদির ওপর অধিক গুরুত্ব প্রদান করা হয়। বিশ্বের যেকোনো স্থানের ছাত্র - ছাত্রীরা পারস্পরিক ভাব বিনিময়ের মাধ্যমে মানবতার বিকাশ ঘটাবে - এই ছিল প্রকৃত উদ্দেশ্য। 

৩.১৫. বসু বিজ্ঞান মন্দিরে কোন কোন বিষয়ে গবেষণা হত ? 
১৯১৭ খ্রিস্টাব্দের ৩০ শে নভেম্বর জগদীশচন্দ্র বসু '' বসু বিজ্ঞান মন্দির '' প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রতিষ্ঠানে আধুনিক বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা হত ; যেমন - পদার্থবিদ্যা , রসায়ন , উদ্ভিদবিদ্যা। এছাড়াও বায়ো - ফিজিক্সের মত পরস্পর সম্পর্কযুক্ত বিষয়গুলো নিয়েও গবেষণা হত। 
   
৩.১৬. গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য স্মরণীয় কেন ?  
ভারতের ছাপাখানা বিস্তারের ইতিহাসে গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের অবদান উল্লেখযোগ্য। তিনি হলেন ভারতের প্রথম প্রকাশক ও পুস্তক বিক্রেতা। তিনি ভরতচন্দ্র্রের অন্নদামঙ্গল গ্রন্থের সচিত্র প্রকাশ করেন। 

PAGE : 176 ( পলাশন মৃণালিনী মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় ) 

৩.১৩. জাতীয় শিক্ষা পরিষদ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল ? 
সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় শিক্ষা পরিষদ গঠিত হয়। এর উদ্দেশ্যগুলি ছিল - (ক ) ইংরেজ শিক্ষানীতি থেকে শিক্ষার্থীদের মুক্ত করে সম্পূর্ণ জাতীয় আদর্শের ভিত্তিতে শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা। 
(খ ) ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থাকে ইংরেজদের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করা। 
(গ ) শিক্ষার সমস্ত স্তরে বহুমুখী পাঠক্রম প্রবর্তন করা। 
(ঘ ) তাত্ত্বিক শিক্ষার পাশাপাশি ব্যবহারিক , প্রয়োগমূলক ও উৎপাদনভিত্তিক শিক্ষাক্রম চালু করা। 

৩.১৪. বিদ্যাসাগরকে বিদ্যাবণিক বলা হয় কেন ? 
১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দে বিদ্যাসাগর মহাশয় মদনমোহন তর্কালঙ্কারের সাথে যৌথ উদ্যোগে সংস্কৃত ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেন। এই ছাপাখানা থেকে মুদ্রিত পুস্তক বিক্রয়ের জন্য তিনি সংস্কৃত প্রেস ডিপোজিটরি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ছিলেন বাঙালিদের মধ্যে বই ব্যবসার প্রথম পথপ্রদর্শক। বাংলা মুদ্রণ ও প্রকাশনার ক্ষেত্রে এইভাবে ব্যবসায়িক উদ্যোগ গ্রহণের জন্য বিদ্যাসাগরকে বিদ্যাবণিক বলা হয়। 

৩.১৫. পঞ্চানন কর্মকার স্মরণীয় কেন ? 
পঞ্চানন কর্মকার ছিলেন হুগলির ত্রিবেণীর একজন সুদক্ষ স্বর্ণশিল্পী এবং ধাতুবিদ চার্লস উইলকিনসের সহযোগী। তিনি ছোট হাতুড়ি ও ছেনির সাহায্যে উন্নত মানের বাংলা হরফ তৈরী করেন। 

৩.১৬. বাংলার মুদ্রণের ইতিহাসে বটতলা প্রকাশনার গুরুত্ব কী ? 
উনিশ শতকে কলকাতার কিছু বিশেষ স্থানে পাঠকদের চাহিদার ভিত্তিতে লেখা প্রকাশ হত। এই ধরণের প্রকাশনাকে বটতলা প্রকাশনা বলা হত। প্রকাশকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন - বিশ্বম্ভর দেব ও ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বটতলা প্রকাশনার ফলে - 
(ক ) বিভিন্ন ধরণের ও বৈচিত্রময় লেখা প্রকাশ পায়। 
(খ ) ছোটগল্প , পাঁচালি , প্রেম , রহস্য গল্প , জাদু - ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ের গ্রন্থ প্রকাশিত হতে থাকে। 
(গ ) উৎপাদন ব্যয় কম হওয়ায় বইয়ের দাম ছিল কম। 
(ঘ ) এইধরণের বৈচিত্রময় ও নতুন ধরণের সাহিত্য বিভিন্ন ধরণের পাঠকদের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হয়েছিল।     
   
Share
Tweet
Pin
Share
No comments

WBBSE TEST PAPERS 2022 HISTORY 4TH CHAPTER 2 MARK SOLVED. 

 
PAGE : 137 ( Sishutirtha Sukanta Vidyaniketan ) 

৩.৯. মহারানির ঘোষণাপত্রের ( ১৮৫৮ ) গুরুত্ব লেখো। 
১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দের ১ লা নভেম্বর এলাহাবাদের রাজদরবারে মহারানি ভিক্টোরিয়া ভাইসরয় লর্ড ক্যানিং - এর মাধ্যমে এক ঘোষণাপত্রের দ্বারা কোম্পানির ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা ঘোষণা করেন। এর ফলে -  
(ক ) ব্রিটিশ সরকার ভারত শাসন আইন ১৮৫৮ পাস করে। 
(খ ) ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে। 
(গ ) ভারতের শাসনভার মহারানী ভিক্টোরিয়া নিজের হাতে তুলে নেন।
(ঘ ) ঘোষণাপত্র অনুযায়ী ভারতের প্রথম ভাইসরয় হলেন লর্ড ক্যানিং। 
 
৩.১০. হিন্দুমেলা কেন ব্যর্থ হয়েছিল ? 
(ক ) হিন্দুমেলা ধর্মীয় সংকীর্ণতা দোষে দুষ্ট ছিল। তারা মুসলিমদের সমস্যাগুলির প্রতি উদাসীন ছিলেন। 
(খ ) হিন্দুমেলার গঠন ও কার্যপ্রণালী ছিল বাঙালিকেন্দ্রিক। ফলে তা সর্বভারতীয় রূপ পরিগ্রহ করতে পারেনি। 
(গ ) নতুন শিক্ষিত - মধ্যবিত্ত শ্রেণী হিন্দুমেলার আদর্শে কোনো উৎসাহ দেখাননি। 
(ঘ ) হিন্দুমেলা রাজনৈতিক কর্মকান্ডে খুব বেশি উৎসাহী ছিলেন না। 
 
৩.১১. ভারতীয় জাতীয়তাবাদী ভাবধারার বিকাশে স্বামী বিবেকানন্দের ভূমিকা লেখো। 
স্বামী বিবেকানন্দ দেশের যুবশক্তিকে তাদের প্রকৃত স্বরূপ উপলব্ধি করে তাদের কর্মযোগে ঝাঁপিয়ে পড়তে উৎসাহিত করেন। আত্মশক্তিতে বলীয়ান ভারতীয় যুবসমাজ অত্যাচারী বিদেশি শাসনের অবসান ঘটাবে - তা তিনি বিশ্বাস করতেন। তাঁর এই বিশ্বাস ভারতীয় যুবসমাজকে জাতীয়তাবাদে অনুপ্রাণিত করে।  
  
৩.১২. গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যঙ্গচিত্রের উদ্দেশ্য কী ছিল ?  
(ক ) বিভিন্ন কুসংস্কার , ধর্মীয় গোঁড়ামি , জাতপাত , কলকাতার বাবু সম্প্রদায়ের বিলাসিতা - ইত্যাদি বিষয়গুলিকে ব্যাঙ্গাত্মক চিত্রের মাধ্যমে সমাজের সামনে তুলে ধরা। 
(খ ) ঔপনিবেশিক শাসনের সমালোচনা , শাসকের শোষণ - ইত্যাদি রাজনৈতিক বিষয়গুলিকে তুলে ধরে প্রতিবাদ জ্ঞাপন করা। 

PAGE : 139 ( Nirobala Smriti Girl's High School ) 

৩.৯. ইলবার্ট বিল কী ? 
লর্ড রিপনের পরামর্শে তাঁর আইনসচিব ইলবার্ট একটি আইন রচনা করেন। এই আইন অনুসারে ভারতীয় বিচারকেরা ইংরেজ তথা শ্বেতাঙ্গদের বিচার করার অধিকার লাভ করে। একেই ইলবার্ট বিল বলে। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য ইতিপূর্বে ভারতীয় বিচারকেরা ব্রিটিশদের বিচার করতে পারত না। 
   
৩.১০. ভারতের জাতীয়তাবোধের চেতনা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে এমন কয়েকটি সাহিত্য গ্রন্থের নাম লেখো। 
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের আনন্দমঠ , স্বামী বিবেকানন্দের বর্তমান ভারত , রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গোরা - ইত্যাদি। 
           
৩.১১. মহারানির ঘোষণাপত্র কী ? 
১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দের ১ লা নভেম্বর এলাহাবাদের রাজদরবারে মহারানি ভিক্টোরিয়া ভাইসরয় লর্ড ক্যানিং - এর মাধ্যমে এক ঘোষণাপত্রের দ্বারা কোম্পানির ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা ঘোষণা করেন। এর ফলে -  
(ক ) ব্রিটিশ সরকার ভারত শাসন আইন ১৮৫৮ পাস করে। 
(খ ) ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে। 
(গ ) ভারতের শাসনভার মহারানী ভিক্টোরিয়া নিজের হাতে তুলে নেন।
(ঘ ) ঘোষণাপত্র অনুযায়ী ভারতের প্রথম ভাইসরয় হলেন লর্ড ক্যানিং। 

৩.১২. গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বাংলা ব্যঙ্গচিত্রের জনক বলা হয় কেন ?  
ভারতীয়দের মধ্যে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর সর্বপ্রথম ব্যঙ্গচিত্রের প্রয়োগের মাধ্যমে ব্রিটিশ অপশাসন ও ভারতীয় সমাজের দুর্বলতাগুলো জনসমক্ষে তুলে ধরে জাতীয়তাবোধের বিকাশ ঘটান। তাই গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ভারতীয় ব্যঙ্গচিত্রের জনক বলা হয়। তাঁর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ব্যাঙ্গচিত্র হল - খল ব্রাহ্মণ , জাতাসুর - ইত্যাদি।      

PAGE : 142 ( Raina Jagatmata Anchalik Balika Vidayalaya ) 

৩.৯. ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহের প্রত্যক্ষ কারণ কী ছিল ? 
১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে সেনাবাহিনীতে এনফিল্ড রাইফেল ব্যবহার করা হত। বন্দুকের টোটার খোলসটি দাঁত দিয়ে কেটে রাইফেলে ভরতে হত। গুজব রটায় যে , ওই খোলসটি গরু ও শুকরের চামড়া দ্বারা নির্মিত। এরফলে হিন্দু ও মুসলিম সিপাহীরা ধর্মচ্যুত হওয়ার ভয়ে এই টোটা ব্যবহারের বিরোধিতা করে বিদ্রোহের সূচনা করে। 
   
৩.১০. হিন্দুমেলার উদ্দেশ্য কী ছিল ? 
১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে নবগোপাল মিত্রের উদ্যোগে হিন্দুমেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। এর উদ্দেশ্যগুলি ছিল - 
(ক ) হিন্দু ধর্মের অতীত গৌরব ও মর্যাদার প্রচার। 
(খ ) দেশীয় ভাষাগুলির প্রচার ঘটানো। 
(গ ) ভারতে পাশ্চাত্য সভ্যতার প্রসার রোধ করা - ইত্যাদি। 
   
৩.১১. ভারতে জাতীয়তাবাদের বিকাশে গোরা উপন্যাসের অবদান লেখো। 
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গোরা উপন্যাসে দেশপ্রেম , অখন্ডতা - ইত্যাদির বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। ধর্ম ও সাম্প্রদায়িকতার মধ্যে দিয়ে উপন্যাসের সূচনা হলেও তার পরিসমাপ্তি ঘটে জাতীয়তাবোধ ও মানবতাবোধের মধ্যে দিয়ে। মানবধর্মকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দিয়ে উপন্যাসটি জাতীয়তাবোধের বিকাশ ঘটিয়েছে।    

৩.১২. ভারতসভা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল ? 
১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দের ২৬ শে জুলাই কলকাতার অ্যালবার্ট হলে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে ভারতসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। এর উদ্দেশ্যগুলি ছিল - 
(ক ) ভারতীয় জনগণকে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে সংগঠিত করা। 
(খ ) হিন্দু ও মুসলিমের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করে তা ব্রিটিশ বিরোধিতায় পরিচালিত করা। 
(গ ) শিক্ষিত ভারতীয়দের মধ্যে রাজনৈতিক চেতনার প্রসার ঘটানো। 
(ঘ ) ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে ভারতীয়দের দাবী দাওয়া আদায় করা - ইত্যাদি।      

PAGE : 144 ( Malatipur R.K. Girls' High School ) 

৩.৯. প্রথম ভাইসরয় কে ছিলেন ? 
১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে মহারানির ঘোষণাপত্র অনুযায়ী ভারতের প্রথম ভাইসরয় হলেন লর্ড ক্যানিং। 

৩.১০. হিন্দুমেলার প্রাণ পুরুষ কে ছিলেন ? 
নবগোপাল মিত্র। 

৩.১১. গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা দুটি ব্যঙ্গচিত্রের নাম লেখো। 
খল ব্রাহ্মণ , জাতাসুর। 

৩.১২. মহারানির ঘোষণাপত্র কী ? 
১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দের ১ লা নভেম্বর এলাহাবাদের রাজদরবারে মহারানি ভিক্টোরিয়া ভাইসরয় লর্ড ক্যানিং - এর মাধ্যমে এক ঘোষণাপত্রের দ্বারা কোম্পানির ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা ঘোষণা করেন। এর ফলে -  
(ক ) ব্রিটিশ সরকার ভারত শাসন আইন ১৮৫৮ পাস করে। 
(খ ) ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে। 
(গ ) ভারতের শাসনভার মহারানী ভিক্টোরিয়া নিজের হাতে তুলে নেন।
(ঘ ) ঘোষণাপত্র অনুযায়ী ভারতের প্রথম ভাইসরয় হলেন লর্ড ক্যানিং। 

PAGE : 146 ( সপ্তগ্রাম কিশোর ভারতী ) 

৩.১০. সভা সমিতির যুগ বলতে কী বোঝো ? 
উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে শিক্ষার প্রসার , সমাজ সংস্কার ইত্যাদির ভিত্তিতে ভারতে বিভিন্ন সভা সমিতি গড়ে উঠতে থাকে। যেমন - বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা , ভারতসভা , জমিদার সভা , জাতীয় কংগ্রেস - ইত্যাদি। তাই উনিশ শতককে ঐতিহাসিক অনিল শীল ' সভা সমিতির যুগ ' বলে অভিহিত করেছেন। 
  
৩.১৩. জমিদার সভার উদ্দেশ্য কী ছিল ? 
১৮৩৮ খ্রিস্টাব্দের ১৯ শে মার্চ দ্বারকানাথ ঠাকুর ও রাধাকান্ত দেবের সভাপতিত্বে জমিদার সভা প্রতিষ্ঠিত হয়। এর উদ্দেশ্যগুলি ছিল - 
(ক ) জমিদার শ্রেণীর স্বার্থরক্ষা। 
(খ ) কলকাতার ব্রিটিশ আমলাতন্ত্র ও লন্ডনের ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটির সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ গড়ে তোলা। 
(গ ) ভারতের সর্বত্র চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রচলনের দাবী জানানো। 
(ঘ ) রাজস্ব সংস্কারের জন্য আন্দোলন করা - ইত্যাদি। 
    
৩.১৪. আনন্দমঠ কে , কোন বিদ্রোহের পটভূমিকায় রচনা করেন ? 
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় , সন্ন্যাসী ফকির বিদ্রোহের পটভূমিকায়। 
 
৩.১৫. গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের দুটি ব্যঙ্গচিত্রের নাম লেখো।  
খল ব্রাহ্মণ ও জাতাসুর। 

PAGE : 149 ( Simlapal M.M. High School ) 

৩.৯. মহারানির ঘোষণাপত্রের তাৎপর্য কী ? 
১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দের ১ লা নভেম্বর এলাহাবাদের রাজদরবারে মহারানি ভিক্টোরিয়া ভাইসরয় লর্ড ক্যানিং - এর মাধ্যমে এক ঘোষণাপত্রের দ্বারা কোম্পানির ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা ঘোষণা করেন। এর ফলে -  
(ক ) ব্রিটিশ সরকার ভারত শাসন আইন ১৮৫৮ পাস করে। 
(খ ) ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে। 
(গ ) ভারতের শাসনভার মহারানী ভিক্টোরিয়া নিজের হাতে তুলে নেন।
(ঘ ) ঘোষণাপত্র অনুযায়ী ভারতের প্রথম ভাইসরয় হলেন লর্ড ক্যানিং। 

৩.১০. ব্যাঙ্গচিত্র কেন অঙ্কন করা হয় ? 
ব্যঙ্গচিত্রের মাধ্যমে সমাজের প্রচলিত দুর্বলতা , রাজনৈতিক দ্বিচারিতা , রাজনৈতিক - সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যাগুলিকে ব্যাঙ্গের মোড়কে কৌতুক মিশ্রিতভাবে পরিবেশিত করা হয়। যেমন গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্যঙ্গচিত্রের মাধ্যমে ব্রিটিশ অপশাসন , কলকাতার বাবু সম্প্রদায়ের মানুষের ভন্ডামি - ইত্যাদি বিষয়গুলি প্রকাশ করেন। 
  
৩.১২. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গোরা উপন্যাসটি কেন গুরুত্বপূর্ণ ? 
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গোরা উপন্যাসে দেশপ্রেম , অখন্ডতা - ইত্যাদির বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। ধর্ম ও সাম্প্রদায়িকতার মধ্যে দিয়ে উপন্যাসের সূচনা হলেও তার পরিসমাপ্তি ঘটে জাতীয়তাবোধ ও মানবতাবোধের মধ্যে দিয়ে। মানবধর্মকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দিয়ে উপন্যাসটি জাতীয়তাবোধের বিকাশ ঘটিয়েছে।    

PAGE : 151 ( Dum Dum Deshbandhu High School ) 

৩.৯. ঝাঁসির রানি বিখ্যাত কেন ? 
লর্ড ডালহৌসি স্বত্ববিলোপ নীতির মাধ্যমে ঝাঁসি অধিগ্রহণ করলে ঝাঁসির রানি লক্ষীবাঈ কোম্পানির বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করেন। যুদ্ধে অসম সাহস ও বীরত্বের পরিচয় দিয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এজন্য তিনি ভারত ইতিহাসে বিখ্যাত হয়ে আছেন। 
   
৩.১০. শিক্ষিত বাঙালি সমাজ কেন ১৮৫৭ এর বিদ্রোহকে সমর্থন করেননি ? 
সিপাহী বিদ্রোহের সময় এক শ্রেণীর শিক্ষিত বাঙালি মধ্যবিত্ত সম্প্রদায় ইংরেজি শিক্ষার উপর ভিত্তি করে ইংরেজদের অধীনে বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন। তাঁদের আশঙ্কা ছিল যে মহাবিদ্রোহ তাঁদের জীবনের স্থিতিশীলতাকে নষ্ট করে দিতে পারে। তাই তাঁরা মহাবিদ্রোহকে সমর্থন করেননি। 
    
৩.১১. মহারানির ঘোষণাপত্র কাকে বলা হয় ? 
১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দের ১ লা নভেম্বর এলাহাবাদের রাজদরবারে মহারানি ভিক্টোরিয়া ভাইসরয় লর্ড ক্যানিং - এর মাধ্যমে এক ঘোষণাপত্রের দ্বারা কোম্পানির ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা ঘোষণা করেন। এর ফলে -  
(ক ) ব্রিটিশ সরকার ভারত শাসন আইন ১৮৫৮ পাস করে। 
(খ ) ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে। 
(গ ) ভারতের শাসনভার মহারানী ভিক্টোরিয়া নিজের হাতে তুলে নেন।
(ঘ ) ঘোষণাপত্র অনুযায়ী ভারতের প্রথম ভাইসরয় হলেন লর্ড ক্যানিং। 

৩.১২. কী উদ্দেশ্যে হিন্দুমেলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ? 
১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে নবগোপাল মিত্রের উদ্যোগে হিন্দুমেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। এর উদ্দেশ্যগুলি ছিল - 
(ক ) হিন্দু ধর্মের অতীত গৌরব ও মর্যাদার প্রচার। 
(খ ) দেশীয় ভাষাগুলির প্রচার ঘটানো। 
(গ ) ভারতে পাশ্চাত্য সভ্যতার প্রসার রোধ করা - ইত্যাদি। 

PAGE : 154 ( Sarisha Ramkrishna Mission ) 

৩.৯. উনিশ শতককে সভা সমিতির যুগ বলা হয় কেন ? 
উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে শিক্ষার প্রসার , সমাজ সংস্কার ইত্যাদির ভিত্তিতে ভারতে বিভিন্ন সভা সমিতি গড়ে উঠতে থাকে। যেমন - বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা , ভারতসভা , জমিদার সভা , জাতীয় কংগ্রেস - ইত্যাদি। তাই উনিশ শতককে ঐতিহাসিক অনিল শীল ' সভা সমিতির যুগ ' বলে অভিহিত করেছেন। 

৩.১০. জমিদার সভার লক্ষ্য কী ছিল ? 
১৮৩৮ খ্রিস্টাব্দের ১৯ শে মার্চ দ্বারকানাথ ঠাকুর ও রাধাকান্ত দেবের সভাপতিত্বে জমিদার সভা প্রতিষ্ঠিত হয়। এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলি ছিল - 
(ক ) জমিদার শ্রেণীর স্বার্থরক্ষা। 
(খ ) কলকাতার ব্রিটিশ আমলাতন্ত্র ও লন্ডনের ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটির সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ গড়ে তোলা। 
(গ ) ভারতের সর্বত্র চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রচলনের দাবী জানানো। 
(ঘ ) রাজস্ব সংস্কারের জন্য আন্দোলন করা - ইত্যাদি। 
    
৩.১১. রবীন্দ্রনাথের গোরা উপন্যাসের লক্ষ্য কী ছিল ? 
(ক ) উপন্যাসের নায়ক গোরার সঙ্গে শহরের নাগরিক সমাজ , বস্তি ও পল্লীসমাজের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা। 
(খ ) আচার সর্বস্ব হিন্দুধর্মের প্রকৃত স্বরূপ তুলে ধরা। 
(গ ) সবকিছুর উর্দ্ধে মানবধর্মকে প্রতিষ্ঠা করা। 
 
৩.১২. মহাবিদ্রোহকে কেন সামন্ততন্ত্রের মৃত্যুকালীন আর্তনাদ বলা হয় ?  
মহাবিদ্রোহের মাধ্যমে ভারতের সামন্ত শ্রেণী তাদের হৃত রাজ্য পুনরুদ্ধার , বন্ধ হয়ে যাওয়া রাজন্যভাতার পুনঃপ্রচলন - ইত্যাদি বাস্তবায়িত করতে চেয়েছিলেন। যেমন লক্ষীবাঈ ঝাঁসি পুনরুদ্ধার করতে চেয়েছিলেন , হজরতমহল অযোধ্যা পুনরুদ্ধার করতে চেয়েছিলেন। এই কারণে রজনীপাম দত্ত , রমেশচন্দ্র মজুমদার - প্রমুখ মহাবিদ্রোহকে সামন্তশ্রেণীর বিদ্রোহ বলে অভিহিত করেছেন। 

PAGE : 156 ( Hindu School ) 

৩.৯. উনিশ শতককে সভা সমিতির যুগ কেন বলা হয় ? 
উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে শিক্ষার প্রসার , সমাজ সংস্কার ইত্যাদির ভিত্তিতে ভারতে বিভিন্ন সভা সমিতি গড়ে উঠতে থাকে। যেমন - বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা , ভারতসভা , জমিদার সভা , জাতীয় কংগ্রেস - ইত্যাদি। তাই উনিশ শতককে ঐতিহাসিক অনিল শীল ' সভা সমিতির যুগ ' বলে অভিহিত করেছেন। 

৩.১০. হিন্দু মেলার লক্ষ্য কী ছিল ? 
১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে নবগোপাল মিত্রের উদ্যোগে হিন্দুমেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলি ছিল - 
(ক ) হিন্দু ধর্মের অতীত গৌরব ও মর্যাদার প্রচার। 
(খ ) দেশীয় ভাষাগুলির প্রচার ঘটানো। 
(গ ) ভারতে পাশ্চাত্য সভ্যতার প্রসার রোধ করা - ইত্যাদি। 

৩.১১. ইলবার্ট বিল কী ? 
লর্ড রিপনের পরামর্শে তাঁর আইনসচিব ইলবার্ট একটি আইন রচনা করেন। এই আইন অনুসারে ভারতীয় বিচারকেরা ইংরেজ তথা শ্বেতাঙ্গদের বিচার করার অধিকার লাভ করে। একেই ইলবার্ট বিল বলে। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য ইতিপূর্বে ভারতীয় বিচারকেরা ব্রিটিশদের বিচার করতে পারত না। 

৩.১২. ভারতমাতার চিত্রের বৈশিষ্ট কী ? 
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভারতমাতা - চিত্রটির বৈশিষ্টগুলি ছিল - 
(ক ) চিত্রটি হিন্দু দেবী লক্ষীর অনুকরণে অঙ্কিত। 
(খ ) চিত্রটিতে ভারতমাতা চতুর্ভুজা। 
(গ ) চিত্রটিতে ভারতমাতা বৈষ্ণব সন্যাসিনীর পোশাকে আবৃতা। 
(ঘ ) ভারতমাতার চারটি হাত এবং সেই চারটি হাতে রয়েছে - বেদ , ধানের শীষ , জপের মালা ও শ্বেতবস্ত্র।

PAGE : 159 ( Burnpur Subhaspalli Vidyaniketan ) 

৩.৯. বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভার উদ্দেশ্য কী ছিল ? 
১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দের ৮ ই নভেম্বর গৌরীশঙ্কর তর্কবাগীশের সভাপতিত্বে বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভার প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল রাজনৈতিক বিষয়গুলি নিয়ে আলাপ - আলোচনা ও বিচার বিশ্লেষণ করা। 
 
৩.১০. জমিদার সভার দুটি সীমাবদ্ধতা লেখো। 
(ক ) শুধুমাত্র জমিদারদের স্বার্থরক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়ায় জমিদার সভার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল সংকীর্ণ ও সীমিত। 
(খ ) জমিদার সভার একটি প্রধান দাবী ছিল চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের প্রচলন। এই ধরণের আদর্শ সামন্ততান্ত্রিক প্রসারে অনুকূল হতে পারত। 
 
৩.১১. মহারানীর ঘোষণাপত্র কী ? 
১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দের ১ লা নভেম্বর এলাহাবাদের রাজদরবারে মহারানি ভিক্টোরিয়া ভাইসরয় লর্ড ক্যানিং - এর মাধ্যমে এক ঘোষণাপত্রের দ্বারা কোম্পানির ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা ঘোষণা করেন। এর ফলে -  
(ক ) ব্রিটিশ সরকার ভারত শাসন আইন ১৮৫৮ পাস করে। 
(খ ) ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে। 
(গ ) ভারতের শাসনভার মহারানী ভিক্টোরিয়া নিজের হাতে তুলে নেন।
(ঘ ) ঘোষণাপত্র অনুযায়ী ভারতের প্রথম ভাইসরয় হলেন লর্ড ক্যানিং। 

৩.১২. মঙ্গল পান্ডে কেন স্মরণীয় ?  
মঙ্গল পান্ডে ছিলেন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পনির ৩৪ নং বেঙ্গল আর্মির একজন সিপাহি। ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৯ শে মার্চ তিনি এনফিল্ড রাইফেলে টোটা ব্যবহারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করেন ও ইংরেজ অফিসারকে আক্রমণ করেন। এর ফলে সরকার তাঁকে ফাঁসি দেয়। তিনিই ছিলেন মহাবিদ্রোহের প্রথম শহীদ। 

PAGE : 161 ( Soluadanga High School ) 

৩.৭. ভারতসভা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যগুলি কী ছিল ? 
১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দের ২৬ শে জুলাই কলকাতার অ্যালবার্ট হলে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে ভারতসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। এর উদ্দেশ্যগুলি ছিল - 
(ক ) ভারতীয় জনগণকে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে সংগঠিত করা। 
(খ ) হিন্দু ও মুসলিমের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করে তা ব্রিটিশ বিরোধিতায় পরিচালিত করা। 
(গ ) শিক্ষিত ভারতীয়দের মধ্যে রাজনৈতিক চেতনার প্রসার ঘটানো। 
(ঘ ) ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে ভারতীয়দের দাবী দাওয়া আদায় করা - ইত্যাদি।      

৩.৮. ব্যাঙ্গচিত্র কী ? 
ব্যঙ্গচিত্রের মাধ্যমে সমাজের প্রচলিত দুর্বলতা , রাজনৈতিক দ্বিচারিতা , রাজনৈতিক - সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যাগুলিকে ব্যাঙ্গের মোড়কে কৌতুক মিশ্রিতভাবে পরিবেশিত করা হয়। যেমন গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্যঙ্গচিত্রের মাধ্যমে ব্রিটিশ অপশাসন , কলকাতার বাবু সম্প্রদায়ের মানুষের ভন্ডামি - ইত্যাদি বিষয়গুলি প্রকাশ করেন। 
  
৩.১৩. বন্দেমাতরম সংগীতটি বিখ্যাত কেন ? 
(ক ) বঙ্কিমচন্দ্র বন্দেমাতরম সংগীতে দেশমাতৃকাকে বন্দনা করে জাতীয়তাবোধের বিকাশ ঘটিয়েছিলেন। 
(খ ) পরবর্তীকালে সংগীতটি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মন্ত্রে পরিণত হয়। 
(গ ) স্বাধীন ভারতে এটি জাতীয় সংগীতের মর্যাদা লাভ করে। 
   
৩.১৪. গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর বিখ্যাত কেন ?    
(ক ) ভারতীয়দের মধ্যে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর সর্বপ্রথম ব্যঙ্গচিত্রের প্রয়োগের মাধ্যমে ব্রিটিশ অপশাসন ও ভারতীয় সমাজের দুর্বলতাগুলো জনসমক্ষে তুলে ধরে জাতীয়তাবোধের বিকাশ ঘটান। তাই গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ভারতীয় ব্যঙ্গচিত্রের জনক বলা হয়। তাঁর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ব্যাঙ্গচিত্র হল - খল ব্রাহ্মণ , জাতাসুর - ইত্যাদি।    
(খ ) তিনি অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে যৌথভাবে ' ইন্ডিয়ান সোসাইটি অব ওরিয়েন্টাল আর্ট ' প্রতিষ্ঠা করেন। 

PAGE : 164 ( Maharaja Nripendra Narayan High School ) 

9. আনন্দমঠ উপন্যাস কীভাবে জাতীয়তাবাদী ভাবধারাকে উদ্দীপ্ত করেছিল ? 
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত আনন্দমঠ উপন্যাসের মধ্যে দিয়ে প্রবলভাবে জাতীয়তাবোধের বিকাশ ঘটে। এই উপন্যাসে ব্যবহৃত বন্দেমাতরম সংগীতটি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মূলমন্ত্রে পরিণত হয়। পরাধীন ভারতের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে , ইংরেজ শাসনের প্রকৃত স্বরূপ তুলে ধরে তিনি ভারতীয়দের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। 
   
10. ইংরেজরা কেন ইলবার্ট বিলের বিরোধিতা করেছিলেন ? 
১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দের ইলবার্ট বিলের মাধ্যমে ভারতীয় বিচারকেরা ইউরোপীয়দের বিচারের অধিকার পায়। কিন্তু ইংরেজরা এর বিরোধিতা করতে শুরু করে। কেননা , 
(ক ) ইংরেজরা ভারতীয় বিচারকদের সামনে বিচার প্রার্থী হতে রাজি ছিল না। ইলবার্ট বিল ছিল তাদের জাত্যাভিমানের প্রতি আঘাত। 
(খ ) ইউরোপীয়রা বিশ্বাস করতো যে , ইউরোপীয়দের বিচার করার দক্ষতা ভারতীয় বিচারকদের নেই। 
    
11. হিন্দুমেলার ঐতিহাসিক গুরুত্ব কী ? 
১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে নবগোপাল মিত্রের উদ্যোগে হিন্দুমেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। হিন্দু ধর্মের অতীত গৌরব ও মর্যাদার প্রচার , দেশীয় ভাষাগুলির প্রচার ঘটানো , ভারতে পাশ্চাত্য সভ্যতার প্রসার রোধ করা - ইত্যাদির মাধ্যমে ভারতীয় জাতীয়তাবাদী ভাবধারা ও ভারতীয় সংস্কৃতির প্রসারের চেষ্টা করে।   

12. শিক্ষিত বাঙালি সমাজ কেন 1857 - এর বিদ্রোহকে সমর্থন করেননি ?   
সিপাহী বিদ্রোহের সময় এক শ্রেণীর শিক্ষিত বাঙালি মধ্যবিত্ত সম্প্রদায় ইংরেজি শিক্ষার উপর ভিত্তি করে ইংরেজদের অধীনে বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন। তাঁদের আশঙ্কা ছিল যে মহাবিদ্রোহ তাঁদের জীবনের স্থিতিশীলতাকে নষ্ট করে দিতে পারে। তাই তাঁরা মহাবিদ্রোহকে সমর্থন করেননি। 

PAGE : 166 ( Garhbeta Umadavi Girls' High School ) 

৩.৯. মঙ্গল পান্ডে কে ছিলেন ? 
মঙ্গল পান্ডে ছিলেন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পনির ৩৪ নং বেঙ্গল আর্মির একজন সিপাহি। ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৯ শে মার্চ তিনি এনফিল্ড রাইফেলে টোটা ব্যবহারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করেন ও ইংরেজ অফিসারকে আক্রমণ করেন। এর ফলে সরকার তাঁকে ফাঁসি দেয়। তিনিই ছিলেন মহাবিদ্রোহের প্রথম শহীদ। 

৩.১০. মহারানীর ঘোষণাপত্রের দুটি উল্লেখযোগ্য ঘোষণার উল্লেখ কর। 
১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দের ১ লা নভেম্বর এলাহাবাদের রাজদরবারে মহারানি ভিক্টোরিয়া ভাইসরয় লর্ড ক্যানিং - এর মাধ্যমে এক ঘোষণাপত্রের দ্বারা কোম্পানির ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা ঘোষণা করেন। এর ফলে -  
(ক ) ব্রিটিশ সরকার ভারত শাসন আইন ১৮৫৮ পাস করে। 
(খ ) ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে। 
(গ ) ভারতের শাসনভার মহারানী ভিক্টোরিয়া নিজের হাতে তুলে নেন।
(ঘ ) ঘোষণাপত্র অনুযায়ী ভারতের প্রথম ভাইসরয় হলেন লর্ড ক্যানিং। 

৩.১১. ভারতমাতা চিত্রের বৈশিষ্ট কী ছিল ? 
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভারতমাতা - চিত্রটির বৈশিষ্টগুলি ছিল - 
(ক ) চিত্রটি হিন্দু দেবী লক্ষীর অনুকরণে অঙ্কিত। 
(খ ) চিত্রটিতে ভারতমাতা চতুর্ভুজা। 
(গ ) চিত্রটিতে ভারতমাতা বৈষ্ণব সন্যাসিনীর পোশাকে আবৃতা। 
(ঘ ) ভারতমাতার চারটি হাত এবং সেই চারটি হাতে রয়েছে - বেদ , ধানের শীষ , জপের মালা ও শ্বেতবস্ত্র।

৩.১২. সভা সমিতির যুগ বলতে কী বোঝ ? 
উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে শিক্ষার প্রসার , সমাজ সংস্কার ইত্যাদির ভিত্তিতে ভারতে বিভিন্ন সভা সমিতি গড়ে উঠতে থাকে। যেমন - বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা , ভারতসভা , জমিদার সভা , জাতীয় কংগ্রেস - ইত্যাদি। তাই উনিশ শতককে ঐতিহাসিক অনিল শীল ' সভা সমিতির যুগ ' বলে অভিহিত করেছেন। 

PAGE : 169 ( Hasimnagar High School ) 

৩.৯. হিন্দুমেলা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যগুলি কী ছিল ? 
১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে নবগোপাল মিত্রের উদ্যোগে হিন্দুমেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলি ছিল - 
(ক ) হিন্দু ধর্মের অতীত গৌরব ও মর্যাদার প্রচার। 
(খ ) দেশীয় ভাষাগুলির প্রচার ঘটানো। 
(গ ) ভারতে পাশ্চাত্য সভ্যতার প্রসার রোধ করা - ইত্যাদি। 

৩.১০. মহারানীর ঘোষণাপত্রের দুটি উল্লেখযোগ্য ঘোষণার উল্লেখ করো। 
১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দের ১ লা নভেম্বর এলাহাবাদের রাজদরবারে মহারানি ভিক্টোরিয়া ভাইসরয় লর্ড ক্যানিং - এর মাধ্যমে এক ঘোষণাপত্রের দ্বারা কোম্পানির ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা ঘোষণা করেন। এর ফলে -  
(ক ) ব্রিটিশ সরকার ভারত শাসন আইন ১৮৫৮ পাস করে। 
(খ ) ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে। 
(গ ) ভারতের শাসনভার মহারানী ভিক্টোরিয়া নিজের হাতে তুলে নেন।
(ঘ ) ঘোষণাপত্র অনুযায়ী ভারতের প্রথম ভাইসরয় হলেন লর্ড ক্যানিং। 

৩.১১. বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভার দুটি উল্লেখযোগ্য কার্যাবলী উল্লেখ করো। 
(ক ) ১৮২৮ সালে প্রবর্তিত রেগুলেশন অ্যাক্ট প্রবর্তন করে নিস্কর জমির ওপর কর আরোপ করলে বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা এর প্রতিবাদ জানায়। 
(খ ) ভারতীয়দের স্বার্থের সাথে জড়িত রাজনৈতিক বিষয়গুলি নিয়ে আলাপ আলোচনা করে রাজনৈতিক সচেতনতার বিস্তার ঘটিয়েছিল।  
 
৩.১২. ইলবার্ট বিল কী ? 
লর্ড রিপনের পরামর্শে তাঁর আইনসচিব ইলবার্ট একটি আইন রচনা করেন। এই আইন অনুসারে ভারতীয় বিচারকেরা ইংরেজ তথা শ্বেতাঙ্গদের বিচার করার অধিকার লাভ করে। একেই ইলবার্ট বিল বলে। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য ইতিপূর্বে ভারতীয় বিচারকেরা ব্রিটিশদের বিচার করতে পারত না। 

PAGE : 171 ( The Path Bhavan ) 

৩.৯. ইলবার্ট বিল কী ? 
লর্ড রিপনের পরামর্শে তাঁর আইনসচিব ইলবার্ট একটি আইন রচনা করেন। এই আইন অনুসারে ভারতীয় বিচারকেরা ইংরেজ তথা শ্বেতাঙ্গদের বিচার করার অধিকার লাভ করে। একেই ইলবার্ট বিল বলে। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য ইতিপূর্বে ভারতীয় বিচারকেরা ব্রিটিশদের বিচার করতে পারত না। 

৩.১০. গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর কীভাবে ঔপনিবেশিক সমাজের সমালোচনা করেছিলেন ? 
(ক ) বিভিন্ন কুসংস্কার , ধর্মীয় গোঁড়ামি , জাতপাত , কলকাতার বাবু সম্প্রদায়ের বিলাসিতা - ইত্যাদি বিষয়গুলিকে ব্যাঙ্গাত্মক চিত্রের মাধ্যমে সমাজের সামনে তুলে ধরেন। 
(খ ) ঔপনিবেশিক শাসনের সমালোচনা , শাসকের শোষণ - ইত্যাদি রাজনৈতিক বিষয়গুলিকে তুলে ধরে প্রতিবাদ জ্ঞাপন করেন।
 
৩.১১. ভারত সভার দুটি কার্যাবলী লেখো। 
(ক ) সরকার সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার বয়সসীমা ২১ থেকে কমিয়ে ১৯ বছর করলে ভারত সভা এর বিরোধিতা করে এবং ভারতেও সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা প্রবর্তনের দাবী করে। 
(খ ) লর্ড লিটনের আমলে প্রবর্তিত অস্ত্র আইন ও দেশীয় ভাষায় সংবাদপত্র আইনের বিরুদ্ধে ভারতসভা আন্দোলন সংগঠিত করে। 
   
৩.১২. বাংলার বাইরে দুটি রাজনৈতিক সমিতির নাম লেখো। 
(ক ) দাদাভাই নৌরজি কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বোম্বাই অ্যাসোসিয়েশন , 
(খ ) গোপাল হরি দেশমুখ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত পুণা সার্বজনিক সভা। 

PAGE : 174 ( Madpur Balika Vidyalaya ) 

৩.৪. ভারতসভা প্রতিষ্ঠার দুটি উদ্দেশ্য উল্লেখ করো। 
১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দের ২৬ শে জুলাই কলকাতার অ্যালবার্ট হলে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে ভারতসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। এর উদ্দেশ্যগুলি ছিল - 
(ক ) ভারতীয় জনগণকে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে সংগঠিত করা। 
(খ ) হিন্দু ও মুসলিমের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করে তা ব্রিটিশ বিরোধিতায় পরিচালিত করা। 
(গ ) শিক্ষিত ভারতীয়দের মধ্যে রাজনৈতিক চেতনার প্রসার ঘটানো। 
(ঘ ) ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে ভারতীয়দের দাবী দাওয়া আদায় করা - ইত্যাদি।      

৩.৭. উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধকে সভা সমিতির যুগ বলা হয় কেন ? 
উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে শিক্ষার প্রসার , সমাজ সংস্কার ইত্যাদির ভিত্তিতে ভারতে বিভিন্ন সভা সমিতি গড়ে উঠতে থাকে। যেমন - বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা , ভারতসভা , জমিদার সভা , জাতীয় কংগ্রেস - ইত্যাদি। তাই উনিশ শতককে ঐতিহাসিক অনিল শীল ' সভা সমিতির যুগ ' বলে অভিহিত করেছেন। 

৩.১২. গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর স্মরণীয় কেন ? 
(ক ) ভারতীয়দের মধ্যে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর সর্বপ্রথম ব্যঙ্গচিত্রের প্রয়োগের মাধ্যমে ব্রিটিশ অপশাসন ও ভারতীয় সমাজের দুর্বলতাগুলো জনসমক্ষে তুলে ধরে জাতীয়তাবোধের বিকাশ ঘটান। তাই গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ভারতীয় ব্যঙ্গচিত্রের জনক বলা হয়। তাঁর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ব্যাঙ্গচিত্র হল - খল ব্রাহ্মণ , জাতাসুর - ইত্যাদি।    
(খ ) তিনি অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে যৌথভাবে ' ইন্ডিয়ান সোসাইটি অব ওরিয়েন্টাল আর্ট ' প্রতিষ্ঠা করেন। 

৩.১৩. আনন্দমঠ উপন্যাস কীভাবে জাতীয়তাবাদী ভাবধারাকে উদ্দীপ্ত করেছিল ? 
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত আনন্দমঠ উপন্যাসের মধ্যে দিয়ে প্রবলভাবে জাতীয়তাবোধের বিকাশ ঘটে। এই উপন্যাসে ব্যবহৃত বন্দেমাতরম সংগীতটি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মূলমন্ত্রে পরিণত হয়। পরাধীন ভারতের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে , ইংরেজ শাসনের প্রকৃত স্বরূপ তুলে ধরে তিনি ভারতীয়দের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। 
   
PAGE : 176 ( পলাশন মৃণালিনী মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় ) 

৩.৯. উনিশ শতককে সভা সমিতির যুগ বলা হয় কেন ? 
উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে শিক্ষার প্রসার , সমাজ সংস্কার ইত্যাদির ভিত্তিতে ভারতে বিভিন্ন সভা সমিতি গড়ে উঠতে থাকে। যেমন - বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা , ভারতসভা , জমিদার সভা , জাতীয় কংগ্রেস - ইত্যাদি। তাই উনিশ শতককে ঐতিহাসিক অনিল শীল ' সভা সমিতির যুগ ' বলে অভিহিত করেছেন। 

৩.১০. জমিদার সভার উদ্দেশ্য কী ছিল ? 
১৮৩৮ খ্রিস্টাব্দের ১৯ শে মার্চ দ্বারকানাথ ঠাকুর ও রাধাকান্ত দেবের সভাপতিত্বে জমিদার সভা প্রতিষ্ঠিত হয়। এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলি ছিল - 
(ক ) জমিদার শ্রেণীর স্বার্থরক্ষা। 
(খ ) কলকাতার ব্রিটিশ আমলাতন্ত্র ও লন্ডনের ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটির সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ গড়ে তোলা। 
(গ ) ভারতের সর্বত্র চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রচলনের দাবী জানানো। 
(ঘ ) রাজস্ব সংস্কারের জন্য আন্দোলন করা - ইত্যাদি। 

৩.১১. ইলবার্ট বিল কী ? 
লর্ড রিপনের পরামর্শে তাঁর আইনসচিব ইলবার্ট একটি আইন রচনা করেন। এই আইন অনুসারে ভারতীয় বিচারকেরা ইংরেজ তথা শ্বেতাঙ্গদের বিচার করার অধিকার লাভ করে। একেই ইলবার্ট বিল বলে। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য ইতিপূর্বে ভারতীয় বিচারকেরা ব্রিটিশদের বিচার করতে পারত না। 

৩.১২. নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন কী ? 
সরকার বিরোধী বিরোধী নাটকের প্রদর্শন বন্ধ করার উদ্দেশ্যে  লর্ড নর্থব্রুক ১৮৭৬ খ্রীষ্টাব্দের ১৪ই মার্চ 'নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন' প্রণয়ন করেন। এই আইনের মাধ্যমে পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত প্রকাশ্য মঞ্চে নাট্যাভিনয় করা যাবে না এবং নাটকগুলি কোনভাবেই যেন সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট না করে - তা কঠোরভাবে পালন করতে হবে।  

Share
Tweet
Pin
Share
No comments

WBBSE TEST PAPERS HISTORY 3RD CHAPTER 2 MARK SOLVED ( 2022) 

এখানে WBBSE Test Papers 2022 এর ২ মার্কের প্রশ্নগুলির সমাধান দেওয়া হয়েছে। সমগ্র টেস্ট পেপারটিতে তৃতীয় অধ্যায় থেকে যেসকল ২ মার্কের প্রশ্ন পাওয়া গেছে সেগুলির উপযুক্ত উত্তর দেওয়া হয়েছে।   

  
PAGE : 137 ( Sishutirtha Sukanta Vidyaniketan ) 

৩.৭. সন্ন্যাসী - ফকির বিদ্রোহ কেন ব্যর্থ হয়েছিল ? 
(ক ) সন্ন্যাসী - ফকির বিদ্রোহের প্রথম সারির নেতা মজনু শাহ ও মুশা শাহের মৃত্যুর পর পরবর্তী নেতৃবৃন্দের অযোগ্যতা ও অনৈক্য বিদ্রোহকে দুর্বল করে দেয়। 
(খ ) ইংরেজ সরকার এই বিদ্রোহ দমন করতে কঠোর নীতি গ্রহণ করেন। সুসজ্জিত ও আধুনিক মারণাস্ত্রে সজ্জিত সামরিক বাহিনীর কাছে বিদ্রোহীদের পরাজয় অবধারিত ছিল। 
(গ ) সন্ন্যাসী - ফকির বিদ্রোহীদের নির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা এবং বিদ্রোহ পরিচালনার কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না। 

৩.৮. নীল চাষিদের উপর নীলকরদের অত্যাচার সংক্ষেপে লেখো। 
(ক ) নীলকর সাহেবরা কৃষকদের নীলচাষ করতে বাধ্য করতো। 
(খ ) নীলচাষ করতে রাজি না হলে - জমি কেড়ে নেওয়া , বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া , ফসল কেড়ে নেওয়া , গবাদি পশু কেড়ে নেওয়া , চাষিদের বেঁধে রাখা ও শারীরিক অত্যাচার করা এমনকি হত্যা পর্যন্ত করা হত। 

PAGE : 139 ( Nirobala Smriti Girl's High School ) 

৩.৭. ভারতে ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠার পর সংগঠিত উল্লেখযোগ্য কৃষক ও উপজাতি বিদ্রোহগুলির নাম লেখো। 
ভারতে ব্রিটিশ শাসন প্রবর্তিত হওয়ার পর সংগঠিত উল্লেখযোগ্য কৃষক ও উপজাতি বিদ্রোহগুলি হল - চুয়াড় বিদ্রোহ , সন্ন্যাসী - ফকির বিদ্রোহ , কোল বিদ্রোহ , ভিল বিদ্রোহ , রংপুর বিদ্রোহ , ফরাজি ও ওয়াহাবি আন্দোলন , পাগলপন্থীদের বিদ্রোহ , পাবনার কৃষক বিদ্রোহ , মুন্ডা বিদ্রোহ , সাঁওতাল বিদ্রোহ ও নীল বিদ্রোহ - ইত্যাদি। 

৩.৮. ছোটনাগপুর প্রজাস্বত্ব আইন কী ? 
মুন্ডা বিদ্রোহের পর ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে '' ছোটনাগপুর প্রজাস্বত্ব আইন '' বা '' ছোটনাগপুর টেন্যান্সি অ্যাক্ট '' পাস হয়। এই আইনের মাধ্যমে (ক ) মুন্ডাদের খুঁৎকাঠি প্রথা স্বীকার করে নেওয়া হয়। (খ ) তাঁদের জমি থেকে উচ্ছেদ ও বেগার শ্রম নিষিদ্ধ হয়।  

PAGE : 142 ( Raina Jagatmata Balika Vidayalaya ) 

৩.৭. ঔপনিবেশিক অরণ্য আইনের উদ্দেশ্য কী ছিল ? 
১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে প্রথম ও ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় অরণ্য আইন প্রবর্তিত হয়। ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক ঔপনিবেশিক অরণ্য আইন প্রবর্তনের উদ্দেশ্যগুলি ছিল - 
(ক ) ভারতের অরণ্য অঞ্চলের উপর ব্রিটিশ প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা। 
(খ ) বনাঞ্চলগুলিকে রাজস্বের আওতায় নিয়ে আসা। 
(গ ) রেললাইন ও জাহাজের জন্য প্রয়োজনীয় কাঠ সংগ্রহ করা। 
(ঘ ) ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ব বৃদ্ধি করা। 

৩.৮. ওয়াহাবি আন্দোলনের প্রকৃতি কী ছিল ? 
ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদার প্রমুখের মতে , তিতুমীরের নেতৃত্বাধীন ওয়াহাবি আন্দোলন ছিল সাম্প্রদায়িক কেননা তাঁদের বিরোধিতার মূল লক্ষ্য ছিল হিন্দু জমিদার ও মহাজন বিরোধিতা। 
কিন্তু ঐতিহাসিক উইলিয়াম হান্টার , বিনয়ভূষণ চৌধুরী প্রমুখের মতে ওয়াহাবি আন্দোলন ছিল জমিদার ও মহাজনদের শোষণ ও ব্রিটিশ অত্যাচারের বিরুদ্ধে। আপাত দৃষ্টিতে ওয়াহাবি আন্দোলনকে হিন্দু বিরোধী মনে হলেও তা ছিল রাজনৈতিকভাবে সংগঠিত কৃষক সংগ্রাম। 

PAGE : 144 ( Malatipur R.K. Girls' High School ) 

৩.৭. তিতুমীরের প্রধানমন্ত্রী ও সেনাপতির নাম কী ? 
তিতুমীরের প্রধানমন্ত্রী মইনুদ্দিন ও প্রধান সেনাপতি গোলাম মাসুম। 

৩.৮. খুঁৎকাঠি কী ? 
খুঁৎকাঠি কথার অর্থ জমির যৌথ মালিকানা। মুন্ডা অধিবাসীরা যৌথভাবে জমির মালিকানা ভোগ করতো এবং উৎপাদিত দ্রব্যের উপর সকলের অধিকার প্রচলিত ছিল। মুন্ডা সমাজে প্রচলিত এই প্রথার নাম ছিল খুঁৎকাঠি প্রথা। 

PAGE : 146 ( সপ্তগ্রাম কিশোর ভারতী গার্লস হাই স্কুল ) 

৩.৭. খুঁৎকাঠি কী ? 
খুঁৎকাঠি কথার অর্থ জমির যৌথ মালিকানা। মুন্ডা অধিবাসীরা যৌথভাবে জমির মালিকানা ভোগ করতো এবং উৎপাদিত দ্রব্যের উপর সকলের অধিকার প্রচলিত ছিল। মুন্ডা সমাজে প্রচলিত এই প্রথার নাম ছিল খুঁৎকাঠি প্রথা। 

৩.৮. দাদন কী ? 
দাদন কথার অর্থ অগ্রিম অর্থ প্রদান। ইংরেজরা ভারতীয় কৃষকদেরকে দাদন প্রদান করে অগ্রিম অর্থ ও তার সুদ বাবদ কৃষকদেরকে অতি অল্প মূল্যে ফসল বিক্রি করতে বাধ্য করতেন। এই প্রথা সর্বাধিক প্রচলিত ছিল নীলচাষের ক্ষেত্রে। 

৩.৯. দুজন সাঁওতাল বিদ্রোহের নেতার নাম লেখো। 
১৮৫৫ সালের জুন মাসে সাঁওতাল বিদ্রোহ সংগঠিত হয়। এই বিদ্রোহের অন্যতম নেতৃত্ব ছিলেন - সিধু , কানু , চাঁদ , ভৈরব , ডোমন মাঝি , কালো প্রামাণিক , বীর সিং - প্রমুখ। 

PAGE : 149 ( Simlapal M.M. High School ) 

৩.৭. দুঁদুমিঞা স্মরণীয় কেন ? 
দুঁদুমিঞার প্রকৃত নাম মহম্মদ মহসিন। ভারতে ফরাজি আন্দোলনের প্রবর্তক হাজি শরিয়তউল্লাহের মৃত্যুর পর দুঁদুমিঞা ফরাজি আন্দোলন পরিচালনা করেন। ফরাজি আন্দোলন মূলতঃ ধর্মীয় শুদ্ধিকরণের আন্দোলন হলেও দুঁদুমিঞার নেতৃত্বে জমিদার , মহাজন , নীলকরদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন পরিচালিত হয়। ফলে হিন্দুরাও এই আন্দোলনে যোগদান করেন। এছাড়াও দুঁদুমিঞা সমগ্র বাংলা জুড়ে এক সুগঠিত প্রশাসনিক ব্যবস্থার প্রচলন করেন। 

৩.৮. বারাসাত বিদ্রোহে তিতুমীরের লক্ষ্য কী ছিল ?  
(ক) ভারতকে দার - উল - ইসলাম বা ইসলামের পবিত্র ভূমিতে পরিণত করা। 
(খ) স্থানীয় জমিদার , মহাজন , নীলকরদের অত্যাচারের বিরোধিতা ও প্রতিবাদ করা। 
(গ ) হজরত মহম্মদ প্রদর্শিত পথে ইসলামের শুদ্ধিকরণ। 
(ঘ ) অত্যাচারী জমিদার কৃষ্ণদেব রায়ের অত্যাচার প্রতিহত করে স্বাধীন সরকার প্রতিষ্ঠা করা। 

PAGE : 151 ( Dum Dum Deshbandhu High School ) 

৩.৭. মুন্ডা বিদ্রোহের প্রধান লক্ষ্য কী ছিল ? 
(ক ) বহিরাগত জমিদার , মহাজন , ঠিকাদারদের জঙ্গলমহল থেকে বিতাড়িত করা। 
(খ ) খ্রিস্টান মিশনারিদের ধর্মান্তরকরণের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা। 
(গ ) অরণ্যের অধিকার ফিরে পাওয়া। 
(ঘ ) বেট - বেগারি প্রথা বন্ধ করা। 
(ঙ ) খুঁৎকাঠি প্রথা ও মুন্ডাদের নিজস্ব রীতিনীতির পুনঃপ্রবর্তন করা - ইত্যাদি। 

৩.৮. ফরাজী আন্দোলনের লক্ষ্য কী ছিল ? 
ভারতে হাজি শরীয়ত উল্লাহের নেতৃত্বে ফরাজী আন্দোলন সংগঠিত হয়। এই আন্দোলনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলি ছিল - 
(ক ) ইসলাম ধর্মে যে ইসলাম বিরোধী কুসংস্কার প্রবেশ করেছে - কোরানের নির্দেশ অনুসারে সেই সকল কুসংস্কারগুলি দূর করে ইসলামের পুনরুজ্জীবন ঘটানো। 
(খ ) বিধর্মী ইংরেজদের বিতাড়িত করে ভারতকে দার - উল - ইসলামে পরিণত করা। 
(গ ) অত্যাচারী জমিদার , মহাজন , নীলকর সাহেবদের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগঠিত করা। 
(ঘ ) কৃষকদের সংগঠিত করে বৃহত্তর আন্দোলন সংগঠিত করা। 

PAGE : 154 ( Sarisha Ramkrishna Mission Sikshamandir ) 

৩.৭. অভ্যুত্থান ও বিদ্রোহের দুটি পার্থক্য লেখো। 
(ক ) বিদ্রোহ সামরিক ও বেসামরিক উভয়ই হতে পারে। কিন্তু অভ্যুত্থান সর্বদা সামরিক হয়ে থাকে। 
(খ ) বিদ্রোহ সংগঠিত হয় দীর্ঘ প্রস্তুতি ও পরিকল্পনার পর। কিন্তু অভ্যুত্থান সাধারণত আকস্মিকভাবে ঘটে। 
(গ ) বিদ্রোহ ব্যক্তিগত বা দলবদ্ধভাবে সংগঠিত হয়। কিন্তু অভ্যুত্থান সমাজের একটি নির্দিষ্ট শ্রেণী বা জাতি - প্রভৃতির দ্বারা সংগঠিত হয়। 

৩.৮. কোল বিদ্রোহের দুটি ফলাফল লেখো। 
(ক ) ব্রিটিশ সরকার ১৮৩৪ খ্রিস্টাব্দে '' দক্ষিণ - পশ্চিম সীমান্ত এজেন্সি '' গঠন করেন। এর মাধ্যমে আদিবাসীদের আইন ও রীতিনীতি কার্যকর হবে বলে ঘোষণা করা হয়। 
(খ ) জমিদারদের হাত থেকে গ্রাম প্রধানদের জমি ফেরত দেওয়া হয় এবং জমিদাররা যাতে আবার জমি দখল করতে না পারে তার ব্যবস্থা করা হয়। 

PAGE : 156 ( Hindu School ) 

৩.৭. মুন্ডা বিদ্রোহের দুটি বৈশিষ্ট লেখো। 
(ক ) মুন্ডা বিদ্রোহ ছিল একটি উপজাতি বিদ্রোহ। মুন্ডারা ঐক্যবদ্ধভাবে মুন্ডারাজ প্রতিষ্ঠার জন্য তথা জঙ্গলমহলে নিজেদের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য বিদ্রোহে সামিল হয়। 
(খ ) খুঁৎকাঠি প্রথার পুনঃপ্রচলন এবং বেট বেগারি বন্ধ করা ছিল বিদ্রোহের অন্যতম দাবী। 
(গ ) মুন্ডা বিদ্রোহে ধর্মীয় প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। বিরসা মুন্ডা একটি নতুন ধর্মমতের প্রবর্তনের মধ্যে দিয়ে মুন্ডাদের ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। 

৩.৮. বারাসাত বিদ্রোহ কাকে বলে ? 
বাংলায় ওয়াহাবি আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা তিতুমীর ওয়াহাবি আন্দোলনকে অত্যাচারী জমিদার , ইংরেজ ও নীলকর বিরোধী আন্দোলনে পরিণত করেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি চব্বিশ পরগনা জেলার বারাসাতের নারকেলবেড়িয়া গ্রামে বাঁশের কেল্লা নির্মাণ করে স্বাধীন সরকার গঠন করেন এবং জমিদার , ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। বারাসাতকে কেন্দ্র করে এই বিদ্রোহ সংগঠিত হয় এবং কালক্রমে তা বাংলার অন্যান্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। 

PAGE : 159 ( Burnpur Subhaspalli Vidyaniketan Girls' ) 

৩.৭. দুঁদুমিঞা স্মরণীয় কেন ? 
দুঁদুমিঞার প্রকৃত নাম মহম্মদ মহসিন। ভারতে ফরাজি আন্দোলনের প্রবর্তক হাজি শরিয়তউল্লাহের মৃত্যুর পর দুঁদুমিঞা ফরাজি আন্দোলন পরিচালনা করেন। ফরাজি আন্দোলন মূলতঃ ধর্মীয় শুদ্ধিকরণের আন্দোলন হলেও দুঁদুমিঞার নেতৃত্বে জমিদার , মহাজন , নীলকরদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন পরিচালিত হয়। ফলে হিন্দুরাও এই আন্দোলনে যোগদান করেন। এছাড়াও দুঁদুমিঞা সমগ্র বাংলা জুড়ে এক সুগঠিত প্রশাসনিক ব্যবস্থার প্রচলন করেন।  

৩.৮. দাদন প্রথা কী ? 
দাদন কথার অর্থ অগ্রিম অর্থ প্রদান। ইংরেজরা ভারতীয় কৃষকদেরকে দাদন প্রদান করে অগ্রিম অর্থ ও তার সুদ বাবদ কৃষকদেরকে অতি অল্প মূল্যে ফসল বিক্রি করতে বাধ্য করতেন। এই প্রথা সর্বাধিক প্রচলিত ছিল নীলচাষের ক্ষেত্রে। 

PAGE : 161 ( Soluadanga High School ) 

৩.৫. চুয়াড় কাদের বলা হয় ? 
বর্তমান মেদিনীপুর , বাঁকুড়া , ধলভূম অঞ্চলে একদল আদিবাসী সম্প্রদায় প্রাচীন পদ্ধতিতে কৃষিকাজ করতেন , পশুশিকার করতেন ও জমিদারদের অধীনে পাইক বা সৈনিকের কাজ করতেন। এঁদের চুয়াড় বলা হত। তবে কোম্পানি জমিদারদের জমি থেকে ক্ষমতাচ্যুত করায় চুয়াড়রা কর্মচ্যুত হয় এবং কোম্পানির নীতির ফলে বনাঞ্চলের ওপর থেকে অধিকার হারায়। ফলে চুয়াড়রা ধলভূমের জমিদার জগন্নাথ সিংহের নেতৃত্বে বিদ্রোহী হয়ে ওঠে। 

৩.৬. ফরাজি আন্দোলন কী ? 
ভারতে হাজি শরীয়ত উল্লাহের নেতৃত্বে ফরাজী আন্দোলন সংগঠিত হয়। এই আন্দোলনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলি ছিল - 
(ক ) ইসলাম ধর্মে যে ইসলাম বিরোধী কুসংস্কার প্রবেশ করেছে - কোরানের নির্দেশ অনুসারে সেই সকল কুসংস্কারগুলি দূর করে ইসলামের পুনরুজ্জীবন ঘটানো। 
(খ ) বিধর্মী ইংরেজদের বিতাড়িত করে ভারতকে দার - উল - ইসলামে পরিণত করা। 
(গ ) অত্যাচারী জমিদার , মহাজন , নীলকর সাহেবদের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগঠিত করা। 
শরিয়তউল্লাহের মৃত্যুর পর দুঁদুমিঞা ফরাজি আন্দোলন পরিচালনা করেন। ফরাজি আন্দোলন মূলতঃ ধর্মীয় শুদ্ধিকরণের আন্দোলন হলেও দুঁদুমিঞার নেতৃত্বে জমিদার , মহাজন , নীলকরদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন পরিচালিত হয়। ফলে হিন্দুরাও এই আন্দোলনে যোগদান করেন। 

PAGE : 164 ( Maharaja Nripendra Narayan High School ) 

5. নীল বিদ্রোহে খ্রিস্টান মিশনারিদের ভূমিকা কীরূপ ছিল ? 
খ্রিস্টান মিশনারিরা বাংলায় নীলচাষীদের উপর নীলকরদের অত্যাচারের বিরোধিতা করেছিলেন। নীল কমিশন গঠিত হলে জেমস লং প্রমুখ খ্রিস্টান মিশনারিরা নীলকরদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। এছাড়াও জেমস লং নীলদর্পণ গ্রন্থটির ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ করে নীলকরদের অত্যাচারের বিরোধিতা করেছিলেন এবং নীলচাষীদের সমর্থন করেছিলেন। 

7. নীলকর কারা ? 
ইংল্যান্ডে শিল্পবিপ্লবের সময়কালে নীলের চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। এইসময় একদল ইংরেজ নীলচাষ করে প্রভূত মুনাফা লাভের উদ্দেশ্যে ভারতে নীলচাষ শুরু করেন এবং নীলকুঠি স্থাপন করেন। কিন্তু কালক্রমে কৃষকেরা নীল চাষ করতে রাজি না হলে তাদের উপর তীব্র অত্যাচার শুরু হয়। এই নীল ব্যবসায়ী ইউরোপীয় সাহেবদের নীলকর বলা হত। 

8. তারিকা - ই - মহম্মদীয়া - র গুরুত্ব লেখো। 
তিতুমীর বাংলায় যে ওয়াহাবি আন্দোলনের সূত্রপাত করেছিলেন তা তারিকা - ই - মহম্মদীয়া - নামে পরিচিত। তাঁর আন্দোলনের গুরুত্বগুলি ছিল - 
(ক ) হিন্দু ও মুসলিম উভয়ই এই আন্দোলনে অংশগ্রহন করায় ধর্মীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়। 
(খ ) বিদ্রোহীরা তীব্রভাবে জমিদার ও মহাজনদের বিরোধিতা করে। ফলে জমিদার ও মহাজনরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। 
(গ ) তবে ভারতকে দার উল ইসলামে পরিণত করার কথা ঘোষণা করলে হিন্দুরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। 

PAGE : 166 ( Garhbeta Umadevi Girls' High School ) 

৩.৭. বিপ্লব বলতে কী বোঝ ? 
বিপ্লব কথার অর্থ হল প্রচলিত ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন। যখন কোনো ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রচলিত ব্যবস্থার দ্রুত ও আমূল পরিবর্তন ঘটে তখন তাকে বিপ্লব বলা যায়। যেমন - ফরাসি বিপ্লব , শিল্পবিপ্লব - ইত্যাদি। 

৩.৮. রানি শিরোমণি কে ছিলেন ? 
রানি শিরোমণি ছিলেন চুয়াড় বিদ্রোহের অন্যতম নেত্রী এবং মেদিনীপুরের রানি। চুয়াড় বিদ্রোহে অংশগ্রহন ও অসামান্যভাবে বিদ্রোহ পরিচালনার জন্য তাঁকে '' মেদিনীপুরের লক্ষীবাঈ '' উপাধিতে ভূষিত করা হয়। 

PAGE : 169 ( Hasimnagar High School ) 

৩.৭. অষ্টাদশ শতকে ব্রিটিশ সরকার কী উদ্দেশ্যে অরণ্যের উপর আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে ? 
১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে প্রথম ও ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় অরণ্য আইন প্রবর্তিত হয়। ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক ঔপনিবেশিক অরণ্য আইন প্রবর্তনের উদ্দেশ্যগুলি ছিল - 
(ক ) ভারতের অরণ্য অঞ্চলের উপর ব্রিটিশ প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা। 
(খ ) বনাঞ্চলগুলিকে রাজস্বের আওতায় নিয়ে আসা। 
(গ ) রেললাইন ও জাহাজের জন্য প্রয়োজনীয় কাঠ সংগ্রহ করা। 
(ঘ ) ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ব বৃদ্ধি করা। 

৩.৮. কারা পাগলাপন্থী নামে পরিচিত ? 
উনবিংশ শতকের প্রথম দিকে ফকির করম শাহ ময়মনসিংহ জেলার শেরপুর পরগনায় গারো অধিবাসীদের মধ্যে এক নতুন ধর্মমত প্রচার করেন। এই ধর্মমতের মূলকথা ছিল মানুষ যেহেতু ঈশ্বরের সৃষ্টি সেহেতু মানুষ কারো অধীনস্থ নয়। এই ধর্মমতের অনুরাগীরা পাগলাপন্থী নামে পরিচিত। 

PAGE : 171 ( The Path Bhavan ) 

৩.৭. বিপ্লব বলতে কী বোঝায় ?   
বিপ্লব কথার অর্থ হল প্রচলিত ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন। যখন কোনো ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রচলিত ব্যবস্থার দ্রুত ও আমূল পরিবর্তন ঘটে তখন তাকে বিপ্লব বলা যায়। যেমন - ফরাসি বিপ্লব , শিল্পবিপ্লব - ইত্যাদি। 

৩.৮. কেনারাম ও বেচারাম কাকে বলা হয় ? 
ছোটনাগপুর অঞ্চল সাঁওতাল অধ্যুষিত এলাকায় বহিরাগত ব্যবসায়ীরা বেশি ওজনের বাটখারা দিয়ে সাঁওতালদের কাছ থেকে কৃষিপণ্য ক্রয় করতো। এই বাটখারা ছিল কেনারাম। আবার তারা কম ওজনের বাটখারা দিয়ে সাঁওতালদের কাছে চিনি , লবণ - ইত্যাদি পণ্য বিক্রয় করতো। এই বিক্রয়ের বাটখারা বেচারাম নামে পরিচিত ছিল।  

PAGE : 174 ( Madpur Balika Vidyalaya ) 

৩,৯. পাইকান জমি কী ? 
চুয়াড়রা জমিদারের লাঠিয়াল বাহিনীতে যোগদান করার দরুন বেতনের পরিবর্তে নির্দিষ্ট পরিমান জমি ভোগ করতো। এই জমি ছিল নিস্কর। এই জমিকে পাইকান জমি বলা হত এবং পাইকান জমির প্রাপকদের পাইক বলা হত। 

৩.১১. মুন্ডা বিদ্রোহের প্রধান লক্ষ্য কী ছিল ? 
(ক ) বহিরাগত জমিদার , মহাজন , ঠিকাদারদের জঙ্গলমহল থেকে বিতাড়িত করা। 
(খ ) খ্রিস্টান মিশনারিদের ধর্মান্তরকরণের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা। 
(গ ) অরণ্যের অধিকার ফিরে পাওয়া। 
(ঘ ) বেট - বেগারি প্রথা বন্ধ করা। 
(ঙ ) খুঁৎকাঠি প্রথা ও মুন্ডাদের নিজস্ব রীতিনীতির পুনঃপ্রবর্তন করা - ইত্যাদি। 

PAGE : 176 ( পলাশন মৃণালিনী মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় ) 

৩.৭. ঔপনিবেশিক অরণ্য আইনের উদ্দেশ্য কী ছিল ?  
১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে প্রথম ও ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় অরণ্য আইন প্রবর্তিত হয়। ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক ঔপনিবেশিক অরণ্য আইন প্রবর্তনের উদ্দেশ্যগুলি ছিল - 
(ক ) ভারতের অরণ্য অঞ্চলের উপর ব্রিটিশ প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা। 
(খ ) বনাঞ্চলগুলিকে রাজস্বের আওতায় নিয়ে আসা। 
(গ ) রেললাইন ও জাহাজের জন্য প্রয়োজনীয় কাঠ সংগ্রহ করা। 
(ঘ ) ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ব বৃদ্ধি করা। 

৩.৮. ছোটনাগপুর প্রজাস্বত্ব আইনে কী বলা হয়েছে ? 
মুন্ডা বিদ্রোহের পর ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে '' ছোটনাগপুর প্রজাস্বত্ব আইন '' বা '' ছোটনাগপুর টেন্যান্সি অ্যাক্ট '' পাস হয়। এই আইনের মাধ্যমে (ক ) মুন্ডাদের খুঁৎকাঠি প্রথা স্বীকার করে নেওয়া হয়। (খ ) তাঁদের জমি থেকে উচ্ছেদ ও বেগার শ্রম নিষিদ্ধ হয়। 
 
Share
Tweet
Pin
Share
No comments
Older Posts

Contact Form

Name

Email *

Message *

Pages

  • Home
  • About Me
  • Contact Me .
  • PRIVACY POLICY
  • Disclaimer

About Me

Myself Nandan Dutta from Malda and I made this website for the students of class X ( Class 10 ) . Nowadays lots of websites provide MCQ & SAQ for the preparation of the final examination . But those websites are not working in recent strategies , recent model questions etc . But in this website , all the MCQs & SAQs are provided for the students based on current researches . We heavily focused on History and Geography for the school final examination . এই Website টির বিশেষত্ব :- ১. মাধ্যমিক ইতিহাস ও ভূগোলের প্রতিটি অধ্যায় ভিত্তিক MCQ ও SAQ আলোচনা। ২. প্রতিটি অধ্যায় থেকে যত রকমের প্রশ্ন হওয়া সম্ভব , সেই সকল প্রশ্ন সংযোজিত হয়েছে। ৩. বিভিন্ন টেস্ট পেপারস থেকে মডেল প্রশ্নগুলি প্রতিটি অধ্যায়ে সংযোজিত হয়েছে। ৪. দায়সারা ভাবে মাত্র ৫০ বা ১০০ টি প্রশ্ন দিয়ে অধ্যায়ের আলোচনা শেষ করা হয়নি। যত প্রশ্ন হওয়া সম্ভব , সবগুলি আলোচনা করা হয়েছে। ৫. ছাত্র - ছাত্রীদের ফিডব্যাকের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হয়। এমনকি কারো নির্দিষ্ট কোনো ক্ষেত্রে সমস্যা থাকলে , সেসব যথাসাধ্য সমাধানের চেষ্টা করা হয়। Thank You Nandan Dutta .

recent posts

Pageviews

  • Home
  • CLASS X HISTORY MCQ SET 1 ; NAME :

Created with by ThemeXpose | Distributed by Blogger Templates