CLASS VIII HISTORY 4TH CHAPTER SHORT QUESTIONS

CLASS VIII HISTORY 4TH CHAPTER SHORT QUESTIONS 

অষ্টম শ্রেণী ; ইতিহাস - চতুর্থ অধ্যায়। MCQ & SAQ 

১. কবে বাংলায় দুর্ভিক্ষ ও মন্বন্তর দেখা দিয়েছিল ?
উত্তর - ১৭৬৯ - ৭০ খ্রিষ্টাব্দে। 

২. কে , কবে ইজারাদারি ব্যবস্থা চালু করেন ?
উত্তর - ১৭৭২ খ্রিষ্টাব্দে , লর্ড ওয়ারেন হেস্টিংস। 

৩. কে , কবে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু করেন ?
উত্তর - ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে , লর্ড কর্নওয়ালিস। 

৪. কোথায় প্রথম চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু হয় ?
উত্তর - বাংলা সুবায় ( অর্থাৎ বাংলা , বিহার ও ওড়িশা ) ।  

৫. চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে কৃষকদের অবস্থার উন্নতি - হয়েছিল / হয় নি।
উত্তর - হয় নি।

৬. সূর্যাস্ত আইন কোন বন্দোবস্তের সাথে সম্পর্কিত ছিল ?
উত্তর - চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত। 

৭. '' বঙ্গদেশের কৃষক '' - প্রবন্ধটি কার লেখা ?
উত্তর - বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। 

৮. রায়তওয়াড়ি বন্দোবস্ত কোথায় চালু হয়েছিল ?
 উত্তর - দক্ষিণ ও দক্ষিণ - পশ্চিম ভারতে। 

৯. '' মহল '' কথাটির অর্থ কী ?
উত্তর - কয়েকটি গ্রামের সমষ্টি। 

১০. মহলওয়াড়ি বন্দোবস্ত কোথায় চালু হয়েছিল ?
উত্তর - উত্তর ও উত্তর - পশ্চিম ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকাতে। 

১১. ব্রিটিশ কোম্পানি শাসনের ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থার মূল উদ্দেশ্য কী ছিল ?
উত্তর - যত বেশি সম্ভব রাজস্ব আদায় করা। 

১২. '' পল্লীগ্রামস্থ প্রজাদের দুরবস্থা '' - প্রবন্ধটি কার লেখা ?
উত্তর - অক্ষয় কুমার দত্ত। 

১৩. ঔপনিবেশিক আমলে গ্রাম সমাজে কৃষকদের চড়া সুদের হারে টাকা ধার দিত কারা ?
উত্তর - মহাজনরা। 

১৪. '' অর্থনীতির আধুনিকীকরণ '' কাকে বলে ?
উত্তর - রেলপথ স্থাপন , রফতানির হার বাড়ানো ও কৃষিতে বাণিজ্যিকীকরণের প্রক্রিয়াকে একসঙ্গে '' অর্থনীতির আধুনিকীকরণ '' বলে। 

১৫. দাদন - কথাটির অর্থ কী ?
উত্তর - জোর করে অগ্রিম অর্থ প্রদান করে কৃষকদের চাষে ( নীলচাষে ) বাধ্য করা। 

১৬. দাদন - কথাটি কিসের সাথে সম্পর্কযুক্ত ?
উত্তর - নীলচাষ। 

১৭. ভারতে নীলচাষ করা হত কিসের কথা মাথায় রেখে ?
উত্তর - ইংল্যান্ডের কাপড় কলে নীলের চাহিদার কথা মাথায় রেখে। 

১৮. বাংলায় নীল বিদ্রোহ কবে দেখা যায় ?
উত্তর - ১৮৫৯ - ৬০ খ্রিষ্টাব্দে। 

১৯. ভারতে উৎপাদিত প্রধান দুটি বাগিচা ফসল কী ছিল ?
উত্তর - চা ও কফি। 

২০. কফি প্রধানতঃ ভারতের কোন অংশে চাষ হত ?
উত্তর - দক্ষিণ ভারতে। 

২১. সাহুকার কাদের বলা হত ?
উত্তর - সাহুকাররা চাষীদের ঋণ দেওয়ার বিনিময়ে উৎপন্ন ফসলের উপর নিয়ন্ত্রণ কায়েম করত। 

২২. '' দাক্ষিণাত্য হাঙ্গামা '' কবে দেখা যায় ?
উত্তর - ১৮৭৫ এর মে থেকে সেপ্টেম্বর মাসে। 

২৩. কোথায় দাক্ষিণাত্য হাঙ্গামা তীব্র আকার ধারণ করে ?
উত্তর - দাক্ষিণাত্যের আহমেদনগর ও পুনা জেলায়। 

২৪. আসামের চা বাগানের শ্রমিকদের দুরবস্থার কথা কোন পত্রিকা থেকে জানা যায় ?
উত্তর - সঞ্জীবনী পত্রিকার '' কুলী কাহিনী " প্রবন্ধে। 

২৫. কৃষকদের সুবিধার জন্য আইন বা '' Agriculturists' Relief Act '' কবে চালু হয় ?
উত্তর - ১৮৭৯ খ্রিষ্টাব্দে।

২৬. প্রজাস্বত্ব আইন বা '' Tenancy Act '' কবে চালু হয় ?
উত্তর - ১৮৮৫ খ্রিষ্টাব্দে। 

২৭. ১৭৫৭ খ্রিষ্টাব্দে পলাশীর যুদ্ধ পর্যন্ত ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি মূলত একটি ---- রাজতন্ত্র / রাজনৈতিক সংস্থা / বাণিজ্যিক সংস্থা / অর্থনৈতিক সংস্থা ---- হিসেবে কাজ করত।
উত্তর - বাণিজ্যিক সংস্থা। 

২৮. কবে আইন করে ব্রিটেনে সুতির কাপড় ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া হয় ?
উত্তর - ১৭২০ খ্রিষ্টাব্দে।

২৯. কবে , কোন আইনের মধ্যে দিয়ে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাত থেকে ভারতের বাজারের একচেটিয়া অধিকার চলে যায় ?
উত্তর - ১৮১৩ খ্রিষ্টাব্দের সনদ আইন। 

৩০. কাকে '' ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের রত্ন '' বলা হত ?
উত্তর - ভারতকে। 

৩১. ভারতে কবে , কোথায় প্রথম সুতির কাপড় বা সুতিবস্ত্রের কারখানা তৈরী হয় ?
উত্তর - ১৮৫৩ খ্রিষ্টাব্দে , বোম্বাইতে। 

৩২. ভারতে কবে , কোথায় প্রথম পাটের কারখানা বা পাটকল চালু হয় ?
উত্তর -  ১৮৫৫ খ্রিষ্টাব্দে , হুগলি জেলার রিষড়ায়।

৩৩. ১৮১৩ খ্রীষ্টাব্দের পর থেকে ভারতের শিল্পনীতি নির্ধারিত হত কিসের ভিত্তিতে ?
উত্তর -  ব্রিটেনের শিল্প চাহিদার ভিত্তিতে। 

৩৪. কোন বড়লাটের আমলে ভারতে রেলপথ স্থাপনের কাজ শুরু হয় ?
উত্তর - লর্ড ডালহৌসি। 

৩৫. কবে ভারতে রেলপথ স্থাপনের কাজ শুরু হয় ?
উত্তর - ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে।

৩৬. ভারতে কোথায় প্রথম রেলপথ চালু হয় ?
উত্তর - মহারাষ্ট্রের বোম্বাইতে ১৮৫৩ খ্রিষ্টাব্দে ( বোম্বাই থেকে থানে ২১ কিমি ) ।  

৩৭. ভারতে দ্বিতীয় রেলপথ কোথায় স্থাপিত হয় ?
উত্তর - বাংলায় - হাওড়া থেকে হুগলি পর্যন্ত ; ১৮৫৫ খ্রিষ্টাব্দে।

৩৮. কাকে '' ভারতীয় রেলপথের জনক '' বলা হয় ?
উত্তর - লর্ড ডালহৌসি - কে। 

৩৯. রেলপথ স্থাপনের ক্ষেত্রে ডালহৌসির মূল উদ্দেশ্য কী ছিল ?
উত্তর - রেলপথ স্থাপনের পশ্চাতে ডালহৌসির মূল উদ্দেশ্য ছিল এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে দ্রুত সেনাবাহিনীর যাতায়াত নিশ্চিত করা। বস্তুতঃ ব্রিটিশ সরকারের স্বার্থ রাখাই ছিল রেলপথ স্থাপনের প্রধান উদ্দেশ্য। 

৪০. ভারতে টেলিগ্ৰাফ যোগাযোগ ব্যবস্থা কবে চালু হয় ?
উত্তর - ১৮৫১ খ্রিষ্টাব্দে।

৪১. মনে করা হয়ে থাকে ১৮৫৭ - র মহাবিদ্রোহ থেকে ব্রিটিশ শাসনকে রক্ষা করেছিল - টেলিফোন / ইন্টারনেট / টেলিগ্রাফ / রেডিও।
উত্তর - টেলিগ্রাফ। 

৪২. কবে ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে টেলিগ্রাফ যোগাযোগের বিকাশ ঘটে ?
উত্তর - ১৮৭০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে। 

৪৩. সম্পদের বহির্গমন কাকে বলে ?
উত্তর - উপনিবেশ হিসেবে ভারতের সম্পদকে ব্রিটেনে নানাভাবে স্থানান্তরিত করা হত। তার প্রতিদানে অবশ্য ভারতের কোনো অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হত না। এইভাবে দেশের সম্পদ বিদেশে চালান হয়ে যাওয়াকেই '' সম্পদের বহির্গমন '' বলে উল্লেখ করা হয়। 

৪৪. কবে বাংলায় দুর্ভিক্ষ দেখা যায় ?
উত্তর - ১৯৪৩ খ্রিষ্টাব্দে। 

৪৫. কৃষিসংকট কোন শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল ?
কুটির শিল্প / চা শিল্প / কৃষিজ শিল্প / হস্তশিল্প।
উত্তর - হস্তশিল্প। 

৪৬. কোন ব্যবস্থার ফলে কর্মচারীরা নিজেদের ইচ্ছামত করের পরিমাণ নির্ধারণ করতে পারত না ? চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত / রায়ত ওয়ারি বন্দোবস্ত / মহলওয়ারি বন্দোবস্ত / দশসালা বন্দোবস্ত।
উত্তর - চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত। 

৪৭. দক্ষিণ ভারতে কোন ভূমি ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল ? চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত / রায়ত ওয়ারি বন্দোবস্ত / মহলওয়ারি বন্দোবস্ত / দশসালা বন্দোবস্ত।
উত্তর - রায়ত ওয়ারি বন্দোবস্ত। 

৪৮. সূর্যাস্ত আইন কোন বন্দোবস্তের সাথে যুক্ত ছিল ?   চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত / রায়ত ওয়ারি বন্দোবস্ত / মহলওয়ারি বন্দোবস্ত / ভাইয়াচারি বন্দোবস্ত।
উত্তর - চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত। 

৪৯. ভারতে  নীলচাষের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছিল - দক্ষিণ / উত্তর / পূর্ব / পশ্চিম - অঞ্চল।
উত্তর - পূর্বাঞ্চল।

৫০. ১৭৭২ / ১৭৭৬ / ১৭৮০ / ১৭৫৬ - খ্রিষ্টাব্দে আমিনি কমিশন গঠিত হয়।
উত্তর - ১৭৭৬ খ্রিষ্টাব্দে। 

৫১. '' আবওয়াব '' বলতে বোঝায় - আইনি কর / বেগার শ্রম / বেআইনি কর।
উত্তর - বেগার শ্রম। 

৫২. চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কাকে বলে ?
উত্তর - ১৭৯৩ খ্রিষ্টাব্দে লর্ড কর্নওয়ালিস চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু করেন। এই ব্যবস্থায় জমিদাররা নির্দিষ্ট খাজনার বিনিময়ে বংশানুক্রমে জমির মালিকানা ভোগ করতো। বাংলা , বিহার ও ওড়িষ্যায় চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু হয়। চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তনের মূল উদ্দেশ্য ছিল ঔপনিবেশিক অর্থনীতিকে সুদৃঢ় করা। 

৫৩. সূর্যাস্ত আইন কাকে বলে ?
উত্তর - লর্ড কর্নওয়ালিস প্রবর্তিত ১৭৯৩ খ্রিষ্টাব্দের চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের শর্তানুসারে বছরের নির্দিষ্ট দিনে সূর্য অস্ত যাওয়ার আগে কোম্পানির খাজনা জমা দিতে না পারলে সেই জমিদারের জমিদারি বাজেয়াপ্ত করা হত। কর্নওয়ালিস প্রবর্তিত এই ব্যবস্থা '' সূর্যাস্ত আইন '' নামে পরিচিত। 

৫৪. রায়তওয়ারি বন্দোবস্ত কী ?
উত্তর - রায়ত বা চাষীর কাছ থেকে সরাসরি খাজনা আদায়ের ব্যবস্থা রায়তওয়ারি বন্দোবস্ত নামে পরিচিত। কোম্পানির আমলে দক্ষিণ ও দক্ষিণ - পশ্চিম ভারতে এই বন্দোবস্ত চালু হয়েছিল। 

৫৫. মহলওয়ারি বন্দোবস্ত বলতে কী বোঝো ?
উত্তর - কয়েকটি গ্রাম নিয়ে গঠিত মহল - এর রাজস্ব একজন বা কয়েকজন ব্যাক্তির সাহায্যে আদায়ের ব্যবস্থাকে মহলওয়ারি বন্দোবস্ত বলা হত। জমির উৎপাদিকা শক্তি অনুসারে কয়েকটি গ্রাম নিয়ে গঠিত মহল - এর সঙ্গে ২০-৩০ বছরের জন্য এই বন্দোবস্ত চালু হয় ১৮২২ খ্রিষ্টাব্দে। উত্তর ও উত্তর - পশ্চিম ভারতে এই বন্দোবস্ত চালু হয়। 

৫৬.ভাইয়াচারি ব্যবস্থা বলতে কী বোঝো ?
উত্তর - ১৮২৪ খ্রিষ্টাব্দে এলফিনস্টোন ও ম্যাকেঞ্জির উদ্যোগে পাঞ্জাবে ভাইয়াচারি ব্যবস্থা চালু হয়। এর শর্তগুলি ছিল - 
(ক ) কৃষকদের সঙ্গে আলাদা আলাদাভাবে ভূমি বন্দোবস্ত চালু হয়। 
(খ ) কৃষক , জনপ্রতিনিধি ও কালেক্টরদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে খাজনা নির্ধারণ করা হবে। 
(গ ) গ্রামের প্রধান বা সম্মানীয় ব্যাক্তির মাধ্যমে রাজস্বের অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা হবে। 
(ঘ ) কয়েক বছর অন্তর রাজস্ব হার বৃদ্ধি পাবে। 

৫৭. কৃষির বাণিজ্যিকীকরণ বলতে কী বোঝো ?
উত্তর - অতিরিক্ত রাজস্বের চাপে জর্জরিত কৃষকশ্রেণি মহাজনের কাছে ঋণ নিতে বাধ্য হয়। আয় নিশ্চিত করার জন্য মহাজনরা কৃষকদের অর্থকরী ফসল যেমন - নীল , পাট , তুলো - ইত্যাদি চাষ করতে বাধ্য করে। এইভাবে কৃষির বাণিজ্যিকীকরণ ঘটে। 

৫৮. আমিনি কমিশন কী ?
উত্তর - ১৭৭৬ খ্রিষ্টাব্দে ওয়ারেন হেস্টিংস বাংলার ভূমি বন্দোবস্ত ও ভূমিরাজস্ব সম্পর্কে বিস্তারিত অনুসন্ধানের লক্ষ্যে যে কমিশন গঠন করেন তা আমিনি কমিশন নামে পরিচিত। কৃষিজমির উর্বরতা অনুযায়ী রাজস্বের হার নির্ধারণ , রাজস্ব আদায় করা , কৃষকদের উন্নতির লক্ষ্যে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ - প্রভৃতি ছিল আমিনি কমিশনের কাজ। 

৫৯. পত্তনি প্রথা বলতে কী বোঝো ?
উত্তর - রাজস্ব আদায়ের সুবিধার জন্য জমিদার তাঁর বন্দোবস্ত নেওয়া জমিকে কয়েকটি ছোট ছোট অংশে ভাগ করে নির্দিষ্ট খাজনা প্রদানের শর্তে অন্যের কাছে বন্দোবস্ত দিতেন। একেই পত্তনি প্রথা বলা হয়। বর্ধমানের জমিদার তেজচন্দ্র প্রথম পত্তনি প্রথা চালু করেন। 

৬০. প্রজাস্বত্ব আইন বলতে কী বোঝো ?

উত্তর - জমিদারদের অমানবিক অত্যাচারের হাত থেকে কৃষকদের রক্ষা করার জন্য ব্রিটিশ সরকার ১৮৮৬ খ্রিষ্টাব্দে প্রজাস্বত্ব আইন পাস করেন। এই আইন অনুসারে রায়ত বা কৃষকদের দখলি স্বত্ব দেওয়া হয় এবং আরও বলা হয় , আদালতের নির্দেশ ছাড়া কোনোভাবেই কৃষকদের জমি থেকে উৎখাত করা যাবে না। 

৬১. অবশিল্পায়ন বলতে কী বোঝো ?
উত্তর - অবশিল্পায়ন হল শিল্পায়নের বিপরীতধর্মী অবস্থান। ব্রিটিশ শাসনাধীনে ভারতে চিরাচরিত ও ঐতিহ্যশালী হস্তশিল্প ও কুটিরশিল্পের ধ্বংসসাধনই ছিল অবশিল্পায়ন। অবশিল্পায়নের ফলে কর্মহীনতা তৈরী হয় , কুটির শিল্পের ধ্বংসসাধন ঘটে। ভারত কাঁচামাল সরবরাহকারী রাষ্ট্রে পরিণত হয়। 

৬২. দাক্ষিণাত্য হাঙ্গামা কেন ঘটেছিল ?
উত্তর - মহারাষ্ট্রের পুনা ও আহম্মদনগরে ১৮৭৫ খ্রিষ্টাব্দে কৃষকরা সাহুকার মহাজনদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। মূলতঃ মহাজনদের শোষণ , কৃষকদের জমি কেড়ে নেওয়া , উচ্চ রাজস্ব হার আরোপ সহ বিভিন্ন কারণে দাক্ষিণাত্য হাঙ্গামা হয়েছিল। এছাড়াও , রায়তওয়ারি ব্যবস্থার কুফল , তুলোর মূল্য হ্রাস , অনাবৃষ্টি , অজন্মা - কৃষক সমাজকে অসহায় করে তোলে। 

৬৩. গ্যারেন্টি ব্যবস্থা বলতে কী বোঝো ?

উত্তর -  ভারতে বেসরকারি নির্মাণ সংস্থাগুলি যাতে রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু করে , সেজন্য তাদের আর্থিক লাভের নিশ্চয়তা বিষয়ে ব্রিটিশ সরকার একটি প্রতিশ্রুতি দেয়। এই প্রতিশ্রুতিই গ্যারেন্টি প্রথা নামে পরিচিত।

৬৪. 
নাম --------------->পাঁচসালা বন্দোবস্ত বা ইজারাদারি বন্দোবস্ত। 
প্রবর্তনকাল------> জুন ১৭৭২।
প্রবর্তিত স্থান----> বাংলা। 
প্রবর্তক ----------> ওয়ারেন হেস্টিংস। 

৬৫.
নাম ---------------> একসালা বন্দোবস্ত।    
প্রবর্তনকাল------> ১৭৭৭।
প্রবর্তিত স্থান----> বাংলা। 
প্রবর্তক ----------> ওয়ারেন হেস্টিংস। 

৬৬. 
নাম ---------------> দশসালা বন্দোবস্ত।  
প্রবর্তনকাল------> ১৭৯০। 
প্রবর্তিত স্থান----> বাংলা , বিহার ও ওড়িষ্যা। 
প্রবর্তক ----------> লর্ড কর্নওয়ালিস। 

৬৭.
নাম ---------------> চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত। 
প্রবর্তনকাল------> ২২ শে মার্চ ১৭৯৩। 
প্রবর্তিত স্থান----> বাংলা , বিহার ও ওড়িষ্যা। 
প্রবর্তক ----------> লর্ড কর্নওয়ালিস। 

৬৮.
নাম ---------------> রায়তওয়ারি বন্দোবস্ত।  
প্রবর্তনকাল------> ১৮২০। 
প্রবর্তিত স্থান----> মাদ্রাজ ও বোম্বাই প্রেসিডেন্সি। 
প্রবর্তক ----------> আলেকজান্ডার রিড ও টমাস মুনরো। 

৬৯.
নাম ---------------> মহলওয়ারি বন্দোবস্ত। 
প্রবর্তনকাল------> ১৮২২। 
প্রবর্তিত স্থান----> উত্তরপ্রদেশ , মধ্যপ্রদেশ ও দিল্লি। 

প্রবর্তক ----------> হল্ট ম্যাকেঞ্জি। 



[ আগামীকাল আরও প্রশ্নোত্তর দেওয়া হবে। ]     

Share
Tweet
Pin
Share