ষষ্ঠ শ্রেণী : ইতিহাস : পঞ্চম অধ্যায়। Class VI History 5th chapter MCQ & SAQ
ষষ্ঠ শ্রেণী : ইতিহাস : পঞ্চম অধ্যায়। MCQ & SAQ
Class VI ( Class 6) History 5th chapter MCQ & SAQ
ষষ্ঠ শ্রেণীর ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায়ের ছোট প্রশ্ন ( MCQ & SAQ ) আলোচনা করা হল। পাঠ্যবই ধরে ধরে যতরকম ছোট প্রশ্ন হওয়া সম্ভব সেগুলি আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও সংক্ষিপ্ত ও রচনাধর্মী প্রশ্নগুলিও আলোচনা করা হয়েছে। প্রশ্নগুলি অনুশীলন করলে শিক্ষার্থীরা অবশ্যই উপকৃত হবে।
Page : 64
১. রূপকথা ও ইতিহাস হল - সমার্থক / সমার্থক নয়।
উত্তর : সমার্থক নয়।
২. রূপকথা হল এক ধরণের ইতিহাস। সত্য / মিথ্যা।
উত্তর : মিথ্যা।
৩. রূপকথা সম্পর্কে কোনটি সঠিক ? ইতিহাসধর্মিতা / গবেষণালব্ধ জ্ঞান / কল্পনাকেন্দ্রিকতা / সবগুলি।
উত্তর : কল্পনাকেন্দ্রিকতা।
৪. প্রাচীন ভারতে গ্রামের থেকে বড় অঞ্চলকে বলা হত - নগর / শহর / জন / সাম্রাজ্য।
উত্তর : জন।
৫. জনপদ শব্দটি এসেছিল - রাজা / সাম্রাজ্য / জন / গ্রাম - শব্দ থেকে।
উত্তর : জন।
৬. জনপদ কাকে বলা হত ?
উত্তর : প্রাচীন ভারতে মানুষ যেখানে পাকাপাকিভাবে বসবাস করতে শুরু করেন - সেখানেই জনপদ গড়ে ওঠে। জনপদ বলতে সাধারণতঃ গ্রামের চেয়ে বড় এলাকাকে বোঝানো হত।
৭. মহাজনপদ কাকে বলা হত ?
উত্তর : প্রাচীন ভারতে জনপদগুলিকে কেন্দ্র করে বড় বড় রাজ্য তৈরী হয়েছিল। এগুলিকে বলা হত মহাজনপদ। জনপদগুলিই কালক্রমে মহাজনপদে পরিণত হয়। যেমন - মগধ।
৮. জনপদ থেকে মহাজনপদে পরিণত হয়েছিল - এমন কয়েকটি জনপদের নাম লেখ।
উত্তর : মগধ , কোশল , অবন্তী - ইত্যাদি।
Page : 65
৯. প্রাচীন ভারতে মহাজনপদের উত্থানের সময়কাল হল - খ্রিস্টপূর্ব ষোড়শ শতক / ষষ্ঠ খ্রিস্টাব্দ / খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতক / খ্রিস্টপূর্ব দ্বাদশ শতক।
উত্তর : খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতক।
১০. ছোট ছোট জনপদগুলো পরিণত হয় - দেশে / রাজ্যে / গ্রামে / মহাজনপদে।
উত্তর : মহাজনপদে।
১১. মহাজনপদের শাসকদের ক্ষমতা ছিল বৈদিক রাজাদের তুলনায় - বেশি / কম।
উত্তর : বেশি।
১২. জনপদ ও মহাজনপদের ইতিহাস জানা যায় - বিদেশি সাহিত্য / পৌরাণিক কথা / বৌদ্ধ সাহিত্য / বৌদ্ধ ও জৈন সাহিত্য - থেকে।
উত্তর : বৌদ্ধ ও জৈন সাহিত্য থেকে।
১৩. খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে ভারতে মহাজনপদের সংখ্যা ছিল - ১০টি / ১৬টি / ১৮টি / ৬টি।
উত্তর : ১৬টি।
১৪. ষোড়শ মহাজনপদ কাকে বলা হত ?
উত্তর : প্রাচীন ভারত ১৬ টি মহাজনপদে বিভক্ত ছিল। এই ষোলটি মহাজনপদকে একত্রে ষোড়শ মহাজনপদ বলা হত।
১৫. ষোড়শ মহাজনপদগুলির মধ্যে কোন চারটি মহাজনপদ ভারতীয় রাজনীতিতে প্রধান হয়ে ওঠে ?
উত্তর : কোশল , অবন্তী , বৎস ও মগধ।
১৬. ষোড়শ মহাজনপদগুলির মধ্যে কোন মহাজনপদ কালক্রমে সর্বাধিক ক্ষমতাশালী ও প্রধান হয়ে ওঠে ? কোশল / অবন্তী / বৎস / মগধ।
উত্তর : মগধ।
১৭. ষোড়শ মহাজনপদগুলির মধ্যে বেশিরভাগ অবস্থিত ছিল - মধ্য ও উত্তর ভারতে / পূর্ব ভারতে / দক্ষিণ ভারতে / উত্তর - পশ্চিম ভারতে।
উত্তর : মধ্য ও উত্তর ভারতে।
১৮. দক্ষিণ ভারতের একমাত্র মহাজনপদটির নাম কী ?
উত্তর : অস্মক।
১৯. কোন নদী - উপত্যকাকে কেন্দ্র করে বেশিরভাগ মহাজনপদগুলি গড়ে ওঠে ?
উত্তর : গঙ্গা - যমুনা উপত্যকাকে কেন্দ্র করে।
২০. প্রাচীন ভারতে ষোড়শ মহাজনপদের যুগে - গোদাবরী / গঙ্গা / সিন্ধু / ঝিলম - নদী ছিল ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনীতির মূল কেন্দ্র।
উত্তর : গঙ্গা।
Page : 66
২১. রাজতান্ত্রিক রাজ্য কাকে বলা হত ?
উত্তর : যেসকল মহাজনপদগুলিতে রাজার শাসন প্রচলিত ছিল সেগুলিকে বলা হত রাজতান্ত্রিক রাজ্য। যেমন - মগধ।
২২. রাজতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় সবার উপরে কে ছিলেন ?
উত্তর : রাজা।
২৩. ষোড়শ মহাজনপদের যুগে রাজাকে শাসনকার্যের ক্ষেত্রে সাহায্য করতো কোন প্রতিষ্ঠান ?
উত্তর : সভা নামক প্রতিষ্ঠান।
২৪. ষোড়শ মহাজনপদের যুগে '' সভা '' - র কাজ কী ছিল ?
উত্তর : রাজাকে শাসনকার্যে সাহায্য করা এবং নানা বিষয়ে রাজাকে পরামর্শ দেওয়া।
২৫. ষোড়শ মহাজনপদের যুগে রাজপদ ছিল - বংশানুক্রমিক / বংশানুক্রমিক নয়।
উত্তর : বংশানুক্রমিক।
২৬. মগধ অবস্থিত ছিল - পূর্ব / পশ্চিম / উত্তর / দক্ষিণ - বিহারে।
উত্তর : দক্ষিণ বিহারে।
২৭. প্রাচীন মগধ বলতে কোন কোন জেলাকে বোঝাত ?
উত্তর : বিহারের পাটনা ও গয়া জেলাকে।
২৮. মগধের প্রথম রাজধানী কোনটি ছিল ?
উত্তর : রাজগৃহ।
২৯. পরবর্তীকালে মগধের রাজধানী হয় কোনটি ?
উত্তর : পাটলিপুত্র।
৩০. কোন নদীর তীরে মগধ অবস্থিত ছিল ?
উত্তর : গঙ্গা ও শোন নদীর সঙ্গমস্থলে।
৩১. খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে গণরাজ্য কাকে বলা হত ?
উত্তর : খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে কয়েকটি মহাজনপদ ছিল অরাজতান্ত্রিক। এই মহাজনপদগুলিতে রাজার শাসন প্রচলিত ছিল না। এগুলিকে বলা হত গণরাজ্য। যেমন - বজ্জি বা বৃজি , মল্ল - ইত্যাদি।
Page : 67
৩২. গণরাজ্যগুলির মধ্যে কাদের স্বাধীনতা বজায় ছিল ?
উত্তর : গণরাজ্যগুলির মধ্যে তিনটি রাজ্য স্বাধীন থেকে গিয়েছিল - বজ্জিদের রাজ্য ও মল্লদের দুটি রাজ্য - পাবা ও কুশিনারা।
৩৩. গণরাজ্যগুলির মধ্যে কাদের ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি ছিল ?
উত্তর : বজ্জি - দের।
৩৪. বজ্জিদের রাজধানীর নাম কী ছিল ?
উত্তর : বৈশালী।
৩৫. লিচ্ছবি - কাদের বলা হত ?
উত্তর : বজ্জিদের রাজধানী ছিল বৈশালী। বৈশালীর আশেপাশে যেসকল বজ্জি থাকতেন - তাদের বলা হত লিচ্ছবি।
৩৬. বজ্জিদের একজোট থাকার জন্য কয়েকটি নিয়ম পালনের কথা বলেছিলেন - মহাবীর / শঙ্করাচার্য / গৌতম বুদ্ধ / অতীশ দীপঙ্কর।
উত্তর : গৌতম বুদ্ধ।
৩৭. মগধ মহাজনপদে মোট ক'টি রাজবংশ রাজত্ব করেছিল ও কী কী ?
উত্তর : তিনটি - হর্যঙ্ক বংশ , শৈশুনাগ বংশ ও নন্দ বংশ।
৩৮. রাজা অজাতশত্রুর রাজত্বের - ছয় / আট / পাঁচ / সাত - বছরের মাথায় গৌতম বুদ্ধ মারা যান।
উত্তর : আট বছরের মাথায়।
৩৯. অজাতশত্রু কোন বংশের রাজা ছিলেন ? হর্যঙ্ক বংশ / শৈশুনাগ বংশ / নন্দ বংশ / মৌর্য বংশ।
উত্তর : হর্যঙ্ক বংশ।
৪০. কোন বছর গৌতম বুদ্ধ মারা যান ?
উত্তর : ৪৮৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে।
৪১. কোন বছর হর্যঙ্ক বংশের শাসন শুরু হয় ?
উত্তর : ৫৪৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দে।
৪২. কোন বছর নন্দ বংশের শেষ হয় ?
উত্তর : ৩২৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দে।
Page : 68
৪৩. গৌতম বুদ্ধ বজ্জিদের উন্নতির জন্য ক'টি নিয়ম পালনের কথা বলেন ?
উত্তর : সাতটি।
৪৪. হর্যঙ্ক বংশের কোন সম্রাট বজ্জিদের বিরুদ্ধে অভিযানের উদ্যোগ নিয়েছিলেন ?
উত্তর : অজাতশত্রু।
Page : 69
৪৫. প্রথমদিকে জাতিভেদ বা বর্ণাশ্রম ছিল - কাজের ভিত্তিতে / জন্মগত।
উত্তর : কাজের ভিত্তিতে।
৪৬. পরবর্তীকালে বর্ণাশ্রম প্রথা নির্ধারিত হয় - কাজের ভিত্তিতে / জন্মগত।
উত্তর : জন্মগত।
৪৭. ব্রাহ্মণরা সমুদ্রযাত্রাকে - পাপ / পুণ্য - হিসেবে দেখত।
উত্তর : পাপ।
৪৮. ব্রাহ্মণ্য বা হিন্দুধর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরূপ কোন দুটি ধর্মমতের জন্ম হয় ?
উত্তর : বৌদ্ধ ধর্ম ও জৈন ধর্ম।
৪৯. তীর্থঙ্কর কাদের বলা হত ?
উত্তর : জৈন ধর্মের প্রধান প্রচারকদের বলা হত তীর্থঙ্কর।
৫০. জৈন ধর্ম অনুযায়ী মোট কতজন তীর্থঙ্কর ছিলেন ? ১২ / ২৪ / ৩৬ / ৪৮ জন।
উত্তর : ২৪ জন।
৫১. জৈন ধর্মের শেষ দুজন তীর্থঙ্করের নাম কী ?
উত্তর : পার্শ্বনাথ ও বর্ধমান মহাবীর।
৫২. পার্শ্বনাথ ছিলেন - কোশল / মগধ / কাশী / অবন্তী - র রাজপুত্র।
উত্তর : কাশী।
৫৩. বর্ধমান মহাবীর কোন বংশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ?
উত্তর : লিচ্ছবি বংশে।
৫৪. কত বছর বয়সে মহাবীর সংসার ত্যাগ করে তপস্যা করতে চলে যান ? ৩০ / ৩২ / ৩৬ / ৪০ - বছর।
উত্তর : ৩০ বছর বয়সে।
৫৫. বর্ধমান মহাবীর কত বছর তপস্যা করেছিলেন ? ১০ / ১২ / ১৮ / ৩০ - বছর।
উত্তর : ১২ বছর।
৫৬. সর্বজ্ঞানী হওয়ার পর মহাবীর কী নামে পরিচিত হন ?
উত্তর : কেবলিন।
৫৭. বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মের আগে ব্রাহ্মণ্য ধর্মের বিরোধিতা করেছিলেন কারা ?
উত্তর : চার্বাক ও আজীবিক গোষ্ঠী।
৫৮. চার্বাক ও আজীবিক গোষ্ঠী বেদকে চূড়ান্ত বলে - মানতেন / মানতেন না।
উত্তর : মানতেন না।
৫৯. কে আজীবিক গোষ্ঠী তৈরী করেন ?
উত্তর : মংখলিপুত্ত গোসাল।
৬০. আজীবিকরা কোন কোন মৌর্য সম্রাটের কাছ থেকে সাহায্য পেয়েছিলেন ?
উত্তর : বিন্দুসার ও অশোক।
Page : 70
৬১. বর্ধমান মহাবীর কত বছর জৈন ধর্ম প্রচার করেন ? ১২ / ১৬ / ২৪ / ৩০ - বছর।
উত্তর : ৩০ বছর।
৬২. কোথায় , কত বছর বয়সে মহাবীরের মৃত্যু হয় ?
উত্তর : পাবা নগরীতে ৭২ বছর বয়সে অনশনরত অবস্থায় মহাবীরের মৃত্যু হয়।
৬৩. চতুর্যাম বিষয়টি কোন ধর্মের সঙ্গে সম্পর্কিত ? হিন্দু / জৈন / বৌদ্ধ / শিখ।
উত্তর : জৈন।
৬৪. পঞ্চমহাব্রত বিষয়টি কোন ধর্মের সঙ্গে সম্পর্কিত ? হিন্দু / জৈন / বৌদ্ধ / শিখ।
উত্তর : জৈন।
৬৫. কোন রাজবংশের আমলে জৈনদের প্রভাব বাড়তে থাকে ? হর্যঙ্ক / মৌর্য / নন্দ / গুপ্ত।
উত্তর : মৌর্য।
৬৬. কোন মৌর্য সম্রাট শেষ বয়সে জৈন ধর্ম গ্রহণ করেন ? চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য / অশোক / বিন্দুসার।
উত্তর : চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য।
৬৭. দ্বাদশ অঙ্গ কাকে বলে ?
উত্তর : জৈন ধর্মের মূল উপদেশগুলি বারোটি ভাগে সাজানো হয়েছিল। এই ভাগগুলিকে অঙ্গ বলা হয়। সংখ্যায় বারোটি বলে অঙ্গগুলিকে একসঙ্গে বলা হয় দ্বাদশ অঙ্গ।
৬৮. দাক্ষিণাত্যে চলে যাওয়া জৈন সন্যাসীদের নেতা কে ছিলেন ?
উত্তর : ভদ্রবাহু।
৬৯. ভদ্রবাহু ও তাঁর অনুগামীদের বলা হত - শ্বেতাম্বর / দিগম্বর / জৈন।
উত্তর : দিগম্বর।
৭০. দিগম্বর - রা পোশাক পরিধান করতেন / করতেন না।
উত্তর : করতেন না।
Page : 71
৭১. উত্তর ভারতে চলে যাওয়া জৈনদের নেতা কে ছিলেন ?
উত্তর : স্থুলভদ্র।
৭২. শ্বেতাম্বর - রা কোন ধরণের পোশাক পরিধান করতেন ?
উত্তর : একটি সাদা কাপড়।
৭৩. পার্শ্বনাথ ছিলেন - শ্বেতাম্বর / দিগম্বর - মতাদর্শে বিশ্বাসী।
উত্তর : শ্বেতাম্বর।
৭৪. গৌতম বুদ্ধের প্রথম নাম কী ছিল ?
উত্তর : সিদ্ধার্থ।
৭৫. কোন বংশে সিদ্ধার্থের জন্ম হয় ?
উত্তর : নেপালের তরাই অঞ্চলের কপিলাবস্তুর শাক্য বংশে সিদ্ধার্থের জন্ম হয়।
৭৬. সিদ্ধার্থ কত বছর বয়সে সংসার ত্যাগ করে তপস্যা করতে চলে যান ? ৩১ / ২৯ / ৩৪ / ২১ - বছর বয়সে।
উত্তর : ২৯ বছর বয়সে।
৭৭. কত বছর তপস্যা করে সিদ্ধার্থ জ্ঞান বা বোধি লাভ করেন ? ৬ / ৯ / ১২ / ১৯ - বছর।
উত্তর : ৬ বছর।
৭৮. বোধি কথার অর্থ কী ? বৃক্ষ / জ্ঞান / চেতনা / সাধনা।
উত্তর : জ্ঞান।
৭৯. সিদ্ধার্থের নাম কেন বুদ্ধ হয় ?
উত্তর : বোধি লাভ করার জন্য তাঁর নাম হয় বুদ্ধ।
৮০. গৌতম বুদ্ধের প্রচারিত ধর্মকে বলা হয় - হিন্দু ধর্ম / বৌদ্ধ ধর্ম / জৈন ধর্ম / সনাতন ধর্ম।
উত্তর : বৌদ্ধ ধর্ম।
৮১. গৌতম বুদ্ধ কোন বৃক্ষের নীচে তপস্যা করেছিলেন ? বট / সেগুন / পিপল / নিমগাছ।
উত্তর : পিপল।
৮২. কাকে , কেন বোধি বৃক্ষ বলা হয় ?
উত্তর : সিদ্ধার্থ গয়ার কাছাকাছি একটি পিপল গাছের নীচে বসে তপস্যা করে বোধি বা জ্ঞান লাভ করেন। তাই ওই গাছটিকে বোধিবৃক্ষ বলা হয়।
৮৩. কোথায় গৌতম বুদ্ধ তাঁর প্রথম উপদেশ প্রচার করেন ?
উত্তর : সারনাথে।
৮৪. গৌতম বুদ্ধ কতজনের মধ্যে তাঁর প্রথম উপদেশ প্রচার করেন ? ২ / ৩ / ৪ / ৫ - জনের মধ্যে।
উত্তর : ৫ জনের মধ্যে।
Page : 72
৮৫. গৌতম বুদ্ধের চারটি মূল উপদেশ কী নামে পরিচিত ?
উত্তর : আর্যসত্য বা চতুরার্যসত্য।
৮৬. দুঃখ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য গৌতম বুদ্ধ ক'টি পথ বা উপায়ের কথা বলেছিলেন ?
৪টি / ৮টি / ১৬টি / ৫টি।
উত্তর : ৮টি।
৮৭. গৌতম বুদ্ধ যে আটটি উপায় বা পথের কথা বলেছিলেন সেগুলিকে বলা হয় - চতুর্যাম / আর্যসত্য / অষ্টাঙ্গিক মার্গ / পঞ্চমহাব্রত।
উত্তর : অষ্টাঙ্গিক মার্গ।
৮৮. মার্গ কথার অর্থ - উপায় / নীতি / সিদ্ধান্ত / পথ।
উত্তর : পথ।
৮৯. মগধের কোন রাজা গৌতম বুদ্ধের শিষ্য হন ?
উত্তর : বিম্বিসার।
৯০. কোশল রাজ্যে গৌতম বুদ্ধ কত বছর ছিলেন ? ২১ / ২৩ / ২৯ / ৩৫ - বছর।
উত্তর : ২১ বছর।
৯১. গৌতম বুদ্ধ মোট কত বছর ধর্ম প্রচার করেন ? ২৯ / ৪২ / ৪৫ / ৫১ - বছর।
উত্তর : ৪৫ বছর।
৯২. কবে গৌতম বুদ্ধ মারা যান ?
উত্তর : ৪৮৬ খ্রিস্ট - পূর্বাব্দে।
৯৩. কোথায় গৌতম বুদ্ধ মারা যান ? বৈশালি / কুশিনগর / পাটলিপুত্র / কোশল।
উত্তর : কুশিনগর।
৯৪. মোট ক'টি বৌদ্ধ সংগীতির কথা জানা যায় ? ২টি / ৪টি / ৮টি / ১২টি।
উত্তর : ৪টি।
৯৫. কবে প্রথম বৌদ্ধ সংগীতি অনুষ্ঠিত হয় ?
উত্তর : গৌতম বুদ্ধের মৃত্যুর পর।
৯৬. প্রথম বৌদ্ধ সংগীতি কোথায় , কার শাসনকালে অনুষ্ঠিত হয় ? এর সভাপতি কে ছিলেন ? প্রথম বৌদ্ধ সংগীতির গুরুত্বপূর্ণ / উল্লেখযোগ্য ঘটনা কী ছিল ?
উত্তর : রাজগৃহে ; অজাতশত্রুর শাসনকালে। এর সভাপতি ছিলেন মহাকাশ্যপ। প্রথম বৌদ্ধ সংগীতির গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হল - এই সময় সুত্ত পিটক ও বিনয় পিটক সংকলন করা হয়।
৯৭. দ্বিতীয় বৌদ্ধ সংগীতি কোথায় , কার শাসনকালে অনুষ্ঠিত হয় ? এর সভাপতি কে ছিলেন ? দ্বিতীয় বৌদ্ধ সংগীতির গুরুত্বপূর্ণ / উল্লেখযোগ্য ঘটনা কী ছিল ?
উত্তর : বৈশালীতে ; কালাশোক বা কাকবর্ণের শাসনকালে। এর সভাপতি ছিলেন যশ। দ্বিতীয় বৌদ্ধ সংগীতির গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হল - বৌদ্ধরা থেরবাদী বা মহাসাংঘিক - এই দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়।
৯৮. তৃতীয় বৌদ্ধ সংগীতি কোথায় , কার শাসনকালে অনুষ্ঠিত হয় ? এর সভাপতি কে ছিলেন ? তৃতীয় বৌদ্ধ সংগীতির গুরুত্বপূর্ণ / উল্লেখযোগ্য ঘটনা কী ছিল ?
উত্তর : পাটলিপুত্রে ; সম্রাট অশোকের শাসনকালে। এর সভাপতি ছিলেন মোগগলিপুত্ত ও তিসস । তৃতীয় বৌদ্ধ সংগীতির গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হল - সংঘের নিয়মগুলি কঠোরভাবে মানার উপর জোর দেওয়া হয় ও সংঘের ভাঙন আটকাবার চেষ্টা করা হয়।
৯৯. চতুর্থ বৌদ্ধ সংগীতি কোথায় , কার শাসনকালে অনুষ্ঠিত হয় ? এর সভাপতি কে ছিলেন ? চতুর্থ বৌদ্ধ সংগীতির গুরুত্বপূর্ণ / উল্লেখযোগ্য ঘটনা কী ছিল ?
উত্তর : কাশ্মীরে ; কণিষ্কের শাসনকালে। এর সভাপতি ছিলেন বসুমিত্র। চতুর্থ বৌদ্ধ সংগীতির গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হল - বৌদ্ধধর্ম হীনযান ও মহাযান - এই দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায়।
Page : 73
১০০. বৌদ্ধ ধর্মের প্রধান ধর্মগ্রন্থের নাম কী ?
উত্তর : তিপিটক বা ত্রিপিটক।
১০১. তিপিটক বা ত্রিপিটকগুলি কী কী ?
উত্তর : সুত্তপিটক , বিনয়পিটক , অভিধম্মপিটক।
১০২. পিটক কথার অর্থ - ধ্যান / জ্ঞান / ঝুড়ি / বাটি।
উত্তর : ঝুড়ি।
১০৩. সুত্তপিটকের বিষয়বস্তু কী ?
উত্তর : গৌতম বুদ্ধ ও তাঁর প্রধান শিষ্যদের উপদেশগুলির সংকলন।
১০৪. বিনয়পিটকের বিষয়বস্তু কী ?
উত্তর : বৌদ্ধসংঘ ও বৌদ্ধ সন্যাসীদের আচার - আচরণ ও নিয়মের সংকলন।
১০৫. অভিধম্মপিটকের বিষয়বস্তু কী ?
উত্তর : গৌতম বুদ্ধের মূল কয়েকটি উপদেশের আলোচনা।
১০৬. তিনটি পিটক ( ত্রিপিটক ) কোন ভাষায় লেখা ? প্রকৃত / সংস্কৃত / পালি / বৌদ্ধ।
উত্তর : পালি।
১০৭. গৌতম বুদ্ধের দুজন শিষ্যের নাম কর।
উত্তর : সুভদ্র ও মহাকাশ্যপ।
১০৮. কোন আমল থেকে বুদ্ধের মূর্তি পূজার চল আরম্ভ হয় ? মৌর্য / কুষাণ / গুপ্ত / শুঙ্গ।
উত্তর : কুষাণ।
১০৯. মহাযান মতাবলম্বীরা মূর্তি পূজায় বিশ্বাসী - ছিলেন / ছিলেন না।
উত্তর : ছিলেন।
১১০. হীনযান মতাবলম্বীরা মূর্তি পূজায় বিশ্বাসী - ছিলেন / ছিলেন না।
উত্তর : ছিলেন না ।
১১২. সম্রাট কনিষ্ক কোন বৌদ্ধ মতের সমর্থক ছিলেন ? হীনযান / মহাযান।
উত্তর : মহাযান।
Page : 74
১১৩. ত্রিরত্নের ধারণা পাওয়া যায় - বৌদ্ধ ধর্মে / জৈন ধর্মে / উভয় ধর্মে।
উত্তর : উভয় ধর্মে।
১১৪. বৌদ্ধ ত্রিরত্ন ও জৈন ত্রিরত্ন - এক / আলাদা।
উত্তর : আলাদা।
১১৫. জৈন ত্রিরত্নগুলি কী কী ?
উত্তর : সৎ বিশ্বাস , সৎ জ্ঞান ও সৎ আচরণ।
১১৬. বৌদ্ধধর্মে ত্রিরত্নগুলি কী কী ?
উত্তর : বুদ্ধ - ধম্ম - সংঘ।
১১৭. জৈন ধর্মের হাত ধরে কোন ভাষার উন্নতি সাধিত হয় ? পালি / প্রাকৃত / সংস্কৃত / দ্রাবিড়।
উত্তর : প্রাকৃত।
১১৮. বৌদ্ধ ধর্মপ্রচারের ভাষা ছিল - পালি / প্রাকৃত / সংস্কৃত / দ্রাবিড়।
উত্তর : পালি।
১১৯. নির্বাণ - কথাটির অর্থ কী ? শুরু / শেষ / মুক্তিলাভ / দেবত্বলাভ।
উত্তর : মুক্তিলাভ।
১২০. মজঝিম পতিপদা বা মধ্যপন্থার কথা কে বলেছিলেন ? মহাবীর / গৌতম বুদ্ধ।
উত্তর : গৌতম বুদ্ধ।
১২১. বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মের ধর্ম আন্দোলন বেশি করে ছড়িয়ে পড়েছিল - গ্রামাঞ্চলে / শহরাঞ্চলে।
উত্তর : শহরাঞ্চলে।
১২২. জাতকের গল্প লেখা হয়েছিল - পালি / প্রাকৃত / সংস্কৃত / দ্রাবিড় - ভাষায়।
উত্তর : পালি।
১২৩. জাতকের গল্প সংখ্যা - ১০০র বেশি / ২০০র বেশি / ৫০০র বেশি / ২০০০এর বেশি।
উত্তর : ৫০০র বেশি।
সংক্ষিপ্ত ও রচনাধর্মী প্রশ্ন :-
১. রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে মগধের উত্থানের কারণগুলি লেখ।
অথবা , ষোড়শ মহাজনপদগুলির মধ্যে একমাত্র মগধই কীভাবে সর্বভারতীয় শক্তিতে পরিণত হয় ?
[ পৃষ্ঠা ৬৬ ]
২. নব্যধর্ম আন্দোলনের কারণগুলি লেখ।
অথবা , খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে প্রতিবাদী আন্দোলনের কারণগুলি লেখ।
অথবা , বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মের উত্থানের কারণ / প্রেক্ষাপট আলোচনা কর।
[ পৃষ্ঠা ৬৮ ]
৩. টীকা লেখ : চতুর্যাম ও পঞ্চমহাব্রত। [পৃষ্ঠা ৭০]
৪. টীকা লেখ : দিগম্বর ও শ্বেতাম্বর।
অথবা , জৈন ধর্মের দুটি প্রধান শাখা সম্পর্কে লেখ।
অথবা , দিগম্বর ও শ্বেতাম্বর কাদের বলা হয় ? [ পৃষ্ঠা ৭০ ]
৫. ধর্মচক্র প্রবর্তন কাকে বলে ? [পৃষ্ঠা ৭১]
৬. আর্যসত্য কাকে বলে ? [পৃষ্ঠা ৭২]
৭. অষ্টাঙ্গিক মার্গ কাকে বলে ? [পৃষ্ঠা ৭২]
৮. বৌদ্ধ সংগীতিগুলির পরিচয় দাও। [পৃষ্ঠা ৭২]
৯. হীনযান ও মহাযান সম্পর্কে লেখ।
অথবা , বৌদ্ধরা কীভাবে দুটি সম্প্রদায়ে বিভক্ত হয়ে পড়ে - তা আলোচনা কর। [পৃষ্ঠা ৭৩]
১০. টীকা লেখ - ত্রিরত্ন। [পৃষ্ঠা ৭৪]
১১. মজঝিম পতিপদা বা মধ্যপন্থা কাকে বলে ? [পৃষ্ঠা ৭৪]
১২. জাতকের গল্পগুলি গুরুত্বপূর্ণ কেন ? [পৃষ্ঠা ৭৪]
0 comments