WBBSE TEST PAPERS SOLVE 2022 HISTORY 2 MARK SOLVE 2ND CHAPTER

by - February 15, 2022

WBBSE TEST PAPERS SOLVE 2022 HISTORY 2 MARK SOLVE 2ND CHAPTER 

এখানে WBBSE Test Papers 2022 এর ২ মার্কের প্রশ্নগুলির সমাধান দেওয়া হয়েছে। সমগ্র টেস্ট পেপারটিতে দ্বিতীয় অধ্যায় থেকে যেসকল ২ মার্কের প্রশ্ন পাওয়া গেছে সেগুলির উপযুক্ত উত্তর দেওয়া হয়েছে।    

PAGE : 137 ( Sishutirtha Sukanta Vidyaniketan ) 

৩.৪. পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রসারে ডেভিড হেয়ারের ভূমিকা লেখো। 
স্কটল্যান্ডের ঘড়ি ব্যবসায়ী ডেভিড হেয়ার ছিলেন ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারের অন্যতম পথিকৃৎ। তাঁর উল্লেখযোগ্য কৃতিত্বগুলি হল - 
(ক ) ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠায় তিনি বিশেষভাবে সহায়তা করেন। 
(খ ) শুধুমাত্র ব্যক্তিগত উদ্যোগে তিনি হেয়ার স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। 
(গ ) ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজি ভাষায় পাঠ্যপুস্তক রচনার জন্য স্কুল বুক সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন। 
(ঘ ) নারীদের জন্য কলকাতায় কয়েকটি বিদ্যালয় স্থাপন করেন এবং নারীশিক্ষা বিস্তারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। 

৩.৫. ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ কেন বিভক্ত হল ? 
ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠাতা কেশবচন্দ্র সেন। কিন্তু কালক্রমে কেশবচন্দ্র সেনের ইংরেজপ্রীতি , অবতারবাদে বিশ্বাস এবং ব্রাহ্ম সমাজের নিয়ম উপেক্ষা করে নিজের ১৪ বছরের নাবালিকা কন্যাকে কোচবিহারের মহারাজের সঙ্গে বিবাহদান - ইত্যাদি ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে শিবনাথ শাস্ত্রী , আনন্দমোহন বসু প্রমুখেরা ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ থেকে বেরিয়ে এসে সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠা করেন। এইসময় কেশবচন্দ্রের ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ নববিধান ব্রাহ্মসমাজ নামে পরিচিত হয়। 

৩.৬. শ্রীরামকৃষ্ণ কীভাবে সর্বধর্ম সমন্বয় সাধন করেছিলেন ? 
শ্রীরামকৃষ্ণ হিন্দুধর্মকে সকল প্রকার সংকীর্ণতা থেকে মুক্ত করে মানবতার বাণী প্রচার করেছিলেন। তাঁর মতে ধর্ম হল ' শিবজ্ঞানে জীবসেবা। ' তিনি বলেন সকল ধর্মের মূলকথাগুলি এক এবং ঈশ্বর এক ও অদ্বিতীয়। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন - '' যত মত তত পথ ''। অর্থাৎ সকল ধর্মের মূলকথা হল ঈশ্বর প্রাপ্তি। এই আদর্শ প্রচারের মাধ্যমে তিনি সর্বধর্ম সমন্বয় সাধন করেছিলেন। 

PAGE : 139 ( Nirobala Smriti Girl's High School ) 

৩.৩. গ্রামবার্তা প্রকাশিকা পত্রিকায় কী কী আলোচনা প্রকাশিত হত ? 
হরিনাথ মজুমদার বা কাঙাল হরিনাথ কর্তৃক প্রকাশিত গ্রামবার্তা প্রকাশিকা পত্রিকাটি ছিল তৎকালীন গ্রাম বাংলার ইতিহাসের এক জীবন্ত দলিল। এই পত্রিকায় - (ক ) গ্রামীণ মানুষের জীবনযাত্রা ও সমস্যা সম্পর্কে আলোচনা করা হত। (খ ) নীলকর সাহেবরা কীভাবে প্রজাদের অত্যাচার করত - সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়। (গ ) কলকাতার বাবু কালচারের অসারতা (ঘ ) স্ত্রী শিক্ষা (ঙ ) জমিদার , সুদখোর , মহাজনদের অত্যাচারের কাহিনী - ইত্যাদি বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ হত। 

৩.৪. বামাবোধিনী সভার উদ্দেশ্য কী ছিল ? 
উমেশচন্দ্র দত্ত ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে বামাবোধিনী সভা প্রতিষ্ঠা করেন। এর উদ্দেশ্যগুলি ছিল - (ক ) নারীকল্যান , নারীশিক্ষার প্রসার , নারীদের স্বাধিকার প্রতিষ্ঠা - ইত্যাদি বিষয়ে জোরালো আন্দোলন। (খ ) নারীদের নিজেদের অধিকার প্রসঙ্গে সচেতন করা। 

৩.৫. কী উদ্দেশ্যে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা হয় ? 
লর্ড ওয়েলেসলি ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল - উচ্চপদস্থ ইংরেজ কর্মচারী তথা সিভিল সার্ভেন্টরা যাতে ভারতীয় ভাষা , সংস্কৃতি , আইন , রীতিনীতি , জীবনধারা - ইত্যাদি বিষয়ে অবগত হতে পারে। 

৩.৬. মধুসূদন গুপ্ত কে ছিলেন ? 
আধুনিক চিকিৎসা শাস্ত্রে ব্যবহারিক জ্ঞানের প্রয়োগের প্রথম রূপায়নকর্তা ছিলেন মধুসূদন গুপ্ত। তিনি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। তবে তিনি প্রথম ভারতীয় হিসেবে শব ব্যবচ্ছেদ করে - আধুনিক চিকিৎসা শাস্ত্রের ইতিহাসে তাঁর অমূল্য অবদান রেখে যান। 

PAGE : 142 ( Raina Jagatmata ) 

৩.৩. হুতোম প্যাঁচার নকশা গ্রন্থে কী ধরণের সামাজিক চিত্র পাওয়া যায় ? 
হুতোম প্যাঁচার নকশা গ্রন্থের রচয়িতা কালীপ্রসন্ন সিংহ। এই গ্রন্থের মধ্যে দিয়ে কলকাতার ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের বাবু কালচারের জীবন্ত বর্ণনা পাওয়া যায়। এই বাবু কালচারে অভ্যস্ত কলকাতা শহর কেন্দ্রিক মানুষের জীবনযাত্রার অসারতা , তাদের তামসিক জীবনধারা , যাত্রা - থিয়েটার , বাইজি সমাজ - ইত্যাদি বিষয়ে জানা যায়। 

৩.৪. গ্রামবার্তা প্রকাশিকা কে প্রকাশ করেন ? তিনি কী নামে সুপরিচিত ছিলেন ? 
গ্রামবার্তা প্রকাশিকা পত্রিকাটি প্রকাশ করেন হরিনাথ মজুমদার। তিনি কাঙাল হরিনাথ নামে সুপরিচিত ছিলেন। 

৩.৫. ' চুঁইয়ে পড়া নীতি ' - বলতে কী বোঝো ? 
ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার বিস্তারের ক্ষেত্রে চুঁইয়ে পড়া নীতির প্রবক্তা মেকলে। এই নীতি অনুসারে , বাংলার উচ্চবিত্ত ও সমাজের উচ্চস্তরের মানুষদের মধ্যে ইংরেজি শিক্ষার বিস্তার ঘটানো হলে তা তাদের হাত ধরে সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে। ফিল্টারের জল যেমন উপর থেকে চুঁইয়ে নীচের দিকে পড়ে ঠিক তেমন ভাবেই সমাজের উচ্চ বর্গের মানুষদের মাধ্যমে ইংরেজি শিক্ষা সমাজের সর্বস্তরে ছড়িয়ে পড়বে। এই নীতি চুঁইয়ে পড়া নীতি নামে পরিচিত। 

৩.৬. শ্রীরামপুর ত্রয়ী কারা ছিলেন ? 
উইলিয়াম কেরি , জোসুয়া মার্শম্যান , উইলিয়াম ওয়ার্ড - শ্রীরামপুর মিশনারির এই তিনজন সমাজ ও শিক্ষা সংস্কারক শ্রীরামপুর ত্রয়ী নামে পরিচিত ছিলেন। 

PAGE : 144 ( Malatipur R.K. Girls' ) 

৩.৩. শিক্ষা বিস্তারে রাধাকান্ত দেবের ভূমিকা কী ছিল ? 
রাধাকান্ত দেব ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। (ক ) ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠায় তিনি সহায়তা করেন। (খ ) তিনি স্কুল বুক সোসাইটির সাথে যুক্ত থেকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। (গ ) নারীশিক্ষা বিস্তারে তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। (ঘ ) তিনি ক্যালকাটা স্কুল সোসাইটিরও সদস্য ছিলেন। 

৩.৪. মধুসূদন গুপ্ত কে ছিলেন ?        
আধুনিক চিকিৎসা শাস্ত্রে ব্যবহারিক জ্ঞানের প্রয়োগের প্রথম রূপায়নকর্তা ছিলেন মধুসূদন গুপ্ত। তিনি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। তবে তিনি প্রথম ভারতীয় হিসেবে শব ব্যবচ্ছেদ করে - আধুনিক চিকিৎসা শাস্ত্রের ইতিহাসে তাঁর অমূল্য অবদান রেখে যান।    

৩.৫. নব্য বেদান্তের মূলকথা কী ? 
স্বামী বিবেকানন্দ প্রাচীন অদ্বৈত দর্শনের বাস্তববাদী ব্যাখ্যা প্রদান করেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত দর্শন নব্য বেদান্তবাদ নামে পরিচিত। এই মতবাদের মূল কথা হল - সৃষ্টির প্রতিটি কণায় , প্রতিটি প্রাণের মধ্যে অনন্ত ব্রহ্ম বিদ্যমান। তাই প্রতিটি মানুষের সেবা করাই হল অনন্ত ব্রহ্মের সেবা করা বা ঈশ্বরের সেবা করা। 

৩.৬. বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ব্রাহ্মধর্মে কী পরিবর্তন আনেন ? 
বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ব্রাহ্মসমাজ ত্যাগ করে নব্যবৈষ্ণব আন্দোলন শুরু করেন। তিনি স্ত্রীশিক্ষা ও নারকল্যানের জন্য চেষ্টা করেছিলেন। এরপর তিনি শ্রীরামকৃষ্ণ ও ত্রৈলঙ্গস্বামীর সংস্পর্শে এসে সর্বধর্ম সমন্বয় ও সাকার ব্রহ্মের আদর্শে অনুপ্রাণিত হন এবং মূর্তিপূজাকে সমর্থন করেন। 

PAGE : 146 ( সপ্তগ্রাম কিশোর ভারতী ) 

৩.৩. নব্য বেদান্ত কী ?     
স্বামী বিবেকানন্দ প্রাচীন অদ্বৈত দর্শনের বাস্তববাদী ব্যাখ্যা প্রদান করেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত দর্শন নব্য বেদান্তবাদ নামে পরিচিত। এই মতবাদের মূল কথা হল - সৃষ্টির প্রতিটি কণায় , প্রতিটি প্রাণের মধ্যে অনন্ত ব্রহ্ম বিদ্যমান। তাই প্রতিটি মানুষের সেবা করাই হল অনন্ত ব্রহ্মের সেবা করা বা ঈশ্বরের সেবা করা।    

৩.৪. চুঁইয়ে পড়া তত্ত্ব কী ? 
ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার বিস্তারের ক্ষেত্রে চুঁইয়ে পড়া নীতির প্রবক্তা মেকলে। এই নীতি অনুসারে , বাংলার উচ্চবিত্ত ও সমাজের উচ্চস্তরের মানুষদের মধ্যে ইংরেজি শিক্ষার বিস্তার ঘটানো হলে তা তাদের হাত ধরে সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে। ফিল্টারের জল যেমন উপর থেকে চুঁইয়ে নীচের দিকে পড়ে ঠিক তেমন ভাবেই সমাজের উচ্চ বর্গের মানুষদের মাধ্যমে ইংরেজি শিক্ষা সমাজের সর্বস্তরে ছড়িয়ে পড়বে। এই নীতি চুঁইয়ে পড়া নীতি নামে পরিচিত। 

৩.৫. দুজন পাশ্চাত্যবাদীর নাম লেখো। 
মেকলে , আলেকজান্ডার ডাফ , সন্ডার্স , কলভিন - প্রমুখ। 

৩.৬. দুজন প্রাচ্যবাদীর নাম লেখো। 
এইচ টি প্রিন্সেপ , কোলব্রুক , উইলসন - প্রমুখ। 

৩.১১. ব্রাহ্ম সমাজ কে , কত খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করেন ? 
রাজা রামমোহন রায় , ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দে। 

৩.১২. শ্রীরামপুর ত্রয়ী কারা ? 
উইলিয়াম কেরি , জোসুয়া মার্শম্যান , উইলিয়াম ওয়ার্ড - শ্রীরামপুর মিশনারির এই তিনজন সমাজ ও শিক্ষা সংস্কারক শ্রীরামপুর ত্রয়ী নামে পরিচিত ছিলেন। 

PAGE : 149 ( Simlapal M.M. high School ) 

৩.৩. প্রাচ্য - পাশ্চাত্য দ্বন্দ্ব কী ? 
১৮১৩ খ্রিস্টাব্দের সনদ আইনে ঘোষণা করা হয় যে ভারতে শিক্ষা খাতে বার্ষিক এক লক্ষ টাকা ব্যয় করা হবে। কিন্তু ঐ টাকা ইংরেজি শিক্ষা বিস্তারে না দেশীয় শিক্ষা বিস্তারে ব্যয় করা হবে তা নিয়ে GCPI - এর সদস্যরা দুই ভাগে ভাগ হয়ে যান। প্রাচ্যবাদীরা দেশীয় শিক্ষার জন্য এবং পাশ্চাত্যবাদীরা পাশ্চাত্য শিক্ষা খাতে সেই অর্থ ব্যয় করতে চেয়েছিলেন। একেই প্রাচ্য - পাশ্চাত্য দ্বন্দ্ব বলা হয়। এই দ্বন্দ্বের অবসান হয় মেকলে মিনিট - এর মাধ্যমে। 

৩.৪. হুতোম প্যাঁচার নকশা থেকে তৎকালীন সমাজের কী চিত্র পাওয়া যায় ? 
হুতোম প্যাঁচার নকশা গ্রন্থের রচয়িতা কালীপ্রসন্ন সিংহ। এই গ্রন্থের মধ্যে দিয়ে কলকাতার ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের বাবু কালচারের জীবন্ত বর্ণনা পাওয়া যায়। এই বাবু কালচারে অভ্যস্ত কলকাতা শহর কেন্দ্রিক মানুষের জীবনযাত্রার অসারতা , তাদের তামসিক জীবনধারা , যাত্রা - থিয়েটার , বাইজি সমাজ - ইত্যাদি বিষয়ে জানা যায়। 

৩.৫. পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রসারে রামমোহন রায়ের ভূমিকা কী ছিল ? 
রাজা রামমোহন রায় ছিলেন ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারের অন্যতম পথিকৃৎ। তিনি (ক ) ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় অ্যাংলো হিন্দু স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। (খ ) ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠায় তিনি সহায়তা করেন। (গ ) ১৮২৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি লর্ড আমহার্স্টকে একটি পত্র প্রেরণ করে সরকারি অর্থ পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে খরচের দাবী জানান। 

৩.৬. গ্রামবার্তা প্রকাশিকা কেন গুরুত্বপর্ণ ? 
হরিনাথ মজুমদার বা কাঙাল হরিনাথ কর্তৃক প্রকাশিত গ্রামবার্তা প্রকাশিকা পত্রিকাটি ছিল তৎকালীন গ্রাম বাংলার ইতিহাসের এক জীবন্ত দলিল। এই পত্রিকায় - (ক ) গ্রামীণ মানুষের জীবনযাত্রা ও সমস্যা সম্পর্কে আলোচনা করা হত। (খ ) নীলকর সাহেবরা কীভাবে প্রজাদের অত্যাচার করত - সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়। (গ ) কলকাতার বাবু কালচারের অসারতা (ঘ ) স্ত্রী শিক্ষা (ঙ ) জমিদার , সুদখোর , মহাজনদের অত্যাচারের কাহিনী - ইত্যাদি বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ হত। 

৩.১১. নব্যবঙ্গ আন্দোলন কেন ব্যর্থ হয়েছিল ? 
ডিরোজিও প্রবর্তিত নব্যবঙ্গ আন্দোলন আপাতদৃষ্টিতে ব্যর্থ হয়। (ক ) হিন্দু ধর্ম ও হিন্দু রীতিনীতির বিরুদ্ধে নব্যবঙ্গের সদস্যদের উগ্র মনোভাব হিন্দুদের আতঙ্কিত করেছিল। (খ ) নব্যবঙ্গ আন্দোলনের বিস্তার ছিল খুবই সীমিত। শুধুমাত্র শহরের কিছু শিক্ষিত ছাত্রদের মধ্যে এর ভাবধারা প্রসারিত হয়েছিল। (গ ) ডিরোজিওর মৃত্যুর পর নব্যবঙ্গের সদস্যদের আন্দোলনমুখী মানসিকতা স্তিমিত হয়ে পড়ে। 

PAGE : 151 ( Dum Dum Deshbandhu High School ) 

৩.৩. মেকলে মিনিট কী ? 
জনশিক্ষা কমিটির ( GCPI ) সভাপতি টমাস ব্যাবিংটন মেকলে ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রবর্তনের সুপারিশ করে বড়লাট লর্ড বেন্টিঙ্কের নিকট ১৮৩৫ সালে একটি প্রস্তাব পেস করেন। এই প্রস্তাব মেকলে মিনিট নামে পরিচিত। এই প্রস্তাবে মেকলে উল্লেখ করছিলেন ভারতীয় শিক্ষা পশ্চাদপদ ; তাই ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রবর্তিত হওয়া প্রয়োজন। 

৩.৪. কী উদ্দেশ্যে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা হয় ? 
লর্ড ওয়েলেসলি ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল - উচ্চপদস্থ ইংরেজ কর্মচারী তথা সিভিল সার্ভেন্টরা যাতে ভারতীয় ভাষা , সংস্কৃতি , আইন , রীতিনীতি , জীবনধারা - ইত্যাদি বিষয়ে অবগত হতে পারে। 

৩.৫. ডেভিড হেয়ার বিখ্যাত কেন ?
স্কটল্যান্ডের ঘড়ি ব্যবসায়ী ডেভিড হেয়ার ছিলেন ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারের অন্যতম পথিকৃৎ। তাঁর উল্লেখযোগ্য কৃতিত্বগুলি হল - 
(ক ) ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠায় তিনি বিশেষভাবে সহায়তা করেন। 
(খ ) শুধুমাত্র ব্যক্তিগত উদ্যোগে তিনি হেয়ার স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। 
(গ ) ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজি ভাষায় পাঠ্যপুস্তক রচনার জন্য স্কুল বুক সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন। 
(ঘ ) নারীদের জন্য কলকাতায় কয়েকটি বিদ্যালয় স্থাপন করেন এবং নারীশিক্ষা বিস্তারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। 

৩.৬. নব্যবঙ্গ গোষ্ঠী কাদের বলা হয় ? 
হিন্দু কলেজের তরুণ অধ্যাপক ও মানবতাবাদের পূজারী ডিরোজিও তাঁর অনুগত ছাত্রদের নিয়ে হিন্দু ধর্মের প্রচলিত কুসংস্কার , পশ্চাদপদ রীতিনীতি - ইত্যাদির বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন। ঘুণধরা হিন্দু সমাজের রীতিনীতিগুলির বিরুদ্ধে তাঁরা সোচ্চার হন। একে নব্যবঙ্গীয় আন্দোলন বলা হয় এবং ডিরোজিও ও তাঁর অনুগামীরা নব্যবঙ্গ গোষ্ঠী নামে পরিচিত হন। 

৩.১৪. শ্রীরামপুর ত্রয়ী কারা ? 
উইলিয়াম কেরি , জোসুয়া মার্শম্যান , উইলিয়াম ওয়ার্ড - শ্রীরামপুর মিশনারির এই তিনজন সমাজ ও শিক্ষা সংস্কারক শ্রীরামপুর ত্রয়ী নামে পরিচিত ছিলেন।  

PAGE : 154 ( Sarisha Ramkrishna Mission ) 

৩.৩ উডের ডেসপ্যাচ কী ? 
বোর্ড অব কন্ট্রোলের সভাপতি স্যার চার্লস উড ১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দে শিক্ষা সংক্রান্ত এক নির্দেশনামা জারি করেন। এই নির্দেশনামা উডের ডেসপ্যাচ নামে পরিচিত। উডের নির্দেশনামার মূল বক্তব্য ছিল - (ক ) কলকাতা , বোম্বাই ও মাদ্রাজে একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ; (খ ) পৃথক শিক্ষা দপ্তর গঠন ; (গ ) শিক্ষক শিক্ষনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ; (ঘ ) স্ত্রীশিক্ষার প্রসার ; (ঙ ) ইংরেজি ভাষার প্রসার - ইত্যাদি। 

৩.৪. বিদ্যোৎসাহিনী সভা কেন প্রতিষ্ঠা করেন ?  
কালীপ্রসন্ন সিংহ মাত্র ১৫ বছর বয়সে ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে বিদ্যোৎসাহিনী সভা প্রতিষ্ঠা করেন। এই সভার সদস্যরা প্রবন্ধপাঠ ও সেই সংক্রান্ত আলোচনা এবং বিধবা বিবাহ ও সমাজ সংস্কারের পক্ষে মত প্রকাশ করতেন। 

৩.৫. মেকলে মিনিটস এর গুরুত্ব লেখো। 
জনশিক্ষা কমিটির ( GCPI ) সভাপতি টমাস ব্যাবিংটন মেকলে ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রবর্তনের সুপারিশ করে বড়লাট লর্ড বেন্টিঙ্কের নিকট ১৮৩৫ সালে একটি প্রস্তাব পেস করেন। এই প্রস্তাব মেকলে মিনিট নামে পরিচিত। এই প্রস্তাবে মেকলে উল্লেখ করছিলেন ভারতীয় শিক্ষা পশ্চাদপদ ; তাই ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রবর্তিত হওয়া প্রয়োজন। এই প্রস্তাব অনুসারেই ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসার গতিপ্রাপ্ত হয় এবং প্রাচ্য - পাশ্চাত্য দ্বন্দ্বের অবসান ঘটে। 

৩.৬. ১৮৫৭ - র ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইনের গুরুত্ব লেখো। 
১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিশ্ববিদ্যালয় আইনের মাধ্যমে ভারতে উচ্চশিক্ষার বিস্তার সাংগঠনিক রূপ লাভ করে। এই আইনের মাধ্যমেই কলকাতা , বোম্বাই ও মাদ্রাজে একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় এবং গভর্নর জেনারেল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে নিযুক্ত হন ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিযুক্ত হন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জেমস উইলিয়াম কোলভিন। 

PAGE : 156 ( Hindu School ) 

৩.৩. প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য বিষয়ক দ্বন্দ্ব কাকে বলে ? 
১৮১৩ খ্রিস্টাব্দের সনদ আইনে ঘোষণা করা হয় যে ভারতে শিক্ষা খাতে বার্ষিক এক লক্ষ টাকা ব্যয় করা হবে। কিন্তু ঐ টাকা ইংরেজি শিক্ষা বিস্তারে না দেশীয় শিক্ষা বিস্তারে ব্যয় করা হবে তা নিয়ে GCPI - এর সদস্যরা দুই ভাগে ভাগ হয়ে যান। প্রাচ্যবাদীরা দেশীয় শিক্ষার জন্য এবং পাশ্চাত্যবাদীরা পাশ্চাত্য শিক্ষা খাতে সেই অর্থ ব্যয় করতে চেয়েছিলেন। একেই প্রাচ্য - পাশ্চাত্য দ্বন্দ্ব বলা হয়। এই দ্বন্দ্বের অবসান হয় মেকলে মিনিট - এর মাধ্যমে। 

৩.৪. নব্যবঙ্গ আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছিল কেন ? 
ডিরোজিও প্রবর্তিত নব্যবঙ্গ আন্দোলন আপাতদৃষ্টিতে ব্যর্থ হয়। (ক ) হিন্দু ধর্ম ও হিন্দু রীতিনীতির বিরুদ্ধে নব্যবঙ্গের সদস্যদের উগ্র মনোভাব হিন্দুদের আতঙ্কিত করেছিল। (খ ) নব্যবঙ্গ আন্দোলনের বিস্তার ছিল খুবই সীমিত। শুধুমাত্র শহরের কিছু শিক্ষিত ছাত্রদের মধ্যে এর ভাবধারা প্রসারিত হয়েছিল। (গ ) ডিরোজিওর মৃত্যুর পর নব্যবঙ্গের সদস্যদের আন্দোলনমুখী মানসিকতা স্তিমিত হয়ে পড়ে। 

৩.৫. হাজি মহম্মদ মহসীন স্মরণীয় কেন ? 
বাংলার একজন দানবীর ও শিক্ষা ও সমাজ সংস্কারের ক্ষেত্রে হাজি মহম্মদ মহসীন এক উল্লেখযোগ্য নাম। তাঁর সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য কৃতিত্ব হল - হুগলির মহসিন কলেজ ও হুগলির ইমামবাড়া প্রতিষ্ঠা। তিনি শিক্ষা , ধর্মের উন্নতি , অসহায় ও বয়স্কদের জন্য সমাজ কল্যাণ - ইত্যাদি কাজে বিপুল অর্থ ব্যয় করেছিলেন। 

৩.৬. নব্য বেদান্তবাদ কী ? 
স্বামী বিবেকানন্দ প্রাচীন অদ্বৈত দর্শনের বাস্তববাদী ব্যাখ্যা প্রদান করেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত দর্শন নব্য বেদান্তবাদ নামে পরিচিত। এই মতবাদের মূল কথা হল - সৃষ্টির প্রতিটি কণায় , প্রতিটি প্রাণের মধ্যে অনন্ত ব্রহ্ম বিদ্যমান। তাই প্রতিটি মানুষের সেবা করাই হল অনন্ত ব্রহ্মের সেবা করা বা ঈশ্বরের সেবা করা।    

PAGE : 159 ( Burnpur Subhaspalli ) 

৩.৩. নারী সমাজের উন্নতির জন্য প্রকাশিত দুটি পত্রিকার নাম কী ? 
হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের হিন্দু প্যাট্রিয়ট ও উমেশচন্দ্র দত্ত - র বামাবোধিনী পত্রিকা। 

৩.৪. কে , কাকে ট্রাডিশনাল মর্ডানাইজার বলেছেন ? 
ঐতিহাসিক অমলেশ ত্রিপাঠি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে ট্রাডিশনাল মর্ডানাইজার বলেছেন। কেননা , তিনি ভারতের প্রাচীন ঐতিহ্যকে আশ্রয় করেই সমাজ সংস্কারে ব্রতী হয়েছিলেন। যেমন বিধবা বিবাহ প্রবর্তনে তিনি পরাশর সংহিতা নামক প্রাচীন গ্রন্থের যুক্তিগুলিকে নিজ সমর্থনে তুলে ধরেছিলেন। 

৩.৫. হুতোম প্যাঁচার নকশা - গ্রন্থের দুটি বৈশিষ্ট লেখো। 
হুতোম প্যাঁচার নকশা গ্রন্থের রচয়িতা কালীপ্রসন্ন সিংহ। এই গ্রন্থের দুটি বৈশিষ্ট - (ক ) এই গ্রন্থের মধ্যে দিয়ে কলকাতার ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের বাবু কালচারের জীবন্ত বর্ণনা পাওয়া যায়। এই বাবু কালচারে অভ্যস্ত কলকাতা শহর কেন্দ্রিক মানুষের জীবনযাত্রার অসারতা , তাদের তামসিক জীবনধারা , যাত্রা - থিয়েটার , বাইজি সমাজ - ইত্যাদি বিষয়ে জানা যায়। (খ ) এর সাথে সাথে ইংরেজি না জানা বা পাশ্চাত্য বিরোধী সমাজের কথাও জানা যায়। 

৩.৬. রামমোহন রায় ও ইয়ং বেঙ্গল দলের সমাজ সংস্কার আন্দোলনের লক্ষ্যের মধ্যে পার্থক্য কোথায় ? 
রাজা রামমোহন রায় গঠনমূলক সংস্কারে ব্রতী হয়েছিলেন। নিদিষ্ট পদ্ধতিতে জনমত গঠন , সরকারি ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে সমাজ সংস্কার - এই ছিল রামমোহনের সমাজ সংস্কারের বৈশিষ্ট। কিন্তু ডিরোজিওর নেতৃত্বাধীন নব্যবঙ্গ আন্দোলন ছিল উগ্র হিন্দু বিরোধী - যা হিন্দুদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করে। নব্যবঙ্গ গোষ্ঠী সামাজিক সমস্যার পরিবর্তে শুধুমাত্র হিন্দু বিরোধিতায় মনোনিবেশ করেছিলেন। 

PAGE : 161 ( Soluadanga High School ) 

৩.৩. সতীদাহ প্রথা কীভাবে নিষিদ্ধ হয় ? 
রাজা রামমোহন রায়ের তীব্র সতীদাহ প্রথা বিরোধী আন্দোলনের ফলে বড়লাট লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দে সপ্তদশ বিধি বা ১৭ নং রেগুলেশন আইন পাস করেন। এই আইনের মাধ্যমে সরকারিভাবে ভারতে সতীদাহ প্রথা নিষিদ্ধ হয়। 

৩.৪. এশিয়াটিক সোসাইটি কেন প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ? 
স্যার উইলিয়াম জোন্স ১৭৮৪ সালে কলকাতায় এশিয়াটিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন। এর উদ্দেশ্য ছিল - (ক ) ভারতে প্রাচ্য বিদ্যা ও জ্ঞানের বিকাশ। (খ ) বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কিছু ভারতীয় সাহিত্যকে ইংরেজিতে অনুবাদ। (গ ) প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সম্প্রীতির পরিবেশ রচনা। 

৩.১১. বাংলার নারীশিক্ষা বিস্তারে রাজা রাধাকান্ত দেবের ভূমিকা বিশ্লেষণ করো। 
(ক ) স্ত্রী শিক্ষা বিস্তারের জন্য রাধাকান্ত দেব একাধিক পুস্তক রচনা করেন। (খ ) ১৮২১ খ্রিস্টাব্দে নারীশিক্ষা বিস্তারের জন্য তিনি ডব্লিউ এইচ পিয়ার্সকে একটি পত্র লেখেন। (গ ) এছাড়া তিনি নারীশিক্ষা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে '' স্ত্রীশিক্ষা বিধায়ক '' নামে একটি পুস্তিকা রচনা করেন।   

৩.১২. ব্রাহ্মসমাজের যে কোনো দুটি সমাজ সংস্কারমূলক কাজের উল্লেখ করো। 
(ক ) ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে তিন আইন প্রবর্তিত হয়। বাল্য বিবাহ ও বহুবিবাহ নিষিদ্ধ করার জন্য ব্রাহ্মসমাজের তীব্র আন্দোলন সরকারকে এই আইন প্রণয়ন করতে বাধ্য করে। 
(খ ) ব্রাহ্মসমাজ ভারতে শিক্ষার বিস্তার , নারী স্বাধীনতা , জাতিভেদ দূরীকরণ , বিধবা বিবাহ প্রচলন , শ্রমিক কল্যাণ - ইত্যাদি ক্ষেত্রে তীব্র আন্দোলন সংগঠিত করেন। 

PAGE : 164 ( Maharaja Nripendra Narayan ) 

3.3. কাঙাল হরিনাথ বিখ্যাত কেন ? 
হরিনাথ মজুমদার বা কাঙাল হরিনাথ কর্তৃক প্রকাশিত হয় গ্রামবার্তা প্রকাশিকা পত্রিকা। পত্রিকাটি ছিল তৎকালীন গ্রাম বাংলার ইতিহাসের এক জীবন্ত দলিল। এই পত্রিকায় - (ক ) গ্রামীণ মানুষের জীবনযাত্রা ও সমস্যা সম্পর্কে আলোচনা করা হত। (খ ) নীলকর সাহেবরা কীভাবে প্রজাদের অত্যাচার করত - সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়। (গ ) কলকাতার বাবু কালচারের অসারতা (ঘ ) স্ত্রী শিক্ষা (ঙ ) জমিদার , সুদখোর , মহাজনদের অত্যাচারের কাহিনী - ইত্যাদি বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ হত। এইভাবে তৎকালীন সময়ের চিত্র তুলে ধরে সমাজ সচেতনতা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। 

3.4. জনশিক্ষা কমিটি কেন গড়ে ওঠে ? 
১৮২৩ খ্রিস্টাব্দে জনশিক্ষা কমিটি বা পাবলিক ইন্সট্রাকশন কমিটি গঠিত হয়। মূলতঃ ভারতে জনশিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে নীতি নির্ধারণের জন্যই জনশিক্ষা কমিটি গঠিত হয়। 

3.6. বাংলার নারীশিক্ষার বিস্তারে রাজা রাধাকান্ত দেবের ভূমিকা বিশ্লেষণ করো। 
(ক ) স্ত্রী শিক্ষা বিস্তারের জন্য রাধাকান্ত দেব একাধিক পুস্তক রচনা করেন। (খ ) ১৮২১ খ্রিস্টাব্দে নারীশিক্ষা বিস্তারের জন্য তিনি ডব্লিউ এইচ পিয়ার্সকে একটি পত্র লেখেন। (গ ) এছাড়া তিনি নারীশিক্ষা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে '' স্ত্রীশিক্ষা বিধায়ক '' নামে একটি পুস্তিকা রচনা করেন।   

3.15. কে , কী উদ্দেশ্যে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন ? 
লর্ড ওয়েলেসলি ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল - উচ্চপদস্থ ইংরেজ কর্মচারী তথা সিভিল সার্ভেন্টরা যাতে ভারতীয় ভাষা , সংস্কৃতি , আইন , রীতিনীতি , জীবনধারা - ইত্যাদি বিষয়ে অবগত হতে পারে। 

PAGE : 166 ( Garhbeta Umadevi Girls' High School ) 

৩.৩. বামাবোধিনী সভার উদ্দেশ্য কী ছিল ? 
উমেশচন্দ্র দত্ত ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে বামাবোধিনী সভা প্রতিষ্ঠা করেন। এর উদ্দেশ্যগুলি ছিল - (ক ) নারীকল্যান , নারীশিক্ষার প্রসার , নারীদের স্বাধিকার প্রতিষ্ঠা - ইত্যাদি বিষয়ে জোরালো আন্দোলন। (খ ) নারীদের নিজেদের অধিকার প্রসঙ্গে সচেতন করা। 

৩.৪. কী উদ্দেশ্যে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা হয় ? 
লর্ড ওয়েলেসলি ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল - উচ্চপদস্থ ইংরেজ কর্মচারী তথা সিভিল সার্ভেন্টরা যাতে ভারতীয় ভাষা , সংস্কৃতি , আইন , রীতিনীতি , জীবনধারা - ইত্যাদি বিষয়ে অবগত হতে পারে।

৩.৫. প্রাচ্য - পাশ্চাত্য দ্বন্দ্ব কী ? 
১৮১৩ খ্রিস্টাব্দের সনদ আইনে ঘোষণা করা হয় যে ভারতে শিক্ষা খাতে বার্ষিক এক লক্ষ টাকা ব্যয় করা হবে। কিন্তু ঐ টাকা ইংরেজি শিক্ষা বিস্তারে না দেশীয় শিক্ষা বিস্তারে ব্যয় করা হবে তা নিয়ে GCPI - এর সদস্যরা দুই ভাগে ভাগ হয়ে যান। প্রাচ্যবাদীরা দেশীয় শিক্ষার জন্য এবং পাশ্চাত্যবাদীরা পাশ্চাত্য শিক্ষা খাতে সেই অর্থ ব্যয় করতে চেয়েছিলেন। একেই প্রাচ্য - পাশ্চাত্য দ্বন্দ্ব বলা হয়। এই দ্বন্দ্বের অবসান হয় মেকলে মিনিট - এর মাধ্যমে। 

৩.৬. কী উদ্দেশ্যে এশিয়াটিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ? 
স্যার উইলিয়াম জোন্স ১৭৮৪ সালে কলকাতায় এশিয়াটিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন। এর উদ্দেশ্য ছিল - (ক ) ভারতে প্রাচ্য বিদ্যা ও জ্ঞানের বিকাশ। (খ ) বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কিছু ভারতীয় সাহিত্যকে ইংরেজিতে অনুবাদ। (গ ) প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সম্প্রীতির পরিবেশ রচনা। 

PAGE : 169 ( Hasimnagar High School ) 

৩.৩. বামাবোধিনী পত্রিকার গুরুত্ব কী ছিল ? 
উমেশচন্দ্র দত্ত কর্তৃক প্রকাশিত বামাবোধিনী পত্রিকাটি একাধিক কারণে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। 
(ক ) নারীশিক্ষার অবহেলিত চিত্র তুলে ধরে বামাবোধিনী পত্রিকাটি নারীশিক্ষার পক্ষে জোরালো সওয়াল করে। (খ ) পত্রিকাটি নারীদের অন্দরমহলের জীবন থেকে মুক্তির দাবী জানায়। (গ ) বাল্যবিবাহ , বহুবিবাহ , মদ্যপান ও বিভিন্ন কুসংস্কারের বিরুদ্ধে বামাবোধিনী পত্রিকা জনমত সংগঠিত করে। (ঘ ) নারীদের অধিকার ও সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে পত্রিকাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

৩.৪. গ্রামবার্তা প্রকাশিকা পত্রিকায় সমকালীন বাংলার কীরূপ সমাজচিত্র পাওয়া যায় ? 
হরিনাথ মজুমদার বা কাঙাল হরিনাথ কর্তৃক প্রকাশিত হয় গ্রামবার্তা প্রকাশিকা পত্রিকা। পত্রিকাটি ছিল তৎকালীন গ্রাম বাংলার ইতিহাসের এক জীবন্ত দলিল। এই পত্রিকায় - (ক ) গ্রামীণ মানুষের জীবনযাত্রা ও সমস্যা সম্পর্কে আলোচনা করা হত। (খ ) নীলকর সাহেবরা কীভাবে প্রজাদের অত্যাচার করত - সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়। (গ ) কলকাতার বাবু কালচারের অসারতা (ঘ ) স্ত্রী শিক্ষা (ঙ ) জমিদার , সুদখোর , মহাজনদের অত্যাচারের কাহিনী - ইত্যাদি বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ হত।

৩.৫. জেমস লং - এর নামে নীলদর্পণ নাটকের ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশিত হলে এর কী প্রতিক্রিয়া হয় ? 
জেমস লং - এর নামে নীলদর্পণ নাটকের ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশিত হলে তাঁকে অভিযুক্ত করে শাস্তি হিসেবে এক মাসের কারাদন্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার এই টাকা পরিশোধ করেছিলেন কালীপ্রসন্ন সিংহ। 

৩.৬. প্রাচ্য - পাশ্চাত্য শিক্ষা বিষয়ক দ্বন্দ্ব কীভাবে শুরু হয় ?  
১৮১৩ খ্রিস্টাব্দের সনদ আইনে ঘোষণা করা হয় যে ভারতে শিক্ষা খাতে বার্ষিক এক লক্ষ টাকা ব্যয় করা হবে। কিন্তু ঐ টাকা ইংরেজি শিক্ষা বিস্তারে না দেশীয় শিক্ষা বিস্তারে ব্যয় করা হবে তা নিয়ে GCPI - এর সদস্যরা দুই ভাগে ভাগ হয়ে যান। প্রাচ্যবাদীরা দেশীয় শিক্ষার জন্য এবং পাশ্চাত্যবাদীরা পাশ্চাত্য শিক্ষা খাতে সেই অর্থ ব্যয় করতে চেয়েছিলেন। এইভাবে প্রাচ্য - পাশ্চাত্য শিক্ষা বিষয়ক দ্বন্দ্ব শুরু হয় এবং এই দ্বন্দ্বের অবসান হয় মেকলে মিনিট - এর মাধ্যমে। 

৩.১৪. কারা শ্রীরামপুর ত্রয়ী নামে পরিচিত ? 
উইলিয়াম কেরি , জোসুয়া মার্শম্যান , উইলিয়াম ওয়ার্ড - শ্রীরামপুর মিশনারির এই তিনজন সমাজ ও শিক্ষা সংস্কারক শ্রীরামপুর ত্রয়ী নামে পরিচিত ছিলেন।  

PAGE 171 ( The Path Bhavan ) 

৩.৩. বামাবোধিনী পত্রিকা বিখ্যাত কেন ? 
উমেশচন্দ্র দত্ত কর্তৃক প্রকাশিত বামাবোধিনী পত্রিকাটি - 
(ক ) নারীশিক্ষার অবহেলিত চিত্র তুলে ধরে বামাবোধিনী পত্রিকাটি নারীশিক্ষার পক্ষে জোরালো সওয়াল করে। (খ ) পত্রিকাটি নারীদের অন্দরমহলের জীবন থেকে মুক্তির দাবী জানায়। (গ ) বাল্যবিবাহ , বহুবিবাহ , মদ্যপান ও বিভিন্ন কুসংস্কারের বিরুদ্ধে বামাবোধিনী পত্রিকা জনমত সংগঠিত করে। (ঘ ) নারীদের অধিকার ও সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে পত্রিকাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

৩.৪. জনশিক্ষা কমিটি কেন তৈরী হয়েছিল ? 
১৮২৩ খ্রিস্টাব্দে জনশিক্ষা কমিটি বা পাবলিক ইন্সট্রাকশন কমিটি গঠিত হয়। মূলতঃ ভারতে জনশিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে নীতি নির্ধারণের জন্যই জনশিক্ষা কমিটি গঠিত হয়। 

৩.৫. ব্রাহ্ম আন্দোলনের দুটি সীমাবদ্ধতা লেখো। 
(ক ) ব্রাহ্ম আন্দোলন শুধুমাত্র কিছু শহুরে শিক্ষিত মধ্যবিত্ত মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। সাধারণ মানুষের মধ্যে এর প্রভাব ছিল নগন্য। 
(খ ) ব্রাহ্মসমাজের বিভিন্ন সদস্যের মধ্যে মতবিরোধের ফলে ব্রাহ্মসমাজ একধিক গোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়ে পড়ে। যেমন ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ , নববিধান ব্রাহ্মসমাজ - ইত্যাদি। এর ফলে ব্রাহ্ম আন্দোলন তার শক্তি হারায়। 

৩.৬. শ্রীরামপুর ত্রয়ী নামে কারা পরিচিত ? 
উইলিয়াম কেরি , জোসুয়া মার্শম্যান , উইলিয়াম ওয়ার্ড - শ্রীরামপুর মিশনারির এই তিনজন সমাজ ও শিক্ষা সংস্কারক শ্রীরামপুর ত্রয়ী নামে পরিচিত ছিলেন।  

PAGE : 174 ( Madpur Balika Vidyalaya ) 

৩.২. ডেভিড হেয়ার স্মরণীয় কেন ? 
স্কটল্যান্ডের ঘড়ি ব্যবসায়ী ডেভিড হেয়ার ছিলেন ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারের অন্যতম পথিকৃৎ। তাঁর উল্লেখযোগ্য কৃতিত্বগুলি হল - 
(ক ) ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠায় তিনি বিশেষভাবে সহায়তা করেন। 
(খ ) শুধুমাত্র ব্যক্তিগত উদ্যোগে তিনি হেয়ার স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। 
(গ ) ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজি ভাষায় পাঠ্যপুস্তক রচনার জন্য স্কুল বুক সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন। 
(ঘ ) নারীদের জন্য কলকাতায় কয়েকটি বিদ্যালয় স্থাপন করেন এবং নারীশিক্ষা বিস্তারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। 

৩.৩. ইয়ং বেঙ্গল আন্দোলন বলতে কী বোঝ ? 
হিন্দু কলেজের তরুণ অধ্যাপক ও মানবতাবাদের পূজারী ডিরোজিও তাঁর অনুগত ছাত্রদের নিয়ে হিন্দু ধর্মের প্রচলিত কুসংস্কার , পশ্চাদপদ রীতিনীতি - ইত্যাদির বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন। ঘুণধরা হিন্দু সমাজের রীতিনীতিগুলির বিরুদ্ধে তাঁরা সোচ্চার হন। একে নব্যবঙ্গীয় আন্দোলন বলা হয় এবং ডিরোজিও ও তাঁর অনুগামীরা নব্যবঙ্গ গোষ্ঠী নামে পরিচিত হন। 

৩.৫. শ্রীরামপুর ত্রয়ী কারা ? 
উইলিয়াম কেরি , জোসুয়া মার্শম্যান , উইলিয়াম ওয়ার্ড - শ্রীরামপুর মিশনারির এই তিনজন সমাজ ও শিক্ষা সংস্কারক শ্রীরামপুর ত্রয়ী নামে পরিচিত ছিলেন। 

৩.৮. মধুসূদন গুপ্ত স্মরণীয় কেন ? 
আধুনিক চিকিৎসা শাস্ত্রে ব্যবহারিক জ্ঞানের প্রয়োগের প্রথম রূপায়নকর্তা ছিলেন মধুসূদন গুপ্ত। তিনি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। তবে তিনি প্রথম ভারতীয় হিসেবে শব ব্যবচ্ছেদ করে - আধুনিক চিকিৎসা শাস্ত্রের ইতিহাসে তাঁর অমূল্য অবদান রেখে যান। 

PAGE : 176 ( পলাশন মৃণালিনী মেমোরিয়াল ) 

৩.৩. শ্রীরামকৃষ্ণের সর্বধর্ম সমন্বয় নীতির মূলকথা কী ? 
শ্রীরামকৃষ্ণ হিন্দুধর্মকে সকল প্রকার সংকীর্ণতা থেকে মুক্ত করে মানবতার বাণী প্রচার করেছিলেন। তাঁর মতে ধর্ম হল ' শিবজ্ঞানে জীবসেবা। ' তিনি বলেন সকল ধর্মের মূলকথাগুলি এক এবং ঈশ্বর এক ও অদ্বিতীয়। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন - '' যত মত তত পথ ''। অর্থাৎ সকল ধর্মের মূলকথা হল ঈশ্বর প্রাপ্তি। এই আদর্শ প্রচারের মাধ্যমে তিনি সর্বধর্ম সমন্বয় সাধন করেছিলেন। 

৩.৪. হাজী মহম্মদ মহসীন স্মরণীয় কেন ? 
বাংলার একজন দানবীর ও শিক্ষা ও সমাজ সংস্কারের ক্ষেত্রে হাজি মহম্মদ মহসীন এক উল্লেখযোগ্য নাম। তাঁর সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য কৃতিত্ব হল - হুগলির মহসিন কলেজ ও হুগলির ইমামবাড়া প্রতিষ্ঠা। তিনি শিক্ষা , ধর্মের উন্নতি , অসহায় ও বয়স্কদের জন্য সমাজ কল্যাণ - ইত্যাদি কাজে বিপুল অর্থ ব্যয় করেছিলেন। 

৩.৫. মেকলে মিনিট কী ? 
জনশিক্ষা কমিটির ( GCPI ) সভাপতি টমাস ব্যাবিংটন মেকলে ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রবর্তনের সুপারিশ করে বড়লাট লর্ড বেন্টিঙ্কের নিকট ১৮৩৫ সালে একটি প্রস্তাব পেস করেন। এই প্রস্তাব মেকলে মিনিট নামে পরিচিত। এই প্রস্তাবে মেকলে উল্লেখ করছিলেন ভারতীয় শিক্ষা পশ্চাদপদ ; তাই ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রবর্তিত হওয়া প্রয়োজন। এই প্রস্তাব অনুসারেই ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসার গতিপ্রাপ্ত হয় এবং প্রাচ্য - পাশ্চাত্য দ্বন্দ্বের অবসান ঘটে। 

৩.৬. ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার বিস্তারে ১৮১৩-র সনদ আইনের গুরুত্ব কী ? 
(ক ) ১৮১৩ - র সনদ আইনে ভারতের শিক্ষা খাতে এক লক্ষ টাকা ব্যয় করার ঘোষনা করা হয়। 
(খ ) এই টাকা প্রাচ্য না পাশ্চাত্য - কোন খাতে ব্যয় করা হবে তা নিয়ে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য দ্বন্দ্ব তৈরী হয়। 
(গ ) শিক্ষা সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণের উদ্দেশ্যে কমিটি অব পাবলিক ইন্সট্রাকশন তৈরী হয়। 

You May Also Like

0 comments