WBBSE TEST PAPERS HISTORY 3RD CHAPTER 2 MARK SOLVED ( 2022)

by - February 19, 2022

WBBSE TEST PAPERS HISTORY 3RD CHAPTER 2 MARK SOLVED ( 2022) 

এখানে WBBSE Test Papers 2022 এর ২ মার্কের প্রশ্নগুলির সমাধান দেওয়া হয়েছে। সমগ্র টেস্ট পেপারটিতে তৃতীয় অধ্যায় থেকে যেসকল ২ মার্কের প্রশ্ন পাওয়া গেছে সেগুলির উপযুক্ত উত্তর দেওয়া হয়েছে।   

  
PAGE : 137 ( Sishutirtha Sukanta Vidyaniketan ) 

৩.৭. সন্ন্যাসী - ফকির বিদ্রোহ কেন ব্যর্থ হয়েছিল ? 
(ক ) সন্ন্যাসী - ফকির বিদ্রোহের প্রথম সারির নেতা মজনু শাহ ও মুশা শাহের মৃত্যুর পর পরবর্তী নেতৃবৃন্দের অযোগ্যতা ও অনৈক্য বিদ্রোহকে দুর্বল করে দেয়। 
(খ ) ইংরেজ সরকার এই বিদ্রোহ দমন করতে কঠোর নীতি গ্রহণ করেন। সুসজ্জিত ও আধুনিক মারণাস্ত্রে সজ্জিত সামরিক বাহিনীর কাছে বিদ্রোহীদের পরাজয় অবধারিত ছিল। 
(গ ) সন্ন্যাসী - ফকির বিদ্রোহীদের নির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা এবং বিদ্রোহ পরিচালনার কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না। 

৩.৮. নীল চাষিদের উপর নীলকরদের অত্যাচার সংক্ষেপে লেখো। 
(ক ) নীলকর সাহেবরা কৃষকদের নীলচাষ করতে বাধ্য করতো। 
(খ ) নীলচাষ করতে রাজি না হলে - জমি কেড়ে নেওয়া , বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া , ফসল কেড়ে নেওয়া , গবাদি পশু কেড়ে নেওয়া , চাষিদের বেঁধে রাখা ও শারীরিক অত্যাচার করা এমনকি হত্যা পর্যন্ত করা হত। 

PAGE : 139 ( Nirobala Smriti Girl's High School ) 

৩.৭. ভারতে ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠার পর সংগঠিত উল্লেখযোগ্য কৃষক ও উপজাতি বিদ্রোহগুলির নাম লেখো। 
ভারতে ব্রিটিশ শাসন প্রবর্তিত হওয়ার পর সংগঠিত উল্লেখযোগ্য কৃষক ও উপজাতি বিদ্রোহগুলি হল - চুয়াড় বিদ্রোহ , সন্ন্যাসী - ফকির বিদ্রোহ , কোল বিদ্রোহ , ভিল বিদ্রোহ , রংপুর বিদ্রোহ , ফরাজি ও ওয়াহাবি আন্দোলন , পাগলপন্থীদের বিদ্রোহ , পাবনার কৃষক বিদ্রোহ , মুন্ডা বিদ্রোহ , সাঁওতাল বিদ্রোহ ও নীল বিদ্রোহ - ইত্যাদি। 

৩.৮. ছোটনাগপুর প্রজাস্বত্ব আইন কী ? 
মুন্ডা বিদ্রোহের পর ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে '' ছোটনাগপুর প্রজাস্বত্ব আইন '' বা '' ছোটনাগপুর টেন্যান্সি অ্যাক্ট '' পাস হয়। এই আইনের মাধ্যমে (ক ) মুন্ডাদের খুঁৎকাঠি প্রথা স্বীকার করে নেওয়া হয়। (খ ) তাঁদের জমি থেকে উচ্ছেদ ও বেগার শ্রম নিষিদ্ধ হয়।  

PAGE : 142 ( Raina Jagatmata Balika Vidayalaya ) 

৩.৭. ঔপনিবেশিক অরণ্য আইনের উদ্দেশ্য কী ছিল ? 
১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে প্রথম ও ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় অরণ্য আইন প্রবর্তিত হয়। ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক ঔপনিবেশিক অরণ্য আইন প্রবর্তনের উদ্দেশ্যগুলি ছিল - 
(ক ) ভারতের অরণ্য অঞ্চলের উপর ব্রিটিশ প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা। 
(খ ) বনাঞ্চলগুলিকে রাজস্বের আওতায় নিয়ে আসা। 
(গ ) রেললাইন ও জাহাজের জন্য প্রয়োজনীয় কাঠ সংগ্রহ করা। 
(ঘ ) ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ব বৃদ্ধি করা। 

৩.৮. ওয়াহাবি আন্দোলনের প্রকৃতি কী ছিল ? 
ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদার প্রমুখের মতে , তিতুমীরের নেতৃত্বাধীন ওয়াহাবি আন্দোলন ছিল সাম্প্রদায়িক কেননা তাঁদের বিরোধিতার মূল লক্ষ্য ছিল হিন্দু জমিদার ও মহাজন বিরোধিতা। 
কিন্তু ঐতিহাসিক উইলিয়াম হান্টার , বিনয়ভূষণ চৌধুরী প্রমুখের মতে ওয়াহাবি আন্দোলন ছিল জমিদার ও মহাজনদের শোষণ ও ব্রিটিশ অত্যাচারের বিরুদ্ধে। আপাত দৃষ্টিতে ওয়াহাবি আন্দোলনকে হিন্দু বিরোধী মনে হলেও তা ছিল রাজনৈতিকভাবে সংগঠিত কৃষক সংগ্রাম। 

PAGE : 144 ( Malatipur R.K. Girls' High School ) 

৩.৭. তিতুমীরের প্রধানমন্ত্রী ও সেনাপতির নাম কী ? 
তিতুমীরের প্রধানমন্ত্রী মইনুদ্দিন ও প্রধান সেনাপতি গোলাম মাসুম। 

৩.৮. খুঁৎকাঠি কী ? 
খুঁৎকাঠি কথার অর্থ জমির যৌথ মালিকানা। মুন্ডা অধিবাসীরা যৌথভাবে জমির মালিকানা ভোগ করতো এবং উৎপাদিত দ্রব্যের উপর সকলের অধিকার প্রচলিত ছিল। মুন্ডা সমাজে প্রচলিত এই প্রথার নাম ছিল খুঁৎকাঠি প্রথা। 

PAGE : 146 ( সপ্তগ্রাম কিশোর ভারতী গার্লস হাই স্কুল ) 

৩.৭. খুঁৎকাঠি কী ? 
খুঁৎকাঠি কথার অর্থ জমির যৌথ মালিকানা। মুন্ডা অধিবাসীরা যৌথভাবে জমির মালিকানা ভোগ করতো এবং উৎপাদিত দ্রব্যের উপর সকলের অধিকার প্রচলিত ছিল। মুন্ডা সমাজে প্রচলিত এই প্রথার নাম ছিল খুঁৎকাঠি প্রথা। 

৩.৮. দাদন কী ? 
দাদন কথার অর্থ অগ্রিম অর্থ প্রদান। ইংরেজরা ভারতীয় কৃষকদেরকে দাদন প্রদান করে অগ্রিম অর্থ ও তার সুদ বাবদ কৃষকদেরকে অতি অল্প মূল্যে ফসল বিক্রি করতে বাধ্য করতেন। এই প্রথা সর্বাধিক প্রচলিত ছিল নীলচাষের ক্ষেত্রে। 

৩.৯. দুজন সাঁওতাল বিদ্রোহের নেতার নাম লেখো। 
১৮৫৫ সালের জুন মাসে সাঁওতাল বিদ্রোহ সংগঠিত হয়। এই বিদ্রোহের অন্যতম নেতৃত্ব ছিলেন - সিধু , কানু , চাঁদ , ভৈরব , ডোমন মাঝি , কালো প্রামাণিক , বীর সিং - প্রমুখ। 

PAGE : 149 ( Simlapal M.M. High School ) 

৩.৭. দুঁদুমিঞা স্মরণীয় কেন ? 
দুঁদুমিঞার প্রকৃত নাম মহম্মদ মহসিন। ভারতে ফরাজি আন্দোলনের প্রবর্তক হাজি শরিয়তউল্লাহের মৃত্যুর পর দুঁদুমিঞা ফরাজি আন্দোলন পরিচালনা করেন। ফরাজি আন্দোলন মূলতঃ ধর্মীয় শুদ্ধিকরণের আন্দোলন হলেও দুঁদুমিঞার নেতৃত্বে জমিদার , মহাজন , নীলকরদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন পরিচালিত হয়। ফলে হিন্দুরাও এই আন্দোলনে যোগদান করেন। এছাড়াও দুঁদুমিঞা সমগ্র বাংলা জুড়ে এক সুগঠিত প্রশাসনিক ব্যবস্থার প্রচলন করেন। 

৩.৮. বারাসাত বিদ্রোহে তিতুমীরের লক্ষ্য কী ছিল ?  
(ক) ভারতকে দার - উল - ইসলাম বা ইসলামের পবিত্র ভূমিতে পরিণত করা। 
(খ) স্থানীয় জমিদার , মহাজন , নীলকরদের অত্যাচারের বিরোধিতা ও প্রতিবাদ করা। 
(গ ) হজরত মহম্মদ প্রদর্শিত পথে ইসলামের শুদ্ধিকরণ। 
(ঘ ) অত্যাচারী জমিদার কৃষ্ণদেব রায়ের অত্যাচার প্রতিহত করে স্বাধীন সরকার প্রতিষ্ঠা করা। 

PAGE : 151 ( Dum Dum Deshbandhu High School ) 

৩.৭. মুন্ডা বিদ্রোহের প্রধান লক্ষ্য কী ছিল ? 
(ক ) বহিরাগত জমিদার , মহাজন , ঠিকাদারদের জঙ্গলমহল থেকে বিতাড়িত করা। 
(খ ) খ্রিস্টান মিশনারিদের ধর্মান্তরকরণের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা। 
(গ ) অরণ্যের অধিকার ফিরে পাওয়া। 
(ঘ ) বেট - বেগারি প্রথা বন্ধ করা। 
(ঙ ) খুঁৎকাঠি প্রথা ও মুন্ডাদের নিজস্ব রীতিনীতির পুনঃপ্রবর্তন করা - ইত্যাদি। 

৩.৮. ফরাজী আন্দোলনের লক্ষ্য কী ছিল ? 
ভারতে হাজি শরীয়ত উল্লাহের নেতৃত্বে ফরাজী আন্দোলন সংগঠিত হয়। এই আন্দোলনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলি ছিল - 
(ক ) ইসলাম ধর্মে যে ইসলাম বিরোধী কুসংস্কার প্রবেশ করেছে - কোরানের নির্দেশ অনুসারে সেই সকল কুসংস্কারগুলি দূর করে ইসলামের পুনরুজ্জীবন ঘটানো। 
(খ ) বিধর্মী ইংরেজদের বিতাড়িত করে ভারতকে দার - উল - ইসলামে পরিণত করা। 
(গ ) অত্যাচারী জমিদার , মহাজন , নীলকর সাহেবদের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগঠিত করা। 
(ঘ ) কৃষকদের সংগঠিত করে বৃহত্তর আন্দোলন সংগঠিত করা। 

PAGE : 154 ( Sarisha Ramkrishna Mission Sikshamandir ) 

৩.৭. অভ্যুত্থান ও বিদ্রোহের দুটি পার্থক্য লেখো। 
(ক ) বিদ্রোহ সামরিক ও বেসামরিক উভয়ই হতে পারে। কিন্তু অভ্যুত্থান সর্বদা সামরিক হয়ে থাকে। 
(খ ) বিদ্রোহ সংগঠিত হয় দীর্ঘ প্রস্তুতি ও পরিকল্পনার পর। কিন্তু অভ্যুত্থান সাধারণত আকস্মিকভাবে ঘটে। 
(গ ) বিদ্রোহ ব্যক্তিগত বা দলবদ্ধভাবে সংগঠিত হয়। কিন্তু অভ্যুত্থান সমাজের একটি নির্দিষ্ট শ্রেণী বা জাতি - প্রভৃতির দ্বারা সংগঠিত হয়। 

৩.৮. কোল বিদ্রোহের দুটি ফলাফল লেখো। 
(ক ) ব্রিটিশ সরকার ১৮৩৪ খ্রিস্টাব্দে '' দক্ষিণ - পশ্চিম সীমান্ত এজেন্সি '' গঠন করেন। এর মাধ্যমে আদিবাসীদের আইন ও রীতিনীতি কার্যকর হবে বলে ঘোষণা করা হয়। 
(খ ) জমিদারদের হাত থেকে গ্রাম প্রধানদের জমি ফেরত দেওয়া হয় এবং জমিদাররা যাতে আবার জমি দখল করতে না পারে তার ব্যবস্থা করা হয়। 

PAGE : 156 ( Hindu School ) 

৩.৭. মুন্ডা বিদ্রোহের দুটি বৈশিষ্ট লেখো। 
(ক ) মুন্ডা বিদ্রোহ ছিল একটি উপজাতি বিদ্রোহ। মুন্ডারা ঐক্যবদ্ধভাবে মুন্ডারাজ প্রতিষ্ঠার জন্য তথা জঙ্গলমহলে নিজেদের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য বিদ্রোহে সামিল হয়। 
(খ ) খুঁৎকাঠি প্রথার পুনঃপ্রচলন এবং বেট বেগারি বন্ধ করা ছিল বিদ্রোহের অন্যতম দাবী। 
(গ ) মুন্ডা বিদ্রোহে ধর্মীয় প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। বিরসা মুন্ডা একটি নতুন ধর্মমতের প্রবর্তনের মধ্যে দিয়ে মুন্ডাদের ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। 

৩.৮. বারাসাত বিদ্রোহ কাকে বলে ? 
বাংলায় ওয়াহাবি আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা তিতুমীর ওয়াহাবি আন্দোলনকে অত্যাচারী জমিদার , ইংরেজ ও নীলকর বিরোধী আন্দোলনে পরিণত করেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি চব্বিশ পরগনা জেলার বারাসাতের নারকেলবেড়িয়া গ্রামে বাঁশের কেল্লা নির্মাণ করে স্বাধীন সরকার গঠন করেন এবং জমিদার , ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। বারাসাতকে কেন্দ্র করে এই বিদ্রোহ সংগঠিত হয় এবং কালক্রমে তা বাংলার অন্যান্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। 

PAGE : 159 ( Burnpur Subhaspalli Vidyaniketan Girls' ) 

৩.৭. দুঁদুমিঞা স্মরণীয় কেন ? 
দুঁদুমিঞার প্রকৃত নাম মহম্মদ মহসিন। ভারতে ফরাজি আন্দোলনের প্রবর্তক হাজি শরিয়তউল্লাহের মৃত্যুর পর দুঁদুমিঞা ফরাজি আন্দোলন পরিচালনা করেন। ফরাজি আন্দোলন মূলতঃ ধর্মীয় শুদ্ধিকরণের আন্দোলন হলেও দুঁদুমিঞার নেতৃত্বে জমিদার , মহাজন , নীলকরদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন পরিচালিত হয়। ফলে হিন্দুরাও এই আন্দোলনে যোগদান করেন। এছাড়াও দুঁদুমিঞা সমগ্র বাংলা জুড়ে এক সুগঠিত প্রশাসনিক ব্যবস্থার প্রচলন করেন।  

৩.৮. দাদন প্রথা কী ? 
দাদন কথার অর্থ অগ্রিম অর্থ প্রদান। ইংরেজরা ভারতীয় কৃষকদেরকে দাদন প্রদান করে অগ্রিম অর্থ ও তার সুদ বাবদ কৃষকদেরকে অতি অল্প মূল্যে ফসল বিক্রি করতে বাধ্য করতেন। এই প্রথা সর্বাধিক প্রচলিত ছিল নীলচাষের ক্ষেত্রে। 

PAGE : 161 ( Soluadanga High School ) 

৩.৫. চুয়াড় কাদের বলা হয় ? 
বর্তমান মেদিনীপুর , বাঁকুড়া , ধলভূম অঞ্চলে একদল আদিবাসী সম্প্রদায় প্রাচীন পদ্ধতিতে কৃষিকাজ করতেন , পশুশিকার করতেন ও জমিদারদের অধীনে পাইক বা সৈনিকের কাজ করতেন। এঁদের চুয়াড় বলা হত। তবে কোম্পানি জমিদারদের জমি থেকে ক্ষমতাচ্যুত করায় চুয়াড়রা কর্মচ্যুত হয় এবং কোম্পানির নীতির ফলে বনাঞ্চলের ওপর থেকে অধিকার হারায়। ফলে চুয়াড়রা ধলভূমের জমিদার জগন্নাথ সিংহের নেতৃত্বে বিদ্রোহী হয়ে ওঠে। 

৩.৬. ফরাজি আন্দোলন কী ? 
ভারতে হাজি শরীয়ত উল্লাহের নেতৃত্বে ফরাজী আন্দোলন সংগঠিত হয়। এই আন্দোলনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলি ছিল - 
(ক ) ইসলাম ধর্মে যে ইসলাম বিরোধী কুসংস্কার প্রবেশ করেছে - কোরানের নির্দেশ অনুসারে সেই সকল কুসংস্কারগুলি দূর করে ইসলামের পুনরুজ্জীবন ঘটানো। 
(খ ) বিধর্মী ইংরেজদের বিতাড়িত করে ভারতকে দার - উল - ইসলামে পরিণত করা। 
(গ ) অত্যাচারী জমিদার , মহাজন , নীলকর সাহেবদের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগঠিত করা। 
শরিয়তউল্লাহের মৃত্যুর পর দুঁদুমিঞা ফরাজি আন্দোলন পরিচালনা করেন। ফরাজি আন্দোলন মূলতঃ ধর্মীয় শুদ্ধিকরণের আন্দোলন হলেও দুঁদুমিঞার নেতৃত্বে জমিদার , মহাজন , নীলকরদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন পরিচালিত হয়। ফলে হিন্দুরাও এই আন্দোলনে যোগদান করেন। 

PAGE : 164 ( Maharaja Nripendra Narayan High School ) 

5. নীল বিদ্রোহে খ্রিস্টান মিশনারিদের ভূমিকা কীরূপ ছিল ? 
খ্রিস্টান মিশনারিরা বাংলায় নীলচাষীদের উপর নীলকরদের অত্যাচারের বিরোধিতা করেছিলেন। নীল কমিশন গঠিত হলে জেমস লং প্রমুখ খ্রিস্টান মিশনারিরা নীলকরদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। এছাড়াও জেমস লং নীলদর্পণ গ্রন্থটির ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ করে নীলকরদের অত্যাচারের বিরোধিতা করেছিলেন এবং নীলচাষীদের সমর্থন করেছিলেন। 

7. নীলকর কারা ? 
ইংল্যান্ডে শিল্পবিপ্লবের সময়কালে নীলের চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। এইসময় একদল ইংরেজ নীলচাষ করে প্রভূত মুনাফা লাভের উদ্দেশ্যে ভারতে নীলচাষ শুরু করেন এবং নীলকুঠি স্থাপন করেন। কিন্তু কালক্রমে কৃষকেরা নীল চাষ করতে রাজি না হলে তাদের উপর তীব্র অত্যাচার শুরু হয়। এই নীল ব্যবসায়ী ইউরোপীয় সাহেবদের নীলকর বলা হত। 

8. তারিকা - ই - মহম্মদীয়া - র গুরুত্ব লেখো। 
তিতুমীর বাংলায় যে ওয়াহাবি আন্দোলনের সূত্রপাত করেছিলেন তা তারিকা - ই - মহম্মদীয়া - নামে পরিচিত। তাঁর আন্দোলনের গুরুত্বগুলি ছিল - 
(ক ) হিন্দু ও মুসলিম উভয়ই এই আন্দোলনে অংশগ্রহন করায় ধর্মীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়। 
(খ ) বিদ্রোহীরা তীব্রভাবে জমিদার ও মহাজনদের বিরোধিতা করে। ফলে জমিদার ও মহাজনরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। 
(গ ) তবে ভারতকে দার উল ইসলামে পরিণত করার কথা ঘোষণা করলে হিন্দুরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। 

PAGE : 166 ( Garhbeta Umadevi Girls' High School ) 

৩.৭. বিপ্লব বলতে কী বোঝ ? 
বিপ্লব কথার অর্থ হল প্রচলিত ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন। যখন কোনো ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রচলিত ব্যবস্থার দ্রুত ও আমূল পরিবর্তন ঘটে তখন তাকে বিপ্লব বলা যায়। যেমন - ফরাসি বিপ্লব , শিল্পবিপ্লব - ইত্যাদি। 

৩.৮. রানি শিরোমণি কে ছিলেন ? 
রানি শিরোমণি ছিলেন চুয়াড় বিদ্রোহের অন্যতম নেত্রী এবং মেদিনীপুরের রানি। চুয়াড় বিদ্রোহে অংশগ্রহন ও অসামান্যভাবে বিদ্রোহ পরিচালনার জন্য তাঁকে '' মেদিনীপুরের লক্ষীবাঈ '' উপাধিতে ভূষিত করা হয়। 

PAGE : 169 ( Hasimnagar High School ) 

৩.৭. অষ্টাদশ শতকে ব্রিটিশ সরকার কী উদ্দেশ্যে অরণ্যের উপর আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে ? 
১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে প্রথম ও ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় অরণ্য আইন প্রবর্তিত হয়। ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক ঔপনিবেশিক অরণ্য আইন প্রবর্তনের উদ্দেশ্যগুলি ছিল - 
(ক ) ভারতের অরণ্য অঞ্চলের উপর ব্রিটিশ প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা। 
(খ ) বনাঞ্চলগুলিকে রাজস্বের আওতায় নিয়ে আসা। 
(গ ) রেললাইন ও জাহাজের জন্য প্রয়োজনীয় কাঠ সংগ্রহ করা। 
(ঘ ) ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ব বৃদ্ধি করা। 

৩.৮. কারা পাগলাপন্থী নামে পরিচিত ? 
উনবিংশ শতকের প্রথম দিকে ফকির করম শাহ ময়মনসিংহ জেলার শেরপুর পরগনায় গারো অধিবাসীদের মধ্যে এক নতুন ধর্মমত প্রচার করেন। এই ধর্মমতের মূলকথা ছিল মানুষ যেহেতু ঈশ্বরের সৃষ্টি সেহেতু মানুষ কারো অধীনস্থ নয়। এই ধর্মমতের অনুরাগীরা পাগলাপন্থী নামে পরিচিত। 

PAGE : 171 ( The Path Bhavan ) 

৩.৭. বিপ্লব বলতে কী বোঝায় ?   
বিপ্লব কথার অর্থ হল প্রচলিত ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন। যখন কোনো ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রচলিত ব্যবস্থার দ্রুত ও আমূল পরিবর্তন ঘটে তখন তাকে বিপ্লব বলা যায়। যেমন - ফরাসি বিপ্লব , শিল্পবিপ্লব - ইত্যাদি। 

৩.৮. কেনারাম ও বেচারাম কাকে বলা হয় ? 
ছোটনাগপুর অঞ্চল সাঁওতাল অধ্যুষিত এলাকায় বহিরাগত ব্যবসায়ীরা বেশি ওজনের বাটখারা দিয়ে সাঁওতালদের কাছ থেকে কৃষিপণ্য ক্রয় করতো। এই বাটখারা ছিল কেনারাম। আবার তারা কম ওজনের বাটখারা দিয়ে সাঁওতালদের কাছে চিনি , লবণ - ইত্যাদি পণ্য বিক্রয় করতো। এই বিক্রয়ের বাটখারা বেচারাম নামে পরিচিত ছিল।  

PAGE : 174 ( Madpur Balika Vidyalaya ) 

৩,৯. পাইকান জমি কী ? 
চুয়াড়রা জমিদারের লাঠিয়াল বাহিনীতে যোগদান করার দরুন বেতনের পরিবর্তে নির্দিষ্ট পরিমান জমি ভোগ করতো। এই জমি ছিল নিস্কর। এই জমিকে পাইকান জমি বলা হত এবং পাইকান জমির প্রাপকদের পাইক বলা হত। 

৩.১১. মুন্ডা বিদ্রোহের প্রধান লক্ষ্য কী ছিল ? 
(ক ) বহিরাগত জমিদার , মহাজন , ঠিকাদারদের জঙ্গলমহল থেকে বিতাড়িত করা। 
(খ ) খ্রিস্টান মিশনারিদের ধর্মান্তরকরণের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা। 
(গ ) অরণ্যের অধিকার ফিরে পাওয়া। 
(ঘ ) বেট - বেগারি প্রথা বন্ধ করা। 
(ঙ ) খুঁৎকাঠি প্রথা ও মুন্ডাদের নিজস্ব রীতিনীতির পুনঃপ্রবর্তন করা - ইত্যাদি। 

PAGE : 176 ( পলাশন মৃণালিনী মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় ) 

৩.৭. ঔপনিবেশিক অরণ্য আইনের উদ্দেশ্য কী ছিল ?  
১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে প্রথম ও ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় অরণ্য আইন প্রবর্তিত হয়। ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক ঔপনিবেশিক অরণ্য আইন প্রবর্তনের উদ্দেশ্যগুলি ছিল - 
(ক ) ভারতের অরণ্য অঞ্চলের উপর ব্রিটিশ প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা। 
(খ ) বনাঞ্চলগুলিকে রাজস্বের আওতায় নিয়ে আসা। 
(গ ) রেললাইন ও জাহাজের জন্য প্রয়োজনীয় কাঠ সংগ্রহ করা। 
(ঘ ) ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ব বৃদ্ধি করা। 

৩.৮. ছোটনাগপুর প্রজাস্বত্ব আইনে কী বলা হয়েছে ? 
মুন্ডা বিদ্রোহের পর ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে '' ছোটনাগপুর প্রজাস্বত্ব আইন '' বা '' ছোটনাগপুর টেন্যান্সি অ্যাক্ট '' পাস হয়। এই আইনের মাধ্যমে (ক ) মুন্ডাদের খুঁৎকাঠি প্রথা স্বীকার করে নেওয়া হয়। (খ ) তাঁদের জমি থেকে উচ্ছেদ ও বেগার শ্রম নিষিদ্ধ হয়। 
 

You May Also Like

0 comments