WBBSE TEST PAPERS 2022 HISTORY 5TH CHAPTER 2 MARK SOLVED.

by - March 01, 2022

WBBSE TEST PAPERS 2022 HISTORY 5TH CHAPTER 2 MARK SOLVED. 

 
PAGE : 137 ( Sishutirtha Sukanta Vidyaniketan ) 

৩.১৩. বাংলায় ছাপাখানা বিকাশে শ্রীরামপুর মিশনের ভূমিকা কী ছিল ? 
উইলিয়াম কেরি ও অন্যান্য ব্যাপটিস্ট মিশনারিরা ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে শ্রীরামপুরে ব্যাপটিস্ট মিশন প্রেস স্থাপন করেন। এই ছাপাখানা থেকে 
(ক ) ভারতীয় বিভিন্ন ভাষায় বাইবেল অনুবাদ করে তা প্রকাশিত হয়। 
(খ) বিদ্যালয়ের বিভিন্ন পাঠ্যপুস্তক প্রকাশিত হয়। 
(গ) সমাচার দর্পন , দিগদর্শন , বেঙ্গল গেজেট - ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ সংবাদপত্রগুলো প্রকাশিত হয়। 
(ঘ) এছাড়াও বিভিন্ন অনুবাদ গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। 

৩.১৪. গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য কেন স্মরণীয় ? 
ভারতের ছাপাখানা বিস্তারের ইতিহাসে গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের অবদান উল্লেখযোগ্য। তিনি হলেন ভারতের প্রথম প্রকাশক ও পুস্তক বিক্রেতা। তিনি ভরতচন্দ্র্রের অন্নদামঙ্গল গ্রন্থের সচিত্র প্রকাশ করেন। 

৩.১৫. উনিশ শতকে কারিগরি শিক্ষার বিকাশে বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউশনের ভূমিকা লেখো। 
তারকনাথ পালিত ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন। স্বদেশী উদ্যোগে বাংলায় কারিগরি শিক্ষার বিকাশে এই প্রতিষ্ঠানের অবদান উল্লেখযোগ্য। যন্ত্রবিদ্যা , বৈদ্যুতিক যন্ত্রবিদ্যা , ফলিত গণিত , রসায়ন , ভূবিদ্যা - ইত্যাদি বিষয়ে কর্মকেন্দ্রিক পাঠক্রম চালু করে বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট এক নতুন যুগের সূচনা করে। 
 
৩.১৬. জাতীয় শিক্ষা পরিষদ প্রতিষ্ঠার প্রধান উদ্দেশ্যগুলি লেখো।   
সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় শিক্ষা পরিষদ গঠিত হয়। এর উদ্দেশ্যগুলি ছিল - (ক ) ইংরেজ শিক্ষানীতি থেকে শিক্ষার্থীদের মুক্ত করে সম্পূর্ণ জাতীয় আদর্শের ভিত্তিতে শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা। 
(খ ) ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থাকে ইংরেজদের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করা। 
(গ ) শিক্ষার সমস্ত স্তরে বহুমুখী পাঠক্রম প্রবর্তন করা। 
(ঘ ) তাত্ত্বিক শিক্ষার পাশাপাশি ব্যবহারিক , প্রয়োগমূলক ও উৎপাদনভিত্তিক শিক্ষাক্রম চালু করা। 

PAGE : 139 ( Nirobala Smriti Girl's High School ) 

৩.১৩. জাইলোগ্রাফি পদ্ধতি কী ? 
জাইলোগ্রাফি কথাটির অর্থ হল কাঠ খোদাই করা। এই পদ্ধতিতে একটি নির্দিষ্ট কাঠের ব্লকের ওপর নির্দিষ্ট ধরণের কাঠের অক্ষর বা প্রতিকৃতি খোদাই করা হত ; তারপর সেই খোদাই করা কাঠের ব্লকের ওপর কালি ব্যবহার করে ছাপানোর কাজ হত। ছাপার ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তিগত কৌশলকে জাইলোগ্রাফি বলা হয়। 
 
৩.১৪. বাংলার ছাপাখানার বিকাশে পঞ্চানন কর্মকারের ভূমিকা কী ছিল ? 
পঞ্চানন কর্মকার ছিলেন হুগলির ত্রিবেণীর একজন সুদক্ষ স্বর্ণশিল্পী এবং ধাতুবিদ চার্লস উইলকিনসের সহযোগী। তিনি ছোট হাতুড়ি ও ছেনির সাহায্যে উন্নত মানের বাংলা হরফ তৈরী করেন। 
     
৩.১৫. জাতীয় শিক্ষার গুরুত্ব কী ছিল ? 
সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় শিক্ষা পরিষদ গঠিত হয়। এর উদ্দেশ্যগুলি ছিল - (ক ) ইংরেজ শিক্ষানীতি থেকে শিক্ষার্থীদের মুক্ত করে সম্পূর্ণ জাতীয় আদর্শের ভিত্তিতে শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা। 
(খ ) ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থাকে ইংরেজদের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করা। 
(গ ) শিক্ষার সমস্ত স্তরে বহুমুখী পাঠক্রম প্রবর্তন করা। 
(ঘ ) তাত্ত্বিক শিক্ষার পাশাপাশি ব্যবহারিক , প্রয়োগমূলক ও উৎপাদনভিত্তিক শিক্ষাক্রম চালু করা। 

৩.১৬. ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স - কেন প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ?   
ডক্টর মহেন্দ্রলাল সরকার ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে IACS প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর উদ্দেশ্যগুলি ছিল - 
(ক ) বিজ্ঞানচর্চার সম্প্রসারণ ও গবেষণার বিকাশ। 
(খ ) বিজ্ঞানের মৌলিক গবেষণার সুফল ভারতীয়দের প্রদান করা। 
(গ ) আধুনিক বিজ্ঞানের প্রগতির সাথে তাল মিলিয়ে চলা। 

PAGE : 142 ( Raina Jagatmata Anchalik Balika Vidayalaya ) 

৩.১৩. বাংলাদেশের ছাপাখানা বিস্তারে জেমস অগাস্টাস হিকির অবদান কী ছিল ? 
জেমস অগাস্টাস হিকি প্রথম ভারতীয় সংবাদপত্র বেঙ্গল গেজেট প্রকাশ করেন। এছাড়া তিনি ১৭৭৭ খ্রিস্টাব্দে দুটি ইংরেজি ক্যালেন্ডার প্রকাশ করেন। এই ক্যালেন্ডার দুটি আংশিকভাবে বইয়ের আকৃতির হওয়ায় অনেকে একে প্রথম মুদ্রিত গ্রন্থ বলেন। 
  
৩.১৪. বাংলার গুটেনবার্গ কাকে বলা হয় ? 
চার্লস উইলকিনস কে বাংলার গুটেনবার্গ বলা হয়। তিনি প্রথম ছাপার যোগ্য বাংলা অক্ষর তৈরী করেন এবং তার যথার্থ প্রয়োগ ঘটিয়ে ছাপাখানার বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। 
 
৩.১৫. IACS প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল ? 
ডক্টর মহেন্দ্রলাল সরকার ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে IACS প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর উদ্দেশ্যগুলি ছিল - 
(ক ) বিজ্ঞানচর্চার সম্প্রসারণ ও গবেষণার বিকাশ। 
(খ ) বিজ্ঞানের মৌলিক গবেষণার সুফল ভারতীয়দের প্রদান করা। 
(গ ) আধুনিক বিজ্ঞানের প্রগতির সাথে তাল মিলিয়ে চলা। 

৩.১৬. শিশু শিক্ষা সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ কী বলেছিলেন ?   
রবীন্দ্রনাথের শিশুশিক্ষার মূলকথা হল - 
(ক ) শিক্ষাক্ষেত্রে শিশুদের স্বাধীনতা প্রদান। 
(খ ) বিভিন্ন বিষয়গুলিতে শিশুরা আত্মসক্রিয়তার সাহায্যে অংশগ্রহন করবে। 
(গ ) প্রকৃতি ও শিক্ষার সমন্বয়সাধন। 

PAGE : 144 ( Malatipur R.K. Girls' High School ) 

৩.১৩. রাধানাথ শিকদার কোন বিষয়ে খ্যাতিলাভ করেন ? 
এক অসাধারণ গণিতজ্ঞ ও জরিপ বিশেষজ্ঞ রাধানাথ শিকদার 
(ক ) Auxiliary Table ও The Manual of Surveying নামক দুটি গ্রন্থ প্রকাশ করেন যা জরিপের ক্ষেত্রে অপরিহার্য বলে পরিগণিত হয়। 
(খ ) তিনি মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা পরিমাপ করেন। 
    
৩.১৪. উনিশ শতকের প্রথম দিকে কলকাতায় গড়ে ওঠা দুটি ছাপাখানার নাম লেখো। 
১৮০০ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত ব্যাপটিস্ট মিশন প্রেস ; ১৮০২ খ্রিস্টাব্দে গিলক্রিস্ট কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হিন্দুস্থানী প্রেস। 
 
৩.১৫. শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন কেন ও কখন নির্মিত হয় ? 
১৭৮৭ সালে কর্নেল রবার্ট কিডের উদ্যোগে বিভিন্ন ঔষধি গাছের রোপন - সংরক্ষণ ও উন্নতমানের কাঠের যোগানের উদ্দেশ্যে শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন প্রতিষ্ঠিত হয়। 

৩.১৬. উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর একটি পত্রিকা একটি গ্রন্থের নাম লেখো।    
পত্রিকার নাম সন্দেশ। গ্রন্থের নাম - ছেলেদের রামায়ণ , ছেলেদের মহাভারত , গুপী গাইন বাঘা বাইন , টুনটুনির বই - ইত্যাদি।   

PAGE : 146 ( সপ্তগ্রাম কিশোর ভারতী গার্লস হাই স্কুল ) 

৩.১২. শ্রীরামপুর ত্রয়ী কারা ? 
উইলিয়াম কেরি , উইলিয়াম ওয়ার্ড ও জোসুয়া মার্শম্যান। 

PAGE : 149 ( Simlapal M.M. High School ) 

৩.১৩. জাতীয় শিক্ষা পরিষদ গঠনের উদ্দেশ্য কী ছিল ? 
সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় শিক্ষা পরিষদ গঠিত হয়। এর উদ্দেশ্যগুলি ছিল - (ক ) ইংরেজ শিক্ষানীতি থেকে শিক্ষার্থীদের মুক্ত করে সম্পূর্ণ জাতীয় আদর্শের ভিত্তিতে শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা। 
(খ ) ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থাকে ইংরেজদের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করা। 
(গ ) শিক্ষার সমস্ত স্তরে বহুমুখী পাঠক্রম প্রবর্তন করা। 
(ঘ ) তাত্ত্বিক শিক্ষার পাশাপাশি ব্যবহারিক , প্রয়োগমূলক ও উৎপাদনভিত্তিক শিক্ষাক্রম চালু করা। 

৩.১৪. ছাপাখানার বিকাশে উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর মৌলিক কৃতিত্ব কী ছিল ? 
উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম ব্যক্তি যিনি হাফটোন ব্লক ও কালার ব্লক উদ্ভাবন করেন। মুদ্রণ শিল্পে তাঁর গবেষণা , প্রযুক্তির ব্যবহার - ইত্যাদি ভারতীয় মুদ্রণ শিল্পের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী বিপ্লব নিয়ে আসে। তিনি ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে ইউ রায় অ্যান্ড সন্স - প্রতিষ্ঠা করেন। 
  
৩.১৫. বাংলা মুদ্রণ ও প্রকাশনায় বিদ্যাসাগরের ভূমিকা কী ছিল ? 
১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দে বিদ্যাসাগর মহাশয় মদনমোহন তর্কালঙ্কারের সাথে যৌথ উদ্যোগে সংস্কৃত ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেন। এই ছাপাখানা থেকে মুদ্রিত পুস্তক বিক্রয়ের জন্য তিনি সংস্কৃত প্রেস ডিপোজিটরি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ছিলেন বাঙালিদের মধ্যে বই ব্যবসার প্রথম পথপ্রদর্শক। বাংলা মুদ্রণ ও প্রকাশনার ক্ষেত্রে এইভাবে ব্যবসায়িক উদ্যোগ গ্রহণের জন্য বিদ্যাসাগরকে বিদ্যাবণিক বলা হয়। 
 
৩.১৬. বিশ্বভারতী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে স্বতন্ত্র ছিল কেন ?  
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রথাগত শিক্ষাকে অধিক গুরুত্ব দেওয়ার পরিবর্তে - শিক্ষার্থীর সাথে প্রকৃতির যোগাযোগ , শিক্ষার্থীর শিল্পীসত্তার বিকাশ , দেশীয় ঐতিহ্য ও পাশ্চাত্য যুক্তিবাদের সমন্বয় , বৈচিত্রময় পাঠক্রমের সুযোগ - ইত্যাদির ওপর অধিক গুরুত্ব প্রদান করা হয়। তাই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে স্বতন্ত্র। 

PAGE : 151 ( Dum Dum Deshbandhu High School ) 

৩.১৩. পঞ্চানন কর্মকার কেন বিখ্যাত ? 
পঞ্চানন কর্মকার ছিলেন হুগলির ত্রিবেণীর একজন সুদক্ষ স্বর্ণশিল্পী এবং ধাতুবিদ চার্লস উইলকিনসের সহযোগী। তিনি ছোট হাতুড়ি ও ছেনির সাহায্যে উন্নত মানের বাংলা হরফ তৈরী করেন। 

৩.১৪. শ্রীরামপুর ত্রয়ী কারা ? 
উইলিয়াম কেরি , উইলিয়াম ওয়ার্ড ও জোসুয়া মার্শম্যান।

৩.১৫. ছাপাখানা প্রবর্তনের গুরুত্ব কী ? 
ভারতে ছাপাখানার বিস্তারের ফলে -
(ক ) বিপুল পরিমান পাঠ্যপুস্তক খুব অল্প সময়ে মুদ্রিত হয় এবং তা শিক্ষার প্রসারে সহায়ক হয়। 
(খ ) ছাপাখানা বিস্তারের পূর্বে হাতে লেখা বইয়ের প্রচলন ছিল। এই বইয়ের মূল্য অত্যন্ত বেশি ছিল। ছাপাখানার বিস্তারের ফলে এই সমস্যা দূর হয়। 
(গ ) ছাপাখানা বিস্তারের ফলে অনূদিত গ্রন্থের প্রকাশ বৃদ্ধি পায়। 

৩.১৬. উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর একটি পত্রিকা ও একটি গ্রন্থের নাম লেখ। 
পত্রিকার নাম সন্দেশ। গ্রন্থের নাম - ছেলেদের রামায়ণ , ছেলেদের মহাভারত , গুপী গাইন বাঘা বাইন , টুনটুনির বই - ইত্যাদি।   

PAGE : 154 ( Sarisha Ramakrishna Mission ) 

৩.১৩. শিক্ষা বিস্তারে ছাপাখানার দুটি গুরুত্ব লেখ। 
(ক ) বিপুল পরিমান পাঠ্যপুস্তক খুব অল্প সময়ে মুদ্রিত হয় এবং তা শিক্ষার প্রসারে সহায়ক হয়। 
(খ ) ছাপাখানা বিস্তারের পূর্বে হাতে লেখা বইয়ের প্রচলন ছিল। এই বইয়ের মূল্য অত্যন্ত বেশি ছিল। ছাপাখানার বিস্তারের ফলে এই সমস্যা দূর হয়। 
(গ ) ছাপাখানা বিস্তারের ফলে অনূদিত গ্রন্থের প্রকাশ বৃদ্ধি পায়। 

৩.১৪. ক্রেসকোগ্রাফ যন্ত্রটি কী ? 
ক্রেসকোগ্রাফ যন্ত্রটি আবিষ্কার করেন জগদীশ চন্দ্র বসু। এই যন্ত্রের সাহায্যে তিনি প্রমান করেন যে গাছের প্রাণ আছে। 
 
৩.১৫. শ্রীনিকেতন কী ? 
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শ্রীনিকেতন প্রতিষ্ঠা করেন শান্তিনিকেতনের কাছে সুরুল গ্রামে ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে ।মূলতঃ পল্লীসমাজের উন্নয়ন , গ্রামবাসীদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা , শিক্ষার বিস্তার , কুটির শিল্পের বিকাশ , সমবায় প্রথার বিকাশ , শিক্ষার্থীর আত্মনির্ভরশীলতা বৃদ্ধি - ইত্যাদি উদ্দেশ্যে তিনি শ্রীনিকেতন প্রতিষ্ঠা করেন। 

৩.১৬. টেগোর অ্যান্ড কোং কেন গড়ে ওঠে ?   
চাষীরা যাতে ফসলের ন্যায্য দাম পায় - সেই উদ্দেশ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে টেগোর অ্যান্ড কোং প্রতিষ্ঠা করে ন্যায্য মূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে ফসল কিনে তা বাজারে বিক্রয়ের ব্যবস্থা করেন। 

PAGE : 156 ( Hindu School ) 

৩.১৩. মুদ্রণ শিল্পের বিকাশে চার্লস উইলকিনস স্মরণীয় কেন ? 
চার্লস উইলকিনসকে বাংলার গুটেনবার্গ বলা হয়। তিনি প্রথম ছাপার যোগ্য বাংলা অক্ষর তৈরী করেন এবং তার যথার্থ প্রয়োগ ঘটিয়ে ছাপাখানার বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। 

৩.১৪. জাতীয় শিক্ষা পরিষদের উদ্দেশ্য কী ছিল ? 
সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় শিক্ষা পরিষদ গঠিত হয়। এর উদ্দেশ্যগুলি ছিল - (ক ) ইংরেজ শিক্ষানীতি থেকে শিক্ষার্থীদের মুক্ত করে সম্পূর্ণ জাতীয় আদর্শের ভিত্তিতে শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা। 
(খ ) ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থাকে ইংরেজদের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করা। 
(গ ) শিক্ষার সমস্ত স্তরে বহুমুখী পাঠক্রম প্রবর্তন করা। 
(ঘ ) তাত্ত্বিক শিক্ষার পাশাপাশি ব্যবহারিক , প্রয়োগমূলক ও উৎপাদনভিত্তিক শিক্ষাক্রম চালু করা। 

৩.১৫. কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ প্রতিষ্ঠায় রাসবিহারী ঘোষ ও তারকনাথ পালিতের অবদান কী ? 
স্যার তারকনাথ পালিত ও স্যার রাসবিহারী ঘোষের উদ্যোগে কলকতার রাজাবাজারে সর্বপ্রথম একটি বিজ্ঞান কলেজ প্রতিষ্টিত হয়। এখানে মূলতঃ বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার চর্চা হত। পরবর্তীকালে স্নাতকোত্তর স্তরে স্তরে বিজ্ঞান চর্চার জন্য এই প্রতিষ্ঠানটি আত্মনিয়োগ করে। 
     
৩.১৬. শ্রীনিকেতন কী ?    
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শ্রীনিকেতন প্রতিষ্ঠা করেন শান্তিনিকেতনের কাছে সুরুল গ্রামে ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে ।মূলতঃ পল্লীসমাজের উন্নয়ন , গ্রামবাসীদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা , শিক্ষার বিস্তার , কুটির শিল্পের বিকাশ , সমবায় প্রথার বিকাশ , শিক্ষার্থীর আত্মনির্ভরশীলতা বৃদ্ধি - ইত্যাদি উদ্দেশ্যে তিনি শ্রীনিকেতন প্রতিষ্ঠা করেন। 

PAGE : 159 ( Burnpur Subhaspalli Vidyaniketan ) 

৩.১৩. হিকির বেঙ্গল গেজেট সংবাদপত্রটির গুরুত্ব কী ছিল ? 
জেমস অগাস্টাস হিকি প্রথম ভারতীয় সংবাদপত্র বেঙ্গল গেজেট প্রকাশ করেন। এই পত্রিকার মাধ্যমে তৎকালীন সমাজ - সংস্কৃতি , রাজনীতি , অর্থনীতি - ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানা যায় এবং তা ইতিহাসের উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। 
  
৩.১৪. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষা দর্শন কী ? 
রবীন্দ্রনাথের শিক্ষা দর্শনের মূলকথা হল - 
(ক ) শিক্ষাক্ষেত্রে শিশুদের স্বাধীনতা প্রদান। 
(খ ) বিভিন্ন বিষয়গুলিতে শিশুরা আত্মসক্রিয়তার সাহায্যে অংশগ্রহন করবে। 
(গ ) প্রকৃতি ও শিক্ষার সমন্বয়সাধন। 
(ঘ ) মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষা। 

৩.১৫. উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী কে ছিলেন ? 
উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম ব্যক্তি যিনি হাফটোন ব্লক ও কালার ব্লক উদ্ভাবন করেন। মুদ্রণ শিল্পে তাঁর গবেষণা , প্রযুক্তির ব্যবহার - ইত্যাদি ভারতীয় মুদ্রণ শিল্পের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী বিপ্লব নিয়ে আসে। তিনি ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে ইউ রায় অ্যান্ড সন্স - প্রতিষ্ঠা করেন। 

৩.১৬. IACS প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল ? 
ডক্টর মহেন্দ্রলাল সরকার ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে IACS প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর উদ্দেশ্যগুলি ছিল - 
(ক ) বিজ্ঞানচর্চার সম্প্রসারণ ও গবেষণার বিকাশ। 
(খ ) বিজ্ঞানের মৌলিক গবেষণার সুফল ভারতীয়দের প্রদান করা। 
(গ ) আধুনিক বিজ্ঞানের প্রগতির সাথে তাল মিলিয়ে চলা। 

PAGE : 161 ( Soluadanga High School ) 

৩.৯. বর্ণ পরিচয় - এর গুরুত্ব কী ? 
বিদ্যাসাগর রচিত গ্রন্থগুলির মধ্যে সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হল বর্ণপরিচয়। ভাষার সরলীকরণের মধ্যে দিয়ে স্বরবর্ণ ও ব্যাঞ্জনবর্ণের ব্যবহার সরল করেন। সংযুক্ত বর্ণ , 'র ' ফলা , মিশ্র সংযোগ - ইত্যাদির মাধ্যমে বর্ণপরিচয় গ্রন্থটি প্রাথমিক ও প্রাক প্রাথমিক স্তরের শিশুদের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থে পরিণত হয়েছে। 
   
৩.১০. বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল ? 
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। শিক্ষার্থীর সাথে প্রকৃতির যোগাযোগ , শিক্ষার্থীর শিল্পীসত্তার বিকাশ , দেশীয় ঐতিহ্য ও পাশ্চাত্য যুক্তিবাদের সমন্বয় , বৈচিত্রময় পাঠক্রমের সুযোগ - ইত্যাদির ওপর অধিক গুরুত্ব প্রদান করা হয়। বিশ্বের যেকোনো স্থানের ছাত্র - ছাত্রীরা পারস্পরিক ভাব বিনিময়ের মাধ্যমে মানবতার বিকাশ ঘটাবে - এই ছিল প্রকৃত উদ্দেশ্য। 
 
৩.১৫. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষা ভাবনা কী ছিল ? 
রবীন্দ্রনাথের শিক্ষা দর্শনের মূলকথা হল - 
(ক ) শিক্ষাক্ষেত্রে শিশুদের স্বাধীনতা প্রদান। 
(খ ) বিভিন্ন বিষয়গুলিতে শিশুরা আত্মসক্রিয়তার সাহায্যে অংশগ্রহন করবে। 
(গ ) প্রকৃতি ও শিক্ষার সমন্বয়সাধন। 
(ঘ ) মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষা। 

৩.১৬. শ্রীনিকেতন কী উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ?  
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শ্রীনিকেতন প্রতিষ্ঠা করেন শান্তিনিকেতনের কাছে সুরুল গ্রামে ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে ।মূলতঃ পল্লীসমাজের উন্নয়ন , গ্রামবাসীদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা , শিক্ষার বিস্তার , কুটির শিল্পের বিকাশ , সমবায় প্রথার বিকাশ , শিক্ষার্থীর আত্মনির্ভরশীলতা বৃদ্ধি - ইত্যাদি উদ্দেশ্যে তিনি শ্রীনিকেতন প্রতিষ্ঠা করেন। 

PAGE : 164 ( Maharaja Nripendra Narayan High School ) 

13. কাকে , কেন গোলদীঘির গোলামখানা বলা হয় ? 
ঔপনিবেশিক শাসনকালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে গোলদীঘির গোলামখানা বলা হত। কেননা ঔপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুধুমাত্র ইংরেজদের অনুগত এক শ্রেণীর কেরানি প্রতিবছর পাস করত। এই শিক্ষার দ্বারা বোধের বিকাশ বা জাতির বিকাশ সম্ভব ছিলনা। 

14. রবীন্দ্রনাথ কেন ভারতে প্রচলিত শিক্ষাকে প্রাণহীন বলেছেন ? 
ঔপনিবেশিক শিক্ষায় জ্ঞান - বিজ্ঞানের বিকাশ ঘটলেও তাতে প্রাণের ছোঁয়া ছিলনা। এই ধরণের শিক্ষায় ভারতীয় দর্শন , আধ্যাত্মিকতা , নৈতিকতা - ইত্যাদির কোনো সম্পর্ক ছিলনা। শিশুর কল্পনাপ্রবণতা , প্রকৃতির রহস্যের প্রতি আগ্রহ - ইত্যাদি অনুপস্থিত। 
  
16. ছাপাখানার বিকাশে উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী কী কী মৌলিক কৃতিত্ব দেখিয়েছেন ?   
উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম ব্যক্তি যিনি হাফটোন ব্লক ও কালার ব্লক উদ্ভাবন করেন। মুদ্রণ শিল্পে তাঁর গবেষণা , প্রযুক্তির ব্যবহার - ইত্যাদি ভারতীয় মুদ্রণ শিল্পের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী বিপ্লব নিয়ে আসে। তিনি ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে ইউ রায় অ্যান্ড সন্স - প্রতিষ্ঠা করেন। 

PAGE : 166 ( Garhbeta Umadevi Girls' High School ) 

৩.১৩. চার্লস উইলকিনস বিখ্যাত কেন ? 
চার্লস উইলকিনসকে বাংলার গুটেনবার্গ বলা হয়। তিনি প্রথম ছাপার যোগ্য বাংলা অক্ষর তৈরী করেন এবং তার যথার্থ প্রয়োগ ঘটিয়ে ছাপাখানার বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। 

৩.১৪. IACS এর পুরো নাম কী ? কে এটি প্রতিষ্ঠা করেন ? 
Indian Association for the Cultivation of Science .  প্রতিষ্ঠা করেন ডক্টর মহেন্দ্রলাল সরকার। 

৩.১৫. শ্রীরামপুর ত্রয়ী কারা ? 
উইলিয়াম কেরি , উইলিয়াম ওয়ার্ড ও জোসুয়া মার্শম্যান।

৩.১৬. বিজ্ঞান চর্চায় জগদীশ চন্দ্র বসুর অবদান কী ছিল ?  
(ক ) জগদীশ চন্দ্র বসু ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞান চর্চার বিস্তারের উদ্দেশে বসু বিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। 
(খ ) তিনি ক্রেসকোগ্রাফ যন্ত্র আবিষ্কার করে প্রমান করেন যে উদ্ভিদের প্রাণ আছে। 
(গ ) ইলেক্ট্রো - ম্যাগনেটিক ওয়েভ - ইত্যাদি সংক্রান্ত তাঁর গবেষণা আধুনিক বিজ্ঞানকে সমৃদ্ধ করেছে। 

PAGE : 169 : ( Hasimnagar High School ) 

৩.১৩. শ্রীরামপুরে ছাপাখানা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল ? 
উইলিয়াম কেরি , উইলিয়াম ওয়ার্ড ও জোসুয়া মার্শম্যান ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে শ্রীরামপুর ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেন। এর উদ্দেশ্য ছিল - 
(ক ) বাংলা ভাষায় পত্র - পত্রিকার প্রকাশ। 
(খ ) বাংলায় খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের জন্য বাংলা ভাষার প্রয়োজন ছিল। এই প্রয়োজন মেটাতে ছাপাখানা স্থাপন করা হয়। 
(গ ) ছাপাখানার সাহায্যে বাংলা ভাষার বিস্তারের মাধ্যমে গণশিক্ষার প্রসার ঘটানো। 

৩.১৪. কারা শ্রীরামপুর ত্রয়ী নামে পরিচিত ? 
উইলিয়াম কেরি , উইলিয়াম ওয়ার্ড ও জোসুয়া মার্শম্যান

৩.১৫. মহেন্দ্রলাল সরকার স্মরণীয় কেন ? 
ডক্টর মহেন্দ্রলাল সরকারের সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য কৃতিত্ব হল ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স বা IACS প্রতিষ্ঠা। ভারতে বিজ্ঞান চর্চার ইতিহাসে এই প্রতিষ্ঠানটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আধুনিক বিজ্ঞান চর্চায় তাঁর অবদানের জন্য তাঁকে '' ভারতীয় বিজ্ঞান চর্চার জনক '' বলা হয়। 
   
৩.১৬. জাতীয় শিক্ষা পরিষদ গঠনের দুটি উদ্দেশ্য লেখো।   
সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় শিক্ষা পরিষদ গঠিত হয়। এর উদ্দেশ্যগুলি ছিল - (ক ) ইংরেজ শিক্ষানীতি থেকে শিক্ষার্থীদের মুক্ত করে সম্পূর্ণ জাতীয় আদর্শের ভিত্তিতে শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা। 
(খ ) ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থাকে ইংরেজদের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করা। 
(গ ) শিক্ষার সমস্ত স্তরে বহুমুখী পাঠক্রম প্রবর্তন করা। 
(ঘ ) তাত্ত্বিক শিক্ষার পাশাপাশি ব্যবহারিক , প্রয়োগমূলক ও উৎপাদনভিত্তিক শিক্ষাক্রম চালু করা। 

PAGE : 171 ( The Path Bhavan ) 

৩.১৩. ছাপাখানার প্রসারে স্কুল বুক সোসাইটি বিখ্যাত কেন ? 
১৮১৭ সালে স্কুল বুক সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং পাঠ্যপুস্তক প্রকাশের জন্য একটি ছাপাখানা স্থাপন করা হয়। এই ছাপাখানা থেকে বাংলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের জন্য গ্রন্থ মুদ্রিত হতে থাকে। 
 
৩.১৪. জাতীয় শিক্ষা পরিষদ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল ? 
সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় শিক্ষা পরিষদ গঠিত হয়। এর উদ্দেশ্যগুলি ছিল - (ক ) ইংরেজ শিক্ষানীতি থেকে শিক্ষার্থীদের মুক্ত করে সম্পূর্ণ জাতীয় আদর্শের ভিত্তিতে শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা। 
(খ ) ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থাকে ইংরেজদের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করা। 
(গ ) শিক্ষার সমস্ত স্তরে বহুমুখী পাঠক্রম প্রবর্তন করা। 
(ঘ ) তাত্ত্বিক শিক্ষার পাশাপাশি ব্যবহারিক , প্রয়োগমূলক ও উৎপাদনভিত্তিক শিক্ষাক্রম চালু করা। 

৩.১৫. শ্রীনিকেতন কী উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ? 
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শ্রীনিকেতন প্রতিষ্ঠা করেন শান্তিনিকেতনের কাছে সুরুল গ্রামে ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে ।মূলতঃ পল্লীসমাজের উন্নয়ন , গ্রামবাসীদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা , শিক্ষার বিস্তার , কুটির শিল্পের বিকাশ , সমবায় প্রথার বিকাশ , শিক্ষার্থীর আত্মনির্ভরশীলতা বৃদ্ধি - ইত্যাদি উদ্দেশ্যে তিনি শ্রীনিকেতন প্রতিষ্ঠা করেন। 

৩.১৬. মহেন্দ্রলাল সরকার বিখ্যাত কেন ? 
ডক্টর মহেন্দ্রলাল সরকারের সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য কৃতিত্ব হল ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স বা IACS প্রতিষ্ঠা। ভারতে বিজ্ঞান চর্চার ইতিহাসে এই প্রতিষ্ঠানটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আধুনিক বিজ্ঞান চর্চায় তাঁর অবদানের জন্য তাঁকে '' ভারতীয় বিজ্ঞান চর্চার জনক '' বলা হয়। 

PAGE : 174 ( Madpur Balika Vidyalaya ) 

৩.১৪. বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল ? 
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। শিক্ষার্থীর সাথে প্রকৃতির যোগাযোগ , শিক্ষার্থীর শিল্পীসত্তার বিকাশ , দেশীয় ঐতিহ্য ও পাশ্চাত্য যুক্তিবাদের সমন্বয় , বৈচিত্রময় পাঠক্রমের সুযোগ - ইত্যাদির ওপর অধিক গুরুত্ব প্রদান করা হয়। বিশ্বের যেকোনো স্থানের ছাত্র - ছাত্রীরা পারস্পরিক ভাব বিনিময়ের মাধ্যমে মানবতার বিকাশ ঘটাবে - এই ছিল প্রকৃত উদ্দেশ্য। 

৩.১৫. বসু বিজ্ঞান মন্দিরে কোন কোন বিষয়ে গবেষণা হত ? 
১৯১৭ খ্রিস্টাব্দের ৩০ শে নভেম্বর জগদীশচন্দ্র বসু '' বসু বিজ্ঞান মন্দির '' প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রতিষ্ঠানে আধুনিক বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা হত ; যেমন - পদার্থবিদ্যা , রসায়ন , উদ্ভিদবিদ্যা। এছাড়াও বায়ো - ফিজিক্সের মত পরস্পর সম্পর্কযুক্ত বিষয়গুলো নিয়েও গবেষণা হত। 
   
৩.১৬. গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য স্মরণীয় কেন ?  
ভারতের ছাপাখানা বিস্তারের ইতিহাসে গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের অবদান উল্লেখযোগ্য। তিনি হলেন ভারতের প্রথম প্রকাশক ও পুস্তক বিক্রেতা। তিনি ভরতচন্দ্র্রের অন্নদামঙ্গল গ্রন্থের সচিত্র প্রকাশ করেন। 

PAGE : 176 ( পলাশন মৃণালিনী মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় ) 

৩.১৩. জাতীয় শিক্ষা পরিষদ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল ? 
সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় শিক্ষা পরিষদ গঠিত হয়। এর উদ্দেশ্যগুলি ছিল - (ক ) ইংরেজ শিক্ষানীতি থেকে শিক্ষার্থীদের মুক্ত করে সম্পূর্ণ জাতীয় আদর্শের ভিত্তিতে শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা। 
(খ ) ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থাকে ইংরেজদের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করা। 
(গ ) শিক্ষার সমস্ত স্তরে বহুমুখী পাঠক্রম প্রবর্তন করা। 
(ঘ ) তাত্ত্বিক শিক্ষার পাশাপাশি ব্যবহারিক , প্রয়োগমূলক ও উৎপাদনভিত্তিক শিক্ষাক্রম চালু করা। 

৩.১৪. বিদ্যাসাগরকে বিদ্যাবণিক বলা হয় কেন ? 
১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দে বিদ্যাসাগর মহাশয় মদনমোহন তর্কালঙ্কারের সাথে যৌথ উদ্যোগে সংস্কৃত ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেন। এই ছাপাখানা থেকে মুদ্রিত পুস্তক বিক্রয়ের জন্য তিনি সংস্কৃত প্রেস ডিপোজিটরি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ছিলেন বাঙালিদের মধ্যে বই ব্যবসার প্রথম পথপ্রদর্শক। বাংলা মুদ্রণ ও প্রকাশনার ক্ষেত্রে এইভাবে ব্যবসায়িক উদ্যোগ গ্রহণের জন্য বিদ্যাসাগরকে বিদ্যাবণিক বলা হয়। 

৩.১৫. পঞ্চানন কর্মকার স্মরণীয় কেন ? 
পঞ্চানন কর্মকার ছিলেন হুগলির ত্রিবেণীর একজন সুদক্ষ স্বর্ণশিল্পী এবং ধাতুবিদ চার্লস উইলকিনসের সহযোগী। তিনি ছোট হাতুড়ি ও ছেনির সাহায্যে উন্নত মানের বাংলা হরফ তৈরী করেন। 

৩.১৬. বাংলার মুদ্রণের ইতিহাসে বটতলা প্রকাশনার গুরুত্ব কী ? 
উনিশ শতকে কলকাতার কিছু বিশেষ স্থানে পাঠকদের চাহিদার ভিত্তিতে লেখা প্রকাশ হত। এই ধরণের প্রকাশনাকে বটতলা প্রকাশনা বলা হত। প্রকাশকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন - বিশ্বম্ভর দেব ও ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বটতলা প্রকাশনার ফলে - 
(ক ) বিভিন্ন ধরণের ও বৈচিত্রময় লেখা প্রকাশ পায়। 
(খ ) ছোটগল্প , পাঁচালি , প্রেম , রহস্য গল্প , জাদু - ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ের গ্রন্থ প্রকাশিত হতে থাকে। 
(গ ) উৎপাদন ব্যয় কম হওয়ায় বইয়ের দাম ছিল কম। 
(ঘ ) এইধরণের বৈচিত্রময় ও নতুন ধরণের সাহিত্য বিভিন্ন ধরণের পাঠকদের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হয়েছিল।     
   

You May Also Like

0 comments