WBBSE TEST PAPERS 2022 HISTORY 4TH CHAPTER 2 MARK SOLVED.

by - February 27, 2022

WBBSE TEST PAPERS 2022 HISTORY 4TH CHAPTER 2 MARK SOLVED. 

 
PAGE : 137 ( Sishutirtha Sukanta Vidyaniketan ) 

৩.৯. মহারানির ঘোষণাপত্রের ( ১৮৫৮ ) গুরুত্ব লেখো। 
১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দের ১ লা নভেম্বর এলাহাবাদের রাজদরবারে মহারানি ভিক্টোরিয়া ভাইসরয় লর্ড ক্যানিং - এর মাধ্যমে এক ঘোষণাপত্রের দ্বারা কোম্পানির ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা ঘোষণা করেন। এর ফলে -  
(ক ) ব্রিটিশ সরকার ভারত শাসন আইন ১৮৫৮ পাস করে। 
(খ ) ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে। 
(গ ) ভারতের শাসনভার মহারানী ভিক্টোরিয়া নিজের হাতে তুলে নেন।
(ঘ ) ঘোষণাপত্র অনুযায়ী ভারতের প্রথম ভাইসরয় হলেন লর্ড ক্যানিং। 
 
৩.১০. হিন্দুমেলা কেন ব্যর্থ হয়েছিল ? 
(ক ) হিন্দুমেলা ধর্মীয় সংকীর্ণতা দোষে দুষ্ট ছিল। তারা মুসলিমদের সমস্যাগুলির প্রতি উদাসীন ছিলেন। 
(খ ) হিন্দুমেলার গঠন ও কার্যপ্রণালী ছিল বাঙালিকেন্দ্রিক। ফলে তা সর্বভারতীয় রূপ পরিগ্রহ করতে পারেনি। 
(গ ) নতুন শিক্ষিত - মধ্যবিত্ত শ্রেণী হিন্দুমেলার আদর্শে কোনো উৎসাহ দেখাননি। 
(ঘ ) হিন্দুমেলা রাজনৈতিক কর্মকান্ডে খুব বেশি উৎসাহী ছিলেন না। 
 
৩.১১. ভারতীয় জাতীয়তাবাদী ভাবধারার বিকাশে স্বামী বিবেকানন্দের ভূমিকা লেখো। 
স্বামী বিবেকানন্দ দেশের যুবশক্তিকে তাদের প্রকৃত স্বরূপ উপলব্ধি করে তাদের কর্মযোগে ঝাঁপিয়ে পড়তে উৎসাহিত করেন। আত্মশক্তিতে বলীয়ান ভারতীয় যুবসমাজ অত্যাচারী বিদেশি শাসনের অবসান ঘটাবে - তা তিনি বিশ্বাস করতেন। তাঁর এই বিশ্বাস ভারতীয় যুবসমাজকে জাতীয়তাবাদে অনুপ্রাণিত করে।  
  
৩.১২. গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যঙ্গচিত্রের উদ্দেশ্য কী ছিল ?  
(ক ) বিভিন্ন কুসংস্কার , ধর্মীয় গোঁড়ামি , জাতপাত , কলকাতার বাবু সম্প্রদায়ের বিলাসিতা - ইত্যাদি বিষয়গুলিকে ব্যাঙ্গাত্মক চিত্রের মাধ্যমে সমাজের সামনে তুলে ধরা। 
(খ ) ঔপনিবেশিক শাসনের সমালোচনা , শাসকের শোষণ - ইত্যাদি রাজনৈতিক বিষয়গুলিকে তুলে ধরে প্রতিবাদ জ্ঞাপন করা। 

PAGE : 139 ( Nirobala Smriti Girl's High School ) 

৩.৯. ইলবার্ট বিল কী ? 
লর্ড রিপনের পরামর্শে তাঁর আইনসচিব ইলবার্ট একটি আইন রচনা করেন। এই আইন অনুসারে ভারতীয় বিচারকেরা ইংরেজ তথা শ্বেতাঙ্গদের বিচার করার অধিকার লাভ করে। একেই ইলবার্ট বিল বলে। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য ইতিপূর্বে ভারতীয় বিচারকেরা ব্রিটিশদের বিচার করতে পারত না। 
   
৩.১০. ভারতের জাতীয়তাবোধের চেতনা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে এমন কয়েকটি সাহিত্য গ্রন্থের নাম লেখো। 
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের আনন্দমঠ , স্বামী বিবেকানন্দের বর্তমান ভারত , রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গোরা - ইত্যাদি। 
           
৩.১১. মহারানির ঘোষণাপত্র কী ? 
১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দের ১ লা নভেম্বর এলাহাবাদের রাজদরবারে মহারানি ভিক্টোরিয়া ভাইসরয় লর্ড ক্যানিং - এর মাধ্যমে এক ঘোষণাপত্রের দ্বারা কোম্পানির ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা ঘোষণা করেন। এর ফলে -  
(ক ) ব্রিটিশ সরকার ভারত শাসন আইন ১৮৫৮ পাস করে। 
(খ ) ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে। 
(গ ) ভারতের শাসনভার মহারানী ভিক্টোরিয়া নিজের হাতে তুলে নেন।
(ঘ ) ঘোষণাপত্র অনুযায়ী ভারতের প্রথম ভাইসরয় হলেন লর্ড ক্যানিং। 

৩.১২. গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বাংলা ব্যঙ্গচিত্রের জনক বলা হয় কেন ?  
ভারতীয়দের মধ্যে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর সর্বপ্রথম ব্যঙ্গচিত্রের প্রয়োগের মাধ্যমে ব্রিটিশ অপশাসন ও ভারতীয় সমাজের দুর্বলতাগুলো জনসমক্ষে তুলে ধরে জাতীয়তাবোধের বিকাশ ঘটান। তাই গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ভারতীয় ব্যঙ্গচিত্রের জনক বলা হয়। তাঁর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ব্যাঙ্গচিত্র হল - খল ব্রাহ্মণ , জাতাসুর - ইত্যাদি।      

PAGE : 142 ( Raina Jagatmata Anchalik Balika Vidayalaya ) 

৩.৯. ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহের প্রত্যক্ষ কারণ কী ছিল ? 
১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে সেনাবাহিনীতে এনফিল্ড রাইফেল ব্যবহার করা হত। বন্দুকের টোটার খোলসটি দাঁত দিয়ে কেটে রাইফেলে ভরতে হত। গুজব রটায় যে , ওই খোলসটি গরু ও শুকরের চামড়া দ্বারা নির্মিত। এরফলে হিন্দু ও মুসলিম সিপাহীরা ধর্মচ্যুত হওয়ার ভয়ে এই টোটা ব্যবহারের বিরোধিতা করে বিদ্রোহের সূচনা করে। 
   
৩.১০. হিন্দুমেলার উদ্দেশ্য কী ছিল ? 
১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে নবগোপাল মিত্রের উদ্যোগে হিন্দুমেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। এর উদ্দেশ্যগুলি ছিল - 
(ক ) হিন্দু ধর্মের অতীত গৌরব ও মর্যাদার প্রচার। 
(খ ) দেশীয় ভাষাগুলির প্রচার ঘটানো। 
(গ ) ভারতে পাশ্চাত্য সভ্যতার প্রসার রোধ করা - ইত্যাদি। 
   
৩.১১. ভারতে জাতীয়তাবাদের বিকাশে গোরা উপন্যাসের অবদান লেখো। 
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গোরা উপন্যাসে দেশপ্রেম , অখন্ডতা - ইত্যাদির বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। ধর্ম ও সাম্প্রদায়িকতার মধ্যে দিয়ে উপন্যাসের সূচনা হলেও তার পরিসমাপ্তি ঘটে জাতীয়তাবোধ ও মানবতাবোধের মধ্যে দিয়ে। মানবধর্মকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দিয়ে উপন্যাসটি জাতীয়তাবোধের বিকাশ ঘটিয়েছে।    

৩.১২. ভারতসভা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল ? 
১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দের ২৬ শে জুলাই কলকাতার অ্যালবার্ট হলে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে ভারতসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। এর উদ্দেশ্যগুলি ছিল - 
(ক ) ভারতীয় জনগণকে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে সংগঠিত করা। 
(খ ) হিন্দু ও মুসলিমের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করে তা ব্রিটিশ বিরোধিতায় পরিচালিত করা। 
(গ ) শিক্ষিত ভারতীয়দের মধ্যে রাজনৈতিক চেতনার প্রসার ঘটানো। 
(ঘ ) ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে ভারতীয়দের দাবী দাওয়া আদায় করা - ইত্যাদি।      

PAGE : 144 ( Malatipur R.K. Girls' High School ) 

৩.৯. প্রথম ভাইসরয় কে ছিলেন ? 
১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে মহারানির ঘোষণাপত্র অনুযায়ী ভারতের প্রথম ভাইসরয় হলেন লর্ড ক্যানিং। 

৩.১০. হিন্দুমেলার প্রাণ পুরুষ কে ছিলেন ? 
নবগোপাল মিত্র। 

৩.১১. গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা দুটি ব্যঙ্গচিত্রের নাম লেখো। 
খল ব্রাহ্মণ , জাতাসুর। 

৩.১২. মহারানির ঘোষণাপত্র কী ? 
১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দের ১ লা নভেম্বর এলাহাবাদের রাজদরবারে মহারানি ভিক্টোরিয়া ভাইসরয় লর্ড ক্যানিং - এর মাধ্যমে এক ঘোষণাপত্রের দ্বারা কোম্পানির ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা ঘোষণা করেন। এর ফলে -  
(ক ) ব্রিটিশ সরকার ভারত শাসন আইন ১৮৫৮ পাস করে। 
(খ ) ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে। 
(গ ) ভারতের শাসনভার মহারানী ভিক্টোরিয়া নিজের হাতে তুলে নেন।
(ঘ ) ঘোষণাপত্র অনুযায়ী ভারতের প্রথম ভাইসরয় হলেন লর্ড ক্যানিং। 

PAGE : 146 ( সপ্তগ্রাম কিশোর ভারতী ) 

৩.১০. সভা সমিতির যুগ বলতে কী বোঝো ? 
উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে শিক্ষার প্রসার , সমাজ সংস্কার ইত্যাদির ভিত্তিতে ভারতে বিভিন্ন সভা সমিতি গড়ে উঠতে থাকে। যেমন - বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা , ভারতসভা , জমিদার সভা , জাতীয় কংগ্রেস - ইত্যাদি। তাই উনিশ শতককে ঐতিহাসিক অনিল শীল ' সভা সমিতির যুগ ' বলে অভিহিত করেছেন। 
  
৩.১৩. জমিদার সভার উদ্দেশ্য কী ছিল ? 
১৮৩৮ খ্রিস্টাব্দের ১৯ শে মার্চ দ্বারকানাথ ঠাকুর ও রাধাকান্ত দেবের সভাপতিত্বে জমিদার সভা প্রতিষ্ঠিত হয়। এর উদ্দেশ্যগুলি ছিল - 
(ক ) জমিদার শ্রেণীর স্বার্থরক্ষা। 
(খ ) কলকাতার ব্রিটিশ আমলাতন্ত্র ও লন্ডনের ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটির সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ গড়ে তোলা। 
(গ ) ভারতের সর্বত্র চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রচলনের দাবী জানানো। 
(ঘ ) রাজস্ব সংস্কারের জন্য আন্দোলন করা - ইত্যাদি। 
    
৩.১৪. আনন্দমঠ কে , কোন বিদ্রোহের পটভূমিকায় রচনা করেন ? 
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় , সন্ন্যাসী ফকির বিদ্রোহের পটভূমিকায়। 
 
৩.১৫. গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের দুটি ব্যঙ্গচিত্রের নাম লেখো।  
খল ব্রাহ্মণ ও জাতাসুর। 

PAGE : 149 ( Simlapal M.M. High School ) 

৩.৯. মহারানির ঘোষণাপত্রের তাৎপর্য কী ? 
১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দের ১ লা নভেম্বর এলাহাবাদের রাজদরবারে মহারানি ভিক্টোরিয়া ভাইসরয় লর্ড ক্যানিং - এর মাধ্যমে এক ঘোষণাপত্রের দ্বারা কোম্পানির ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা ঘোষণা করেন। এর ফলে -  
(ক ) ব্রিটিশ সরকার ভারত শাসন আইন ১৮৫৮ পাস করে। 
(খ ) ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে। 
(গ ) ভারতের শাসনভার মহারানী ভিক্টোরিয়া নিজের হাতে তুলে নেন।
(ঘ ) ঘোষণাপত্র অনুযায়ী ভারতের প্রথম ভাইসরয় হলেন লর্ড ক্যানিং। 

৩.১০. ব্যাঙ্গচিত্র কেন অঙ্কন করা হয় ? 
ব্যঙ্গচিত্রের মাধ্যমে সমাজের প্রচলিত দুর্বলতা , রাজনৈতিক দ্বিচারিতা , রাজনৈতিক - সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যাগুলিকে ব্যাঙ্গের মোড়কে কৌতুক মিশ্রিতভাবে পরিবেশিত করা হয়। যেমন গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্যঙ্গচিত্রের মাধ্যমে ব্রিটিশ অপশাসন , কলকাতার বাবু সম্প্রদায়ের মানুষের ভন্ডামি - ইত্যাদি বিষয়গুলি প্রকাশ করেন। 
  
৩.১২. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গোরা উপন্যাসটি কেন গুরুত্বপূর্ণ ? 
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গোরা উপন্যাসে দেশপ্রেম , অখন্ডতা - ইত্যাদির বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। ধর্ম ও সাম্প্রদায়িকতার মধ্যে দিয়ে উপন্যাসের সূচনা হলেও তার পরিসমাপ্তি ঘটে জাতীয়তাবোধ ও মানবতাবোধের মধ্যে দিয়ে। মানবধর্মকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দিয়ে উপন্যাসটি জাতীয়তাবোধের বিকাশ ঘটিয়েছে।    

PAGE : 151 ( Dum Dum Deshbandhu High School ) 

৩.৯. ঝাঁসির রানি বিখ্যাত কেন ? 
লর্ড ডালহৌসি স্বত্ববিলোপ নীতির মাধ্যমে ঝাঁসি অধিগ্রহণ করলে ঝাঁসির রানি লক্ষীবাঈ কোম্পানির বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করেন। যুদ্ধে অসম সাহস ও বীরত্বের পরিচয় দিয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এজন্য তিনি ভারত ইতিহাসে বিখ্যাত হয়ে আছেন। 
   
৩.১০. শিক্ষিত বাঙালি সমাজ কেন ১৮৫৭ এর বিদ্রোহকে সমর্থন করেননি ? 
সিপাহী বিদ্রোহের সময় এক শ্রেণীর শিক্ষিত বাঙালি মধ্যবিত্ত সম্প্রদায় ইংরেজি শিক্ষার উপর ভিত্তি করে ইংরেজদের অধীনে বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন। তাঁদের আশঙ্কা ছিল যে মহাবিদ্রোহ তাঁদের জীবনের স্থিতিশীলতাকে নষ্ট করে দিতে পারে। তাই তাঁরা মহাবিদ্রোহকে সমর্থন করেননি। 
    
৩.১১. মহারানির ঘোষণাপত্র কাকে বলা হয় ? 
১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দের ১ লা নভেম্বর এলাহাবাদের রাজদরবারে মহারানি ভিক্টোরিয়া ভাইসরয় লর্ড ক্যানিং - এর মাধ্যমে এক ঘোষণাপত্রের দ্বারা কোম্পানির ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা ঘোষণা করেন। এর ফলে -  
(ক ) ব্রিটিশ সরকার ভারত শাসন আইন ১৮৫৮ পাস করে। 
(খ ) ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে। 
(গ ) ভারতের শাসনভার মহারানী ভিক্টোরিয়া নিজের হাতে তুলে নেন।
(ঘ ) ঘোষণাপত্র অনুযায়ী ভারতের প্রথম ভাইসরয় হলেন লর্ড ক্যানিং। 

৩.১২. কী উদ্দেশ্যে হিন্দুমেলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ? 
১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে নবগোপাল মিত্রের উদ্যোগে হিন্দুমেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। এর উদ্দেশ্যগুলি ছিল - 
(ক ) হিন্দু ধর্মের অতীত গৌরব ও মর্যাদার প্রচার। 
(খ ) দেশীয় ভাষাগুলির প্রচার ঘটানো। 
(গ ) ভারতে পাশ্চাত্য সভ্যতার প্রসার রোধ করা - ইত্যাদি। 

PAGE : 154 ( Sarisha Ramkrishna Mission ) 

৩.৯. উনিশ শতককে সভা সমিতির যুগ বলা হয় কেন ? 
উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে শিক্ষার প্রসার , সমাজ সংস্কার ইত্যাদির ভিত্তিতে ভারতে বিভিন্ন সভা সমিতি গড়ে উঠতে থাকে। যেমন - বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা , ভারতসভা , জমিদার সভা , জাতীয় কংগ্রেস - ইত্যাদি। তাই উনিশ শতককে ঐতিহাসিক অনিল শীল ' সভা সমিতির যুগ ' বলে অভিহিত করেছেন। 

৩.১০. জমিদার সভার লক্ষ্য কী ছিল ? 
১৮৩৮ খ্রিস্টাব্দের ১৯ শে মার্চ দ্বারকানাথ ঠাকুর ও রাধাকান্ত দেবের সভাপতিত্বে জমিদার সভা প্রতিষ্ঠিত হয়। এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলি ছিল - 
(ক ) জমিদার শ্রেণীর স্বার্থরক্ষা। 
(খ ) কলকাতার ব্রিটিশ আমলাতন্ত্র ও লন্ডনের ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটির সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ গড়ে তোলা। 
(গ ) ভারতের সর্বত্র চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রচলনের দাবী জানানো। 
(ঘ ) রাজস্ব সংস্কারের জন্য আন্দোলন করা - ইত্যাদি। 
    
৩.১১. রবীন্দ্রনাথের গোরা উপন্যাসের লক্ষ্য কী ছিল ? 
(ক ) উপন্যাসের নায়ক গোরার সঙ্গে শহরের নাগরিক সমাজ , বস্তি ও পল্লীসমাজের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা। 
(খ ) আচার সর্বস্ব হিন্দুধর্মের প্রকৃত স্বরূপ তুলে ধরা। 
(গ ) সবকিছুর উর্দ্ধে মানবধর্মকে প্রতিষ্ঠা করা। 
 
৩.১২. মহাবিদ্রোহকে কেন সামন্ততন্ত্রের মৃত্যুকালীন আর্তনাদ বলা হয় ?  
মহাবিদ্রোহের মাধ্যমে ভারতের সামন্ত শ্রেণী তাদের হৃত রাজ্য পুনরুদ্ধার , বন্ধ হয়ে যাওয়া রাজন্যভাতার পুনঃপ্রচলন - ইত্যাদি বাস্তবায়িত করতে চেয়েছিলেন। যেমন লক্ষীবাঈ ঝাঁসি পুনরুদ্ধার করতে চেয়েছিলেন , হজরতমহল অযোধ্যা পুনরুদ্ধার করতে চেয়েছিলেন। এই কারণে রজনীপাম দত্ত , রমেশচন্দ্র মজুমদার - প্রমুখ মহাবিদ্রোহকে সামন্তশ্রেণীর বিদ্রোহ বলে অভিহিত করেছেন। 

PAGE : 156 ( Hindu School ) 

৩.৯. উনিশ শতককে সভা সমিতির যুগ কেন বলা হয় ? 
উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে শিক্ষার প্রসার , সমাজ সংস্কার ইত্যাদির ভিত্তিতে ভারতে বিভিন্ন সভা সমিতি গড়ে উঠতে থাকে। যেমন - বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা , ভারতসভা , জমিদার সভা , জাতীয় কংগ্রেস - ইত্যাদি। তাই উনিশ শতককে ঐতিহাসিক অনিল শীল ' সভা সমিতির যুগ ' বলে অভিহিত করেছেন। 

৩.১০. হিন্দু মেলার লক্ষ্য কী ছিল ? 
১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে নবগোপাল মিত্রের উদ্যোগে হিন্দুমেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলি ছিল - 
(ক ) হিন্দু ধর্মের অতীত গৌরব ও মর্যাদার প্রচার। 
(খ ) দেশীয় ভাষাগুলির প্রচার ঘটানো। 
(গ ) ভারতে পাশ্চাত্য সভ্যতার প্রসার রোধ করা - ইত্যাদি। 

৩.১১. ইলবার্ট বিল কী ? 
লর্ড রিপনের পরামর্শে তাঁর আইনসচিব ইলবার্ট একটি আইন রচনা করেন। এই আইন অনুসারে ভারতীয় বিচারকেরা ইংরেজ তথা শ্বেতাঙ্গদের বিচার করার অধিকার লাভ করে। একেই ইলবার্ট বিল বলে। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য ইতিপূর্বে ভারতীয় বিচারকেরা ব্রিটিশদের বিচার করতে পারত না। 

৩.১২. ভারতমাতার চিত্রের বৈশিষ্ট কী ? 
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভারতমাতা - চিত্রটির বৈশিষ্টগুলি ছিল - 
(ক ) চিত্রটি হিন্দু দেবী লক্ষীর অনুকরণে অঙ্কিত। 
(খ ) চিত্রটিতে ভারতমাতা চতুর্ভুজা। 
(গ ) চিত্রটিতে ভারতমাতা বৈষ্ণব সন্যাসিনীর পোশাকে আবৃতা। 
(ঘ ) ভারতমাতার চারটি হাত এবং সেই চারটি হাতে রয়েছে - বেদ , ধানের শীষ , জপের মালা ও শ্বেতবস্ত্র।

PAGE : 159 ( Burnpur Subhaspalli Vidyaniketan ) 

৩.৯. বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভার উদ্দেশ্য কী ছিল ? 
১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দের ৮ ই নভেম্বর গৌরীশঙ্কর তর্কবাগীশের সভাপতিত্বে বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভার প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল রাজনৈতিক বিষয়গুলি নিয়ে আলাপ - আলোচনা ও বিচার বিশ্লেষণ করা। 
 
৩.১০. জমিদার সভার দুটি সীমাবদ্ধতা লেখো। 
(ক ) শুধুমাত্র জমিদারদের স্বার্থরক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়ায় জমিদার সভার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল সংকীর্ণ ও সীমিত। 
(খ ) জমিদার সভার একটি প্রধান দাবী ছিল চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের প্রচলন। এই ধরণের আদর্শ সামন্ততান্ত্রিক প্রসারে অনুকূল হতে পারত। 
 
৩.১১. মহারানীর ঘোষণাপত্র কী ? 
১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দের ১ লা নভেম্বর এলাহাবাদের রাজদরবারে মহারানি ভিক্টোরিয়া ভাইসরয় লর্ড ক্যানিং - এর মাধ্যমে এক ঘোষণাপত্রের দ্বারা কোম্পানির ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা ঘোষণা করেন। এর ফলে -  
(ক ) ব্রিটিশ সরকার ভারত শাসন আইন ১৮৫৮ পাস করে। 
(খ ) ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে। 
(গ ) ভারতের শাসনভার মহারানী ভিক্টোরিয়া নিজের হাতে তুলে নেন।
(ঘ ) ঘোষণাপত্র অনুযায়ী ভারতের প্রথম ভাইসরয় হলেন লর্ড ক্যানিং। 

৩.১২. মঙ্গল পান্ডে কেন স্মরণীয় ?  
মঙ্গল পান্ডে ছিলেন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পনির ৩৪ নং বেঙ্গল আর্মির একজন সিপাহি। ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৯ শে মার্চ তিনি এনফিল্ড রাইফেলে টোটা ব্যবহারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করেন ও ইংরেজ অফিসারকে আক্রমণ করেন। এর ফলে সরকার তাঁকে ফাঁসি দেয়। তিনিই ছিলেন মহাবিদ্রোহের প্রথম শহীদ। 

PAGE : 161 ( Soluadanga High School ) 

৩.৭. ভারতসভা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যগুলি কী ছিল ? 
১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দের ২৬ শে জুলাই কলকাতার অ্যালবার্ট হলে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে ভারতসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। এর উদ্দেশ্যগুলি ছিল - 
(ক ) ভারতীয় জনগণকে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে সংগঠিত করা। 
(খ ) হিন্দু ও মুসলিমের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করে তা ব্রিটিশ বিরোধিতায় পরিচালিত করা। 
(গ ) শিক্ষিত ভারতীয়দের মধ্যে রাজনৈতিক চেতনার প্রসার ঘটানো। 
(ঘ ) ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে ভারতীয়দের দাবী দাওয়া আদায় করা - ইত্যাদি।      

৩.৮. ব্যাঙ্গচিত্র কী ? 
ব্যঙ্গচিত্রের মাধ্যমে সমাজের প্রচলিত দুর্বলতা , রাজনৈতিক দ্বিচারিতা , রাজনৈতিক - সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যাগুলিকে ব্যাঙ্গের মোড়কে কৌতুক মিশ্রিতভাবে পরিবেশিত করা হয়। যেমন গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্যঙ্গচিত্রের মাধ্যমে ব্রিটিশ অপশাসন , কলকাতার বাবু সম্প্রদায়ের মানুষের ভন্ডামি - ইত্যাদি বিষয়গুলি প্রকাশ করেন। 
  
৩.১৩. বন্দেমাতরম সংগীতটি বিখ্যাত কেন ? 
(ক ) বঙ্কিমচন্দ্র বন্দেমাতরম সংগীতে দেশমাতৃকাকে বন্দনা করে জাতীয়তাবোধের বিকাশ ঘটিয়েছিলেন। 
(খ ) পরবর্তীকালে সংগীতটি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মন্ত্রে পরিণত হয়। 
(গ ) স্বাধীন ভারতে এটি জাতীয় সংগীতের মর্যাদা লাভ করে। 
   
৩.১৪. গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর বিখ্যাত কেন ?    
(ক ) ভারতীয়দের মধ্যে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর সর্বপ্রথম ব্যঙ্গচিত্রের প্রয়োগের মাধ্যমে ব্রিটিশ অপশাসন ও ভারতীয় সমাজের দুর্বলতাগুলো জনসমক্ষে তুলে ধরে জাতীয়তাবোধের বিকাশ ঘটান। তাই গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ভারতীয় ব্যঙ্গচিত্রের জনক বলা হয়। তাঁর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ব্যাঙ্গচিত্র হল - খল ব্রাহ্মণ , জাতাসুর - ইত্যাদি।    
(খ ) তিনি অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে যৌথভাবে ' ইন্ডিয়ান সোসাইটি অব ওরিয়েন্টাল আর্ট ' প্রতিষ্ঠা করেন। 

PAGE : 164 ( Maharaja Nripendra Narayan High School ) 

9. আনন্দমঠ উপন্যাস কীভাবে জাতীয়তাবাদী ভাবধারাকে উদ্দীপ্ত করেছিল ? 
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত আনন্দমঠ উপন্যাসের মধ্যে দিয়ে প্রবলভাবে জাতীয়তাবোধের বিকাশ ঘটে। এই উপন্যাসে ব্যবহৃত বন্দেমাতরম সংগীতটি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মূলমন্ত্রে পরিণত হয়। পরাধীন ভারতের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে , ইংরেজ শাসনের প্রকৃত স্বরূপ তুলে ধরে তিনি ভারতীয়দের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। 
   
10. ইংরেজরা কেন ইলবার্ট বিলের বিরোধিতা করেছিলেন ? 
১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দের ইলবার্ট বিলের মাধ্যমে ভারতীয় বিচারকেরা ইউরোপীয়দের বিচারের অধিকার পায়। কিন্তু ইংরেজরা এর বিরোধিতা করতে শুরু করে। কেননা , 
(ক ) ইংরেজরা ভারতীয় বিচারকদের সামনে বিচার প্রার্থী হতে রাজি ছিল না। ইলবার্ট বিল ছিল তাদের জাত্যাভিমানের প্রতি আঘাত। 
(খ ) ইউরোপীয়রা বিশ্বাস করতো যে , ইউরোপীয়দের বিচার করার দক্ষতা ভারতীয় বিচারকদের নেই। 
    
11. হিন্দুমেলার ঐতিহাসিক গুরুত্ব কী ? 
১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে নবগোপাল মিত্রের উদ্যোগে হিন্দুমেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। হিন্দু ধর্মের অতীত গৌরব ও মর্যাদার প্রচার , দেশীয় ভাষাগুলির প্রচার ঘটানো , ভারতে পাশ্চাত্য সভ্যতার প্রসার রোধ করা - ইত্যাদির মাধ্যমে ভারতীয় জাতীয়তাবাদী ভাবধারা ও ভারতীয় সংস্কৃতির প্রসারের চেষ্টা করে।   

12. শিক্ষিত বাঙালি সমাজ কেন 1857 - এর বিদ্রোহকে সমর্থন করেননি ?   
সিপাহী বিদ্রোহের সময় এক শ্রেণীর শিক্ষিত বাঙালি মধ্যবিত্ত সম্প্রদায় ইংরেজি শিক্ষার উপর ভিত্তি করে ইংরেজদের অধীনে বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন। তাঁদের আশঙ্কা ছিল যে মহাবিদ্রোহ তাঁদের জীবনের স্থিতিশীলতাকে নষ্ট করে দিতে পারে। তাই তাঁরা মহাবিদ্রোহকে সমর্থন করেননি। 

PAGE : 166 ( Garhbeta Umadavi Girls' High School ) 

৩.৯. মঙ্গল পান্ডে কে ছিলেন ? 
মঙ্গল পান্ডে ছিলেন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পনির ৩৪ নং বেঙ্গল আর্মির একজন সিপাহি। ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৯ শে মার্চ তিনি এনফিল্ড রাইফেলে টোটা ব্যবহারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করেন ও ইংরেজ অফিসারকে আক্রমণ করেন। এর ফলে সরকার তাঁকে ফাঁসি দেয়। তিনিই ছিলেন মহাবিদ্রোহের প্রথম শহীদ। 

৩.১০. মহারানীর ঘোষণাপত্রের দুটি উল্লেখযোগ্য ঘোষণার উল্লেখ কর। 
১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দের ১ লা নভেম্বর এলাহাবাদের রাজদরবারে মহারানি ভিক্টোরিয়া ভাইসরয় লর্ড ক্যানিং - এর মাধ্যমে এক ঘোষণাপত্রের দ্বারা কোম্পানির ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা ঘোষণা করেন। এর ফলে -  
(ক ) ব্রিটিশ সরকার ভারত শাসন আইন ১৮৫৮ পাস করে। 
(খ ) ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে। 
(গ ) ভারতের শাসনভার মহারানী ভিক্টোরিয়া নিজের হাতে তুলে নেন।
(ঘ ) ঘোষণাপত্র অনুযায়ী ভারতের প্রথম ভাইসরয় হলেন লর্ড ক্যানিং। 

৩.১১. ভারতমাতা চিত্রের বৈশিষ্ট কী ছিল ? 
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভারতমাতা - চিত্রটির বৈশিষ্টগুলি ছিল - 
(ক ) চিত্রটি হিন্দু দেবী লক্ষীর অনুকরণে অঙ্কিত। 
(খ ) চিত্রটিতে ভারতমাতা চতুর্ভুজা। 
(গ ) চিত্রটিতে ভারতমাতা বৈষ্ণব সন্যাসিনীর পোশাকে আবৃতা। 
(ঘ ) ভারতমাতার চারটি হাত এবং সেই চারটি হাতে রয়েছে - বেদ , ধানের শীষ , জপের মালা ও শ্বেতবস্ত্র।

৩.১২. সভা সমিতির যুগ বলতে কী বোঝ ? 
উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে শিক্ষার প্রসার , সমাজ সংস্কার ইত্যাদির ভিত্তিতে ভারতে বিভিন্ন সভা সমিতি গড়ে উঠতে থাকে। যেমন - বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা , ভারতসভা , জমিদার সভা , জাতীয় কংগ্রেস - ইত্যাদি। তাই উনিশ শতককে ঐতিহাসিক অনিল শীল ' সভা সমিতির যুগ ' বলে অভিহিত করেছেন। 

PAGE : 169 ( Hasimnagar High School ) 

৩.৯. হিন্দুমেলা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যগুলি কী ছিল ? 
১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে নবগোপাল মিত্রের উদ্যোগে হিন্দুমেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলি ছিল - 
(ক ) হিন্দু ধর্মের অতীত গৌরব ও মর্যাদার প্রচার। 
(খ ) দেশীয় ভাষাগুলির প্রচার ঘটানো। 
(গ ) ভারতে পাশ্চাত্য সভ্যতার প্রসার রোধ করা - ইত্যাদি। 

৩.১০. মহারানীর ঘোষণাপত্রের দুটি উল্লেখযোগ্য ঘোষণার উল্লেখ করো। 
১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দের ১ লা নভেম্বর এলাহাবাদের রাজদরবারে মহারানি ভিক্টোরিয়া ভাইসরয় লর্ড ক্যানিং - এর মাধ্যমে এক ঘোষণাপত্রের দ্বারা কোম্পানির ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা ঘোষণা করেন। এর ফলে -  
(ক ) ব্রিটিশ সরকার ভারত শাসন আইন ১৮৫৮ পাস করে। 
(খ ) ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে। 
(গ ) ভারতের শাসনভার মহারানী ভিক্টোরিয়া নিজের হাতে তুলে নেন।
(ঘ ) ঘোষণাপত্র অনুযায়ী ভারতের প্রথম ভাইসরয় হলেন লর্ড ক্যানিং। 

৩.১১. বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভার দুটি উল্লেখযোগ্য কার্যাবলী উল্লেখ করো। 
(ক ) ১৮২৮ সালে প্রবর্তিত রেগুলেশন অ্যাক্ট প্রবর্তন করে নিস্কর জমির ওপর কর আরোপ করলে বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা এর প্রতিবাদ জানায়। 
(খ ) ভারতীয়দের স্বার্থের সাথে জড়িত রাজনৈতিক বিষয়গুলি নিয়ে আলাপ আলোচনা করে রাজনৈতিক সচেতনতার বিস্তার ঘটিয়েছিল।  
 
৩.১২. ইলবার্ট বিল কী ? 
লর্ড রিপনের পরামর্শে তাঁর আইনসচিব ইলবার্ট একটি আইন রচনা করেন। এই আইন অনুসারে ভারতীয় বিচারকেরা ইংরেজ তথা শ্বেতাঙ্গদের বিচার করার অধিকার লাভ করে। একেই ইলবার্ট বিল বলে। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য ইতিপূর্বে ভারতীয় বিচারকেরা ব্রিটিশদের বিচার করতে পারত না। 

PAGE : 171 ( The Path Bhavan ) 

৩.৯. ইলবার্ট বিল কী ? 
লর্ড রিপনের পরামর্শে তাঁর আইনসচিব ইলবার্ট একটি আইন রচনা করেন। এই আইন অনুসারে ভারতীয় বিচারকেরা ইংরেজ তথা শ্বেতাঙ্গদের বিচার করার অধিকার লাভ করে। একেই ইলবার্ট বিল বলে। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য ইতিপূর্বে ভারতীয় বিচারকেরা ব্রিটিশদের বিচার করতে পারত না। 

৩.১০. গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর কীভাবে ঔপনিবেশিক সমাজের সমালোচনা করেছিলেন ? 
(ক ) বিভিন্ন কুসংস্কার , ধর্মীয় গোঁড়ামি , জাতপাত , কলকাতার বাবু সম্প্রদায়ের বিলাসিতা - ইত্যাদি বিষয়গুলিকে ব্যাঙ্গাত্মক চিত্রের মাধ্যমে সমাজের সামনে তুলে ধরেন। 
(খ ) ঔপনিবেশিক শাসনের সমালোচনা , শাসকের শোষণ - ইত্যাদি রাজনৈতিক বিষয়গুলিকে তুলে ধরে প্রতিবাদ জ্ঞাপন করেন।
 
৩.১১. ভারত সভার দুটি কার্যাবলী লেখো। 
(ক ) সরকার সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার বয়সসীমা ২১ থেকে কমিয়ে ১৯ বছর করলে ভারত সভা এর বিরোধিতা করে এবং ভারতেও সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা প্রবর্তনের দাবী করে। 
(খ ) লর্ড লিটনের আমলে প্রবর্তিত অস্ত্র আইন ও দেশীয় ভাষায় সংবাদপত্র আইনের বিরুদ্ধে ভারতসভা আন্দোলন সংগঠিত করে। 
   
৩.১২. বাংলার বাইরে দুটি রাজনৈতিক সমিতির নাম লেখো। 
(ক ) দাদাভাই নৌরজি কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বোম্বাই অ্যাসোসিয়েশন , 
(খ ) গোপাল হরি দেশমুখ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত পুণা সার্বজনিক সভা। 

PAGE : 174 ( Madpur Balika Vidyalaya ) 

৩.৪. ভারতসভা প্রতিষ্ঠার দুটি উদ্দেশ্য উল্লেখ করো। 
১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দের ২৬ শে জুলাই কলকাতার অ্যালবার্ট হলে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে ভারতসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। এর উদ্দেশ্যগুলি ছিল - 
(ক ) ভারতীয় জনগণকে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে সংগঠিত করা। 
(খ ) হিন্দু ও মুসলিমের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করে তা ব্রিটিশ বিরোধিতায় পরিচালিত করা। 
(গ ) শিক্ষিত ভারতীয়দের মধ্যে রাজনৈতিক চেতনার প্রসার ঘটানো। 
(ঘ ) ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে ভারতীয়দের দাবী দাওয়া আদায় করা - ইত্যাদি।      

৩.৭. উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধকে সভা সমিতির যুগ বলা হয় কেন ? 
উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে শিক্ষার প্রসার , সমাজ সংস্কার ইত্যাদির ভিত্তিতে ভারতে বিভিন্ন সভা সমিতি গড়ে উঠতে থাকে। যেমন - বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা , ভারতসভা , জমিদার সভা , জাতীয় কংগ্রেস - ইত্যাদি। তাই উনিশ শতককে ঐতিহাসিক অনিল শীল ' সভা সমিতির যুগ ' বলে অভিহিত করেছেন। 

৩.১২. গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর স্মরণীয় কেন ? 
(ক ) ভারতীয়দের মধ্যে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর সর্বপ্রথম ব্যঙ্গচিত্রের প্রয়োগের মাধ্যমে ব্রিটিশ অপশাসন ও ভারতীয় সমাজের দুর্বলতাগুলো জনসমক্ষে তুলে ধরে জাতীয়তাবোধের বিকাশ ঘটান। তাই গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ভারতীয় ব্যঙ্গচিত্রের জনক বলা হয়। তাঁর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ব্যাঙ্গচিত্র হল - খল ব্রাহ্মণ , জাতাসুর - ইত্যাদি।    
(খ ) তিনি অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে যৌথভাবে ' ইন্ডিয়ান সোসাইটি অব ওরিয়েন্টাল আর্ট ' প্রতিষ্ঠা করেন। 

৩.১৩. আনন্দমঠ উপন্যাস কীভাবে জাতীয়তাবাদী ভাবধারাকে উদ্দীপ্ত করেছিল ? 
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত আনন্দমঠ উপন্যাসের মধ্যে দিয়ে প্রবলভাবে জাতীয়তাবোধের বিকাশ ঘটে। এই উপন্যাসে ব্যবহৃত বন্দেমাতরম সংগীতটি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মূলমন্ত্রে পরিণত হয়। পরাধীন ভারতের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে , ইংরেজ শাসনের প্রকৃত স্বরূপ তুলে ধরে তিনি ভারতীয়দের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। 
   
PAGE : 176 ( পলাশন মৃণালিনী মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় ) 

৩.৯. উনিশ শতককে সভা সমিতির যুগ বলা হয় কেন ? 
উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে শিক্ষার প্রসার , সমাজ সংস্কার ইত্যাদির ভিত্তিতে ভারতে বিভিন্ন সভা সমিতি গড়ে উঠতে থাকে। যেমন - বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা , ভারতসভা , জমিদার সভা , জাতীয় কংগ্রেস - ইত্যাদি। তাই উনিশ শতককে ঐতিহাসিক অনিল শীল ' সভা সমিতির যুগ ' বলে অভিহিত করেছেন। 

৩.১০. জমিদার সভার উদ্দেশ্য কী ছিল ? 
১৮৩৮ খ্রিস্টাব্দের ১৯ শে মার্চ দ্বারকানাথ ঠাকুর ও রাধাকান্ত দেবের সভাপতিত্বে জমিদার সভা প্রতিষ্ঠিত হয়। এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলি ছিল - 
(ক ) জমিদার শ্রেণীর স্বার্থরক্ষা। 
(খ ) কলকাতার ব্রিটিশ আমলাতন্ত্র ও লন্ডনের ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটির সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ গড়ে তোলা। 
(গ ) ভারতের সর্বত্র চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রচলনের দাবী জানানো। 
(ঘ ) রাজস্ব সংস্কারের জন্য আন্দোলন করা - ইত্যাদি। 

৩.১১. ইলবার্ট বিল কী ? 
লর্ড রিপনের পরামর্শে তাঁর আইনসচিব ইলবার্ট একটি আইন রচনা করেন। এই আইন অনুসারে ভারতীয় বিচারকেরা ইংরেজ তথা শ্বেতাঙ্গদের বিচার করার অধিকার লাভ করে। একেই ইলবার্ট বিল বলে। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য ইতিপূর্বে ভারতীয় বিচারকেরা ব্রিটিশদের বিচার করতে পারত না। 

৩.১২. নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন কী ? 
সরকার বিরোধী বিরোধী নাটকের প্রদর্শন বন্ধ করার উদ্দেশ্যে  লর্ড নর্থব্রুক ১৮৭৬ খ্রীষ্টাব্দের ১৪ই মার্চ 'নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন' প্রণয়ন করেন। এই আইনের মাধ্যমে পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত প্রকাশ্য মঞ্চে নাট্যাভিনয় করা যাবে না এবং নাটকগুলি কোনভাবেই যেন সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট না করে - তা কঠোরভাবে পালন করতে হবে।  

You May Also Like

0 comments