ইতিহাসের উপাদান হিসাবে ইন্টারনেটের সুবিধা ও অসুবিধা।

by - December 08, 2021

মাধ্যমিক ইতিহাস : প্রথম অধ্যায়। 


ইতিহাসের উপাদান হিসাবে ইন্টারনেটের সুবিধা ও অসুবিধা। 


ইতিহাসের তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের সুবিধা ও অসুবিধা। 


আধুনিক কালে শিক্ষার্থী ও গবেষকেরা অনেকেই প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। সময়ের সাথে সাথে এর জনপ্রিয়তা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। বর্তমানে তথ্য ও প্রযুক্তির যুগে ইন্টারনেটের গুরুত্বকে কোনোমতেই অস্বীকার করা যায় না। এর সুবিধা ও অসুবিধাগুলি হল - 


ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা :- 


১. তথ্যের সহজলভ্যতা: ইনটারনেটের সহায়তায় অতি সহজে এবং ঘরে বসে ইতিহাস-সহ দুনিয়ার যাবতীয় তথ্য জেনে নেওয়া যায়। তথ্য সংগ্রহের অন্যান্য মাধ্যম মাধ্যম থেকে এরূপ সহজে তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব নয়। 

২. সুলভ মূল্যে ইন্টারনেট সংযোগ  : খুব সামান্য অর্থব্যয় করে ইনটারনেটের মাধ্যমে সেসব তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব। বইপত্র , পত্র - পত্রিকা ইত্যাদি মাধ্যম থেকে তথ্য সংগ্রহ করা অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং তা সময় সাপেক্ষ। 
  
৩. খুব কম সময়ে তথ্য সংগ্রহ :-  বইপত্র বা অন্য কোনাে সূত্র থেকে কোনাে তথ্য সংগ্রহ
করতে গেলে প্রচুর সময় ব্যয় হয়। কিন্তু ইনটারনেট থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে খুব বেশি সময় ব্যয় করতে হয় না। এমনকি, ইনটারনেট থেকে প্রাপ্ত কোনাে সুবিশাল বইয়ের কোথায় প্রয়ােজনীয় তথ্য বা শব্দগুলি আছে তাও সার্চ করে নিমেষেই বের করা যায়। 

৪. দুর্লভ তথ্যের সহজ প্রাপ্তি : ইনটারনেটের মাধ্যমে নানা ধরনের অনলাইন লাইব্রেরি থেকে ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ কোনাে বইয়ের কপি, অনলাইন আর্কাইভ থেকে আসল রিপাের্টের কবি প্রভৃতি পাওয়া সম্ভব। এই দুর্লভ তথ্য গুলি ইতিহাস জানার ক্ষেত্রে খুব কার্যকরী। 

৫. ফিডব্যাক  : তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে কোনো প্রশ্নের উত্তর অজানা থাকলে অনেকসময় ইনটারনেটে সেই প্রশ্ন লিখেও সরাসরি উত্তর পাওয়া যায়। বিভিন্ন ওয়েবসাইট এই ধরণের সুবিধা প্রদান করে থাকে। 



তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের অসুবিধা :-  


১.  নির্ভরযোগ্যতার অভাব : ইনটারনেট থেকে প্রাপ্ত তথ্যগুলি কতটা যথার্থ বা নির্ভরযােগ্য তা যাচাই করা খুব কঠিন। একই বিষয়ে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পৃথক পৃথক তথ্য থাকায় পাঠক বা গবেষকরা বিভ্রান্ত হন।

২. মনগড়া তথ্য: মুদ্রিত পুস্তকে যথার্থ তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে যতটা নিশ্চিত থাকা যায় , ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে ততটা নিশ্চিত থাকা যায় না। এমন বহু ওয়েবসাইট আছে যেগুলি ভুল , ভুয়ো ও অপর্যাপ্ত তথ্যে পরিপূর্ণ। 

৩. গবেষণা ক্ষেত্রে সমস্যা : ইনটারনেট থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন অসত্য বা অর্ধসত্য তথ্য ব্যবহার করতে গিয়ে পাঠক ও গবেষকগণ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। 

৪. অসম্পূর্ণ তথ্য  : বহু ক্ষেত্রে ইনটারনেটে বই বা গবেষণার অংশবিশেষ পাওয়া যায়। পূর্ণাঙ্গ লেখা বা বই সংগ্রহ করতে গেলে পেইড মেম্বারশিপ গ্রহণ করতে হয় - যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। 

৫. রাজনৈতিক উদ্দেশ্য : অনেক সময় রাজনৌতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতেও ইচ্ছা করে ভুল ও বিকৃত তথ্য প্রদান করা হয়।  

You May Also Like

0 comments