Powered by Blogger.
facebook
CLASS 10 HISTORY 4/8 MARK CLASS IX BENGALI CLASS IX GEOGRAPHY CLASS IX HISTORY Class V CLASS V BENGALI CLASS VI HISTORY CLASS VI SCIENCE CLASS VI. CLASS VII BENGALI CLASS VII GEOGRAPHY CLASS VII HISTORY CLASS VIII Bengali CLASS VIII GEOGRAPHY CLASS VIII HISTORY GEOGRAPHY CLASS X HISTORY Online Exam WBBSE TEST PAPERS

Question Bank প্রশ্নবিচিত্রা

গ্রামবার্তা প্রকাশিকা পত্রিকা থেকে উনিশ শতকের বাংলার সমাজচিত্রের পরিচয় দাও। 

অথবা , গ্রামবার্তা প্রকাশিকা পত্রিকা থেকে উনিশ শতকের বাংলার সমাজের কী পরিচয় পাওয়া যায় ? 

অথবা , ইতিহাসের উপাদান হিসাবে গ্রামবার্তা প্রকাশিকা পত্রিকার গুরুত্ব আলোচনা করো। 


গ্রামবার্তা প্রকাশিকা পত্রিকায় তৎকালীন বাংলার সমাজচিত্র :- 

গ্রামবার্তা প্রকাশিকা পত্রিকাটি ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা থেকে প্রথম প্রকাশিত হয়। এর সম্পাদক ছিলেন হরিনাথ মজুমদার - তিনি কাঙাল হরিনাথ নামেও পরিচিত। উনিশ শতকের গ্রাম বাংলার ইতিহাস ও সমাজ জীবন সম্পর্কে জানার জন্য পত্রিকাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

সকল অধ্যায়ের সমস্ত প্রশ্নের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।


১. গ্রামবার্তা প্রকাশিকা পত্রিকাটি উনিশ শতকের বাংলার গ্রামীণ জীবনধারা , সামাজিক চিত্র , রাজনীতি - ইত্যাদি তুলে ধরে। তাই ইতিহাসের উপাদান হিসাবে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

২. ব্রিটিশ সরকারের বিভিন্ন নীতির ফলে গ্রামীণ জীবন ও রুজি রোজগার সংকটের মুখোমুখি হয়েছিল। এইসকল নীতিগুলির বিরুদ্ধে পত্রিকাটি প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছিল। 

৩. গ্রামাঞ্চলে জমিদার ও মহাজনদের শোষণে গ্রামীণ মানুষের জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছিল। জমিদার ও মহাজনদের অত্যাচারের কাহিনী ও গ্রামীণ মানুষের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে গ্রামীণ শাসন কাঠামোর দুর্বলতা পত্রিকাটি সকলের সামনে প্রকাশ করে। 

৪. বাংলায় নীলচাষের সূচনা ঘটলে তা কৃষকদের দুর্দশাকে আরো বাড়িয়ে দেয়। নীলকর সাহেবদের অত্যাচারের কাহিনী পত্রিকাটিতে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হতে থাকে। ফলে বাংলা জুড়ে নীলকর সাহেবদের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদী ধারা লক্ষ্য করা যায়। 

৫. গ্রামীণ মানুষ একদিকে জমিদার ও মহাজনদের দ্বারা নির্যাতিত ছিল এবং অন্যদিকে নীলকরদের দ্বারা অত্যাচারিত ছিল। কিন্তু এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিকার ছিল না। ইংরেজ সরকার পক্ষান্তরে জমিদার , মহাজন ও নীলকরদের সমর্থক ছিলেন। গ্রামবার্তা প্রকাশিকা ইংরেজদের এই মুখোশ জনসমক্ষে তুলে ধরে। 

৬. গ্রামীণ মানুষের দুর্দশা ও ইংরেজ - জমিদার - মহাজনদের অত্যাচারের সংবাদ প্রকাশের পাশাপাশি গ্রামবার্তা প্রকাশিকা বিভিন্ন সাহিত্যিক রচনাও প্রকাশ করত। লালন ফকিরের বহু গান এই পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এই সকল সাহিত্যকীর্তিগুলিও বর্তমানে ইতিহাসের উপাদান হিসাবে বিবেচিত। এছাড়াও পত্রিকাটিতে দর্শন , বিজ্ঞান বিষয়েও বহু প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। 

সকল অধ্যায়ের সমস্ত প্রশ্নের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।

    
Share
Tweet
Pin
Share
No comments

বামাবোধিনী পত্রিকায় তৎকালীন সমাজের কিরূপ প্রতিফলন ঘটেছে ? 

অথবা , বামাবোধিনী পত্রিকা থেকে তৎকালীন সমাজ সম্পর্কে কী জানা যায় ? 

অথবা , ইতিহাসের উপাদান হিসাবে বামাবোধিনী পত্রিকার গুরুত্ব আলোচনা করো। 


বামাবোধিনী পত্রিকায় প্রতিফলিত সমকালীন সমাজের প্রতিচ্ছবি :- 


বামাবোধিনী পত্রিকার প্রকাশিত হয় ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাসে। এর প্রথম সম্পাদক ছিলেন উমেশচন্দ্র দত্ত। তৎকালীন সময়ের রাজনৈতিক ও সামাজিক ইতিহাস জানার জন্য পত্রিকাটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। পত্রিকাটিতে সমকালীন সমাজ স্পষ্টরূপে প্রতিফলিত হয়েছে। তাই ইতিহাস লিখনের উপাদান হিসাবেও এর গুরুত্ব অপরিসীম। 

সকল অধ্যায়ের সমস্ত প্রশ্নের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।


১. উনিশ শতকে বাংলায় বিভিন্ন ধরণের কুপ্রথা ও কুসংস্কার প্রচলিত ছিল। বামাবোধিনী পত্রিকা এই সকল কুসংস্কারগুলি জনগণের সামনে তুলে ধরে জনমত গঠনের চেষ্টা করে। 

২. নারীশিক্ষা সেই সময়কালে কতটা অবহেলিত ছিল সে বিষয়ে পত্রিকাটি থেকে জানা যায়। পত্রিকাটি নারীশিক্ষা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে ব্যাপক প্রচার চালিয়েছিল ও জনমত গঠন করেছিল। 

৩. তৎকালীন সময়ে নারীদের কোনোরূপ সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার ছিলনা। নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বামাবোধিনী পত্রিকা যে প্রচার চালিয়েছিল - তা প্রশংসার যোগ্য। 

৪. নারীশিক্ষার বিস্তার ও নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বামাবোধিনী পত্রিকা নারীদেরকেও লেখার সুযোগ করে দিয়েছিল। 

৫. তৎকালীন সমাজে নারীদের সমস্যা , তাঁদের অবস্থা সম্পর্কে জানার ক্ষেত্রে বামাবোধিনী পত্রিকা সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ঐতিহাসিক উপাদান। 

৬. যেসকল পত্র - পত্রিকাগুলি নারীদের অন্দরমহল থেকে মুক্তি দিয়ে সমাজের মূলস্রোতে নিয়ে আসার জন্য সবচেয়ে বেশি উদ্যোগী ছিল - বামাবোধিনী পত্রিকা ছিল তাদের মধ্যে অন্যতম। 

এই সকল কারণগুলির জন্য পত্রিকাটি ইতিহাস রচনার উপাদান হিসাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সকল অধ্যায়ের সমস্ত প্রশ্নের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।

     
Share
Tweet
Pin
Share
No comments

হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকায় তৎকালীন সমাজের কীরূপ চিত্র পাওয়া যায় ? 

অথবা , হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকায় তৎকালীন সমাজের কীরূপ প্রতিফলন ঘটেছে ? 

অথবা , ইতিহাসের উপাদান হিসাবে হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার গুরুত্ব।    


হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকায় তৎকালীন সমাজের প্রতিফলন :- 

১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার পথ চলা শুরু হয়। প্রথমদিকে পত্রিকাটি ছিল সাপ্তাহিক। এর প্রথম সম্পাদক ছিলেন হরিশ্চন্দ্র মুখোপাধ্যায়। ইতিহাসের উপাদান হিসাবে পত্রিকাটির ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। 

সকল অধ্যায়ের সমস্ত প্রশ্নের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।


১. ঊনবিংশ শতকে ভারতে কৃষকদের অবস্থা ছিল সবচেয়ে শোচনীয়। তারা ছিল শোষিত ও নির্যাতিত। হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকায় কৃষকদের দুর্দশার প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা হয়। 

২. কৃষকেরা শোষিত হত মূলতঃ জমিদার , মহাজনদের দ্বারা। তাদের সেই অমানবিক অত্যাচারের কথা তুলে ধরা হয় ধারাবাহিকভাবে। 

৩. সেই সময়ের ইতিহাসে দাদন প্রথা ছিল কৃষকের জীবনে এক প্রকার অভিশাপ। দাদন দিয়ে নীলকর সাহেবরা কৃষকদের নীলচাষ করতে বাধ্য করত। নীলচাষ করতে গিয়ে কৃষকদের যে করুন দুর্দশা হয়েছিল তার বিস্তারিত ও ধারাবাহিক বিবরণ পাওয়া যায় হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকায়। 

৪. পত্রিকাটির মাধ্যমে সাঁওতাল বিদ্রোহ সম্পর্কেও বিস্তর ইতিহাস জানা যায়। সাঁওতালদের উপর শোষণ ও অত্যাচার , সাঁওতাল বিদ্রোহের শুরু ও পরিণতি , সেনা ও পুলিশের নৃশংস অত্যাচারের কথা হিন্দু প্যাট্রিয়ট থেকে জানা যায়। 

৫. পত্রিকাটি সেই সময়ে প্রচলিত বিভিন্ন কুপ্রথার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিল। যেমন - বাল্য বিবাহ , বহুবিবাহ - ইত্যাদি। 

৬. তৎকালীন অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে জানতেও পত্রিকাটি কার্যকর। 

৭. চালের বদলে মদ আমদানির সরকারি নীতির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল হিন্দু প্যাট্রিয়ট। 

৮. নারীশিক্ষার প্রসার , বিধবা বিবাহের প্রচার ইত্যাদি ক্ষেত্রে পত্রিকাটির সদর্থক ভূমিকা ছিল। 

৯. হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় নীলবিদ্রোহকে প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছিলেন। 

১০. শাসকের প্রকৃত শাসনের ছবি জনসমক্ষে তুলে ধরে হিন্দু প্যাট্রিয়ট জাতীয়তাবোধের বিস্তার ঘটিয়েছিল।    

সকল অধ্যায়ের সমস্ত প্রশ্নের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।


Share
Tweet
Pin
Share
No comments

ইতিহাসের উপাদান হিসাবে সরকারি নথিপত্রের গুরুত্ব আলোচনা কর। 


অথবা , আধুনিক ইতিহাস রচনায় সরকারি নথিপত্রের গুরুত্ব আলোচনা কর। 


ইতিহাসের উপাদান হিসাবে সরকারি নথিপত্রের গুরুত্ব :- 


সরকারি বিভিন্ন প্রতিবেদন , চিঠিপত্র , দলিল - দস্তাবেজ , নির্দেশনামা , চুক্তিপত্র - ইত্যাদি ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসাবে বিবেচিত। এইগুলিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বলে মনে করা হয়। কেননা , এগুলির সত্যতা সাধারণতঃ সন্দেহের উর্দ্ধে। সরকারি নথিপত্রের ঐতিহাসিক গুরুত্বগুলি হল - 

সকল অধ্যায়ের সমস্ত প্রশ্নের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।


১. ভারতে স্বাধীনতা আন্দোলন একটি বিশেষ অধ্যায়। সেই সমকালের সরকারি বিভিন্ন নথিপত্র থেকে আন্দোলন সম্পর্কে প্রকৃত তথ্য জানা যায় এবং নির্দিষ্ট ঘটনার পরিপ্রক্ষিতে সরকারের মনোভাব ও ভূমিকা সম্পর্কে জানতে সরকারি নথিপত্রগুলি অত্যন্ত কার্যকরী। 

২. বিভিন্ন পর্যায়ের বিভিন্ন ধরণের বৈপ্লবিক আন্দোলনগুলিকে দমন করতে ব্রিটিশ সরকার বদ্ধপরিকর ছিল। সরকারি চিঠিপত্র ও নির্দেশনামাগুলির মধ্যে দিয়ে কোন বিদ্রোহ কিভাবে দমন করা হয়েছিল তার বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যায়। 

৩. ব্রিটিশ আমলের সরকারি নথিপত্রগুলি সাম্রাজ্যবাদি শাসকের প্রকৃত স্বরূপ তুলে ধরে। যেমন চার্চিল এর চিঠি থেকে জানা যায় যে তিনি বাংলার দুর্ভিক্ষের সময় বিদেশ থেকে খাদ্য আমদানির পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিলেন। এ থেকে ব্রিটিশ সরকারের প্রকৃত স্বরূপ জনসমক্ষে তুলে ধরা যায়। 

৪. ভারতের বিভিন্ন সংস্কার আন্দোলনগুলি ব্রিটিশদের কতটা প্রভাবিত করেছিল - সে সম্পর্কেও নথিপত্রগুলি থেকে জানা সম্ভব। যেমন রাজা রামমোহন রায়ের আন্দোলনকে কোম্পানি মান্যতা দিয়ে সতীদাহ প্রথা রদ করেছিলেন। 

৫. ইংরেজ আমলে ভারতে প্রচলিত বিভিন্ন ধরণের প্রথা , সংস্কার , কুসংস্কার - ইত্যাদি সম্পর্কে জানতেও নথিপত্রগুলি বিশেষভাবে সহায়ক। নথিপত্রগুলি থেকেই তৎকালীন সময়ে প্রচলিত বহুবিবাহ , গঙ্গা সাগরে সন্তান বিসর্জন , সতীদাহ - এসকল প্রথা সম্পর্কে জানা যায়। 

৬, ভারতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কৃষক , শ্রমিক , বামপন্থী ও ছাত্র আন্দোলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সকল আন্দোলনগুলি এবং সেগুলিকে দমন করতে ব্রিটিশ সরকারের পদক্ষেপ ও আন্দোলনগুলির ব্যাপকতা ইত্যাদি সপর্কেও নথিপত্রগুলি থেকে জানা যায়। 

৭. ইংরেজ আমলে ইংরেজ বিরোধী বহু যুদ্ধ ও বিপ্লব অনুষ্ঠিত হয়। যেমন - সিপাহী বিদ্রোহ , নৌ বিদ্রোহ , অসহযোগ আন্দোলন , আইন অমান্য আন্দোলন - ইত্যাদি। সরকারি দলিল - দস্তাবেজ থেকে ঐসকল বিদ্রোহগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা সম্ভব। 

৮. ভারত ভাগ হল ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। ভারত ভাগ সংক্রান্ত সম্পূর্ণ তথ্য সরকারি নথিপত্র থেকে জানা যায়। 

৯. সর্বপরি সরকারি নথিপত্রগুলিকেই সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ঐতিহাসিক উপাদান হিসাবে মনে করা হয়।   

সকল অধ্যায়ের সমস্ত প্রশ্নের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।

    
Share
Tweet
Pin
Share
No comments

কণ্যা ইন্দিরাকে লেখা জওহরলাল নেহেরুর চিঠিগুলির ঐতিহাসিক গুরুত্ব আলোচনা করো। 

অথবা , ইতিহাসের উপাদান হিসাবে কণ্যা ইন্দিরাকে লেখা জওহরলাল নেহেরুর চিঠিগুলির ঐতিহাসিক গুরুত্ব আলোচনা করো। 


কণ্যা ইন্দিরাকে লেখা জওহরলাল নেহেরুর চিঠিগুলির ঐতিহাসিক গুরুত্ব :- 


কন্যা ইন্দিরা যখন মুসৌরিতে পড়াশোনা করছিলেন সেই সময়কালে তাঁর পিতা জওহরলাল নেহেরু তাঁকে মোট ৩০ টি চিঠি লেখেন। এই চিঠিগুলির সংকলন '' Letters from a father to his daughter '' নামে পরিচিত। পরবর্তীকালে মুন্সি প্রেমচাঁদ চিঠিগুলির হিন্দি অনুবাদ করেন যা  '' পিতা কে পত্র পুত্রী কে নাম '' নামে প্রকাশিত হয়। এর বাংলা অনুবাদের নাম হল '' কল্যাণীয়েষু ইন্দু। '' উক্ত চিঠিগুলির ঐতিহাসিক গুরুত্ব হল - 

সকল অধ্যায়ের সমস্ত প্রশ্নের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।


১. চিঠিগুলিতে পৃথিবীর এমন সময়ের উল্লেখ করা হয়েছে যখন পৃথিবীতে মানবের কোনো অস্তিত্ব ছিলনা। সেই সময়ের ইতিহাস জানতে বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান কিভাবে সাহায্য করে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এটি প্রতিটি শিক্ষার্থী তথা ইতিহাসে কৌতুহলী ব্যক্তিদের ঐতিহাসিক অনুসন্ধানে অনুপ্রাণিত করে। 

২. নেহেরু তাঁর কন্যাকে বলেছেন , শুধু ভারত বা ইংল্যান্ডের ইতিহাস ও সংস্কৃতি জানলেই চলবে না। বিশ্বের প্রতিটি দেশের প্রতিটি জনজাতি এবং তাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে হবে। এই আহ্বান এতটাই জোরালো যা তা পাঠককে বিশ্ব নাগরিকে পরিণত করে। 

৩. চিঠিগুলিতে সভ্যতার উদ্ভব , ভাষা ও ধর্মের উদ্ভব , ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতির উদ্ভব - ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে - যা ইতিহাসের উপাদান হিসাবে অত্যন্ত মূল্যবান হিসাবে গৃহীত। 

৪. ভারতীয় সভ্যতার উন্মেষ ও বিবর্তন সম্পর্কেও চিঠিগুলিতে বহু তথ্য রয়েছে। এই তথ্যগুলি ভারতীয় সভ্যতা ও তার প্রাচীনত্ব সম্পর্কে জানতে সাহায্য করে। 

৫. জাতীয়তাবোধের উন্মেষের ক্ষেত্রেও চিঠিগুলির অবদান গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের পরাধীনতার কারণ ও ইংল্যান্ডের সাফল্যের কারণগুলি উল্লেখ করে তিনি কার্যত পরাধীনতার শৃঙ্খল কীভাবে মোচন করা যাবে - সে বিষয়ে পথনির্দেশ দিয়েছেন। 

৬. প্রতিটি চিঠিতে ভারতের সাধারণ জীবন , মানুষের দারিদ্রতা , অসহায়তা , নিরক্ষরতা - ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারে আলোচনা করা হয়েছে - যা একদিক দিয়ে তৎকালীন ভারতকে জানতে সহায়তা করে এবং অন্যদিকে দিয়ে সেই সকল নেতিবাচক অবস্থাগুলি দূর করতে মানুষকে অনুপ্রাণিত করে। 

সকল অধ্যায়ের সমস্ত প্রশ্নের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।
     

Share
Tweet
Pin
Share
No comments

সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্রের মধ্যে পার্থক্যগুলি আলোচনা কর। 


সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্রের মধ্যে পার্থক্য :- 


সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্রের  মধ্যে পার্থক্যগুলি নিম্নরূপ - 


১. জন্মলগ্নের নিরীখে : - আধুনিককালে অষ্টাদশ শতকে সাময়িকপত্রগুলি প্রকাশিত হতে শুরু করেছে। কিন্তু সংবাদপত্রের জন্মকাল যীশুখ্রিস্টের জন্মের পূর্বে। 

২. প্রকৃতিগত ক্ষেত্রে :- সাময়িকপত্রগুলি প্রধানতঃ বিশ্লেষণমূলক লেখা , সমালোচনা , সাহিত্য  - ইত্যাদি বিষয়কে উৎসাহ দিয়ে থাকে। কিন্তু সংবাদপত্রগুলিতে দৈনন্দিন ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক , সামাজিক - বিভিন্ন কর্মকান্ড প্রকাশিত হয়। 

সকল অধ্যায়ের সমস্ত প্রশ্নের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।

৩. বিষয়ভিত্তিক পার্থক্য :- সাময়িকপত্রগুলিতে বিভিন্ন গবেষণামূলক প্রবন্ধ প্রকাশ হতে দেখা যায়। কোনো কোনো সাময়িক পত্র বিশেষ বিষয় কেন্দ্রিকও হতে পারে - যেমন সাহিত্যমূলক , ঐতিহাসিক বা বৈজ্ঞানিক গবেষণা। কিন্তু সংবাদপত্রগুলো শুধুমাত্র সার্বিক ও সাধারণ সংবাদ প্রকাশের দিকে নজর রাখে। 

৪. মৌলিক বিষয় প্রকাশের ক্ষেত্রে পার্থক্য :- সংবাদপত্রগুলোতে মৌলিক বিষয় নিয়ে লেখালিখির সংখ্যা খুব কম বা থাকে না বললেই চলে। কিন্তু সাময়িক পত্রগুলিতে মৌলিক বিষয় , গবেষণাকেন্দ্রিক বিষয় - এসব কিছুরই প্রাধান্য দেখা যায়। 

৫. আকৃতিগত ক্ষেত্রে পার্থক্য :- সংবাদপত্র কখনোই বিরাট মাপের বা প্রচুর পৃষ্ঠা সংযোজিত হয়না। কিন্তু সাময়িকপত্রগুলি অনেক ক্ষেত্রেই বহু পৃষ্ঠা সংযোজিত বিরাট আকৃতির হয়ে থাকে। 

৬. প্রকাশকালের অন্তরভেদ :- সংবাদপত্রগুলি সাধারণত প্রতিনিয়ত দিনে একবার বা দুবার প্রকাশিত হয়ে থাকে। কিন্তু সাময়িক পত্রগুলি একটি নির্দিষ্ট সময়ের অন্তর অন্তর প্রকাশিত হয়। সামযিকত্রগুলি সাধারণত সাপ্তাহিক , পাক্ষিক , মাসিক - এইরূপ সময়ের অন্তরে প্রকাশিত হয়। 

৭. জ্ঞান সঞ্চারের উপাদান হিসাবে পার্থক্য : - সংবাদপত্রগুলো থেকে প্রতিদিনের গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ লাভ করা যায় - যা আমাদের তথ্য সমৃদ্ধ করে বর্তমান সমাজ ও জগৎ সম্পর্কে ধারণা প্রদান করে। কিন্তু সাময়িকপত্রগুলিতে সেইরূপ তাৎক্ষণিক সংবাদের পরিবর্তে নির্দিষ্ট বিষয়কে কেন্দ্র করে তথ্যসমৃদ্ধ জ্ঞান প্রদান করে। 

সকল অধ্যায়ের সমস্ত প্রশ্নের তালিকা পেতে এখানে CLICK করো।

      
Share
Tweet
Pin
Share
No comments
Older Posts

Contact Form

Name

Email *

Message *

Pages

  • Home
  • About Me
  • Contact Me .
  • PRIVACY POLICY
  • Disclaimer

About Me

Myself Nandan Dutta from Malda and I made this website for the students of class X ( Class 10 ) . Nowadays lots of websites provide MCQ & SAQ for the preparation of the final examination . But those websites are not working in recent strategies , recent model questions etc . But in this website , all the MCQs & SAQs are provided for the students based on current researches . We heavily focused on History and Geography for the school final examination . এই Website টির বিশেষত্ব :- ১. মাধ্যমিক ইতিহাস ও ভূগোলের প্রতিটি অধ্যায় ভিত্তিক MCQ ও SAQ আলোচনা। ২. প্রতিটি অধ্যায় থেকে যত রকমের প্রশ্ন হওয়া সম্ভব , সেই সকল প্রশ্ন সংযোজিত হয়েছে। ৩. বিভিন্ন টেস্ট পেপারস থেকে মডেল প্রশ্নগুলি প্রতিটি অধ্যায়ে সংযোজিত হয়েছে। ৪. দায়সারা ভাবে মাত্র ৫০ বা ১০০ টি প্রশ্ন দিয়ে অধ্যায়ের আলোচনা শেষ করা হয়নি। যত প্রশ্ন হওয়া সম্ভব , সবগুলি আলোচনা করা হয়েছে। ৫. ছাত্র - ছাত্রীদের ফিডব্যাকের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হয়। এমনকি কারো নির্দিষ্ট কোনো ক্ষেত্রে সমস্যা থাকলে , সেসব যথাসাধ্য সমাধানের চেষ্টা করা হয়। Thank You Nandan Dutta .

recent posts

Pageviews

  • Home
  • CLASS X HISTORY MCQ SET 1 ; NAME :

Created with by ThemeXpose | Distributed by Blogger Templates