অষ্টম শ্রেণি : ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় : MCQ & SAQ

by - July 01, 2022

অষ্টম শ্রেণি : ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় : MCQ & SAQ 



অষ্টম শ্রেণি : ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় : MCQ & SAQ 

অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়ের MCQ , SAQ ও অতি সংক্ষিপ্ত , সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর প্রকাশিত হল। পাঠ্য বইয়ের প্রতিটি পৃষ্ঠা ধরে ধরে প্রশ্নোত্তরগুলির সংযোজন করা হয়েছে। প্রতিটি প্রশ্ন পরীক্ষার জন্য এবং সাধারণ জ্ঞান অর্জনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নীচে দেওয়া প্রশ্নোত্তরগুলি ছাড়াও এই অধ্যায় থেকে যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের সন্ধান পাওয়ামাত্র এখানে আপডেট করা হবে।   

১. ঔরঙ্গজেব কবে মারা যান ? ১৭৫৭ / ১৭৭০ / ১৭০৭ / ১৭১৭ - খ্রিস্টাব্দে। 
উত্তর : ১৭০৭ খ্রিস্টাব্দে। 

২. নাদির শাহ কবে ভারত আক্রমণ করেন ? ১৮৩৮-৩৯ / ১৭৩৮-৩৯ / ১৮৫৬-৫৭ / ১৭৫৬-৫৭ খ্রিস্টাব্দে। 
উত্তর : ১৭৩৮-৩৯ খ্রিস্টাব্দে। 

৩. অষ্টাদশ / সপ্তদশ / ষোড়শ / ঊনবিংশ - শতকের মাঝামাঝি সময়ে মুঘল সাম্রাজ্যের কর্তৃত্ব দুর্বল হয়ে পড়েছিল। 
উত্তর : অষ্টাদশ। 

৪. মুর্শিদকুলি খান ছিলেন - আকবর / বাবর / ঔরঙ্গজেব / শাহজাহান - কর্তৃক নিযুক্ত বাংলার দেওয়ান। 
উত্তর : ঔরঙ্গজেব। 

৫. বাংলার দেওয়ান পদে মুর্শিদকুলি খানকে পাকাপাকিভাবে নিযুক্ত করেন - ঔরঙ্গজেব / সিরাজউদদৌলা / ফারুখশিয়ার / বাহাদুর শাহ। 
উত্তর : ফারুখশিয়ার।    

৬. কবে মুর্শিদকুলি খানকে বাংলার নাজিমপদ দেওয়া হয় ? ১৭০৭ / ১৭৯৭ / ১৭১৭ / ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে। 
উত্তর : ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে। 

৭. আঞ্চলিক শক্তি হিসাবে কার নেতৃত্বে বাংলার উত্থান ঘটে ? সিরাজউদদৌলা / মিরকাশিম / মীরজাফর / মুর্শিদকুলি খান। 
উত্তর : মুর্শিদকুলি খান। 

৮. মুর্শিদকুলি খানকে লেখা ঔরঙ্গজেবের চিঠিগুলি কোন ভাষায় লেখা ? বাংলা / হিন্দি / উর্দু / ফারসি। 
উত্তর : ফারসি। 

৯. মুর্শিদকুলি খানকে লেখা ঔরঙ্গজেবের চিঠিগুলি বাংলায় অনুবাদ করেছেন কে ? সুমিত সরকার / যদুনাথ সরকার / পার্সিভ্যাল স্পিয়ার / অক্ষয়কুমার দত্ত। 
উত্তর : যদুনাথ সরকার। 

১০. কার আমলে বাংলায় একদল ক্ষমতাবান জমিদারশ্রেণি তৈরী হয় ?   সিরাজউদদৌলা / মিরকাশিম / মীরজাফর / মুর্শিদকুলি খান। 
উত্তর : মুর্শিদকুলি খান। 


১১. মুর্শিদকুলির আমলে সর্বাধিক প্রভাবশালী মূলধন বিনিয়োগকারী বা বণিকরাজা কে ছিলেন ? উমিচাঁদ / খোঁজা ওয়াজিদ / রায়দুর্লভ / জগৎ শেঠ। 
উত্তর : জগৎ শেঠ। 

১২. কবে মুর্শিদকুলি খান মারা যান ? ১৭২৭ / ১৭১৭ / ১৭৫৭ / ১৭১৯ - খ্রিস্টাব্দে। 
উত্তর : ১৭২৭ খ্রিস্টাব্দে। 

১৩. মুর্শিদকুলি খানের পর বাংলার নবাব কে হন ? সিরাজউদদৌলা / আলিবর্দি খান / মিরকাশিম / মীরজাফর। 
উত্তর : আলিবর্দি খান। 

১৪. আলিবর্দি খান কবে মারা যান ? ১৭৫৬ / ১৭৫৭ / ১৭৬৪ / ১৭৬৫ - খ্রিস্টাব্দে। 
উত্তর : ১৭৫৬ খ্রিস্টাব্দে। 

১৫. আলিবর্দির পর কে বাংলার নবাব হন ? সিরাজউদদৌলা / মিরকাশিম / মিরজাফর / জগৎ শেঠ। 
উত্তর : সিরাজউদদৌলা। 

১৬. বর্গি কাদের বলা হত ? মোগলদের / ইংরেজদের / ফরাসিদের / মারাঠাদের। 
উত্তর : মারাঠাদের। 

১৭. কবে বাংলার নবাব ও মারাঠাদের মধ্যে সন্ধি হয় ? ১৭৫১ / ১৭৫৭ / ১৭৬৪ / ১৭৬৫ - খ্রিস্টাব্দে। 
উত্তর : ১৭৫১ খ্রিস্টাব্দে। 

১৮. কে ঔরঙ্গজেবের কাছ থেকে '' চিন কুলিচ খান '' উপাধি কে পেয়েছিলেন ? ফারুখশিয়ার / কামারুদ্দিন খান সিদ্দিকি / হোসেন শাহ / শওকত জঙ্গ।  
উত্তর : কামারুদ্দিন খান সিদ্দিকি। 

১৯. আসফ খাঁ কবে হায়দ্রাবাদ রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন ? ১৭১৭ / ১৭২৪ / ১৭৩৫ / ১৭৫৭ - খ্রিস্টাব্দে। 
উত্তর : ১৭২৪ খ্রিস্টাব্দে। 

২০. হায়দ্রাবাদের শাসককে বলা হত - রাজা / সুলতান  / নবাব / নিজাম। 
উত্তর : নিজাম। 


২১. কার নেতৃত্বে অযোধ্যা একটি স্বশাসিত আঞ্চলিক শক্তি হিসাবে গড়ে ওঠে ? উমর খান / সফদর জং / সাদাৎ খান / ফারুখশিয়ার। 
উত্তর : সাদাৎ খান। 

২২. ফারুখশিয়ার কবে ফরমান জারি করেন ? ১৭১৭ / ১৭৫৭ / ১৭৭০ / ১৭৬৪ - খ্রিস্টাব্দে। 
উত্তর : ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে। 

২৩. সিরাজদৌলা - গ্রন্থের লেখক কে ? অক্ষয়কুমার দত্ত / যদুনাথ সরকার / সুমিত সরকার / অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়। 
উত্তর : অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়। 

২৪. কবে সিরাজের বাহিনী ব্রিটিশদের হারিয়ে কলকাতা দখল করে ? ১৯৫৬ এর ১৪ ই জুন / ১৯৫৬ এর ২৩ জুন / ১৭৫৬ এর ২০ জুন / ১৭৫৬ এর ২৩ জুন। 
উত্তর : ১৭৫৬ এর ২০ জুন। 

২৫. কলকাতা দখল করে সিরাজ কলকাতার নাম দেন - আলিনগর / মায়ানগর / সিরাজনগর / পলাশি। 
উত্তর : আলিনগর। 

২৬. অন্ধকূপ হত্যা তত্ত্বের প্রবক্তা কে ? লর্ড ক্লাইভ / লর্ড ওয়েলেসলি / হলওয়েল / টমাস মুনরো। 
উত্তর : হলওয়েল। 

২৭. কে অন্ধকূপ হত্যা তত্ত্বকে '' অতিরঞ্জন '' বলে প্রমাণ করেছিলেন ? অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় / সুমিত সরকার / যদুনাথ সরকার / বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। 
উত্তর : অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়। 

২৮. সিরাজ ও ক্লাইভের মধ্যে অলিনগরের সন্ধি কবে হয় ? ১৭৫৬ / ১৭৫৭ / ১৭৬০ / ১৭৬৪ - খ্রিস্টাব্দে। 
উত্তর : ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে। 

২৯. পলাশির যুদ্ধ কবে হয় ? ১৭৫৭ এর ২৩ জুন / ১৭৫৭ এর ২০ জুন / ১৭৫৭ এর ২৩ জুলাই / ১৭৫৭ এর ২৩ ডিসেম্বর। 
উত্তর : ১৭৫৭ এর ২৩ জুন। 

৩০. পলাশির যুদ্ধের পর বাংলার নবাব কে হন ? মুর্শিদকুলি খান / আলিবর্দি খান / মীরজাফর / মিরকাশিম। 
উত্তর : মীরজাফর। 

৩১. মীরজাফরের পর কোম্পানি কাকে বাংলার নবাবী পদে অধিষ্ঠিত করে ? মীরণ / মিরকাশিম / রেজা খাঁ / নিজামউদদৌলা। 
উত্তর : মিরকাশিম। 

৩২. মিরকাশিম বাংলার রাজধানী মুর্শিদাবাদ থেকে সরিয়ে কোথায় স্থানান্তরিত করেন ? কলকাতা / ভাগলপুর / মুঙ্গের / পাটনা। 
উত্তর : মুঙ্গের। 

৩৩. বক্সারের যুদ্ধ কবে সংঘঠিত হয় ? ১৭৫৭ / ১৭৫৯ / ১৭৬৪ / ১৭৬৫ - খ্রিস্টাব্দে। 
উত্তর : ১৭৬৪ খ্রিস্টাব্দে। 

৩৪. ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কবে বাংলা , বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভ করে ?   ১৭৫৭ / ১৭৫৯ / ১৭৬৪ / ১৭৬৫ - খ্রিস্টাব্দে। 
উত্তর : ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে।    

৩৫. ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কার কাছ থেকে বাংলা , বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভ করে ? মোগল সম্রাট ঔরঙ্গজেব / সিরাজউদদৌলা / মোগল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ  / মোগল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম।   
উত্তর : মোগল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম। 

৩৬. বক্সারের যুদ্ধের সময় মোগল সম্রাট কে ছিলেন ?  মোগল সম্রাট ঔরঙ্গজেব / সিরাজউদদৌলা / মোগল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ  / মোগল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম।  
উত্তর : উত্তর : মোগল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম। 

৩৭. দেওয়ানি লাভের পর দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা কতদিন চলেছিল ? ১৭৬৫ - ৭২ / ১৭৭২ - ৭৭ / ১৭৫৭ - ৬৫ / ১৭৬৫ - ৮২। 
উত্তর : ১৭৬৫ - ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দ। 

৩৮. ছিয়াত্তরের মন্বন্তর কোন বঙ্গাব্দে হয়েছিল ? ১৭৭৬ / ১৭৭০ / ১১৭০ / ১১৭৬ - বঙ্গাব্দে। 
উত্তর : ১১৭৬ খ্রিস্টাব্দে। 

৩৯. ছিয়াত্তরের মন্বন্তর কত খ্রিস্টাব্দে হয়েছিল ?  ১৭৭৬ / ১৭৭০ / ১১৭০ / ১১৭৬ - খ্রিস্টাব্দে । 
উত্তর : ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দে। 

৪০. মন্বন্তর প্রবন্ধটি কার লেখা ? বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় / রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর / অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় / অক্ষয়কুমার দত্ত। 
উত্তর : অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়। 


৪১. অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি কে প্রবর্তন করেন ? লর্ড কার্জন / লর্ড কর্নওয়ালিস / লর্ড ওয়েলেসলি / লর্ড ডালহৌসি। 
উত্তর : লর্ড ওয়েলেসলি। 

৪২. স্বত্ববিলোপ নীতি কে প্রবর্তন করেন ? লর্ড কার্জন / লর্ড কর্নওয়ালিস / লর্ড ওয়েলেসলি / লর্ড ডালহৌসি। 
উত্তর : লর্ড ডালহৌসি। 

৪৩. কোন ভারতীয় শাসক সর্বপ্রথম অধীনতামূলক মিত্রতানীতি গ্রহণ করেছিলেন ? বাংলার নবাব / হায়দ্রাবাদের নিজাম / পাঞ্জাবের রণজিৎ সিং / বালাজি বাজিরাও। 
উত্তর : হায়দ্রাবাদের নিজাম। 

৪৪. মোট ক'টি ইঙ্গ - মহীশুর যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল ? ২ / ৩ / ৪ / ৫ - টি। 
উত্তর : চারটি। 

৪৫. কোন যুদ্ধে টিপু সুলতান পরাজিত ও নিহত হন ? প্রথম / দ্বিতীয় / তৃতীয় / চতুর্থ - ইঙ্গ মহীশুর যুদ্ধে।
উত্তর : চতুর্থ ইঙ্গ মহীশুর যুদ্ধে। 

৪৬. কোন বছর চতুর্থ ইঙ্গ - মহীশুর যুদ্ধ সংগঠিত হয় ? ১৭৮২ / ১৮০৩ / ১৭৯২ / ১৭৯৯ - খ্রিস্টাব্দে। 
উত্তর : ১৭৯৯ খ্রিস্টাব্দে। 

৪৭. টিপু সুলতানের রাজধানী কোথায় ছিল ? ত্রিবান্দম / সাতারা / শ্রীরঙ্গপত্তম / পুনে। 
উত্তর : শ্রীরঙ্গপত্তম। 

৪৮. কোন যুদ্ধে ফরাসিদের চূড়ান্ত পরাজয় ঘটে ? পলাশির যুদ্ধ / বক্সারের যুদ্ধ / শ্রীরঙ্গপত্তমের যুদ্ধ / বন্দিবাসের যুদ্ধ। 
উত্তর : বন্দিবাসের যুদ্ধ। 

৪৯. সলবাইয়ের সন্ধি কাদের মধ্যে সংঘঠিত হয় ? ইংরেজ ও মারাঠা / ইংরেজ ও বাংলার নবাব / ইংরেজ ও অযোধ্যার নবাব / ইংরেজ ও হায়দ্রাবাদের নিজাম। 
উত্তর : মারাঠা ও ইংরেজ। 

৫০. সলবাইয়ের সন্ধি কবে স্বাক্ষরিত হয় ? ১৭৯২ / ১৭৮২ / ১৮০৩ / ১৭৯৯ - খ্রিস্টাব্দে। 
উত্তর : ১৭৮২ খ্রিস্টাব্দে। 

৫১. বেসিনের সন্ধি কাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় ? কোম্পানি ও পেশোয়া / কোম্পানি ও নিজাম / কোম্পানি ও বাংলার নবাব / কোম্পানি ও মোগল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম। 
উত্তর : কোম্পানি ও পেশোয়া। 

৫২. বেসিনের সন্ধি কবে স্বাক্ষরিত হয় ? ১৮০৩ / ১৭৯২ / ১৭৯৯ / ১৮০২ - খ্রিস্টাব্দে। 
উত্তর : ১৮০২ খ্রিস্টাব্দে। 

৫৩. কোন যুদ্ধের পর মারাঠা রাজ্যে পেশোয়া পদ বিলুপ্ত করে দেওয়া হয় ? প্রথম / দ্বিতীয় / তৃতীয় - ইঙ্গ - মারাঠা যুদ্ধে। 
উত্তর : তৃতীয় ইঙ্গ - মারাঠা যুদ্ধে। 

৫৪. লাহোরের চুক্তি কবে স্বাক্ষরিত হয় ? ১৮৪০ / ১৮৪২ / ১৮৪৪ / ১৮৪৬ - খ্রিস্টাব্দে। 
উত্তর : ১৮৪৬ খ্রিস্টাব্দে।    

   
                    
১. মুঘল রাষ্ট্রের অধীনস্থ তিনটি প্রধান আঞ্চলিক শক্তির নাম কী কী ? 
উত্তর : বাংলা , হায়দ্রাবাদ ও অযোধ্যা। 
 
২. মুর্শিদকুলি খানের আমলে একজন প্রধান হিন্দু ব্যবসায়ী ও একজন প্রধান আর্মেনীয় ব্যবসায়ীর নাম কর।  
উত্তর :  হিন্দু ব্যবসায়ী ছিলেন উমিচাঁদ ও আর্মেনীয় ব্যবসায়ীর নাম খোজা ওয়াজিদ।  

৩. বণিকরাজা কাদের বলা হত ? উদাহরণ দাও। 
উত্তর : মুর্শিদাবাদের রাজনীতি ও অর্থনীতিতে বণিকদের বেশ প্রভাব ছিল। এদের বণিকরাজা বলা হত। এই বণিকরাজাদের মধ্যে প্রধান ছিলেন - উমিচাঁদ , খোজা ওয়াজিদ , জগৎ শেঠ। 
  
৪. মারাঠাখাল কী ? 
উত্তর : বর্গিহানা আটকাবার জন্য কলকাতায় খাল খোঁড়া হয়েছিল। একে বলা হত মারাঠাখাল। 
 
৫. বাংলায় কোন তিনটি বিদেশি কোম্পানি ক্ষমতাশালী হয়ে উঠেছিল ? 
উত্তর : ব্রিটিশ , ওলন্দাজ ও ফরাসি। 

৬. ফারুখশিয়ার কর্তৃক যে ফরমান জারি করা হয়েছিল , তার মূল বক্তব্য কী ছিল ? 
উত্তর : ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে জারি করা ফারুখশিয়ারের ফরমানের মূল বক্তব্য ছিল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে বাংলায় বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিশেষ সুযোগ - সুবিধা দেওয়া হবে। যেমন - 
(ক ) ব্রিটিশ কোম্পানি বার্ষিক মাত্র তিন হাজার টাকার বিনিময়ে বাণিজ্য করতে পারবে। 
(খ ) ব্রিটিশ কোম্পানিকে বাণিজ্যের জন্য কোনো শুল্ক দিতে হবে না। 
(গ ) ব্রিটিশ কোম্পানি কলকাতার কাছাকাছি ৩৮ টি গ্রামের জমিদারি ক্রয় করতে পারবে। 
(ঘ ) কোম্পানির পণ্য কেউ চুরি করলে নবাব তার ক্ষতিপূরণ দেবেন। 
(ঙ ) কোম্পানির জাহাজ অবাধে বাণিজ্য করতে পারবে। 
(চ ) কোম্পানি কলকাতায় নবাবের টাঁকশাল ব্যবহার করতে পারবে। 

   
৭. কবে , কাদের মধ্যে আলিনগরের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয় ? এই সন্ধির ফলে ইংরেজ কোম্পানি কী কী সুবিধালাভ করেছিল ? বা , আলিনগরের সন্ধির শর্তগুলো কী কী ছিল ?   
উত্তর : ১৭৫৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কোম্পানির সঙ্গে বাংলার নবাব সিরাজউদদৌলার আলিনগরের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়। এই সন্ধির ফলে - 
(ক ) ব্রিটিশ কোম্পানি তার বাণিজ্যিক অধিকারগুলি ফিরে পায়। 
(খ ) নবাব ব্রিটিশ কোম্পানিকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করেন। 
(গ ) কোম্পানি কলকাতায় নিজেদের দুর্গ নির্মাণের অধিকার পায়। 
(ঘ ) কোম্পানি নিজেদের মুদ্রা বা সিক্কা তৈরির অধিকার পায়। 
  
৮. পলাশির লুন্ঠন কাকে বলে ? 
উত্তর : পলাশির যুদ্ধের পর সিরাজের কলকাতা আক্রমণের অজুহাতে ১ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করে কোম্পানি। এছাড়াও ক্লাইভ সহ কোম্পানির উচ্চপদাধিকারীরা মীরজাফরের কাছ থেকে মোট প্রায় তিন কোটি টাকার সম্পদ আদায় করে। কোম্পানির তরফে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎকে পলাশির লুন্ঠন বলা হয়। এর ফলে নবাবের কোষাগার শুন্যে পরিণত হয়। 
      
৯. কোম্পানির বিরুদ্ধে মিরকাশিমের বিভিন্ন পদক্ষেপগুলি কীকী ছিল ? 
উত্তর : (ক ) রাজধানী মুর্শিদাবাদ থেকে মুঙ্গেরে স্থানান্তর করেন। 
(খ ) আধুনিক সেনাবাহিনী গড়ে তোলেন। 
(গ ) সেনাবাহিনীতে ফরাসি , আফগান , পর্তুগিজ - প্রমুখ যোদ্ধা জাতিকে নিজ সেনাদলে অন্তর্ভুক্ত করেন। 
(ঘ ) ক্ষমতাবান জগৎ শেঠদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখেন। 
        
১০. বক্সারের যুদ্ধে মিরকাশিম কাদের নিয়ে ইংরেজ বিরোধী জোট গঠন করেন ? 
উত্তর : অযোধ্যার শাসক সুজা - উদ - দৌলা ও মোগল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমকে নিয়ে। 

 
১১. কবে , কোন সন্ধির মাধ্যমে কোম্পানি বাংলা , বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভ করে ? 
উত্তর : ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে এলাহাবাদের দুটি চুক্তির মাধ্যমে। 
(ক ) প্রথম চুক্তি হয় অযোধ্যার নবাব সুজা উদ দৌলার সঙ্গে। এই চুক্তির মাধ্যমে কোম্পানিকে বার্ষিক ৫০ লক্ষ টাকা প্রদানের বিনিময়ে সুজা উদ দৌলা অযোধ্যার শাসনভার ফিরে পান। 
(খ ) দ্বিতীয় চুক্তিটি হয় কোম্পানি ও মোগল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের মধ্যে। এই চুক্তির শর্ত অনুসারে কোম্পানি মোগল সম্রাটকে বার্ষিক ২৬ লক্ষ টাকা প্রদানের বিনিময়ে বাংলা , বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভ করে।             

১২. দ্বৈত শাসন কাকে বলে ? 
উত্তর : ১৭৬৫ সালে কোম্পানি দেওয়ানি লাভের পর বাংলায় এক নতুন ধরণের শাসনতন্ত্র কায়েম হয়। একদিকে রাজনৈতিক ও নিয়ামতের দায়িত্ব ছিল নবাবের হাতে ; অন্যদিকে অর্থনৈতিক কর্তৃত্ব ও রাজস্ব আদায়ের অধিকার পেয়েছিল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। ফলে নবাবের হাতে থাকলো ক্ষমতাহীন দায়িত্ব এবং কোম্পানির হাতে থাকলো দায়িত্বহীন অর্থনৈতিক ক্ষমতা। বাংলার এই শাসন ব্যবস্থাকেই দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা বলা হয়। 

১৩. কোম্পানির রাজত্বে '' রেসিডেন্ট '' নামে কারা পরিচিত ছিলেন ? 
উত্তর : ভারতীয় উপমহাদেশের অনেক অঞ্চলেই ব্রিটিশ কোম্পানি পরোক্ষ শাসন চালাত। নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থরক্ষার জন্য বিভিন্ন রাজদরবারে নিজেদের প্রতিনিধি রাখত কোম্পানি। সেই প্রতিনিধিরা রেসিডেন্ট নামে পরিচিত ছিল।   

১৪. লর্ড ওয়েলেসলি কীভাবে অধীনতামূলক মিত্রতানীতি প্রয়োগের মাধ্যমে দেশীয় রাজ্য গ্রাস করতেন ? 
উত্তর : ব্রিটিশ কোম্পানির আগ্রাসী নীতির অন্যতম রূপ ছিল অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি। লর্ড ওয়েলেসলি ঐ নীতি প্রয়োগ করে দেশীয় বিভিন্ন রাজ্যের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোম্পানির নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেন। ভারতের আঞ্চলিক শক্তিগুলির বিবাদজনিত অশান্তিকে ওয়েলেসলি ব্রিটিশ শাসনের পক্ষে বিপদ হিসাবে তুলে ধরতেন। তারপর সরাসরি অথবা যুদ্ধের মাধ্যমে দেশীয় শক্তিগুলিকে অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি মেনে নিতে বাধ্য করতেন। 
 
১৫. কবে , কোন যুদ্ধে ইংরেজদের হাতে ফরাসিদের চূড়ান্ত পরাজয় ঘটে ? 
উত্তর : ১৭৬০ খ্রিস্টাব্দে বন্দিবাসের যুদ্ধে বা তৃতীয় কর্ণাটক যুদ্ধে ইংরেজদের হাতে ফরাসিদের চূড়ান্ত পরাজয় ঘটে। 



You May Also Like

0 comments