Class IX History 6th chapter MCQ & SAQ নবম শ্রেণী : ইতিহাস : ষষ্ঠ অধ্যায় : MCQ & SAQ
Class IX History 6th chapter MCQ & SAQ
নবম শ্রেণী : ইতিহাস : ষষ্ঠ অধ্যায় : MCQ & SAQ
১. কোন সন্ধিকে জার্মানির বিরুদ্ধে '' জুলুম সন্ধি '' বলা হয় ?
উত্তর : ভার্সাই সন্ধিকে।
২. কোন দিন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় ?
উত্তর : ১৯৩৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর।
৩. কোনদিন হিটলার পোল্যান্ড আক্রমণ করেন ?
উত্তর : ১৯৩৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর।
৪. লেবেনশ্রম ( Lebensraum ) কথাটির অর্থ কী ?
উত্তর : এটি একটি জার্মান শব্দ ; এর অর্থ বাসযোগ্য স্থান।
৫. কারা , কবে কমিন্টার্ন বিরোধী চুক্তি সাক্ষর করে ?
উত্তর : ১৯৩৬ , জার্মানি ও জাপান।
৬. কবে রোম - বার্লিন - টোকিও জোট গঠিত হয় ?
উত্তর : ১৯৩৬ এর অক্টোবরে।
৭. হিটলারের বিরুদ্ধে কারা তোষণনীতি প্রয়োগ করে ?
উত্তর : ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড।
৮. কবে , কাদের মধ্যে মিউনিখ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ?
উত্তর : ১৯৩৮ এর ২৯ সেপ্টেম্বর ইংল্যান্ড , ফ্রান্স , ইতালি ও জার্মানির মধ্যে।
৯. হিটলার কবে মিউনিখ চুক্তি ভেঙে বেরিয়ে আসেন ?
উত্তর : ১৯৩৯ এর ১৬ই মার্চ হিটলার মিউনিখ চুক্তি অগ্রাহ্য করে চেকোশ্লাভাকিয়া অধিকার করেন।
১০. রুশ - জার্মান অনাক্রমণ চুক্তি কবে স্বাক্ষরিত হয় ?
উত্তর : ১৯৩৯ সালের ২৩শে অগাস্ট।
১১. অপারেশন বারবারোসা কী ?
উত্তর : ১৯৪১ সালে হিটলার সোভিয়েত রাশিয়া আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নেন ; যা জার্মানির সামরিক কোডে অপারেশন বারবারোসা নামে পরিচিত।
১২. হিটলার কবে রাশিয়া আক্রমণ করেন ?
উত্তর : ১৯৪১ এর ২২ শে জুন।
১৩. রুশ সেনারা হিটলারের বিরুদ্ধে কোন নীতি গ্রহণ করেছিল ?
উত্তর : পোড়ামাটির নীতি।
১৪. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে কারা করফু দ্বীপটি দখল করেছিল ?
উত্তর : ইতালি।
১৫. তোষণ নীতির উদ্ভাবক কে ছিলেন ?
উত্তর : নেভিল চেম্বারলেন।
১৬. ম্যাজিনো লাইন কী ?
উত্তর : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্বে সুইটজারল্যান্ড থেকে বেলজিয়াম পর্যন্ত ফ্রান্স যে নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলে তা ম্যাজিনো লাইন নামে পরিচিত।
১৭. কে আলবেনিয়া প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন ?
উত্তর : আহম্মদ জগু।
১৮. কোন অঞ্চল গণভোট দ্বারা জার্মানির সঙ্গে যুক্ত হয় ?
উত্তর : সার অঞ্চল।
১৯. করফু দ্বীপের ঘটনাটি কী ?
উত্তর : গ্রিস ও আলবেনিয়ার মধ্যে সীমানা নির্ধারণের কাজে নিযুক্ত কয়েকজন ইতালীয় প্রতিনিধি ১৯২৩ সালে নিহত হন। এই ঘটনার জন্য মুসোলিনি গ্রিসকে দায়ী করে গ্রিসের করফু দ্বীপটি দখল করে নেন। অবশেষে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় প্রচুর ক্ষতিপূরণ দিয়ে গ্রিস ওই দ্বীপটি ফিরে পায়।
২০. ওয়াল - ওয়াল ঘটনাটি কী ?
উত্তর : আবিসিনিয়া ও সোমালিল্যান্ড সীমান্তের ওয়াল - ওয়াল গ্রামে ইতালীয় ও আবিসিনিয় সেনাদের মধ্যে এক খন্ডযুদ্ধে ( ৫ই ডিসেম্বর ১৯৩৪ ) কিছু ইতালীয় সেনা নিহত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে মুসোলিনি আবিসিনিয়ার কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা ও ক্ষতিপূরণ দাবী করে এবং তারপর ৩ রা অক্টোবর ১৯৩৫ এ আবিসিনিয়া আক্রমণ করেন।
২১. ইঙ্গ - ফরাসি তোষণনীতি বলতে কী বোঝ ?
উত্তর : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে মুসোলিনি ও হিটলার আগ্রাসী নীতি গ্রহণ করলেও ইঙ্গ - ফরাসি শক্তি তা প্রতিরোধের কোনো সক্রিয় উদ্যোগ না নিয়ে তারা ইতালি ও জার্মানির প্রতি উদাসীন থাকার নীতি গ্রহণ করে। একেই ইঙ্গ - ফরাসি তোষণনীতি বলা হয়।
২২. কবে , কাদের মধ্যে মিউনিখ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ? এই চুক্তিতে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ?
উত্তর : ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দের ২৯শে সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চেম্বারলেন , ফরাসি প্রধানমন্ত্রী দালাদিয়ের , জার্মান শাসক হিটলার , ইতালির শাসক মুসোলিনির মধ্যে মিউনিখ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এতে স্থির হয় - (ক ) চেকোশ্লোভাকিয়ার অধীনস্থ সুদেতান অঞ্চল জার্মানিকে হস্তান্তর করা হবে।
(খ ) অবশিষ্ট চেকোশ্লোভাকিয়ার স্বাধীনতা হিটলার মেনে নেবেন।
২৩. আনশ্লুস কী ?
উত্তর : হিটলারের নাৎসি বাহিনী অস্ট্রিয়া আক্রমণ করে সেখানকার পার্লামেন্ট ভেঙে দেন এবং প্রহসনমূলক গণভোটের দ্বারা অস্ট্রিয়াকে জার্মানির সঙ্গে যুক্ত করেন। এই ঘটনা না নীতি আনশ্লুস নামে পরিচিত।
২৪. কে , কোন ঘটনাকে গণতন্ত্রের মড়ক বলেছেন ?
উত্তর : প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ইটালি , জার্মানি , অস্ট্রিয়া , পোল্যান্ড , গ্রিস , স্পেন , পর্তুগাল , হাঙ্গেরি , বুলগেরিয়া - ইত্যাদি দেশে গণতন্ত্রের পতন ঘটে এবং স্বৈরাচারী শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। ঐতিহাসিক গ্যাথন হার্ডি এই ঘটনাকে গণতন্ত্রের মড়ক বলেছেন।
২৫. জার্মানি কেন জাতিসংঘের সদস্যপদ ত্যাগ করে ?
উত্তর : ভার্সাই সন্ধির মাধ্যমে জার্মানির সামরিক শক্তি হ্রাস করা হয়েছিল। জেনেভার নিরস্ত্রীকরণ সম্মেলনে (১৯৩৩) হিটলার দাবী করেন যে - জার্মানিকেও সমান সামরিক শক্তি রাখার সুযোগ দিতে হবে। জার্মানির এই দাবী অগ্রাহ্য হলে হিটলার জেনেভা সম্মেলন এবং জাতিসংঘের সদস্যপদ ত্যাগ করে।
২৬. রোম - বার্লিন - টোকিও চুক্তি কবে , কেন স্বাক্ষরিত হয়েছিল ?
উত্তর : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্বে ব্রিটেন , ফ্রান্স ও রাশিয়াকে নিয়ে মিত্রশক্তি জোট গঠিত হলে তার পালটা প্রতিপক্ষ ইটালি , জার্মানি ও জাপান রোম - বার্লিন - টোকিও অক্ষচুক্তি সাক্ষর করে ৬ই নভেম্বর ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে।
২৭. হেরেনভেক তত্ত্ব কী ?
উত্তর : হিটলার মনে করতেন - একমাত্র জার্মানরাই বিশুদ্ধ আর্যরক্তের অধিকারী। এই কারণে অন্যান্য জাতির ওপর শাসন প্রতিষ্ঠা বা প্রভুত্ব স্থাপনের অধিকার রয়েছে জার্মানদের। হিটলারের এই জাতিবিদ্বেষী চিন্তাই হেরেনভেক তত্ত্ব নামে পরিচিত।
২৮. পোলিশ করিডর কী ?
উত্তর : পোলিশ করিডর হল পোল্যান্ডের রাষ্ট্রসীমার মধ্যে দিয়ে ড্যানজিগ অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য একটি সংযোগভূমি।
২৯. পোড়ামাটির নীতি বলতে কী বোঝ ?
উত্তর : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে হিটলারের বাহিনীকে প্রতিহত করতে রুশ বাহিনী সমস্ত সেতু , বাড়িঘর ধ্বংস করে ফেলে ও শস্যক্ষেত্র পুড়িয়ে দিতে দিতে পিছু হটতে থাকে। ফলে খাদ্য ও পানীয়ের অভাবে নাৎসি বাহিনীকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। রুশদের এই নীতিই পোড়ামাটির নীতি নামে পরিচিত।
৩০. লেন্ড - লিজ আইন কী ?
উত্তর : ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের মার্চে মার্কিন কংগ্রেসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় - মিত্রশক্তি জোটকে যুদ্ধবিমান , যুদ্ধজাহাজ ও বিভিন্ন যুদ্ধাস্ত্র দিয়ে সাহায্য করা হবে। মিত্রশক্তি জোটকে যুদ্ধে সাহায্য করার এই মার্কিন নীতি '' লেন্ড লিজ আইন '' নামে পরিচিত।
৩১. পার্ল - হারবার ঘটনাটি কী ছিল ?
উত্তর : পার্ল হারবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি নৌ - ঘাঁটি ছিল। ১৯৪১ এর ৭ই ডিসেম্বর রবিবার সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে জাপানি সেনারা ভাইস অ্যাডমিরাল নোগুচির নেতৃত্বে পার্ল হারবারে ব্যাপক বোমাবর্ষণ শুরু করে। এতে পার্ল হারবারে মার্কিন নৌ - ঘাঁটি ধ্বংস হয়। ২০টি মার্কিন জাহাজ , ১২০টি বিমান ধ্বংস হয় ও প্রায় ২৫০০ মার্কিনবাসী প্রাণ হারান।
৩২. ক্যাশ অ্যান্ড ক্যারি নীতি কী ?
উত্তর : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পশ্চিমি গণতান্ত্রিক দেশগুলিকে অর্থের বিনিময়ে অস্ত্র সহ নানা ধরণের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির ব্যবস্থা করে। যুদ্ধাস্ত্র সরবরাহের এই নীতি '' ক্যাশ অ্যান্ড ক্যারি নীতি '' নামে পরিচিত।
৩৩. D - Day বলতে কী বোঝ ?
উত্তর : ১৯৪৪ এর ৬ই জুন মিত্রপক্ষীয় সেনা ফ্রান্সে অবতরণ করে পশ্চিম ইউরোপে তার দ্বিতীয় রণাঙ্গনের সূচনা করে। এই দিনটি D - Day বা মুক্তিদিবস নামে পরিচিত। এতে অক্ষশক্তির হাত থেকে ফ্রান্স মুক্ত হয়।
৩৪. বিজয় উৎসব দিবস বা , Victory in Europe Day কোনদিন , কেন পালিত হয় ?
উত্তর : ১৯৪৫ এর ৭ই ও ৮ই মে ইউরোপ জুড়ে বিজয় দিবস বা Victory in Europe Day হিসাবে পালন করা হয়।
১৯৪৪ এর ৬ই জুন মিত্রপক্ষীয় সেনা ফ্রান্সে অবতরণ করে পশ্চিম ইউরোপে তার দ্বিতীয় রণাঙ্গনের সূচনা করে। এই দিনটি D - Day বা মুক্তিদিবস নামে পরিচিত। এতে অক্ষশক্তির হাত থেকে ফ্রান্স মুক্ত হয়। এরপর তিনদিক থেকে মিত্রপক্ষ জার্মানিকে আক্রমণ করে। হিটলার ও তাঁর স্ত্রী ইভা ব্রাউন আত্মহত্যা করেন। জার্মানি আত্মসমর্পণ করে এবং মিত্রশক্তি জয়লাভ করে। তাই ঐদিনটিতে ইউরোপ জুড়ে বিজয় দিবস পালিত হয়।
৩৫. ট্রুম্যান নীতি ( Truman Policy ) বলতে কী বোঝ ?
উত্তর : আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি হ্যারি ট্রুম্যান ১৯৪৭ এর ১২ই মার্চ মার্কিন কংগ্রেসের এক বক্তৃতায় তিনি তুরস্ক , গ্রিস সহ বিশ্বের যেকোনো দেশকে সোভিয়েত আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সামরিক ও আর্থিক সাহায্য দানের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। এই ঘটনা ট্রুম্যান নীতি ( Truman Policy ) নামে পরিচিত।
৩৬. মার্শাল পরিকল্পনা কাকে বলে ?
উত্তর : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিধ্বস্ত ইউরোপের আর্থিক পুনরুজ্জীবনের লক্ষ্যে আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জর্জ সি মার্শাল ১৯৪৭ এর ৫ই জুন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যে পরিকল্পনা পেশ করেন - তা মার্শাল পরিকল্পনা নামে খ্যাত।
৩৭. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানকালে কোন দুটি মহাশক্তিধর রাষ্ট্রের আত্মপ্রকাশ ঘটে ?
উত্তর : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত রাশিয়া। ( মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ধনতান্ত্রিক জোট এবং সোভিয়েত রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন সাম্যবাদী জোট। )
৩৮. তৃতীয় বিশ্ব কাকে বলে ?
উত্তর : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে এশিয়া , আফ্রিকা , লাতিন আমেরিকার অন্তর্গত ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যবাদীদের হাত থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত দেশগুলি একত্রে তৃতীয় বিশ্ব হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। পরবর্তীকালে আলজেরিয়ার সাহিত্যিক ফ্রানজ ফ্যানন '' তৃতীয় বিশ্ব '' কথাটি প্রথম ব্যবহার করেন।
৩৯. জোট নিরপেক্ষ নীতি বলতে কী বোঝ ?
উত্তর : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে গড়ে ওঠা মার্কিন নেতৃত্বাধীন ধনতান্ত্রিক জোট এবং সোভিয়েত রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন সমাজতান্ত্রিক জোটের বাইরে থাকার নীতিই হল জোট নিরপেক্ষ নীতি। জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের সূচনা ও পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু।
৪০. জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের প্রসারের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন সম্মেলনগুলো কী কী ?
উত্তর : বান্দুঙ সম্মেলন , কায়রো সম্মেলন , বেলগ্রেড সম্মেলন - ইত্যাদি।
৪১. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সংগঠনটির নাম কী ?
উত্তর : United Nations Organisation ( UNO ) বা সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ।
৪২. UNO বা সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ কবে প্রতিষ্ঠিত হয় ?
উত্তর : ২৪শে অক্টোবর ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে।
৪৩. কোন দিনটিকে UNO দিবস বা সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ দিবস বলা হয় ?
উত্তর : ২৪শে অক্টোবর।
৪৪. UNO বা সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য কী ছিল ?
উত্তর : তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সম্ভাবনা দূর করে আন্তর্জাতিক শান্তি প্রতিষ্ঠা ও আলাপ - আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সমস্যার সমাধান।
৪৫. হিরোশিমা ও নাগাসাকি - তে কবে পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করা হয় ?
উত্তর : ১৯৪৫ সালের ৬ই অগাস্ট হিরোশিমাতে ( হিরোশিমা দিবস ) ও ৯ই অগাস্ট নাগাসাকিতে (নাগাসাকি দিবস ) ।
৪৬. হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে নিক্ষেপিত বোমা দুটির নাম কী ছিল ?
উত্তর : লিট্ল বয় ও ফ্যাট ম্যান।
৪৭. DUKW কী ?
উত্তর : DUKW হল ২টন ক্ষমতাসম্পন্ন ছয় চাকার ট্রাক যা স্থলে ও জলে সঞ্চরণে সক্ষম।
৪৮. V- 2 কী ?
উত্তর : জার্মানির তৈরী রকেট।
৪৯. '' সভ্যতার সংকট '' প্রবন্ধটি কার লেখা ?
উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
৫০. কে , কোন প্রবন্ধে উগ্র জাতীয়তাবাদকে '' সভ্যতার ভয়াবহ বিপদ '' বলে অভিহিত করেছেন ?
উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ; সভ্যতার সংকট প্রবন্ধে।
৫১. কারা , কাদের বিরুদ্ধে পোড়ামাটির নীতি গ্রহণ করেছিল ?
উত্তর : রাশিয়া , জার্মানির বিরুদ্ধে।
৫২. ফ্রান্স পুনরুদ্ধারে মিত্রবাহিনীর অভিযান কী নামে পরিচিত ?
উত্তর : অপারেশন ওভারলর্ড।
৫৩. কোন দেশের সেনাদের লালফৌজ বলা হত ?
উত্তর : রাশিয়া।
৫৪. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন কোন দুটি দেশ মিত্রপক্ষে যোগ দেয় ?
উত্তর : সোভিয়েত রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
৫৫. রুশ - জার্মান যুদ্ধে দুটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধক্ষেত্রের নাম কর।
উত্তর : লেনিনগ্রাড ও স্ট্যালিনগ্রাড।
৫৬. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন কোন দেশকে গণতন্ত্রের অস্ত্রাগার বলা হত ?
উত্তর : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
৫৭. ক্যাশ অ্যান্ড ক্যারি নীতি ( Cash and Carry ) কোন দেশ গ্রহণ করে ?
উত্তর : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
৫৮. পার্ল হারবার ঘটনাকালে জাপানের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন ?
উত্তর : হিদেকি তোজো।
৫৯. ফালটন ( ফুলটন ) - এ কে বক্তৃতা দিয়েছিলেন ?
উত্তর : উইনস্টন চার্চিল। তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
৬০. কোন বিমানে নাগাসাকিতে আণবিক বোমা বিস্ফোরণ করা হয় ?
উত্তর : B - 29 বিমানে।
৬১. নাৎসি বাইবেল কাকে বলে ? এটি কার লেখা ?
উত্তর : হিটলারের লেখা '' মেইন ক্যাম্ফ '' গ্রন্থ।
৬২. ১৯৩৯ সালে সংগঠিত রুশ জার্মান অনাক্রমণ চুক্তির শর্তগুলি লেখ।
উত্তর : (ক ) আগামী দশ বছরের জন্য জার্মানি ও রাশিয়া পরস্পরকে আক্রমণ করবে না।
(খ ) শান্তিপূর্ণ আলাপ - আলোচনার মাধ্যমে তারা পারস্পরিক সমস্যার সমাধান করবে।
(গ ) জার্মানি ও রাশিয়াকে কোনো তৃতীয় শক্তি আক্রমণ করলে উভয়ের কেউই তৃতীয় শক্তিকে সাহায্য করবে না।
(ঘ ) এছাড়াও এই চুক্তির একটি গোপন অংশ ছিল এবং তা হল - পোল্যান্ড দখল করে তারা পরস্পরের মধ্যে ভাগ করে নেবে।
৬৩. আনশ্লুস কী ?
উত্তর : ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে হিটলার অস্ট্রিয়া আক্রমণ করে পার্লামেন্ট ভেঙে দেন এবং প্রহসনমূলক গণভোটের দ্বারা অস্ট্রিয়াকে জার্মান সাম্রাজ্যভুক্ত করেন। অস্ট্রিয়ার প্রতি হিটলারের এই নীতি আনশ্লুস নামে পরিচিত।
৬৪. ইতালি কেন আবিসিনিয়া আক্রমণ করে ?
উত্তর : ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার সুরাহা , শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল সংগ্রহ করা , আবিসিনিয়াকে কেন্দ্র করে পূর্ব আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপন করা - ইত্যাদি কারণে।
৬৫. হিটলারের বৈদেশিক নীতির প্রধান লক্ষ্যগুলি কী ছিল ?
(ক ) জার্মান সাম্রাজ্যবাদের বিস্তার ঘটানো।
(খ ) জার্মানিকে ইউরোপের মূল নিয়ন্ত্রক হিসাবে গড়ে তোলা।
(গ ) সাম্যবাদকে প্রতিরোধ করা।
৬৬. অক্ষশক্তি জোটে কোন কোন রাষ্ট্র যোগদান করেছিল ?
উত্তর : জার্মানি , ইটালি , জাপান।
৬৭. ১৯৩৯ সালে সংগঠিত রুশ জার্মান অনাক্রমণ চুক্তির মাধ্যমে ইঙ্গ - ফরাসি শক্তির বিরুদ্ধে জার্মানির শক্তি বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা রক্ষার উদ্দেশ্যে রাশিয়ার সঙ্গে এক অনাক্রমণ চুক্তি করে। এর শর্তগুলি ছিল -
(ক ) আগামী দশ বছরের জন্য জার্মানি ও রাশিয়া পরস্পরকে আক্রমণ করবে না।
(খ ) শান্তিপূর্ণ আলাপ - আলোচনার মাধ্যমে তারা পারস্পরিক সমস্যার সমাধান করবে।
(গ ) জার্মানি ও রাশিয়াকে কোনো তৃতীয় শক্তি আক্রমণ করলে উভয়ের কেউই তৃতীয় শক্তিকে সাহায্য করবে না।
৬৮. কবে , কোন ঘটনার মধ্যে দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা হয় ?
উত্তর : ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দের ১ সেপ্টেম্বর হিটলার পোল্যান্ড আক্রমণ করেন। এর প্রতিক্রিয়া হিসাবে জার্মানির পক্ষে ও বিপক্ষে অক্ষশক্তি ও মিত্রশক্তি যুদ্ধ ঘোষণা করে। ৩ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা হয়।
৬৯. কোন কোন দেশ নিয়ে মিত্রশক্তি জোট গঠিত হয় ?
উত্তর : ইংল্যান্ড , ফ্রান্স ও রাশিয়া। পরে আমেরিকাও মিত্রশক্তিতে যোগদান করে।
৭০. কে নিজেকে ফুয়েরার বলে প্রচার করেন ? ফুয়েরার কথাটির অর্থ কী ?
উত্তর : হিটলার। ফুয়েরার কথার অর্থ প্রধান নেতা বা একচ্ছত্র অধিপতি।
0 comments